Preface
Read
+
Publisher
Nainoia, Inc.
PO Box 462, Bellefonte, PA 16823
(814) 470-8028
Nainoia Inc, Publisher
LinkedIn/NAINOIA-INC
Third Party Publisher Resources
Request Custom Formatted Verses
Please contact us below
Submit your proposed corrections
I understand that the Aionian Bible republishes public domain and Creative Commons Bible texts and that volunteers may be needed to present the original text accurately. I also understand that apocryphal text is removed and most variant verse numbering is mapped to the English standard. I have entered my corrections under the verse(s) below. Proposed corrections to the Open Bengali Contemporary Bible, John Chapter 18 https://www.AionianBible.org/Bibles/Bengali---Contemporary/John/18 1) প্রার্থনা শেষ করে যীশু শিষ্যদের সঙ্গে সেই স্থান ত্যাগ করলেন এবং কিদ্রোণ উপত্যকা পার হয়ে গেলেন। অন্য পারে একটি বাগান ছিল। যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা সেখানে প্রবেশ করলেন। 2) যিহূদা, যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, সেই স্থানটি সম্বন্ধে জানত, কারণ যীশু প্রায়ই সেখানে তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে মিলিত হতেন। 3) তাই যিহূদা সৈন্যদল, প্রধান যাজকদের ও ফরিশীদের প্রেরিত কিছু কর্মচারীকে পথ দেখিয়ে সেই বাগানে প্রবেশ করল। তাদের সঙ্গে ছিল মশাল, লণ্ঠন এবং অস্ত্রশস্ত্র। 4) তাঁর প্রতি যা কিছু ঘটতে চলেছে জানতে পেরে, যীশু এগিয়ে এসে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কাকে খুঁজছ?” 5) তারা উত্তর দিল, “নাসরতের যীশুকে।” যীশু বললেন, “আমিই তিনি।” বিশ্বাসঘাতক যিহূদাও তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল। 6) “আমিই তিনি,” যীশুর এই কথা শুনে তারা পিছিয়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেল। 7) তিনি তাদের আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কাকে চাও?” তারা বলল, “নাসরতের যীশুকে।” 8) যীশু উত্তর দিলেন, “আমি তো তোমাদের বললাম, আমিই তিনি। যদি তোমরা আমারই সন্ধান করছ, তাহলে এদের যেতে দাও।” 9) এরকম ঘটল, যেন তিনি যে কথা বলেছিলেন, তা পূর্ণ হয়, “যাদের তুমি আমাকে দান করেছ, তাদের একজনকেও আমি হারাইনি।” 10) তখন শিমোন পিতর তার তরোয়াল বের করে মহাযাজকের দাসকে আঘাত করলেন এবং তার ডানদিকের কান কেটে ফেললেন। সেই দাসের নাম ছিল মল্ক। 11) যীশু পিতরকে আদেশ দিলেন, “তোমার তরোয়াল কোষে রেখে দাও। পিতা আমাকে যে পানপাত্র দিয়েছেন, আমি কি তা থেকে পান করব না?” 12) তখন সৈন্যদল, সেনাপতি এবং ইহুদি কর্মচারীরা যীশুকে গ্রেপ্তার করে বেঁধে ফেলল। 13) প্রথমে তারা তাঁকে হাননের কাছে নিয়ে এল। তিনি ছিলেন সেই বছরের মহাযাজক, কায়াফার শ্বশুর। 14) এই কায়াফাই ইহুদিদের পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, সমগ্র জাতির জন্য বরং একজনের মৃত্যুই ভালো। 15) শিমোন পিতর এবং আর এক শিষ্য যীশুকে অনুসরণ করছিলেন। সেই শিষ্য মহাযাজকের পরিচিত ছিলেন। তাই তিনি যীশুর সঙ্গে মহাযাজকের উঠানে প্রবেশ করলেন। 16) কিন্তু পিতরকে দরজার বাইরে অপেক্ষা করতে হল। মহাযাজকের পরিচিত অপর শিষ্যটি ফিরে এলেন এবং সেখানে কর্তব্যরত দাসীকে বলে পিতরকে ভিতরে নিয়ে গেলেন। 17) দ্বাররক্ষী সেই দাসী পিতরকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি তাঁর শিষ্যদেরই একজন নও?” তিনি উত্তর দিলেন, “না, আমি নই।” 18) তখন ছিল শীতকাল। নিজেদের উষ্ণ করার জন্য পরিচারক এবং কর্মচারীরা আগুন জ্বালিয়ে তার চারপাশে দাঁড়িয়েছিল। পিতরও তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন। 19) মহাযাজক ইতিমধ্যে যীশুকে তাঁর শিষ্যদের এবং তাঁর শিক্ষা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। 20) যীশু উত্তর দিলেন, “জগতের সামনে আমি প্রকাশ্যে প্রচার করেছি। ইহুদিরা সকলে যেখানে সমবেত হয়, সেই সমাজভবনে, অথবা মন্দিরে, আমি সবসময়ই শিক্ষা দিয়েছি, গোপনে কিছুই বলিনি। 21) আমাকে প্রশ্ন করছ কেন? আমার শিক্ষা যারা শুনেছে, তাদের জিজ্ঞাসা করো। আমি যা বলেছি, তারা নিশ্চয়ই তা জানে।” 22) যীশুর একথা শুনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক কর্মচারী তাঁর মুখে চড় মারল। সে বলল, “মহাযাজকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কি এই রীতি?” 23) যীশু উত্তর দিলেন, “আমি যদি অন্যায় কিছু বলে থাকি, তাহলে সেই অন্যায়ের বিপক্ষে সাক্ষ্য দাও। কিন্তু যদি আমি সত্যিকথা বলে থাকি, তাহলে তুমি আমাকে কেন আঘাত করলে?” 24) হানন তখনই তাঁকে বাঁধন সমেত মহাযাজক কায়াফার কাছে পাঠালেন। 25) শিমোন পিতর যখন দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন, একজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমিও কি তাঁর শিষ্যদের একজন নও?” তিনি অস্বীকার করলেন, বললেন, “আমি নই।” 26) মহাযাজকের দাসেদের মধ্যে একজন, পিতর যার কান কেটে দিয়েছিলেন, তার এক আত্মীয় দৃঢ়তার সঙ্গে বলল, “আমি কি বাগানে তোমাকে তাঁর সঙ্গে দেখিনি?” 27) পিতর আবার সেকথা অস্বীকার করলেন, আর সেই মুহূর্তে একটি মোরগ ডাকতে শুরু করল। 28) পরে ইহুদি নেতারা যীশুকে কায়াফার কাছ থেকে নিয়ে রোমীয় প্রদেশপালের প্রাসাদে গেল। তখন ভোর হয়ে আসছিল। ইহুদি নেতারা নিজেদের কলুষিত করতে চায়নি। তারা যেন নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করতে পারে, এজন্য তারা প্রাসাদে প্রবেশ করল না। 29) তাই পীলাত তাদের কাছে বেরিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “এই মানুষটির বিরুদ্ধে তোমাদের অভিযোগ কী?” 30) তারা উত্তর দিল, “সে অপরাধী না হলে, আমরা তাকে আপনার হাতে তুলে দিতাম না।” 31) পীলাত বললেন, “তোমরা নিজেরাই ওকে নিয়ে গিয়ে তোমাদের নিজস্ব বিধান অনুসারে ওর বিচার করো।” ইহুদিরা আপত্তি জানিয়ে বলল, “কিন্তু কাউকে প্রাণদণ্ড দেওয়ার অধিকার আমাদের নেই।” 32) তাঁর কীভাবে মৃত্যু হবে, সে সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়ে যীশু যে কথা বলেছিলেন, তা সফল হয়ে ওঠার জন্যই এরকম ঘটল। 33) পীলাত তখন প্রাসাদের অভ্যন্তরে ফিরে গিয়ে যীশুকে ডেকে পাঠালেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমিই কি ইহুদিদের রাজা?” 34) উত্তরে যীশু বললেন, “এ কি তোমার নিজের ধারণা, না অন্যেরা আমার সম্পর্কে তোমাকে বলেছে?” 35) পীলাত উত্তর দিলেন, “আমি কি ইহুদি? তোমারই স্বজাতিয়েরা এবং প্রধান যাজকেরা তোমাকে আমার হাতে তুলে দিয়েছে। কী করেছ তুমি?” 36) যীশু বললেন, “আমার রাজ্য এ জগতের নয়। তা যদি হত, ইহুদিদের দ্বারা আমার গ্রেপ্তার আটকানোর জন্য আমার অনুচররা প্রাণপণ সংগ্রাম করত। কিন্তু আমার রাজ্য তো এখানকার নয়।” 37) পীলাত বললেন, “তাহলে, তুমি তো একজন রাজাই!” যীশু উত্তর দিলেন, “তুমি সংগত কথাই বলছ যে, আমি একজন রাজা। প্রকৃতপক্ষে, এজন্যই আমি জন্মগ্রহণ করেছি, আর এই কারণেই, সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে আমি জগতে এসেছি। যে সত্যের পক্ষে, সে আমার কথা শোনে।” 38) পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, “সত্য কী?” একথা বলে তিনি বাইরে ইহুদিদের কাছে আবার গেলেন। তিনি বললেন, “ওকে অভিযুক্ত করার মতো কোনো কারণই আমি খুঁজে পাচ্ছি না। 39) কিন্তু তোমাদের প্রথা অনুসারে নিস্তারপর্বের সময় একজন বন্দিকে আমি কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে থাকি। তোমরা কি চাও যে, ‘ইহুদিদের রাজাকে’ আমি তোমাদের জন্য মুক্ত করে দিই?” 40) তারা চিৎকার করে উঠল, “না, ওকে নয়! বারাব্বাকে আমাদের দিন।” সেই বারাব্বা এক বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিল। Additional comments?
Refresh Captcha
The world's first Holy Bible un-translation!