< প্রকাশিত বাক্য 1 >

1 যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশিত বাক্য হল ঈশ্বর তাঁকে দেখিয়েছিলেন যা কিছুদিনের মধ্যে ঘটবে। যীশু খ্রীষ্ট নিজের দূত পাঠিয়ে ঈশ্বরের দাস যোহনকে এই সব বিষয় জানিয়েছিলেন।
যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশিত বাক্য। ঈশ্বর তাঁকে তা দান করেছেন, যেন খুব শীঘ্রই যা ঘটতে চলেছে তা তিনি তাঁর দাসদের দেখিয়ে দেন। তিনি তাঁর দাস যোহনের কাছে নিজের দূত পাঠিয়ে একথা জানালেন;
2 ঈশ্বরের বাক্য ও যীশু খ্রীষ্টের সাক্ষ্য সম্বন্ধে যোহন যা দেখেছিলেন, সেই সব বিষয়েই তিনি এখানে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সেই যোহন যা কিছু দেখেছিলেন, অর্থাৎ ঈশ্বরের বাক্য ও যীশু খ্রীষ্টের সাক্ষ্য সম্পর্কে সবকিছু সবিস্তারে সাক্ষ্য দিলেন।
3 যে এই ভাববাণীর বাক্য সব পড়ে সে ধন্য এবং যারা তা শোনে এবং পালন করে তারাও ধন্য; কারণ দিন কাছে এসে গেছে।
ধন্য সেই ব্যক্তি, যে এই ভাববাণীর বাক্যগুলি পাঠ করে এবং ধন্য তারাও, যারা তা শোনে ও তার মধ্যে যা লেখা আছে, সেগুলি পালন করে, কারণ সময় আসন্ন।
4 এশিয়া প্রদেশের সাতটি মণ্ডলীর কাছে যোহন লিখছেন: যিনি আছেন, ও যিনি ছিলেন, ও যিনি আসছেন, তাঁর কাছ থেকে এবং তাঁর সিংহাসনের সামনে যে সাতটি আত্মা আছে, সেই যীশু খ্রীষ্ট থেকে অনুগ্রহ ও শান্তি বর্তুক,
আমি যোহন, এশিয়া প্রদেশে অবস্থিত সাতটি মণ্ডলীর উদ্দেশে লিখছি, অনুগ্রহ ও শান্তি তোমাদের সহবর্তী হোক, যিনি আছেন, যিনি ছিলেন ও যিনি আসছেন, তাঁর কাছ থেকে এবং তাঁর সিংহাসনের সম্মুখবর্তী সপ্ত-আত্মা থেকে
5 এবং যীশু খ্রীষ্ট, যিনি বিশ্বস্ত সাক্ষী, মৃত্যু থেকে তিনিই প্রথমে জীবিত হয়ে উঠেছিলেন এবং তিনি পৃথিবীর রাজাদের তত্ত্বাবধায়ক। তিনি আমাদের ভালবাসেন এবং নিজের রক্ত দিয়ে পাপ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন।
এবং সেই যীশু খ্রীষ্ট থেকে যিনি বিশ্বস্ত সাক্ষী, মৃতলোক থেকে প্রথমজাত ও পৃথিবীর রাজাদের শাসক। যিনি আমাদের প্রেম করেন এবং যিনি তাঁর রক্তে আমাদের পাপসমূহ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন,
6 তিনি আমাদের নিয়ে একটা রাজ্য গড়ে তুলেছেন এবং তাঁর পিতা ও ঈশ্বরের সেবার জন্য যাজক করেছেন, চিরকাল ধরে তাঁর মহিমা ও আধিপত্য হোক। আমেন। (aiōn g165)
এবং তাঁর ঈশ্বর ও পিতার সেবা করার জন্য আমাদের এক রাজ্যস্বরূপ ও যাজকসমাজ করেছেন—তাঁরই মহিমা ও পরাক্রম যুগে যুগে চিরকাল হোক! আমেন। (aiōn g165)
7 দেখ, তিনি মেঘের সঙ্গে; প্রতিটি চোখ তাঁকে দেখবে, যারা তাঁকে বিদ্ধ করেছিল তারাও দেখবে। এবং পৃথিবীর সমস্ত জাতি তাঁর জন্য দুঃখ করবে। হ্যাঁ, আমেন।
দেখো, তিনি মেঘবাহনে আসছেন, এবং প্রত্যেক চোখ তাঁকে দেখতে পাবে, এমনকি, যারা তাঁকে বিদ্ধ করেছিল, তারাও দেখবে; আর পৃথিবীর সমস্ত জাতি তাঁর জন্য বিলাপ করবে।
8 প্রভু ঈশ্বর বলেছেন, “আমি আদি এবং অন্ত,” “যিনি আছেন ও যিনি ছিলেন, ও যিনি আসছেন, আমিই সর্বশক্তিমান।”
প্রভু ঈশ্বর বলেন, “আমি আলফা ও ওমেগা, আদি ও অন্ত, যিনি আছেন ও যিনি ছিলেন ও যিনি আসছেন, সেই সর্বশক্তিমান।”
9 আমি, তোমাদের ভাই যোহন এবং যীশুর সাথে যুক্ত হয়ে আমি তোমাদের সাথে একই কষ্ট, একই রাজ্য এবং একই ধৈর্য্যের সহভাগী হয়ে ঈশ্বরের বাক্য ও যীশুর সাক্ষ্য প্রচার করেছিলাম বলে আমাকে পাটম দ্বীপে নিয়ে রাখা হয়েছিল।
আমি যোহন, তোমাদের ভাই; কষ্টভোগ, ঈশ্বরের রাজ্য ও ধৈর্যশীল সহিষ্ণুতা—যীশুতে যা কিছু আমাদের সেসব কিছুতে তোমাদের সহভাগী। আমি ঈশ্বরের বাক্য প্রচার ও যীশুর হয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে পাটম দ্বীপে নির্বাসিত ছিলাম।
10 ১০ আমি প্রভুর দিনের আত্মার বশে ছিলাম। আমার পিছনে তূরীর শব্দের মত এক উচ্চস্বর শুনলাম।
প্রভুর দিনে আমি পবিত্র আত্মায় আবিষ্ট ছিলাম, আর তখন আমার পিছনে তূরীধ্বনির মতো এক উচ্চ কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম;
11 ১১ কেউ বললেন, তুমি যা দেখছো, তা একটা বইতে লেখ এবং ইফিষীয়, স্মুর্ণা, পর্গাম, থুয়াতীরা, সার্দ্দি, ফিলাদিলফিয়া ও লায়দিকেয়া, এই সাতটি শহরের সাতটি মণ্ডলীর কাছে পাঠিয়ে দাও।
তা ঘোষণা করল: “তুমি যা কিছু দেখছ তা একটি পুঁথিতে লিপিবদ্ধ করো এবং ইফিষ, স্মূর্ণা, পর্গাম, থুয়াতীরা, সার্দি, ফিলাদেলফিয়া ও লায়োদেকিয়া, এই সাতটি মণ্ডলীর কাছে পাঠিয়ে দাও।”
12 ১২ যিনি কথা বলছিলেন তাঁকে দেখবার জন্য আমি ঘুরে দাঁড়ালাম, মুখ ফিরিয়ে দেখলাম,
যে কণ্ঠস্বর আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তাঁকে দেখার জন্য আমি পিছন দিকে ফিরে তাকালাম। আর আমি দেখলাম, সাতটি সোনার দীপাধার,
13 ১৩ সাতটি সোনার বাতিস্তম্ভ আছে ও সেই সব দীপাধারের মাঝখানে মনুষ্যপুত্রের মতো একজন লোক দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁর পরনে পা পর্যন্ত লম্বা পোষাক ছিল, এবং তাঁর বুকে সোনার বেল্ট বাঁধা ছিল।
ও দীপাধারগুলির মধ্যে “মনুষ্যপুত্রের মতো এক ব্যক্তি”; তাঁর দু-পা লম্বা আলখাল্লায় আবৃত ও তাঁর বুকে জড়ানো সোনার এক বন্ধনী।
14 ১৪ তাঁর মাথার চুল মেষের লোমের মত ও বরফের মতো সাদা ছিল,
তাঁর মাথা ও চুল ছিল শুকনো পশমের মতো, এমনকি, তুষারের মতো ধবধবে সাদা এবং তাঁর চোখদুটি ছিল জ্বলন্ত আগুনের শিখার মতো।
15 ১৫ এবং তাঁর চোখ আগুনের শিখার মতো ছিল। তাঁর পা ছিল আগুনে পুড়িয়ে পরিষ্কার করা, পালিশ করা পিতলের মতো এবং তাঁর গলার স্বর ছিল জোরে বয়ে যাওয়া স্রোতের আওয়াজের মতো।
তাঁর দু-পা ছিল চুল্লিতে পরিষ্কৃত পিতলের মতো ঝকঝকে ও তাঁর কণ্ঠস্বর ছিল প্রবহমান মহা জলস্রোতের মতো।
16 ১৬ তিনি তাঁর ডান হাতে সাতটি তারা ধরে ছিলেন এবং তাঁর মুখ থেকে ধারালো দুই দিকে ধারওয়ালা তরোয়ালের মত বেরিয়ে আসছিল। পূর্ণ তেজে জ্বলন্ত সূর্য্যের মতই তাঁর মুখের চেহারা ছিল।
তাঁর ডান হাতে তিনি সাতটি তারা ধরে আছেন ও তাঁর মুখ দিয়ে বার হয়ে আসছে দুদিকে ধারবিশিষ্ট এক তরোয়াল। তাঁর মুখমণ্ডল পূর্ণ দীপ্তিতে উদ্ভাসিত সূর্যের মতো।
17 ১৭ যখন আমি তাঁকে দেখলাম, তখন একজন মৃত মানুষের মতো তাঁর পায়ে পড়ে গেলাম, তখন তিনি তাঁর ডান হাত আমার উপরে রেখে বললেন, “ভয় পেওনা, আমিই প্রথম ও শেষ, আমিই চির জীবন্ত।”
তাঁকে দেখামাত্র আমি মৃত মানুষের মতো তাঁর চরণে পতিত হলাম। তখন তিনি তাঁর ডান হাত আমার উপরে রেখে বললেন, “ভয় পেয়ো না, আমিই আদি ও অন্ত।
18 ১৮ আমি মরেছিলাম, কিন্তু দেখ, আমি যুগে যুগে জীবিত আছি; আর মৃত্যু ও নরকের চাবি আমার হাতে আছে। (aiōn g165, Hadēs g86)
আমিই সেই জীবিত সত্তা; আমার মৃত্যু হয়েছিল, আর দেখো, আমি যুগে যুগে চিরকাল জীবিত আছি! আর মৃত্যু ও পাতালের চাবি আছে আমারই হাতে। (aiōn g165, Hadēs g86)
19 ১৯ অতএব তুমি যা দেখলে এবং যা এখন ঘটছে, ও এসবের পরে যা ঘটবে, সেই সব লিখে রাখ।
“অতএব, তুমি যা কিছু দেখলে, এখন যা কিছু ঘটছে ও পরে যেসব ঘটনা ঘটবে, তা লিখে ফেলো।
20 ২০ আমার ডান হাতে যে সাতটি তারা এবং সাতটি সোনার দীপাধার দেখলে, তার গোপন মানে এই সেই সাতটি তারা সেই সাতটি মণ্ডলীর দূত এবং সেই সাতটি দীপাধার হলো সাতটি মণ্ডলী।
আমার ডান হাতে যে সাতটি তারা ও যে সাতটি সোনার দীপাধার তুমি দেখলে, তার গুপ্তরহস্য এই: ওই সাতটি তারা সেই সাতটি মণ্ডলীর দূত এবং সাতটি দীপাধার হল সেই সাতটি মণ্ডলী।

< প্রকাশিত বাক্য 1 >