< মথি 18 >

1 সেই দিন শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে বললেন, “তবে স্বর্গরাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে?”
तदानीं शिष्या यीशोः समीपमागत्य पृष्टवन्तः स्वर्गराज्ये कः श्रेष्ठः?
2 তিনি একটি শিশুকে তাঁর কাছে ডাকলেন ও তাদের মধ্য দাঁড় করিয়ে দিলেন,
ततो यीशुः क्षुद्रमेकं बालकं स्वसमीपमानीय तेषां मध्ये निधाय जगाद,
3 এবং বললেন, “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তোমরা যদি মন না ফেরাও ও শিশুদের মতো না হয়ে ওঠ, তবে কোন ভাবেই স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।”
युष्मानहं सत्यं ब्रवीमि, यूयं मनोविनिमयेन क्षुद्रबालवत् न सन्तः स्वर्गराज्यं प्रवेष्टुं न शक्नुथ।
4 অতএব যে কেউ নিজেকে এই শিশুর মতো নত করে, সে স্বর্গরাজ্যে শ্রেষ্ঠ।
यः कश्चिद् एतस्य क्षुद्रबालकस्य सममात्मानं नम्रीकरोति, सएव स्वर्गराजये श्रेष्ठः।
5 আর যে কেউ এই রকম কোন শিশুকে আমার নামে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে,
यः कश्चिद् एतादृशं क्षुद्रबालकमेकं मम नाम्नि गृह्लाति, स मामेव गृह्लाति।
6 কিন্তু যেসব শিশুরা আমাকে বিশ্বাস করে এবং যদি কেউ তাদের বিশ্বাসে বাধা দেয়, তার গলায় ভারী ভারি পাথর বেঁধে তাকে সমুদ্রের গভীর জলে ডুবিয়ে দেওয়া বরং তার পক্ষে ভাল।
किन्तु यो जनो मयि कृतविश्वासानामेतेषां क्षुद्रप्राणिनाम् एकस्यापि विध्निं जनयति, कण्ठबद्धपेषणीकस्य तस्य सागरागाधजले मज्जनं श्रेयः।
7 লোককে বাধার কারণ এবং মানুষের পাপের কারণ হওয়ার জন্য জগতকে ধিক! কারণ বাধার দিন অবশ্যই আসবে, কিন্তু ধিক সেই ব্যক্তিকে, যার মাধ্যমে তা আসে।
विघ्नात् जगतः सन्तापो भविष्यति, विघ्नोऽवश्यं जनयिष्यते, किन्तु येन मनुजेन विघ्नो जनिष्यते तस्यैव सन्तापो भविष्यति।
8 আর তোমার হাত কি পা যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা কেটে ফেলে দাও, দুই হাত কিম্বা দুই পা নিয়ে নরকের অনন্ত আগুনে প্রবেশ করার থেকে বরং খোঁড়া কিম্বা পঙ্গু হয়ে ভালোভাবে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল। (aiōnios g166)
तस्मात् तव करश्चरणो वा यदि त्वां बाधते, तर्हि तं छित्त्वा निक्षिप, द्विकरस्य द्विपदस्य वा तवानप्तवह्नौ निक्षेपात्, खञ्जस्य वा छिन्नहस्तस्य तव जीवने प्रवेशो वरं। (aiōnios g166)
9 আর তোমার চোখ যদি তোমায় পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তা উপড়িয়ে ফেলে দাও, দুই চোখ নিয়ে অগ্নিময় নরকে যাওয়ার থেকে বরং একচোখ নিয়ে জীবনে প্রবেশ করা তোমার ভাল। (Geenna g1067)
अपरं तव नेत्रं यदि त्वां बाधते, तर्हि तदप्युत्पाव्य निक्षिप, द्विनेत्रस्य नरकाग्नौ निक्षेपात् काणस्य तव जीवने प्रवेशो वरं। (Geenna g1067)
10 ১০ এই ছোট শিশুদের একজনকেও তুচ্ছ কোর না, কারণ আমি তোমাদের বলছি, তাদের দূতগণ স্বর্গে সবদিন আমার স্বর্গস্থ পিতার মুখ দর্শন করেন।
तस्मादवधद्धं, एतेषां क्षुद्रप्राणिनाम् एकमपि मा तुच्छीकुरुत,
11 ১১
यतो युष्मानहं तथ्यं ब्रवीमि, स्वर्गे तेषां दूता मम स्वर्गस्थस्य पितुरास्यं नित्यं पश्यन्ति। एवं ये ये हारितास्तान् रक्षितुं मनुजपुत्र आगच्छत्।
12 ১২ তোমাদের কি মনে হয়? কোন ব্যক্তির যদি একশটি ভেড়া থাকে, আর তাদের মধ্যে একটি হারিয়ে যায়, তবে সে কি অন্য নিরানব্বইটাকে ছেড়ে, পাহাড়ে গিয়ে ঐ হারানো ভেড়াটির খোঁজ করে না?
यूयमत्र किं विविंग्घ्वे? कस्यचिद् यदि शतं मेषाः सन्ति, तेषामेको हार्य्यते च, तर्हि स एकोनशतं मेषान् विहाय पर्व्वतं गत्वा तं हारितमेकं किं न मृगयते?
13 ১৩ আর যদি সে কোন ভাবে সেটি পায়, তবে আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে নিরানব্বইটা হারিয়ে যায় নি, তাদের থেকে সে বেশি আনন্দ করে যেটা সে হারিয়ে ফেলেছিল সেটিকে খুঁজে পেয়ে।
यदि च कदाचित् तन्मेषोद्देशं लमते, तर्हि युष्मानहं सत्यं कथयामि, सोऽविपथगामिभ्य एकोनशतमेषेभ्योपि तदेकहेतोरधिकम् आह्लादते।
14 ১৪ তেমনি এই ছোট শিশুদের মধ্য একজনও যে ধ্বংস হয়, তা তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা নয়।
तद्वद् एतेषां क्षुद्रप्राएिनाम् एकोपि नश्यतीति युष्माकं स्वर्गस्थपितु र्नाभिमतम्।
15 ১৫ আর যদি তোমার ভাই তোমার বিরুদ্ধে কোন অপরাধ করে, তবে তাঁর কাছে যাও এবং গোপনে তাঁর সেই দোষ তাঁকে বুঝিয়ে দাও। সে যদি তোমার কথা শোনে, তবে তুমি আবার তোমার ভাইকে ফিরে পেলে।
यद्यपि तव भ्राता त्वयि किमप्यपराध्यति, तर्हि गत्वा युवयोर्द्वयोः स्थितयोस्तस्यापराधं तं ज्ञापय। तत्र स यदि तव वाक्यं शृणोति, तर्हि त्वं स्वभ्रातरं प्राप्तवान्,
16 ১৬ কিন্তু যদি সে না শোনে, তবে আরও দুই একজন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে যাও, যেন “দুই কিম্বা তিনজন সাক্ষীর মুখে সমস্ত কথা সঠিক প্রমাণিত করা হয়।”
किन्तु यदि न शृणोति, तर्हि द्वाभ्यां त्रिभि र्वा साक्षीभिः सर्व्वं वाक्यं यथा निश्चितं जायते, तदर्थम् एकं द्वौ वा साक्षिणौ गृहीत्वा याहि।
17 ১৭ আর যদি সে তাদের কথা অমান্য করে, তখন মণ্ডলীকে বল, আর যদি মণ্ডলীর কথাও অমান্য করে তবে সে তোমার কাছে অযিহুদী লোকের ও কর আদায়কারীদের মতো হোক।
तेन स यदि तयो र्वाक्यं न मान्यते, तर्हि समाजं तज्ज्ञापय, किन्तु यदि समाजस्यापि वाक्यं न मान्यते, तर्हि स तव समीपे देवपूजकइव चण्डालइव च भविष्यति।
18 ১৮ আমি তোমাদেরকে সত্য বলছি, তোমরা পৃথিবীতে যা কিছু বাঁধবে, তা স্বর্গে বাঁধা হবে এবং পৃথিবীতে যা কিছু খুলবে তা স্বর্গে খোলা হবে।
अहं युष्मान् सत्यं वदामि, युष्माभिः पृथिव्यां यद् बध्यते तत् स्वर्गे भंत्स्यते; मेदिन्यां यत् भोच्यते, स्वर्गेऽपि तत् मोक्ष्यते।
19 ১৯ আমি তোমাদের কে সত্য বলছি, পৃথিবীতে তোমাদের মধ্যে দুই জন যদি একমত হয়ে কোন বিষয় নিয়ে প্রার্থনা কর, তবে আমার স্বর্গের পিতা তোমাদের জন্য তা পূরণ করবেন।
पुनरहं युष्मान् वदामि, मेदिन्यां युष्माकं यदि द्वावेकवाक्यीभूय किञ्चित् प्रार्थयेते, तर्हि मम स्वर्गस्थपित्रा तत् तयोः कृते सम्पन्नं भविष्यति।
20 ২০ কারণ যেখানে দুই কি তিনজন আমার নামে একত্র হয়, সেইখানে আমি তাদের মধ্যে আছি।
यतो यत्र द्वौ त्रयो वा मम नान्नि मिलन्ति, तत्रैवाहं तेषां मध्येऽस्मि।
21 ২১ তখন পিতর তাঁর কাছে এসে বললেন, “প্রভু, আমার ভাই আমার কাছে কত বার অপরাধ করলে আমি তাকে ক্ষমা করব? সাতবার পর্যন্ত কি?”
तदानीं पितरस्तत्समीपमागत्य कथितवान् हे प्रभो, मम भ्राता मम यद्यपराध्यति, तर्हि तं कतिकृत्वः क्षमिष्ये?
22 ২২ যীশু তাঁকে বললেন, “তোমাকে বলছি, সাতবার পর্যন্ত না, কিন্তু সত্তর গুণ সাতবার পর্যন্ত।”
किं सप्तकृत्वः? यीशुस्तं जगाद, त्वां केवलं सप्तकृत्वो यावत् न वदामि, किन्तु सप्तत्या गुणितं सप्तकृत्वो यावत्।
23 ২৩ এজন্য স্বর্গরাজ্য এমন একজন রাজার সমান, যিনি তাঁর দাসদের কাছে হিসাব নিতে চাইলেন।
अपरं निजदासैः सह जिगणयिषुः कश्चिद् राजेव स्वर्गराजयं।
24 ২৪ তিনি হিসাব আরম্ভ করলে তখন এক জনকে তাঁর কাছে নিয়ে আসা হল, যে তাঁর কাছে দশ হাজার তালন্ত (এক তালন্ত সমান পনেরো বত্সরের পারিশ্রমিকের সমানের থেকেও বেশী টাকা) ঋণ নিয়েছিল।
आरब्धे तस्मिन् गणने सार्द्धसहस्रमुद्रापूरितानां दशसहस्रपुटकानाम् एकोऽघमर्णस्तत्समक्षमानायि।
25 ২৫ কিন্তু তার শোধ করার সামর্থ না থাকায় তার প্রভু তাকে ও তার স্ত্রী, সন্তানদের এবং সব কিছু বিক্রি করে আদায় করতে আদেশ দিলেন।
तस्य परिशोधनाय द्रव्याभावात् परिशोधनार्थं स तदीयभार्य्यापुत्रादिसर्व्वस्वञ्च विक्रीयतामिति तत्प्रभुरादिदेश।
26 ২৬ তাতে সেই দাস তাঁর পায়ে পড়ে প্রণাম করে বলল, হে প্রভু, আমার প্রতি ধৈর্য্য ধরুন, আমি আপনার সব কিছু শোধ করব।
तेन स दासस्तस्य पादयोः पतन् प्रणम्य कथितवान्, हे प्रभो भवता घैर्य्ये कृते मया सर्व्वं परिशोधिष्यते।
27 ২৭ তখন সেই দাসকে দেখে তার রাজার করুণা হল ও তাকে মুক্ত করলেন এবং তার ঋণ ক্ষমা করলেন।
तदानीं दासस्य प्रभुः सकरुणः सन् सकलर्णं क्षमित्वा तं तत्याज।
28 ২৮ কিন্তু সেই দাস বাইরে গিয়ে তার সহদাসদের মধ্য এক জনকে দেখতে পেল, যে তার একশ সিকি ধার নিয়েছিল, সে তার গলাটিপে ধরে বলল, “তুই যা ধার নিয়েছিস, তা শোধ কর।”
किन्तु तस्मिन् दासे बहि र्याते, तस्य शतं मुद्राचतुर्थांशान् यो धारयति, तं सहदासं दृष्द्वा तस्य कण्ठं निष्पीड्य गदितवान्, मम यत् प्राप्यं तत् परिशोधय।
29 ২৯ তখন তার দাস তার পায়ে পড়ে অনুরোধের সঙ্গে বলল, আমার প্রতি ধৈর্য্য ধর, আমি তোমার ঋণ শোধ করব।
तदा तस्य सहदासस्तत्पादयोः पतित्वा विनीय बभाषे, त्वया धैर्य्ये कृते मया सर्व्वं परिशोधिष्यते।
30 ৩০ তবুও সে রাজি হল না, কিন্তু গিয়ে তাকে জেলখানায় বন্দী করে রাখল, যতক্ষণ না সে ঋণ শোধ করে।
तथापि स तत् नाङगीकृत्य यावत् सर्व्वमृणं न परिशोधितवान् तावत् तं कारायां स्थापयामास।
31 ৩১ এই ব্যাপার দেখে তার অন্য দাসেরা খুবই দুঃখিত হল, আর তাদের রাজার কাছে গিয়ে সমস্ত বিষয়ে জানিয়ে দিল।
तदा तस्य सहदासास्तस्यैतादृग् आचरणं विलोक्य प्रभोः समीपं गत्वा सर्व्वं वृत्तान्तं निवेदयामासुः।
32 ৩২ তখন তার রাজা তাকে কাছে ডেকে বললেন, “দুষ্ট দাস! তুমি আমার কাছে অনুরোধ করেছিলে বলে আমি তোমার ঐ সমস্ত ঋণ ক্ষমা করেছিলাম,
तदा तस्य प्रभुस्तमाहूय जगाद, रे दुष्ट दास, त्वया मत्सन्निधौ प्रार्थिते मया तव सर्व्वमृणं त्यक्तं;
33 ৩৩ আমি যেমন তোমার প্রতি দয়া করেছিলাম, তেমনি তোমার দাসদের প্রতি দয়া করা কি তোমারও উচিত ছিল না?”
यथा चाहं त्वयि करुणां कृतवान्, तथैव त्वत्सहदासे करुणाकरणं किं तव नोचितं?
34 ৩৪ আর তার রাজা রেগে গিয়ে তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য জেলখানার রক্ষীদের কাছে তাকে সমর্পণ করলেন, যতক্ষণ না সে সমস্ত ঋণ শোধ করে।
इति कथयित्वा तस्य प्रभुः क्रुद्ध्यन् निजप्राप्यं यावत् स न परिशोधितवान्, तावत् प्रहारकानां करेषु तं समर्पितवान्।
35 ৩৫ আমার স্বর্গীয় পিতাও তোমাদের প্রতি এমন করবেন, যদি তোমরা সবাই হৃদয় থেকে নিজের নিজের ভাইকে ক্ষমা না কর।
यदि यूयं स्वान्तःकरणैः स्वस्वसहजानाम् अपराधान् न क्षमध्वे, तर्हि मम स्वर्गस्यः पितापि युष्मान् प्रतीत्थं करिष्यति।

< মথি 18 >