< মথি 17 >

1 ছয় দিন পরে যীশু কেবল পিতর, যাকোব ও তাঁর ভাই যোহনকে সঙ্গে করে এক উঁচু পাহাড়ের নির্জন জায়গায় নিয়ে গেলেন।
अनन्तरं षड्दिनेभ्यः परं यीशुः पितरं याकूबं तत्सहजं योहनञ्च गृह्लन् उच्चाद्रे र्विविक्तस्थानम् आगत्य तेषां समक्षं रूपमन्यत् दधार।
2 পরে তিনি তাঁদের সামনেই চেহার পাল্টালেন, তাঁর মুখ সূর্য্যের মতো উজ্জ্বল এবং তাঁর পোশাক আলোর মতো সাদা হল।
तेन तदास्यं तेजस्वि, तदाभरणम् आलोकवत् पाण्डरमभवत्।
3 আর দেখ, মোশি ও এলিয় তাঁদের দেখা দিলেন, তাঁরা যীশুর সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
अन्यच्च तेन साकं संलपन्तौ मूसा एलियश्च तेभ्यो दर्शनं ददतुः।
4 তখন পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, এখানে আমাদের থাকা ভাল, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, তবে আমি এখানে তিনটি কুটির তৈরী করি, একটি আপনার জন্য, একটি মোশির জন্য এবং একটি এলিয়ের জন্য।”
तदानीं पितरो यीशुं जगाद, हे प्रभो स्थितिरत्रास्माकं शुभा, यदि भवतानुमन्यते, तर्हि भवदर्थमेकं मूसार्थमेकम् एलियार्थञ्चैकम् इति त्रीणि दूष्याणि निर्म्मम।
5 তিনি কথা বলছিলেন, এমন দিন দেখা গেল, একটি উজ্জ্বল মেঘ তাঁদের ছায়া করল, আর, সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, এঁর ওপর আমি সন্তুষ্ট, এঁর কথা শোন।
एतत्कथनकाल एक उज्जवलः पयोदस्तेषामुपरि छायां कृतवान्, वारिदाद् एषा नभसीया वाग् बभूव, ममायं प्रियः पुत्रः, अस्मिन् मम महासन्तोष एतस्य वाक्यं यूयं निशामयत।
6 এই কথা শুনে শিষ্যেরা উপুড় হয়ে পড়লেন এবং অত্যন্ত ভয় পেলেন।
किन्तु वाचमेतां शृण्वन्तएव शिष्या मृशं शङ्कमाना न्युब्जा न्यपतन्।
7 পরে যীশু কাছে এসে তাঁদের স্পর্শ করে বললেন, ওঠো, ভয় কর না।
तदा यीशुरागत्य तेषां गात्राणि स्पृशन् उवाच, उत्तिष्ठत, मा भैष्ट।
8 তখন তাঁরা চোখ তুলে আর কাউকে দেখতে পেলেন না, সেখানে শুধু যীশু একা ছিলেন।
तदानीं नेत्राण्युन्मील्य यीशुं विना कमपि न ददृशुः।
9 পাহাড় থেকে নেমে আসার দিনের যীশু তাঁদের এই আদেশ দিলেন, যে পর্যন্ত মনুষ্যপুত্র মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত হয়ে না ওঠেন, সে পর্যন্ত তোমরা এই দর্শনের কথা কাউকে বোলো না।
ततः परम् अद्रेरवरोहणकाले यीशुस्तान् इत्यादिदेश, मनुजसुतस्य मृतानां मध्यादुत्थानं यावन्न जायते, तावत् युष्माभिरेतद्दर्शनं कस्मैचिदपि न कथयितव्यं।
10 ১০ তখন শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তবে ব্যবস্থার শিক্ষকেরা কেন বলেন যে, প্রথমে এলিয়কে আসতে হবে?
तदा शिष्यास्तं पप्रच्छुः, प्रथमम् एलिय आयास्यतीति कुत उपाध्यायैरुच्यते?
11 ১১ যীশু এর উত্তরে বললেন, “হ্যাঁ সত্যি, এলিয় আসবেন এবং সব কিছু পুনরায় স্থাপন করবেন।”
ततो यीशुः प्रत्यवादीत्, एलियः प्रागेत्य सर्व्वाणि साधयिष्यतीति सत्यं,
12 ১২ কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, এলিয় এসেছিলেন এবং লোকেরা তাঁকে চিনতে পারেনি, বরং তাঁর প্রতি যা ইচ্ছা, তাই করেছে, একইভাবে মানবপুত্রকেও তাদের থেকে দুঃখ সহ্য করতে হবে।
किन्त्वहं युष्मान् वच्मि, एलिय एत्य गतः, ते तमपरिचित्य तस्मिन् यथेच्छं व्यवजहुः; मनुजसुतेनापि तेषामन्तिके तादृग् दुःखं भोक्तव्यं।
13 ১৩ তখন শিষ্যেরা বুঝলেন যে, তিনি তাঁদের বাপ্তিষ্মদাতা যোহনের বিষয় বলছেন।
तदानीं स मज्जयितारं योहनमधि कथामेतां व्याहृतवान्, इत्थं तच्छिष्या बुबुधिरे।
14 ১৪ পরে, তাঁরা লোকদের কাছে এলে এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে হাঁটু গেঁড়ে বলল,
पश्चात् तेषु जननिवहस्यान्तिकमागतेषु कश्चित् मनुजस्तदन्तिकमेत्य जानूनी पातयित्वा कथितवान्,
15 ১৫ “প্রভু, আমার ছেলেকে দয়া করুন, কারণ সে মৃগী রোগে আক্রান্ত এবং খুবই কষ্ট পাচ্ছে, আর সে বার বার জলে ও আগুনে পড়ে যায়।
हे प्रभो, मत्पुत्रं प्रति कृपां विदधातु, सोपस्मारामयेन भृशं व्यथितः सन् पुनः पुन र्वह्नौ मुहु र्जलमध्ये पतति।
16 ১৬ আর আমি আপনার শিষ্যদের কাছে তাকে এনেছিলাম, কিন্তু তাঁরা তাকে সুস্থ করতে পারলেন না।”
तस्माद् भवतः शिष्याणां समीपे तमानयं किन्तु ते तं स्वास्थं कर्त्तुं न शक्ताः।
17 ১৭ যীশু বললেন, “হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, আমি কত দিন তোমাদের সঙ্গে থাকব? কত দিন তোমাদের ভার বহন করব?” তোমরা ওকে এখানে আমার কাছে আন।
तदा यीशुः कथितवान् रे अविश्वासिनः, रे विपथगामिनः, पुनः कतिकालान् अहं युष्माकं सन्निधौ स्थास्यामि? कतिकालान् वा युष्मान् सहिष्ये? तमत्र ममान्तिकमानयत।
18 ১৮ পরে যীশু ভুতকে ধমক দিলেন, তাতে সেই ভূত তাকে ছেড়ে দিল, আর সেই ছেলেটি সেই মুহূর্তেই সুস্থ হল।
पश्चाद् यीशुना तर्जतएव स भूतस्तं विहाय गतवान्, तद्दण्डएव स बालको निरामयोऽभूत्।
19 ১৯ তখন শিষ্যেরা গোপনে যীশুর কাছে এসে বললেন, “কি জন্য আমরা ওর মধ্যে থেকে ভূত ছাড়াতে পারলাম না?”
ततः शिष्या गुप्तं यीशुमुपागत्य बभाषिरे, कुतो वयं तं भूतं त्याजयितुं न शक्ताः?
20 ২০ তিনি তাঁদের বললেন, “কারণ তোমাদের বিশ্বাস অল্প বলে। কারণ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যদি তোমাদের একটি সরষে দানার মতো বিশ্বাস থাকে, তবে তোমরা এই পাহাড়কে বলবে,
यीशुना ते प्रोक्ताः, युष्माकमप्रत्ययात्;
21 ২১ এখান থেকে ঐখানে যাও, আর সেটা সরে যাবে এবং তোমাদের অসাধ্য কিছুই থাকবে না।”
युष्मानहं तथ्यं वच्मि यदि युष्माकं सर्षपैकमात्रोपि विश्वासो जायते, तर्हि युष्माभिरस्मिन् शैले त्वमितः स्थानात् तत् स्थानं याहीति ब्रूते स तदैव चलिष्यति, युष्माकं किमप्यसाध्यञ्च कर्म्म न स्थास्याति। किन्तु प्रार्थनोपवासौ विनैतादृशो भूतो न त्याज्येत।
22 ২২ যখন তাঁরা গালীলে একসঙ্গে ছিলেন তখন যীশু তাঁদের বললেন, মনুষ্যপুত্র লোকেদের হাতে সমর্পিত হবেন
अपरं तेषां गालील्प्रदेशे भ्रमणकाले यीशुना ते गदिताः, मनुजसुतो जनानां करेषु समर्पयिष्यते तै र्हनिष्यते च,
23 ২৩ এবং তারা তাঁকে মেরে ফেলবে, আর তৃতীয় দিনের তিনি পুনরায় জীবিত হয়ে উঠবেন। এই কথা শুনে তাঁরা খুবই দুঃখিত হলেন।
किन्तु तृतीयेऽहि्न म उत्थापिष्यते, तेन ते भृशं दुःखिता बभूवः।
24 ২৪ পরে তাঁরা কফরনাহূমে এলে, যারা আধূলো, অর্থাৎ ঈশ্বরের মন্দিরের কর আদায় করত, তারা পিতরের কাছে এসে বলল, “তোমাদের গুরু কি আধূলো (মন্দিরের কর) দেন না?” তিনি বললেন, “হ্যাঁ দেন।”
तदनन्तरं तेषु कफर्नाहूम्नगरमागतेषु करसंग्राहिणः पितरान्तिकमागत्य पप्रच्छुः, युष्माकं गुरुः किं मन्दिरार्थं करं न ददाति? ततः पितरः कथितवान् ददाति।
25 ২৫ পরে তিনি বাড়িতে এলে যীশুই আগে তাঁকে বললেন, “শিমোন, তোমার কি মনে হয়? পৃথিবীর রাজারা কাদের থেকে কর বা রাজস্ব আদায় করে থাকেন? কি নিজের সন্তানদের কাছ থেকে, না অন্য লোকেদের কাছ থেকে?”
ततस्तस्मिन् गृहमध्यमागते तस्य कथाकथनात् पूर्व्वमेव यीशुरुवाच, हे शिमोन्, मेदिन्या राजानः स्वस्वापत्येभ्यः किं विदेशिभ्यः केभ्यः करं गृह्लन्ति? अत्र त्वं किं बुध्यसे? ततः पितर उक्तवान्, विदेशिभ्यः।
26 ২৬ পিতর বললেন, “অন্য লোকদের কাছ থেকে।” তখন যীশু তাঁকে বললেন, “তবে সন্তানেরা স্বাধীন।”
तदा यीशुरुक्तवान्, तर्हि सन्ताना मुक्ताः सन्ति।
27 ২৭ তবুও আমরা যেন ঐ কর আদায়কারীদের অপমান বোধের কারণ না হই, এই জন্য তুমি সমুদ্রে গিয়ে বঁড়শি ফেল, তাতে প্রথমে যে মাছটি উঠবে, সেটা ধরে তার মুখ খুললে একটি মুদ্রা পাবে, সেটা নিয়ে আমার এবং তোমার জন্য ওদেরকে কর দাও।
तथापि यथास्माभिस्तेषामन्तरायो न जन्यते, तत्कृते जलधेस्तीरं गत्वा वडिशं क्षिप, तेनादौ यो मीन उत्थास्यति, तं घृत्वा तन्मुखे मोचिते तोलकैकं रूप्यं प्राप्स्यसि, तद् गृहीत्वा तव मम च कृते तेभ्यो देहि।

< মথি 17 >