< আদিপুস্তক 28 >

1 তখন ইসহাক যাকোবকে ডেকে আশীর্বাদ করলেন এবং এই আজ্ঞা দিয়ে তাঁকে বললেন, “তুমি কনান দেশীয় কোনো মেয়েকে বিয়ে কর না।
অতএব ইস্‌হাক যাকোবকে ডেকে পাঠালেন ও তাঁকে আশীর্বাদ করলেন। পরে তিনি তাঁকে আদেশ দিলেন: “কনানীয় কোনো মেয়েকে তুমি বিয়ে কোরো না।
2 ওঠ, পদ্দন অরামে নিজের দাদুর বথুয়েলের বাড়িতে গিয়ে সে জায়গায় নিজের মামা লাবনের কোনো মেয়েকে বিয়ে কর।
এখনই তুমি পদ্দন-আরামে, তোমার দাদু বথূয়েলের বাড়িতে যাও। সেখান থেকেই, তোমার মামা লাবনের মেয়েদের মধ্যে থেকেই কাউকে তোমার স্ত্রীরূপে গ্রহণ কোরো।
3 আর সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তোমাকে আশীর্বাদ করে ফলবান ও বংশ বৃদ্ধি করুন, যেন তুমি বড় জাতি হয়ে ওঠ।
সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তোমাকে আশীর্বাদ করুন ও তোমাকে ফলবান করুন এবং যতদিন না তুমি এক জনসমাজ হয়ে উঠছ, ততদিন তোমার সংখ্যা বৃদ্ধি করে যান।
4 তিনি অব্রাহামের আশীর্বাদ তোমাকে ও তোমার বংশকে দিন; যেন তোমার বাসস্থান এই যে দেশ ঈশ্বর অব্রাহামকে দিয়েছেন, এতে তোমার অধিকার হয়।”
অব্রাহামকে যে আশীর্বাদ দেওয়া হয়েছিল, তিনি যেন তোমাকে ও তোমার বংশধরদের সেই আশীর্বাদই দেন, যার বলে তুমি সেই দেশের দখল নিতে পারো, যেখানে এখন তুমি এক বিদেশিরূপে বসবাস করছ, তা সেই দেশ, যেটি ঈশ্বর অব্রাহামকে দিয়েছিলেন।”
5 পরে ইসহাক যাকোবকে বিদায় করলে তিনি পদ্দন অরামে অরামীয় বথুয়েলের ছেলে লাবনের কাছে গেলেন; সেই ব্যক্তি যাকোবের ও এষৌর মা রিবিকার ভাই।
পরে ইস্‌হাক যাকোবকে বিদায় করে দিলেন, এবং তিনি পদ্দন-আরামে, অরামীয় বথূয়েলের ছেলে সেই লাবনের কাছে গেলেন, যিনি সেই রিবিকার দাদা, যিনি যাকোব ও এষৌর মা।
6 এষৌ যখন দেখলেন, ইসহাক যাকোবকে আশীর্বাদ করে বিবাহের মেয়ে গ্রহণের জন্য পদ্দন অরামে বিদায় করেছেন এবং আশীর্বাদের দিন কনানীয় কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন
এদিকে এষৌ জানতে পারলেন যে ইস্‌হাক যাকোবকে আশীর্বাদ করে পদ্দন-আরাম থেকে এক স্ত্রী আনার জন্য তাঁকে সেখানে পাঠিয়েছেন, এবং আশীর্বাদ দেওয়ার সময় তিনি তাঁকে এই আদেশও দিয়েছেন, “কনানীয় কোনো মেয়েকে বিয়ে কোরো না,”
7 তাই যাকোব মা বাবার আদেশ মেনে পদ্দন অরামে গিয়েছেন,
এবং যাকোবও তাঁর বাবা-মায়ের আদেশ পালন করে পদ্দন-আরামে চলে গিয়েছেন।
8 তখন এষৌ দেখলেন যে, কনানীয় মেয়েরা তাঁর বাবা ইসহাকের অসন্তোষের পাত্রী;
এষৌ তখন অনুভব করলেন কনানীয় মেয়েরা তাঁর বাবা ইস্‌হাকের কাছে কত অপছন্দসই;
9 অতএব দুই স্ত্রী থাকলেও এষৌ ইশ্মায়েলের কাছে গিয়ে অব্রাহামের ছেলে ইশ্মায়েলের মেয়ে, নবায়তের বোন, মহলৎকে বিয়ে করলেন।
তাই তাঁর একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি ইশ্মায়েলের কাছে গেলেন এবং সেই মহলৎকে বিয়ে করলেন, যিনি অব্রাহামের ছেলে ইশ্মায়েলের মেয়ে নবায়োতের বোন।
10 ১০ আর যাকোব বের-শেবা থেকে বের হয়ে হারনের দিকে গেলেন
যাকোব বের-শেবা ত্যাগ করে হারণের দিকে যাত্রা শুরু করলেন।
11 ১১ কোনো এক জায়গায় পৌঁছালে সূর্য্য অস্ত যাওয়ায় সেখানে রাত কাটালেন। আর তিনি সেখানকার পাথর নিয়ে বালিশ করে সেই জায়গায় ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়লেন।
নির্দিষ্ট এক স্থানে পৌঁছে, তিনি রাত্রিবাসের জন্য থামলেন, কারণ সূর্যাস্ত হয়ে গিয়েছিল। সেখানকার একটি পাথর নিয়ে, সেটি তিনি তাঁর মাথার নিচে রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন।
12 ১২ পরে তিনি স্বপ্ন দেখলেন, পৃথিবীর উপরে এক সিঁড়ি স্থাপিত, তার মাথা আকাশছোঁয়া, আর দেখ তা দিয়ে ঈশ্বরের দূতেরা উঠছেন ও নামছেন।
তিনি একটি স্বপ্ন দেখলেন এবং সেই স্বপ্নে তিনি দেখলেন যে একটি সিঁড়ি পৃথিবীর উপর দাঁড়িয়ে আছে, ও সেটির মাথা আকাশ ছুঁয়েছে, এবং ঈশ্বরের দূতেরা সেটির উপর দিয়ে ওঠানামা করছেন।
13 ১৩ আর দেখ, সদাপ্রভু তার উপরে দাঁড়িয়ে আছেন; তিনি বললেন, “আমি সদাপ্রভু, তোমার বাবা অব্রাহামের ঈশ্বর ও ইসহাকের ঈশ্বর; এই যে ভূমিতে তুমি শুয়ে আছ, এটা আমি তোমাকে ও তোমার বংশকে দেব।
সেটির মাথায় সদাপ্রভু দাঁড়িয়েছিলেন, এবং তিনি বললেন: “আমি সেই সদাপ্রভু, তোমার পূর্বপুরুষ অব্রাহামের ঈশ্বর ও ইস্‌হাকের ঈশ্বর। তুমি যে জমিতে শুয়ে আছ সেটি আমি তোমাকে ও তোমার বংশধরদের দেব।
14 ১৪ তোমার বংশ পৃথিবীর ধূলোর মতো [অসংখ্য] হবে এবং তুমি পশ্চিম ও পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ চারদিকে বিস্তীর্ণ হবে এবং তোমাতে ও তোমার বংশে পৃথিবীর যাবতীয় গোষ্ঠী আশীর্বাদ প্রাপ্ত হবে।
তোমার বংশধরেরা পৃথিবীর ধূলিকণার মতো হয়ে যাবে, এবং তুমি পশ্চিমে ও পূর্বে, উত্তরে ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়বে। তোমার ও তোমার সন্তানসন্ততির মাধ্যমেই পৃথিবীর সব লোকজন আশীর্বাদধন্য হবে।
15 ১৫ আর দেখ, আমি তোমার সহবর্ত্তী, যে যে জায়গায় তুমি যাবে, সেই সেই জায়গায় তোমাকে রক্ষা করব ও আবার এই দেশে নিয়ে আসব; কারণ আমি তোমাকে যা যা বললাম, তা যতক্ষণ সফল না করি, ততক্ষণ তোমাকে ত্যাগ করব না।”
আমি তোমার সাথেই আছি ও তুমি যেখানেই যাও না কেন, আমি তোমার উপর নজর রাখব, এবং তোমাকে এই দেশেই ফিরিয়ে আনব। যতদিন না আমি তোমার কাছে আমার করা প্রতিজ্ঞাটি পূরণ করছি, ততদিন আমি তোমাকে ত্যাগ করব না।”
16 ১৬ পরে ঘুম ভেঙে গেলে যাকোব বললেন, “অবশ্য এই জায়গায় সদাপ্রভু আছেন, আর আমি তা জানতাম না।”
ঘুম ভেঙে জেগে ওঠার পর, যাকোব ভাবলেন, “সদাপ্রভু নিশ্চয় এখানে আছেন, এবং আমি তা বুঝতে পারিনি।”
17 ১৭ আর তিনি ভয় পেয়ে বললেন, “এ কেমন ভয়াবহ জায়গা! এ নিতান্তই ঈশ্বরের গৃহ, এ স্বর্গের দরজা।”
তিনি ভয় পেয়ে গিয়ে বললেন, “এই স্থানটি কি ভয়ংকর! এটি ঈশ্বরের গৃহ ছাড়া আর অন্য কিছু নয়; এটিই স্বর্গদ্বার।”
18 ১৮ পরে যাকোব ভোরবেলায় উঠে বালিশের জন্য যে পাথর রেখেছিলেন, তা নিয়ে স্তম্ভরূপে স্থাপন করে তার উপর তেল ঢেলে দিলেন।
পরদিন ভোরবেলায় যাকোব তাঁর মাথার নিচে রাখা পাথরটি নিয়ে সেটি এক স্তম্ভরূপে স্থাপন করলেন এবং সেটির উপর তেল ঢেলে দিলেন।
19 ১৯ আর সেই জায়গার নাম বৈথেল [ঈশ্বরের গৃহ] রাখলেন, কিন্তু আগে ঐ নগরের নাম লূস ছিল।
তিনি সেই স্থানটির নাম বেথেল রাখলেন, যদিও সেই নগরটিকে আগে লূস নামে ডাকা হত।
20 ২০ যাকোব মানত করে এই প্রতিজ্ঞা করলেন, “যদি ঈশ্বর আমার সহবর্ত্তী হন, আমার এই গন্তব্য পথে আমাকে রক্ষা করেন এবং আহারের জন্য খাবার ও পরিধানের জন্য বস্ত্র দেন,
পরে যাকোব এই বলে এক শপথ নিলেন যে, “আমার এই যাত্রাপথে ঈশ্বর যদি আমার সাথে থাকেন ও আমার উপর নজর রাখেন এবং আমাকে খাওয়ার জন্য খাদ্য ও গায়ে পরার জন্য বস্ত্র জোগান,
21 ২১ আর আমি যদি ভালোভাবে বাবার বাড়ি ফিরে যেতে পারি, তবে সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর হবেন
যেন আমি আমার বাবার ঘরে নিরাপদে ফিরে যেতে পারি, তবে সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর হবেন
22 ২২ এবং এই যে পাথর আমি স্তম্ভরূপে স্থাপন করেছি, এটা ঈশ্বরের গৃহ হবে; আর তুমি আমাকে যা কিছু দেবে, তার দশমাংশ আমি তোমাকে অবশ্য দেব।”
এবং এই যে পাথরটি আমি স্তম্ভরূপে স্থাপন করেছি, সেটিই ঈশ্বরের গৃহ হবে, এবং তুমি আমাকে যা কিছু দেবে, আমি অবশ্যই তোমাকে তার দশমাংশ দেব।”

< আদিপুস্তক 28 >