< যাত্রাপুস্তক 1 >

1 ইস্রায়েলের ছেলেরা, যাঁরা মিশর দেশে গিয়েছিলেন, পরিবারের সবাই যাকোবের সঙ্গে গিয়েছিলেন, তাঁদের নাম হল;
এই হল ইস্রায়েলের সেই ছেলেদের নাম, যাঁরা প্রত্যেকে নিজের পরিবারসহ যাকোবের সঙ্গে মিশরে গিয়েছিলেন:
2 রূবেন, শিমিয়োন, লেবি ও যিহূদা,
রূবেণ, শিমিয়োন, লেবি ও যিহূদা;
3 ইষাখর, সবূলূন ও বিন্যামীন,
ইষাখর, সবূলূন ও বিন্যামীন;
4 দান, নপ্তালি, গাদ ও আশের।
দান ও নপ্তালি; গাদ ও আশের।
5 যাকোবের বংশ থেকে মোট সত্তর জন মানুষ ছিল; আর যোষেফ মিশরেই ছিলেন।
যাকোবের বংশধররা সংখ্যায় হল মোট সত্তরজন; যোষেফ ইতিপূর্বে মিশরেই ছিলেন।
6 পরে যোষেফ, তাঁর ভায়েরা ও সেই দিনের র সমস্ত লোক মারা গেলেন।
এদিকে যোষেফ ও তাঁর সব দাদা-ভাই, এবং সেই প্রজন্মের সবাই মারা গেলেন,
7 আর ইস্রায়েলের সন্তানেরা ফলবান হল, সংখ্যায় অনেক বৃদ্ধি পেল, খুব শক্তিশালী হয়ে উঠল এবং তাদের মাধ্যমে দেশ ভরে গেল।
কিন্তু ইস্রায়েলীরা অত্যন্ত ফলবান হল; তারা প্রচুর পরিমাণে বংশবৃদ্ধি করল, সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে এত সংখ্যক হয়ে উঠল যে সে দেশটি তাদের দিয়েই পরিপূর্ণ হয়ে গেল।
8 পরে মিশরে এক নতুন রাজা উঠলেন, যিনি যোষেফকে চিনতেন না।
পরে এমন এক নতুন রাজা মিশরের ক্ষমতায় এলেন, যাঁর কাছে যোষেফের কোনও গুরুত্বই ছিল না।
9 তিনি তাঁর প্রজাদেরকে বললেন, “দেখ, আমাদের থেকে ইস্রায়েলের সন্তানরা সংখ্যায় বেশি ও শক্তিশালী;
“দেখো,” তিনি তাঁর প্রজাদের বললেন, “ইস্রায়েলীরা আমাদের পক্ষে বড়ো বেশি সংখ্যক হয়ে পড়েছে।
10 ১০ এস, আমরা তাদের সঙ্গে বুদ্ধির সঙ্গে ব্যবহার করি, নাহলে তারা বৃদ্ধি পাবে এবং যুদ্ধের দিন তারাও শত্রুদের দলে যোগ দিয়ে আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে এবং এই দেশ থেকে চলে যায়।”
এসো, আমরা তাদের প্রতি প্রজ্ঞাপূর্বক ব্যবহার করি, তা না হলে তারা এর চেয়েও বেশি সংখ্যক হয়ে যাবে এবং, যদি যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়, তারা আমাদের শত্রুদের সাথে যোগ দেবে, আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে ও দেশ ছেড়ে চলে যাবে।”
11 ১১ অতএব তারা কঠিন পরিশ্রম করিয়ে তাদের কষ্ট দেবার জন্য তাদের উপরে শাসকদেরকে নিযুক্ত করল। আর তারা ফরৌণের জন্য ভান্ডারের নগর, পিথোম ও রামিষেষ তৈরী করল।
অতএব তারা বাধ্যতামূলকভাবে পরিশ্রম করিয়ে ইস্রায়েলীদের নিগৃহীত করার জন্য তাদের উপর কড়া তত্ত্বাবধায়কদের নিযুক্ত করে দিল, এবং তারা ফরৌণের জন্য ভাণ্ডার-নগরীরূপে পিথোম ও রামিষেষ গেঁথে তুলল।
12 ১২ কিন্তু তারা তাদের মাধ্যমে যত দুঃখ পেল, ততই বৃদ্ধি পেতে ও ছড়িয়ে পড়তে লাগল; তাই ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য তারা খুব চিন্তিত হয়ে পড়ল।
কিন্তু যত বেশি তাদের নিপীড়িত করা হল, তত বেশি তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হল ও তারা ছড়িয়ে পড়ল; অতএব মিশরীয়রা ইস্রায়েলীদের ভয় পেতে শুরু করল
13 ১৩ আর মিশরীয়েরা নিষ্ঠুর ভাবে ইস্রায়েল সন্তানদের দাসের মত কাজ করালো;
এবং তারা নির্মমভাবে তাদের খাটাতে লাগল।
14 ১৪ তারা কাদা তৈরির কাজে, ইট ও ক্ষেতের সমস্ত কাজে দাসের মত খাটিয়ে তাদের জীবন কষ্টকর করে তুলল। তারা তাদের দিয়ে যে সব দাসের কাজ করাতো, সে সমস্ত নিষ্ঠুর ভাবে করাতো।
ইট ও চুনসুরকির কাজে এবং চাষবাসের সব ধরনের কাজে কঠোর পরিশ্রম করিয়ে তারা তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলল; মিশরীয়রা নির্মমভাবে তাদের কাছে কঠোর পরিশ্রম দাবি করল।
15 ১৫ পরে মিশরের রাজা শিফ্রা ও পূয়া নামে দুই ইব্রীয় ধাত্রীকে এই কথা বললেন,
মিশরের রাজা শিফ্রা ও পূয়া নামাঙ্কিত হিব্রু ধাত্রীদের বললেন,
16 ১৬ “যে দিনের তোমরা ইব্রীয় স্ত্রীদের ধাত্রীর কাজ করবে ও তাদেরকে প্রসবের দিন দেখবে, যদি ছেলে হয়, তাকে হত্যা করবে; আর যদি মেয়ে হয়, তাকে জীবিত রাখবে।”
“প্রসব-শয্যায় তোমরা যখন সন্তান প্রসবের সময় হিব্রু মহিলাদের সাহায্য করছ, তখন যদি তোমরা দেখো যে শিশুটি এক পুত্রসন্তান, তবে তাকে মেরে ফেলো; কিন্তু সে যদি এক কন্যাসন্তান হয়, তবে তাকে বাঁচিয়ে রেখো।”
17 ১৭ কিন্তু ঐ ধাত্রীরা ঈশ্বরকে ভয় করত, সুতরাং মিশরের রাজার আদেশ না মেনে ছেলে সন্তানদের জীবিত রাখত।
সেই ধাত্রীরা অবশ্য ঈশ্বরকে ভয় করত ও মিশরের রাজা তাদের যা করতে বললেন, তারা তা করল না; তারা শিশুপুত্রদের বাঁচিয়ে রাখল।
18 ১৮ তাই মিশরের রাজা সেই ধাত্রীদের ডেকে বললেন, “এ রকম কাজ কেন করেছ? ছেলে সন্তানদের কেন জীবিত রেখেছ?”
তখন মিশরের রাজা সেই ধাত্রীদের ডেকে পাঠিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা এরকম কেন করলে? তোমরা শিশুপুত্রদের বাঁচিয়ে রাখলে কেন?”
19 ১৯ ধাত্রীরা ফরৌণকে উত্তরে বলল, “ইব্রীয় স্ত্রীলোকেরা মিশরীয় স্ত্রীলোকদের মত নয়; তারা বলবতী, তাদের কাছে ধাত্রী যাবার আগেই তাদের প্রসব হয়।”
তারা ফরৌণকে উত্তর দিল, “হিব্রু মহিলারা মিশরীয় মহিলাদের মতো নয়; তারা সবলা ও ধাত্রীরা পৌঁছানোর আগেই তারা সন্তান প্রসব করে ফেলে।”
20 ২০ তাই ঈশ্বর ঐ ধাত্রীদের মঙ্গল করলেন এবং লোকেরা বৃদ্ধি পেয়ে খুব শক্তিশালী হল।
অতএব ঈশ্বর সেই ধাত্রীদের প্রতি দয়ালু হলেন এবং ইস্রায়েলীরা বৃদ্ধি পেয়ে আরও বহুসংখ্যক হয়ে উঠল।
21 ২১ সেই ধাত্রীরা ঈশ্বরকে ভয় করত বলে তিনি তাদের বংশের বৃদ্ধি করলেন।
আর যেহেতু সেই ধাত্রীরা ঈশ্বরকে ভয় করত, তাই তিনি তাদের নিজস্ব পরিবার দিলেন।
22 ২২ পরে ফরৌণ তাঁর সব প্রজাকে এই আদেশ দিলেন, “তোমরা [ইব্রীয়দের] জন্ম নেওয়া প্রত্যেক ছেলেকে নীল নদীতে ফেলে দেবে, কিন্তু প্রত্যেক মেয়েকে জীবিত রাখবে।”
পরে ফরৌণ তাঁর সব প্রজাকে এই আদেশ দিলেন: “সদ্যজাত প্রত্যেকটি হিব্রু পুত্রসন্তানকে তোমরা অবশ্যই নীলনদে ছুঁড়ে ফেলবে, কিন্তু প্রত্যেকটি কন্যাসন্তানকে জীবিত রাখবে।”

< যাত্রাপুস্তক 1 >