< গালাতীয় 4 >

1 কিন্তু আমি বলি, উত্তরাধিকারী যত দিন শিশু থাকে, ততদিন সব কিছুর অধিকারী হলেও দাস ও তার মধ্য কোনো পার্থক্য নেই,
যা আমি বলতে চাইছি, তা হল, উত্তরাধিকারী যতদিন শিশু থাকে, সে সমস্ত সম্পত্তির অধিকারী হলেও, ক্রীতদাসের সঙ্গে তার কোনও পার্থক্য থাকে না।
2 কিন্তু পিতার নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত সে তার দেখাশোনা করে যে তাঁর ও সম্পত্তির ভারপ্রাপ্ত কর্মচারীর অধীনে থাকে।
তার বাবা যে সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, সেই সময় পর্যন্ত সে অভিভাবক ও প্রতিপালকদের তত্ত্বাবধানে থাকে।
3 তেমনি আমরাও যখন শিশু ছিলাম, তখন জগতের প্রাথমিক শিক্ষার অধীনে বন্দী ছিলাম।
একইভাবে, আমরা যখন শিশু ছিলাম, আমরা জগতের বিভিন্ন রীতিনীতির অধীনে ক্রীতদাস ছিলাম।
4 কিন্তু দিন সম্পূর্ণ হলে ঈশ্বর তাঁর নিজের পুত্রকে পাঠালেন, তিনি কুমারীর মাধ্যমে জন্ম নিলেন, ব্যবস্থার অধীনে জন্ম নিলেন,
কিন্তু সময় যখন সম্পূর্ণ হল, ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠালেন; তিনি এক নারী থেকে জন্ম নিলেন, বিধানের অধীনে জন্মগ্রহণ করলেন,
5 যেন তিনি মূল্য দিয়ে ব্যবস্থার অধীনে লোকদেরকে মুক্ত করেন, যেন আমরা দত্তক পুত্রের অধিকার প্রাপ্ত হই।
যেন যারা বিধানের অধীন তাদের মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত করেন এবং আমরা পুত্র হওয়ার পূর্ণ অধিকার লাভ করি।
6 আর তোমরা পুত্র, এই জন্য ঈশ্বর তাঁর পুত্রের আত্মাকে আমাদের হৃদয়ে পাঠালেন, যিনি “আব্বা, পিতা” বলে ডাকেন।
যেহেতু আমরা পুত্র, তাই ঈশ্বর তাঁর পুত্রের আত্মাকে আমাদের হৃদয়ে পাঠালেন, যে আত্মা “আব্বা, পিতা” বলে ডেকে ওঠেন।
7 তাই তুমি আর দাস না, কিন্তু পুত্র, আর যখন পুত্র, তখন ঈশ্বরের মাধ্যমে উত্তরাধিকারীও হয়েছ।
তাই তোমরা আর ক্রীতদাস নও, কিন্তু পুত্র; আর যেহেতু তোমরা পুত্র, ঈশ্বর তোমাদের উত্তরাধিকারীও করেছেন।
8 যদিও আগে, যখন তোমরা ঈশ্বরকে জানতে না তখন যারা প্রকৃত দেবতা তোমরা তাদের দাস ছিলে,
আগে তোমরা যখন ঈশ্বরকে জানতে না, তোমরা তাদেরই দাসত্ব করতে, যারা প্রকৃতপক্ষে দেবতা নয়।
9 কিন্তু এখন ঈশ্বরের পরিচয় পেয়েছ, বরং ঈশ্বরও তোমাদের জানেন, তবে কেমন করে আবার ঐ দুর্বল ও মূল্যহীন জগতের প্রাথমিক শিক্ষার দিকে ফিরছ এবং আবার ফিরে গিয়ে সেগুলির দাস হতে চাইছ?
কিন্তু এখন, যেহেতু তোমরা ঈশ্বরকে জানো—বা সঠিক বলতে গেলে, তোমরাই ঈশ্বরের দ্বারা পরিচিত হয়েছ—তাহলে, কী করে তোমরা ওইসব দুর্বল ও ঘৃণ্য নীতিগুলির প্রতি ফিরে যাচ্ছ? তোমরা কি আবার ফিরে গিয়ে সেসবের দ্বারা দাসত্বে আবদ্ধ হতে চাও?
10 ১০ তোমরা বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বছর পালন করছ।
তোমরা বিশেষ বিশেষ দিন, মাস, ঋতু ও বছর পালন করছ!
11 ১১ তোমাদের বিষয়ে আমার ভয় হয়, কি জানি, তোমাদের মধ্য বৃথাই পরিশ্রম করেছি।
তোমাদের জন্য আমার ভয় হয়, হয়তো আমি তোমাদের মধ্যে ব্যর্থ পরিশ্রম করেছি।
12 ১২ ভাইয়েরা, তোমাদেরকে এই অনুরোধ করছি, তোমরা আমার মত হও, কারণ আমিও তোমাদের মত। তোমরা আমার বিরুদ্ধে কোনো অন্যায় কর নি,
ভাই ও বোনেরা, আমি তোমাদের অনুরোধ করছি, তোমরা আমার মতো হও, কারণ আমি তোমাদের মতো হয়েছি। তোমরা আমার প্রতি কোনো অন্যায় করোনি।
13 ১৩ আর তোমরা জান, আমি দেহের অসুস্থতায় প্রথমবার তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচারের সুযোগ পেয়েছিলাম,
যেমন তোমরা জানো, আমি অসুস্থ ছিলাম, যখন প্রথমবার তোমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করেছিলাম।
14 ১৪ আর আমার দেহের দুর্বলতায় তোমাদের যে পরীক্ষা হয়েছিল, তা তোমরা তুচ্ছ কর নি, ঘৃণাও কর নি, বরং ঈশ্বরের এক দূতের মতো, খ্রীষ্ট যীশুর মতো, আমাকে গ্রহণ করেছিলে।
যদিও আমার অসুস্থতা তোমাদের কাছে পরীক্ষার কারণস্বরূপ ছিল, তোমরা আমার সঙ্গে ঘৃণ্য ও অবজ্ঞাসুলভ আচরণ করোনি। বরং তোমরা আমাকে যেন ঈশ্বরের এক দূতের মতো, স্বয়ং খ্রীষ্ট যীশুর মতো মনে করে স্বাগত জানিয়েছিলে।
15 ১৫ তবে তোমাদের সেই ধন্য জীবন কোথায়? কারণ আমি তোমাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সাধ্য থাকলে তোমরা তোমাদের চোখ উপড়ে আমাকে দিতে।
তোমাদের সেইসব আনন্দের কী হল? আমি সাক্ষ্য দিতে পারি যে, সম্ভব হলে, তোমরা নিজের নিজের চোখদুটি উপড়ে নিয়ে আমাকে দিতে!
16 ১৬ তবে তোমাদের কাছে সত্য বলাতে কি তোমাদের শত্রু হয়েছি?
সত্যিকথা বলার জন্য আমি কি এখন তোমাদের শত্রু হয়েছি?
17 ১৭ তারা যে সযত্নে তোমাদের খোঁজ করছে, তা ভালভাবে করে না, বরং তারা তোমাদেরকে বাইরে রাখতে চায়, যেন তোমরা সযত্নে তাদেরই খোঁজ কর।
ওইসব লোক তোমাদের জয় করার জন্য আগ্রহী হয়েছে, কিন্তু কোনো ভালো উদ্দেশ্যে নয়। তারা যা চায় তা হল আমাদের কাছ থেকে তোমাদের দূরে সরিয়ে দিতে, যেন তোমরা ওদের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠো।
18 ১৮ শুধু তোমাদের কাছে আমার উপস্থিতির দিন নয়, কিন্তু সবদিন ভালো বিষয়ে সযত্নে খোঁজ নেওয়া ভাল,
কেবলমাত্র তোমাদের মধ্যে যখন উপস্থিত থাকি তখন নয়, কিন্তু সব সময়ের জন্য সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে আগ্রহী হওয়া ভালো।
19 ১৯ তোমরা ত আমার সন্তান, আমি আবার তোমাদেরকে নিয়ে প্রসব-যন্ত্রণা সহ্য করছি, যতক্ষণ না তোমাদের মধ্যে খ্রীষ্ট গঠিত হয়,
আমার প্রিয় সন্তানেরা তোমাদের জন্য আমি আবার প্রসবযন্ত্রণা ভোগ করছি, যতক্ষণ না তোমরা খ্রীষ্টের মতো হও।
20 ২০ কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, এখন তোমাদের কাছে উপস্থিত হয়ে অন্য স্বরে কথা বলি, কারণ তোমাদের বিষয়ে আমি খুবই চিন্তিত।
আমার এমন ইচ্ছা হচ্ছে যে, আমি যদি এখনই তোমাদের কাছে যেতে ও অন্য স্বরে কথা বলতে পারতাম! কারণ আমি তোমাদের নিয়ে যে কী করব তা বুঝতে পারছি না!
21 ২১ বল দেখি, তোমরা তো ব্যবস্থার অধীনে থাকার ইচ্ছা কর, তোমরা কি ব্যবস্থার কথা শোন না?
তোমরা যারা বিধানের অধীনে থাকতে চাও, আমাকে বলো তো, বিধান যা বলে, তা কি তোমরা জানো না?
22 ২২ কারণ পবিত্র শাস্ত্রে লেখা আছে যে, অব্রাহামের দুটি ছেলে ছিল, একটি দাসীর ছেলে, একটি স্বাধীনার ছেলে।
কারণ লেখা আছে, অব্রাহামের দুই পুত্র ছিল, একজন ক্রীতদাসীর, অন্যজন স্বাধীন নারীর।
23 ২৩ আর ঐ দাসীর ছেলে দেহ অনুসারে, কিন্তু স্বাধীনার ছেলে প্রতিজ্ঞার গুণে জন্ম নিয়েছিল।
ক্রীতদাসী নারীর দ্বারা তাঁর পুত্রের জন্ম হয়েছিল স্বাভাবিক উপায়ে, কিন্তু স্বাধীন নারীর দ্বারা তাঁর পুত্রের জন্ম হয়েছিল এক প্রতিশ্রুতির ফলস্বরূপে।
24 ২৪ এই সব কথার রূপক অর্থ আছে, কারণ ঐ দুই স্ত্রী দুই নিয়ম, একটি সিনয় পর্বত থেকে উৎপন্ন ও দাসত্বের জন্য প্রসব করেছিলেন যিনি, সে হাগার।
এসব বিষয় রূপক অর্থে গ্রহণ করা যেতে পারে, কারণ ওই দুজন নারী দুটি চুক্তির প্রতীকস্বরূপ। একটি চুক্তি সীনয় পর্বত থেকে, তা ক্রীতদাস হওয়ার জন্য সন্তানদের জন্ম দেয়। এ হল হাগার।
25 ২৫ আর এই হাগার আরব দেশের সীনয় পর্বত এবং সে এখনকার যিরূশালেমের অনুরূপ, কারণ সে তাঁর সন্তানদের সঙ্গে দাসত্বে আছে।
এখন হাগার হল আরবে স্থিত সীনয় পর্বতের প্রতীক এবং বর্তমানের জেরুশালেম নগরীর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, কারণ সে তার সন্তানদের নিয়ে দাসত্ববন্ধনে আবদ্ধ আছে।
26 ২৬ কিন্তু যিরূশালেম যেটা স্বর্গে সেটা স্বাধীনা, আর সে আমাদের জননী।
কিন্তু ঊর্ধ্বে স্থিত জেরুশালেম স্বাধীন, সে আমাদের প্রকৃত মা।
27 ২৭ কারণ লেখা আছে, “তুমি বন্ধা স্ত্রী, যে প্রসব করতে অক্ষম, আনন্দ কর, যার প্রসব-যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা নেই, সে আনন্দধ্বনি করও উল্লাসে পরিপূর্ণ হোক, কারণ সধবার সন্তান অপেক্ষা বরং অনাথার সন্তান বেশি।”
কারণ লেখা আছে, “ওহে বন্ধ্যা নারী, যে কখনও সন্তান প্রসব করোনি, আনন্দিত হও; তোমরা কখনও প্রসবযন্ত্রণা ভোগ করোনি, আনন্দোল্লাসে ফেটে পড়ো; কারণ যার স্বামী আছে, সেই নারীর চেয়ে, যে নারী পরিত্যক্তা, তার সন্তান বেশি।”
28 ২৮ এখন, ভাইয়েরা, ইসহাকের মতো তোমরা প্রতিজ্ঞার সন্তান।
এখন ভাইবোনেরা, তোমরা ইস্‌হাকের মতো প্রতিশ্রুতির সন্তান।
29 ২৯ কিন্তু দেহ অনুসারে জন্মানো ব্যক্তি যেমন সেই দিন আত্মিক ভাবে যিনি আত্মায় জন্ম নিয়েছিলেন তাঁকে অত্যাচার করত, তেমনি এখনও হচ্ছে।
সেই সময়, স্বাভাবিক উপায়ে জাত পুত্র, ঈশ্বরের আত্মার পরাক্রমে জাত পুত্রকে নির্যাতন করত। তেমনই এখনও হচ্ছে।
30 ৩০ তবুও শাস্ত্র কি বলে? “ঐ দাসীকে ও তার ছেলেকে বের করে দাও, কারণ ঐ দাসীর ছেলে কোন ভাবেই স্বাধীনার ছেলের সঙ্গে উত্তরাধিকারী হবে না।”
কিন্তু শাস্ত্র কী বলে? “সেই ক্রীতদাসী ও তার ছেলেকে তাড়িয়ে দাও, কারণ সেই স্বাধীন নারীর সম্পত্তির অধিকারে ওই মহিলার ছেলে কখনোই ভাগ বসাবে না।”
31 ৩১ তাই, ভাইয়েরা, আমরা দাসীর সন্তান নই, আমরা স্বাধীনার সন্তান।
অতএব ভাইবোনেরা, আমরা ক্রীতদাসীর সন্তান নই, কিন্তু সেই স্বাধীন নারীর সন্তান।

< গালাতীয় 4 >