< যাত্রাপুস্তক 24 >

1 তখন সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, তুমি, হারোণ, নাদব, অবীহূ এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনবর্গের সত্তর জন, “তোমরা আমার কাছে এসো এবং দূর থেকে আমাকে প্রণাম কর।
পরে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি ও হারোণ, নাদব, ও অবীহূ, এবং ইস্রায়েলের সত্তরজন প্রাচীন, তোমরা সদাপ্রভুর কাছে উঠে এসো। তোমরা একটু দূরে থেকেই আরাধনা করবে,
2 কেবল মোশি সদাপ্রভুর কাছে আসতে পারে, কিন্তু অন্যরা কাছে আসবে না; আর লোকেরা তার সঙ্গে উপরে উঠবে না।”
কিন্তু মোশি একাই সদাপ্রভুর কাছে আসবে; অন্যেরা কাছাকাছি আসবে না। আর লোকেরাও যেন তার সঙ্গে উপরে উঠে না আসে।”
3 তখন মোশি এসে লোকদেরকে সদাপ্রভুর সব বাক্য ও সব শাসনের কথা বললেন, তাতে সব লোক একসঙ্গে উত্তর দিয়ে বলল, “সদাপ্রভু যে যে কথা বললেন, আমরা সবই পালন করব।”
মোশি যখন লোকদের কাছে গিয়ে সদাপ্রভুর সব কথা ও বিধি তাদের বলে শোনালেন, তখন তারা একস্বরে উত্তর দিল, “সদাপ্রভু যা যা বলেছেন, আমরা সেসবকিছু করব।”
4 পরে মোশি সদাপ্রভুর সব বাক্য লিখলেন এবং সকালে উঠে পর্বতের তলে এক যজ্ঞবেদি ও ইস্রায়েলের বারোটি বংশানুসারে বারোটি স্তম্ভ তৈরী করলেন।
মোশি তখন সদাপ্রভু যা যা বলেছিলেন সেসবকিছু লিখে রাখলেন। পরদিন ভোরবেলায় মোশি ঘুম থেকে উঠলেন ও সেই পর্বতের পাদদেশে এক যজ্ঞবেদি নির্মাণ করলেন এবং ইস্রায়েলের বারো গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বমূলক পাথরের বারোটি স্তম্ভ খাড়া করলেন।
5 আর তিনি ইস্রায়েল সন্তানদের যুবকদেরকে পাঠালেন তারা সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে হোমের জন্য ও মঙ্গলের জন্য বলিরূপে ষাঁড়দেরকে বলিদান করল।
পরে তিনি ইস্রায়েলী যুবকদের পাঠালেন, এবং তারা হোমবলি উৎসর্গ করল ও মঙ্গলার্থক বলিরূপে সদাপ্রভুর উদ্দেশে এঁড়ে বাছুরগুলি উৎসর্গ করল।
6 তখন মোশি তার অর্ধেক রক্ত নিয়ে থালায় রাখলেন এবং অর্ধেক রক্ত বেদির উপরে ছিটিয়ে দিলেন।
মোশি অর্ধেক পরিমাণ রক্ত নিয়ে তা গামলাগুলিতে রাখলেন, এবং বাকি অর্ধেকটি তিনি যজ্ঞবেদির উপর ছিটিয়ে দিলেন।
7 আর তিনি নিয়ম বইটি নিয়ে লোকদের কাছে উচ্চস্বরে পড়লেন; তাতে তারা বলল, “সদাপ্রভু যা যা বললেন, আমরা সবই পালন করব ও বাধ্য হব।”
পরে তিনি নিয়মের সেই গ্রন্থটি নিলেন এবং লোকদের কাছে তা পড়ে শোনালেন। তারা উত্তর দিল, “সদাপ্রভু যা যা বলেছেন আমরা সেসবকিছু করব; আমরা বাধ্য হব।”
8 পরে মোশি সেই রক্ত নিয়ে লোকদের উপরে ছিটিয়ে দিয়ে বললেন, দেখ, এই হলো নিয়মের রক্ত, যা সদাপ্রভু তোমাদের সঙ্গে এই সব বাক্য সম্বন্ধে স্থির করেছেন।
মোশি তখন সেই রক্ত নিলেন, লোকদের উপর তা ছিটিয়ে দিলেন এবং বললেন, “এ হল সেই নিয়মের রক্ত, যে নিয়মটি সদাপ্রভু এসব কথার আধারে তোমাদের সঙ্গে স্থির করেছেন।”
9 তখন মোশি ও হারোণ, নাদব, ও অবীহূ এবং ইস্রায়েলের প্রাচীনদের মধ্য থেকে সত্তর জন পর্বতে চলে গেলেন;
মোশি ও হারোণ, নাদব ও অবীহূ এবং ইস্রায়েলের সেই সত্তরজন প্রাচীন উপরে উঠে গেলেন
10 ১০ আর তারা ইস্রায়েলের ঈশ্বরকে দেখলেন; তাঁর চরণতলের জায়গা নীলকান্তমণি দিয়ে তৈরী শিলাস্তরের কার্য্য এবং আকাশের মতই নির্মল ছিল।
এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বরের দর্শন পেলেন। তাঁর পায়ের তলায় আকাশের মতো উজ্জ্বল নীল রংয়ের নীলকান্তমণি দিয়ে তৈরি শান-বাঁধান মেঝের মতো কিছু একটা ছিল।
11 ১১ আর ঈশ্বর রাগে ইস্রায়েলের অধ্যক্ষদের উপরে হাত রাখলেন না, বরং তারা ঈশ্বরকে দর্শন করলেন এবং তারা খেলেন ও পান করলেন।
কিন্তু ঈশ্বর ইস্রায়েলীদের এইসব নেতার বিরুদ্ধে তাঁর হাত ওঠাননি; তাঁরা ঈশ্বরের দর্শন পেলেন, এবং তাঁরা ভোজনপান করলেন।
12 ১২ আর সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি পর্বতে আমার কাছে উঠে এসো এবং এই জায়গায় থাক, তাতে আমি দুটি পাথরের ফলক এবং আমার লেখা ব্যবস্থা ও আদেশ তোমাকে দেব, যেন তুমি লোকদের শিক্ষা দিতে পার।”
সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “পর্বতে আমার কাছে উঠে এসো ও এখানে থাকো, এবং আমি তোমাকে সেই পাথরের ফলকগুলি দেব, যেগুলিতে আমি তাদের নির্দেশদানের উদ্দেশে বিধি ও আদেশগুলি লিখে রেখেছি।”
13 ১৩ পরে মোশি ও তাঁর পরিচারক যিহোশূয় উঠলেন এবং মোশি ঈশ্বরের পর্বতে উঠলেন।
তখন মোশি তাঁর সহায়ক যিহোশূয়কে সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন, এবং মোশি ঈশ্বরের পর্বতে উঠে গেলেন।
14 ১৪ আর তিনি প্রাচীনদের বললেন, “আমরা যতক্ষণ না তোমাদের কাছে ফিরে না আসি, ততক্ষণ তোমরা আমাদের অপেক্ষায় এই জায়গায় থাক; আর দেখ, হারোণ ও হূর তোমাদের কাছে থাকলেন; যদি কারও কোন বিবাদ থাকে তবে সে তাদের কাছে যাক।”
তিনি প্রাচীনদের বললেন, “যতক্ষণ না আমরা তোমাদের কাছে ফিরে আসছি, ততক্ষণ এখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করো। হারোণ ও হূর তোমাদের সঙ্গে আছেন, এবং যে কেউ কোনও বিবাদে জড়িয়ে পড়ে, সে তাদের কাছে যেতে পারে।”
15 ১৫ সুতরাং মোশি যখন পর্বতে উঠলেন তখন পর্বত মেঘে ঢাকা ছিল।
মোশি যখন পর্বতের উপরে চলে গেলেন, তখন তা মেঘে ঢেকে গেল,
16 ১৬ আর সীনয় পর্বতের উপরে সদাপ্রভুর প্রতাপ অবস্থিতি করছিল এবং ওটা ছয় দিন মেঘে ঢাকা ছিল; পরে সপ্তম দিনের তিনি মেঘের মধ্য থেকে মোশিকে ডাকলেন।
এবং সদাপ্রভুর গৌরব সীনয় পর্বতের উপর বসতি স্থাপন করল। ছয় দিন পর্বত মেঘে ঢাকা পড়ে গেল, এবং সপ্তম দিনে সদাপ্রভু মেঘের মধ্যে থেকে মোশিকে ডাক দিলেন।
17 ১৭ আর ইস্রায়েলীয়দের চোখে সদাপ্রভুর প্রতাপ পর্বতশৃঙ্গে গ্রাসকারী আগুনের মত প্রকাশিত হল।
ইস্রায়েলীদের কাছে সদাপ্রভুর গৌরব পর্বতচূড়ায় অবস্থিত গ্রাসকারী এক আগুনের মতো দেখাচ্ছিল।
18 ১৮ আর মোশি মেঘের মধ্যে প্রবেশ করে পর্বতে উঠলেন। মোশি চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত সেই পর্বতে ছিলেন।
পরে মোশি পর্বতে চড়তে চড়তে সেই মেঘে প্রবেশ করলেন। আর সেই পর্বতের উপর তিনি চল্লিশ দিন ও চল্লিশ রাত থেকে গেলেন।

< যাত্রাপুস্তক 24 >