< দ্বিতীয় বিবরণ 28 >

1 আমি তোমাকে আজ যে সব আজ্ঞা আদেশ করছি, যত্নসহকারে সেই সব পালন করার জন্য যদি তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে মনোযোগ সহকারে কান দাও, তবে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীতে অবস্থিত সমস্ত জাতির উপরে তোমাকে ওঠাবেন;
তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্পূর্ণ বাধ্য হও এবং আমি আজ তাঁর যেসব আদেশ তোমাদের দিচ্ছি তা পালন করো, তাহলে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু পৃথিবীর সব জাতির উপরে তোমাদের স্থান দেবেন।
2 আর তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিলে এই সব আশীর্বাদ তোমার ওপরে আসবে ও তোমাকে আশ্রয় করবে।
তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বাধ্য হও তবে এসব আশীর্বাদ তোমরা পাবে আর তা তোমাদের সঙ্গে থাকবে
3 তুমি শহরে আশীর্বাদযুক্ত হবে ও ক্ষেতে আশীর্বাদযুক্ত হবে।
তোমরা নগরে আশীর্বাদ পাবে এবং দেশে আশীর্বাদ পাবে।
4 তোমার শরীরের ফল, তোমার ভূমির ফল, তোমার পশুর ফল, তোমার গরুদের বাচ্চা ও তোমার মেষীদের শাবক আশীর্বাদযুক্ত হবে।
তোমাদের গর্ভের ফলে, ক্ষেতের ফসলে এবং পশুধনের ফলে আশীর্বাদ পাবে—তোমাদের পশুপালের বাছুর ও মেষীদের শাবক।
5 তোমার (ফলের) ঝুড়ি ও তোমার আটার কাঠের থালার আশীর্বাদযুক্ত হবে।
তোমাদের ঝুড়ি এবং ময়দা মাখার পাত্রে আশীর্বাদ পাবে।
6 ভিতরে আসার দিনের তুমি আশীর্বাদযুক্ত হবে এবং বাইরে যাবার দিনের তুমি আশীর্বাদযুক্ত হবে।
ভিতরে আসবার সময় তোমরা আশীর্বাদ পাবে এবং বাইরে যাওয়ার সময় তোমরা আশীর্বাদ পাবে।
7 তোমার যে শত্রুরা তোমার বিরুদ্ধে ওঠে, তাদেরকে সদাপ্রভু তোমার সামনে আঘাত করাবেন; তারা একটি রাস্তা দিয়ে তোমার বিরুদ্ধে আসবে, কিন্তু সপ্তম রাস্তা দিয়ে তোমার সামনে থেকে পালাবে।
যারা শত্রু হয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে সদাপ্রভু এমন করবেন যাতে তারা তোমাদের সামনে হেরে যায়। তারা একদিক থেকে তোমাদের আক্রমণ করতে এসে সাত দিক দিয়ে পালিয়ে যাবে।
8 সদাপ্রভু আদেশ দিয়ে তোমার গোলাঘরের বিষয়ে ও তুমি যে কোনো কাজে হাত দাও, তার বিষয়ে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন এবং তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিচ্ছেন, সেখানে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন।
তোমাদের গোলাঘরের উপর সদাপ্রভুর আশীর্বাদ থাকবে এবং যে কাজে তোমরা হাত দেবে তাতেই তিনি আশীর্বাদ করবেন। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর দেওয়া দেশে তোমাদের আশীর্বাদ করবেন।
9 সদাপ্রভু নিজের শপথ অনুসারে তোমাকে নিজের পবিত্র লোক বলে স্থাপন করবেন; যদি তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞা পালন কর ও তাঁর পথে চল।
তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আজ্ঞা পালন করো ও তাঁর পথে চলো তাহলে তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞার উপর শপথ অনুসারে তোমাদের তাঁর পবিত্র প্রজা হিসেবে স্থাপন করবেন।
10 ১০ আর পৃথিবীর সব জাতি দেখতে পাবে যে, তোমার উপরে সদাপ্রভুর নাম কীর্তিত হয়েছে এবং তারা তোমার থেকে ভয় পাবে।
তখন পৃথিবীর সমস্ত জাতি দেখতে পাবে যে, সদাপ্রভুর নামেই তোমাদের পরিচয়, আর তাতে তারা তোমাদের ভয় করে চলবে।
11 ১১ আর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিতে তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছেন, সেই দেশে তিনি ভালোর জন্যেই তোমার শরীরের ফলে, তোমার পশুর ফলে ও তোমার ভূমির ফলে তোমাকে উন্নত করবেন।
সদাপ্রভু তোমাদের খুব সমৃদ্ধ করবেন—তোমাদের গর্ভের ফলে, পশুধনের ফলে এবং ক্ষেতের ফসলে—সেই দেশে যা তিনি দেবেন বলে তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে শপথ করেছিলেন।
12 ১২ সঠিক দিনের তোমার ভূমির জন্য বৃষ্টি দিতে ও তোমার হাতের সব কাজে আশীর্বাদ করতে সদাপ্রভু নিজের আকাশের ধনভান্ডার খুলে দেবেন এবং তুমি অনেক জাতিকে ঋণ দেবে, কিন্তু নিজে ঋণ নেবে না।
তোমাদের সময়মতো বৃষ্টি দিয়ে তোমাদের হাতের সব কাজে আশীর্বাদ করবার জন্য সদাপ্রভু তাঁর দানের ভাণ্ডার, আকাশ খুলে দেবেন। তোমরা অনেক জাতিকে ঋণ দেবে কিন্তু তোমরা নিজেরা কারোর কাছ থেকে ঋণ নেবে না।
13 ১৩ আর সদাপ্রভু তোমাকে প্রধান করবেন, লেজের মতো করবেন না; তুমি নত না হয়ে শুধু উন্নত হবে; যদি তুমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর এই যে সব আজ্ঞা যত্নসহকারে পালন করতে আমি তোমাকে আজ আদেশ করছি, এই সব কিছুতে কান দিতে হবে;
সদাপ্রভু এমন করবেন যাতে তোমরা সকলের মাথার উপরে থাকো, পায়ের তলায় নয়। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর যেসব আদেশ আজ আমি তোমাদের দিচ্ছি তাতে যদি মনোযোগ দাও এবং যত্নের সঙ্গে পালন করো, তবে সবসময় তোমরা উন্নত হবে, কখনোই অবনত হবে না।
14 ১৪ এবং আজ আমি তোমাদেরকে যে সব কথা আজ্ঞা করছি, অন্য দেবতাদের সেবা করার জন্যে তাদের অনুগামী হবার জন্য তোমাকে সেই সব কথার ডান দিকে কি বাম দিকে ফিরতে হবে না।
আজ আমি তোমাদের যেসব আদেশ দিচ্ছি, অন্য দেবতাদের অনুগামী হয়ে এবং তাদের সেবা করার জন্য তার ডানদিকে কিংবা বাঁদিকে যাবে না।
15 ১৫ কিন্তু যদি তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান না দাও, আমি আজ তোমাকে তাঁর যে সব আজ্ঞা ও বিধি আদেশ করছি, যত্ন সহকারে সেই সব পালন না কর, তবে এই সমস্ত অভিশাপ তোমার প্রতি আসবে ও তোমার থেকে এগিয়ে যাবে।
কিন্তু তোমরা যদি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথায় কান না দাও এবং আজকে দেওয়া আমার এসব আদেশ ও অনুশাসন যত্নের সঙ্গে পালন না করো, তাহলে এসব অভিশাপ তোমাদের উপর নেমে আসবে এবং তোমাদের সঙ্গে থাকবে
16 ১৬ তুমি শহরে শাপগ্রস্ত হবে ও ক্ষেতে শাপগ্রস্ত হবে।
তোমরা নগরে অভিশপ্ত হবে এবং দেশে অভিশপ্ত হবে।
17 ১৭ তোমার (ফলের) ঝুড়ি ও তোমার আটার কাঠের থালা শাপগ্রস্ত হবে।
তোমাদের ঝুড়ি এবং ময়দা মাখার পাত্র অভিশপ্ত হবে।
18 ১৮ তোমার শরীরের ফল, তোমার ভূমির ফল এবং তোমার গরুর বাচ্চা ও তোমার মেষীদের শাবক শাপগ্রস্ত হবে।
তোমাদের গর্ভের ফল, ক্ষেতের ফসল এবং বাছুর ও মেষীদের শাবক অভিশপ্ত হবে।
19 ১৯ ভিতরে আসার দিনের তুমি শাপগ্রস্ত হবে ও বাইরে যাবার দিনের তুমি শাপগ্রস্ত হবে।
ভিতরে আসবার সময় তোমরা অভিশপ্ত হবে এবং বাইরে যাওয়ার সময় তোমরা অভিশপ্ত হবে।
20 ২০ যে পর্যন্ত তোমার ধ্বংস ও হঠাৎ বিনাশ না হয়, সেই পর্যন্ত যে কোনো কাজে তুমি হাত দাও, সেই কাজে সদাপ্রভু তোমার উপরে অভিশাপ, উদ্বেগ ও তিরস্কার পাঠাবেন; এর কারণ তোমার খারাপ কাজ সব, যার মাধ্যমে তুমি আমাকে পরিত্যাগ করেছ।
মন্দ কাজ করে সদাপ্রভুকে ত্যাগ করার অপরাধে তোমাদের সমস্ত কাজে তিনি তোমাদের অভিশাপ দেবেন, বিশৃঙ্খলায় ফেলবেন ও তিরস্কার করবেন, যতক্ষণ না তোমরা হঠাৎ ধ্বংস হয়ে নির্মূল না হও।
21 ২১ তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেই দেশ থেকে যতক্ষণ উচ্ছেদ না হয়, ততক্ষণ সদাপ্রভু তোমাকে মহামারী দেবেন।
তোমরা যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ সেখান থেকে যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হও ততক্ষণ সদাপ্রভু তোমাদের মধ্যে বিভিন্ন রোগের মহামারি আনবেন।
22 ২২ সদাপ্রভু ছোঁয়াচে রোগ, জ্বর, জ্বালা, প্রচণ্ড উত্তাপ ও খড়্গ এবং শস্যের শোষ ও ম্লানির মাধ্যমে তোমাকে আঘাত করবেন; তোমার বিনাশ না হওয়া পর্যন্ত সে সব তোমার অনুসরণ করবে।
সদাপ্রভু তোমাদের ক্ষয়রোগ, জ্বর, জ্বালা, প্রচণ্ড উত্তাপ ও তরোয়াল, তার সঙ্গে উদ্ভিদের রোগ ও ছত্রাক দ্বারা মহামারি আনবেন যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হও।
23 ২৩ আর তোমার মাথার উপরে অবস্থিত আকাশ ব্রোঞ্জ ও নীচে অবস্থিত ভূমি লোহার মতো হবে।
তোমাদের মাথার উপরের আকাশ ব্রোঞ্জের মতো, আর পায়ের তলার মাটি লোহার মতো হবে।
24 ২৪ সদাপ্রভু তোমার দেশে জলের পরিবর্তে ধূলো ও বালি বর্ষণ করবেন; যে পর্যন্ত তোমার বিনাশ না হয়, ততক্ষণ তা আকাশ থেকে নেমে তোমার উপরে পড়বে।
সদাপ্রভু তোমাদের দেশে বৃষ্টির বদলে ধুলো আর বালি বর্ষণ করবেন; সেগুলি আকাশ থেকে তোমাদের উপরে পড়বে যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হও।
25 ২৫ সদাপ্রভু তোমার শত্রুদের সামনে তোমাকে আঘাত করাবেন; তুমি এক রাস্তা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যাবে, কিন্তু সপ্তম রাস্তা দিয়ে তাদের সামনে থেকে পালাবে এবং পৃথিবীর সমস্ত রাজ্যের মধ্যে বিরক্তিজনক হবে।
সদাপ্রভু এমনটি করবেন যাতে তোমরা তোমাদের শত্রুদের সামনে হেরে যাও। তোমরা একদিক থেকে তাদের আক্রমণ করবে কিন্তু তাদের সামনে থেকে পালিয়ে যাবে সাত দিক দিয়ে, এবং পৃথিবীর অন্য সব রাজ্যের লোকেরা তোমাদের অবস্থা দেখে ভয়ে আঁতকে উঠবে।
26 ২৬ আর তোমার মৃতদেহ আকাশের পাখিদের ও মাটিতে চরা পশুদের খাদ্য হবে; কেউ তাদেরকে আতঙ্কিত করবে না।
তোমাদের মৃতদেহ হবে পাখি এবং বন্যপশুদের খাবার, আর তাদের তাড়িয়ে দেবার জন্য কেউ থাকবে না।
27 ২৭ সদাপ্রভু তোমাকে মিশরীয় ফোঁড়া এবং মহামারীর ঘাত, জঘন্য ও খোঁস পাঁচড়া, এই সব রোগের মাধ্যমে এমন আঘাত করবেন যে, তুমি আরোগ্য পেতে পারবে না।
সদাপ্রভু তোমাদের মিশরীয়দের সেই ফোঁড়া, আব, ফোস্কা এবং চুলকানি দিয়ে যন্ত্রণা দেবেন, যা তোমরা ভালো করতে পারবে না।
28 ২৮ সদাপ্রভু উন্মাদ, অন্ধতা ও মানসিক বিভ্রান্তের মাধ্যমে তোমাকে আঘাত করবেন।
সদাপ্রভু তোমাদের পাগলামি, অন্ধতা দিয়ে এবং চিন্তাশক্তি নষ্ট করে যন্ত্রণা দেবেন।
29 ২৯ অন্ধ যেমন অন্ধকারে হাঁতড়ে বেড়ায়, সেরকম তুমি দুপুরবেলায় হাঁতড়ে বেড়াবে ও নিজের পথে উন্নতিলাভ হবে না এবং সবদিন শুধু অত্যাচারিত ও লুন্ঠিত হবে, কেউ তোমাকে রক্ষা করবে না।
অন্ধ লোক যেমন অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ায় তেমনি করে তোমরা দিনের বেলাতেই হাতড়ে বেড়াবে। তোমরা যে কাজ করবে তাতেই বিফল হবে; দিনের পর দিন তোমরা অত্যাচারিত ও লুন্ঠিত হবে, তোমাদের উদ্ধার করার জন্য কেউ থাকবে না।
30 ৩০ তোমার প্রতি মেয়ের বাগ্‌দান হবে, কিন্তু অন্য পুরুষ তারসঙ্গে শোবে; তুমি বাড়ি তৈরী করবে, কিন্তু তাতে বাস করতে পাবে না; আঙ্গুর ক্ষেত রোপণ করবে, কিন্তু তার ফল ভোগ করবে না।
তোমার বিয়ে একজন স্ত্রীলোকের সঙ্গে ঠিক হবে, কিন্তু অন্যজন তাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করবে। তুমি বাড়ি তৈরি করবে, কিন্তু সেখানে বসবাস করতে পারবে না। তুমি দ্রাক্ষাক্ষেত তৈরি করবে, কিন্তু তার ফলভোগ করতে পারবে না।
31 ৩১ তোমার গরু তোমার সামনে মারা যাবে, আর তুমি তার মাংস খেতে পারবে না; তোমার গাধা তোমার সামনে থেকে জোর করে নিয়ে যাবে, তা তোমাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না; তোমার মেষপাল তোমার শত্রুদেরকে দেওয়া হবে, তোমার জন্যে সাহায্যকারী কেউ থাকবে না।
তোমাদের সামনেই তোমাদের গরু কাটা হবে, কিন্তু তোমরা তা খেতে পাবে না। তোমাদের গাধাকে জোর করে তোমাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হবে, কিন্তু তা আর ফিরিয়ে দেওয়া হবে না। তোমাদের মেষদের তোমাদের শত্রুদের হাতে তুলে দেওয়া হবে, আর কেউ তাদের উদ্ধার করবে না।
32 ৩২ তোমার ছেলেমেয়েদেরকে অন্য এক জাতিকে দেওয়া হবে ও সমস্ত দিন তাদের অপেক্ষায় চাইতে চাইতে তোমার চোখ ব্যর্থ হবে এবং তোমার হাতে কোনো শক্তি থাকবে না।
তোমাদের ছেলেদের এবং মেয়েদের অন্য এক জাতির কাছে দেওয়া হবে, আর দিনের পর দিন তাদের আসবার পথ চেয়ে তোমাদের চোখ অন্ধ হয়ে যাবে, কিন্তু তোমাদের হাতে কোনও শক্তি থাকবে না।
33 ৩৩ তোমার অজানা এক জাতি তোমার ভূমির ফল ও তোমার পরিশ্রমের সমস্ত ফল ভোগ করবে এবং তুমি সবদিন শুধু অত্যাচারিত ও চূর্ণ হবে
যে লোকদের তোমরা জানো না তারা তোমাদের জমির ফসল ও পরিশ্রমের ফলভোগ করবে, এবং তোমরা সারা জীবন ধরে অত্যাচার ভোগ করবে কিন্তু তোমাদের কিছুই করার থাকবে না।
34 ৩৪ আর তোমার চোখ যা দেখবে, তার জন্য তুমি উন্মাদ হবে।
তোমরা যা দেখবে তা তোমাদের পাগল করে দেবে।
35 ৩৫ সদাপ্রভু তোমার হাঁটু, পা ও পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত কঠিন স্ফোটকের মাধ্যমে আঘাত করবেন যা আরোগ্য হবে না।
সদাপ্রভু তোমাদের হাঁটুতে ও পায়ে এমন সব কষ্টদায়ক ফোঁড়া দেবেন যা কখনও ভালো হবে না, আর সেই ফোঁড়া তোমাদের পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত সব জায়গায় হবে।
36 ৩৬ সদাপ্রভু তোমাকে এবং যে রাজাকে তুমি নিজের ওপরে নিযুক্ত করবে, তাকে তোমার অজানা এবং তোমার পূর্বপুরুষদের অজানা এক জাতির কাছে নিয়ে যাবেন; সেই জায়গায় তুমি অন্য দেবতাদের, কাঠ ও পাথরের সেবা করবে।
তোমরা যাকে তোমাদের উপরে রাজা করে বসাবে সদাপ্রভু তাকে এবং তোমাদের বন্দি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য এমন এক জাতির হাতে দেবেন যাদের তোমরা এবং তোমাদের পূর্বপুরুষেরা জানে না। সেখানে তোমরা অন্য দেবতাদের সেবা করবে, যে দেবতারা কাঠ এবং পাথরের তৈরি।
37 ৩৭ আর সদাপ্রভু তোমাকে যে সব জাতির মধ্যে নিয়ে যাবেন, তাদের কাছে তুমি বিস্ময়ের, প্রবাদের ও উপহাসের পাত্র হবে।
সদাপ্রভু তোমাদের যেসব জাতির মধ্যে তাড়িয়ে দেবেন তারা তোমাদের অবস্থা দেখে ভয়ে আঁতকে উঠবে, আর তোমরা তাদের কাছে বিদ্রুপের পাত্র হবে।
38 ৩৮ তুমি বহু বীজ ক্ষেতে বয়ে নিয়ে যাবে, কিন্তু অল্প সংগ্রহ করবে; কারণ পঙ্গপাল তা বিনষ্ট করবে।
তোমরা জমিতে অনেক বীজ বুনবে কিন্তু অল্প সংগ্রহ করবে, কারণ পঙ্গপালে ফসল খেয়ে ফলবে।
39 ৩৯ তুমি আঙ্গুর ক্ষেত রোপণ করে তার চাষ করবে, কিন্তু আঙ্গুর রস পান করতে কি আঙ্গুর ফল জড়ো করতে পারবে না; কারণ পোকায় তা খেয়ে ফেলবে।
তোমরা দ্রাক্ষাক্ষেত তৈরি করবে এবং তার যত্নও নেবে কিন্তু পোকায় তার ফল খেয়ে ফেলবে বলে তোমরা দ্রাক্ষারস খেতে পারবে না কিংবা আঙুর সংগ্রহ করতে পারবে না।
40 ৪০ তোমার সকল অঞ্চলে জিতগাছ হবে, কিন্তু তুমি তেল ঘষতে পারবে না; কারণ তোমার জিতগাছের ফল ঝরে পড়বে।
তোমাদের সারা দেশে জলপাই গাছ থাকবে কিন্তু তোমরা তেল ব্যবহার করতে পারবে না, কারণ জলপাই ঝরে পড়বে।
41 ৪১ তুমি ছেলে মেয়েদের জন্ম দেবে, কিন্তু তারা তোমার হবে না; কারণ তারা বন্দি হয়ে যাবে।
তোমাদের ছেলেমেয়ে হবে কিন্তু তাদেরকে নিজের কাছে রাখতে পারবে না, কারণ তারা বন্দি হয়ে যাবে।
42 ৪২ পঙ্গপাল তোমার সব গাছ ও ভূমির ফল অধিকার করবে।
ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল তোমাদের দেশের সমস্ত গাছ ও ফসল অধিকার করবে।
43 ৪৩ তোমার মধ্যবর্ত্তী বিদেশী তোমার থেকে আরো উন্নত হবে ও তুমি আরো অবনত হবে।
তোমাদের মধ্যে বসবাসকারী অন্যান্য জাতির লোকেরা দিন দিন তোমাদের উপরে উন্নতি করবে, কিন্তু তোমরা নিচে নামতে থাকবে।
44 ৪৪ সে তোমাকে ঋণ দেবে, কিন্তু তুমি তাকে ঋণ দেবে না; সে মাথার মতো হবে ও তুমি লেজের মতো হবে।
তারা তোমাদের ঋণ দেবে, কিন্তু তোমরা তাদের ঋণ দিতে পারবে না। তারা থাকবে তোমাদের মাথার উপরে, কিন্তু তোমরা থাকবে তাদের পায়ের তলায়।
45 ৪৫ এই সমস্ত অভিশাপ তোমার ওপরে আসবে, তোমার অনুসরণ করে তোমার ধ্বংস পর্যন্ত তোমার থেকে এগিয়ে যাবে; কারণ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে সব আজ্ঞা ও বিধি দিয়েছেন, তুমি সে সব পালনের জন্যে তাঁর রবে কান দিলে না।
এই সমস্ত অভিশাপ তোমাদের উপরে নেমে আসবে। তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বাধ্য না হওয়ার দরুন এবং তিনি যেসব আজ্ঞা ও অনুশাসন দিয়েছেন তা পালন না করার দরুন এসব অভিশাপ তোমাদের পিছনে তাড়া করে আসবে ও তোমাদের মধ্যে থাকবে যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হও।
46 ৪৬ এ সব তোমার ও চিরকাল তোমার বংশের উপরে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণের মতো থাকবে।
এই সমস্ত তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের কাছে চিরকাল আশ্চর্য চিহ্ন এবং আশ্চর্য কাজ হিসেবে থাকবে।
47 ৪৭ কারণ সমৃদ্ধির জন্য তুমি আনন্দে এবং উল্লাসে নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দাসত্ব করতে না;
যেহেতু তোমাদের সমৃদ্ধির সময়ে তোমরা আনন্দের সঙ্গে তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করোনি,
48 ৪৮ এই জন্য সদাপ্রভু তোমার বিরুদ্ধে যে শত্রুদেরকে পাঠাবেন, তুমি খিদেতে, তৃষ্ণায়, উলঙ্গতায় ও সব বিষয়ের অভাব ভোগ করতে করতে তাদের দাসত্ব করবে এবং যে পর্যন্ত তিসদাপ্রভু নি তোমার ধ্বংস না করেন, সে পর্যন্ত সদাপ্রভু তিনি তোমার ঘাড়ে লোহার যোঁয়ালি দিয়ে রাখবেন।
সেইজন্য ক্ষুধায় ও তৃষ্ণায়, উলঙ্গতায় ও দারিদ্র্যে তোমরা তোমাদের শত্রুদের সেবা করবে যাদের সদাপ্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে পাঠাবেন। যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হও তিনি তোমাদের ঘাড়ে লোহার জোয়াল চাপিয়ে রাখবেন।
49 ৪৯ সদাপ্রভুর তোমার বিরুদ্ধে বহু দূর থেকে, পৃথিবীর শেষ থেকে এক জাতিকে আনবেন; যেমন ঈগল পাখি উড়ে আসে, সে সেইভাবে আসবে; সেই জাতির ভাষা তুমি বুঝতে পারবে না।
সদাপ্রভু দূর থেকে, পৃথিবীর শেষ সীমানা থেকে এমন এক জাতিকে তোমাদের বিরুদ্ধে নিয়ে আসবেন, যেমন ঈগল পাখি উড়ে আসে, আর তোমরা তাদের ভাষা বুঝবে না।
50 ৫০ সেই জাতি ভয়ঙ্কর মুখ, সে বয়স্ককে শ্রদ্ধা করবে না ও বালকের প্রতি দয়া করবে না।
সেই জাতি হিংস্র চেহারার যারা বয়স্কদের সম্মান করবে না কিংবা ছোটদের প্রতি করুণা দেখাবে না।
51 ৫১ আর যে পর্যন্ত তোমার ধ্বংস না হবে, ততক্ষণ সে তোমার পশুর ফল ও তোমার ভূমির ফল খাবে; যতক্ষণ সে তোমার ধ্বংস সম্পন্ন না করবে, ততক্ষণ তোমার জন্য শস্য, আঙ্গুর রস কিংবা তেল, তোমার গরুর বাচ্চা কিংবা তোমার মেষীর শাবক বাকি রাখবে না।
তারা তোমাদের পশুপালের শাবকগুলি ও ক্ষেতের ফসল খেয়ে ফেলবে যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হও। তারা তোমাদের কোনও শস্য, নতুন দ্রাক্ষারস কিংবা জলপাই কিংবা গরুর বাছুর বা মেষশাবক অবশিষ্ট রাখবে না যতক্ষণ না তোমরা ধ্বংস হও।
52 ৫২ আর তোমার সব দেশে যে সব উঁচু ও সুরক্ষিত দেওয়ালে তুমি বিশ্বাস করতে, সে সব যতক্ষণ ভূমিসাৎ না হবে, ততক্ষণ সে তোমার সব শহরের দরজায় তোমাকে অবরোধ করবে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া তোমার সমস্ত দেশে সব শহরের দরজায় সে তোমাকে অবরোধ করবে।
তারা তোমাদের নগরগুলি ঘিরে রাখবে আর শেষ পর্যন্ত তোমাদের উঁচু প্রাচীরগুলি ভেঙে পড়বে যার উপর তোমরা এত ভরসা করছ। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেই দেশের সমস্ত নগর তারা ঘেরাও করে রাখবে।
53 ৫৩ আর যখন তোমার শত্রুদের মাধ্যমে তুমি অবরুদ্ধ ও কষ্ট পাবে, তখন তুমি নিজের শরীরের ফল, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া নিজের ছেলে মেয়েদের মাংস খাবে।
শত্রুরা নগরগুলি ঘিরে রাখবার সময় এমন কষ্ট দেবে যে, তোমরা তোমাদের নিজেদের সন্তানদের খাবে, অর্থাৎ তোমরা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দেওয়া ছেলেমেয়েদের মাংস খাবে।
54 ৫৪ যখন সব শহরের দরজায় শত্রুদের মাধ্যমে তুমি অবরুদ্ধ ও কষ্ট পাবে, তখন তোমার মধ্যে যে পুরুষ কোমল ও খুব বিলাসী, নিজের ভাইয়ের, তার প্রিয় স্ত্রী ও বাকি ছেলে মেয়েদের প্রতি সে ঈর্ষাপূর্ণ যে,
এমনকি তোমাদের মধ্যে সব থেকে নম্র ও সংবেদনশীল লোকেরও তার নিজের ভাই কিংবা স্ত্রী যাকে সে ভালোবাসে কিংবা তার জীবিত সন্তানদের প্রতি কোনও দয়ামায়া থাকবে না,
55 ৫৫ সে তাদের কাউকেও নিজের ছেলে মেয়েদের মাংসের কিছুই দেবে না; তার কিছুমাত্র বাকি না থাকার জন্য সে তাদেরকে খাবে।
আর সে যে সন্তানের মাংস খাবে তার একটুও সে অন্যদের দেবে না। শত্রুরা যখন তোমাদের নগর ঘেরাও করে রেখে তোমাদের কষ্ট দেবে তখন এছাড়া আর কোনও খাবারই তার কাছে থাকবে না।
56 ৫৬ যখন সব শহরের দরজায় শত্রুদের মাধ্যমে তুমি অবরুদ্ধ ও কষ্ট পাবে তখন যে স্ত্রী কোমলতা ও বিলাসিতার জন্য নিজের পা মাটিতে রাখতে সাহস করত না, তোমার মাঝে এমন কোমল ও বিলাসী মহিলার চোখ নিজের স্বামীর, নিজের ছেলে ও মেয়ের ওপরে,
তোমাদের মধ্যে সব থেকে নম্র ও সংবেদনশীল স্ত্রীলোক—সংবেদনশীল ও নম্র যারা নিজের পা মাটিতে ফেলতে চাইবে না—সেও তার প্রিয় স্বামী ও তার ছেলেমেয়েদের প্রতি রুষ্ট হবে যে
57 ৫৭ এমন কি, নিজের দুই পায়ের মধ্য থেকে বের হওয়া সদ্যোজাত ও নিজের প্রসবিত শিশুদের ওপরে অত্যাচার করবে; কারণ সব কিছুর অভাবের জন্য সে এদেরকে গোপনে খাবে।
তার গর্ভের ফল এবং যাদের সে জন্ম দিয়েছে। কারণ তার ভীষণ প্রয়োজনে সে গোপনে তাদের খাবে যেহেতু শত্রুরা তোমাদের নগর ঘিরে রেখে তোমাদের কষ্টের মধ্যে ফেলবে।
58 ৫৮ তুমি যদি এই বইতে লেখা নিয়মের সমস্ত কথা যত্ন সহকারে পালন না কর; এভাবে যদি “তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু” এই গৌরবান্বিত ও ভয়াবহ নামকে ভয় না কর;
এই পুস্তকে যে সমস্ত বিধানের কথা লেখা আছে, সেগুলি যদি যত্নের সঙ্গে পালন না করো, এবং—তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর—গৌরবময় ও চমৎকার নামকে সম্মান ও ভয় না করো
59 ৫৯ তবে সদাপ্রভু তোমাকে ও তোমার বংশকে ভয়ঙ্কর মহামারী দেবেন; ফলে অনেক দিন স্থায়ী মহাঘাত ও অনেক দিন স্থায়ী কঠিন রোগ দেবেন।
সদাপ্রভু তোমাদের ও তোমাদের বংশধরদের প্রতি ভয়ানক মহামারি, কঠোর ও দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ এবং গুরুতর এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা পাঠাবেন।
60 ৬০ আর তুমি যা থেকে ভয় পেতে, সেই মিশরীয় সব রোগ আবার তোমার উপরে আনবেন; সে সব তোমার সঙ্গী হবে।
মিশরে যে সমস্ত অসুখ দেখে তোমরা ভয় পেতে সেগুলি তিনি তোমাদের মধ্যে দেবেন এবং সেগুলি তোমাদের আঁকড়ে থাকবে।
61 ৬১ আর যা এই নিয়মের বইয়ে লেখা নেই, এমন প্রত্যেক রোগ ও আঘাত সদাপ্রভু তোমার ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তোমার উপরে আনবেন।
এই বিধানপুস্তকে লেখা নেই এমন সব রোগ ও আঘাত তোমরা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত সদাপ্রভু তোমাদের উপরে আনবেন।
62 ৬২ তাতে আকাশের তারার মতো বহুসংখ্যক ছিলে যে তোমরা, তোমরা কিছু সংখ্যক বাকি থাকবে; কারণ তুমি নিজের ঈশ্বর সদাপ্রভুর রবে কান দিতে না।
তোমাদের লোকসংখ্যা আকাশের তারার মতো হলেও তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি অবাধ্যতার দরুন তোমরা তখন মাত্র অল্প কয়েকজনই বেঁচে থাকবে।
63 ৬৩ আর তোমাদের ভালো ও বহুগুণ করতে যেমন সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে আনন্দ করতেন, সেরকম তোমাদের ধ্বংস ও বিনষ্ট করতে সদাপ্রভু তোমাদের বিষয়ে আনন্দ করবেন এবং তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, সেখান থেকে তোমরা অপহৃত হবে।
যে আনন্দে সদাপ্রভু তোমাদের মঙ্গল করেছেন এবং তোমাদের লোকসংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন, তেমনি তিনি তোমাদের সর্বনাশ ও ধ্বংস করে আনন্দ পাবেন। যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ সেখান থেকে তোমরা নির্মূল হবে।
64 ৬৪ আর সদাপ্রভু তোমাকে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সব জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন; সেই জায়গায় তুমি নিজের ও নিজের পূর্বপুরুষদের অজানা অন্য দেবতাদের, কাঠ ও পাথরের সেবা করবে।
তারপর সদাপ্রভু তোমাদের সমস্ত জাতির মধ্যে ছড়িয়ে দেবেন, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। সেখানে তোমরা অন্যান্য দেবতাদের উপাসনা করবে—কাঠ এবং পাথরের তৈরি দেবতা, যাদের তোমরা কিংবা তোমাদের পূর্বপুরুষেরা জানতে না।
65 ৬৫ আর তুমি সেই জাতিদের মধ্যে কিছু সুখ পাবে না ও তোমার পায়ের জন্য বিশ্রামের জায়গা থাকবে না, কিন্তু সদাপ্রভু সেই জায়গায় তোমাকে হৃদয়ের কম্পতা, চোখের ক্ষীণতা ও প্রাণের শোক দেবেন।
সেই জাতিদের মধ্যে তোমরা শান্তি পাবে না, আর তোমাদের পায়ের গোড়ালি রাখার কোনও জায়গা থাকবে না। সেখানে সদাপ্রভু তোমাদের মনে দুশ্চিন্তা, আশা করে চেয়ে থাকা চোখ এবং এক হতাশার হৃদয় দেবেন।
66 ৬৬ আর তোমার জীবন তোমার দৃষ্টিতে সংশয়ে ঝুলে থাকবে এবং তুমি দিন রাত ভয় করবে ও নিজের জীবনের বিষয়ে তোমার বিশ্বাস থাকবে না।
তোমরা নিয়মিত উদ্বেগে থাকবে, দিন এবং রাত উভয় সময়ই ভয় পাবে, তোমাদের জীবন নিয়ে কখনও নিশ্চিত হবে না।
67 ৬৭ তুমি হৃদয়ে যে ভয় করবে ও চোখে যে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখবে, তার জন্য সকালে বলবে, হায় হায়, কখন সন্ধ্যা হবে? এবং সন্ধ্যাবেলায় বলবে, হায় হায়, কখন সকাল হবে?
সকালে তোমরা বলবে, “যদি এখন সন্ধ্যা হত!” এবং সন্ধ্যায় বলবে, “যদি এখন সকাল হত!” কারণ আতঙ্কে তোমাদের মন ভরে থাকবে এবং তোমরা যে দৃশ্য স্বচক্ষে দেখবে।
68 ৬৮ আর যে পথের বিষয়ে আমি তোমাকে বলেছি, তুমি তা আর দেখবে না, সদাপ্রভু সেই মিশর দেশের পথে জাহাজে করে তোমাকে আবার নিয়ে যাবেন এবং সেই জায়গায় তোমরা দাসদাসীরূপে নিজের শত্রুদের কাছে বিক্রীত হতে চাইবে; কিন্তু কেউ তোমাদেরকে কিনবে না।
মিশরে যাওয়ার সম্বন্ধে আমি তোমাদের বলেছিলাম যে, সেই পথে আর তোমাদের যেতে হবে না, কিন্তু সদাপ্রভু জাহাজে করে তোমাদের মিশরে ফেরত পাঠাবেন। সেখানে তোমরা তোমাদের শত্রুদের কাছে নিজেদের দাস এবং দাসী হিসেবে বিক্রি করতে চাইবে, কিন্তু কেউ তোমাদের কিনবে না।

< দ্বিতীয় বিবরণ 28 >