< প্রেরিত 9 >

1 শৌল তখনও প্রভুর শিষ্যদের ভয় দেখাতেন ও হত্যা করছিলেন, তিনি প্রধান মহাযাজকদের কাছে গিয়েছিলেন এবং,
এর মধ্যে শৌল তখনও তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে ভয় দেখাচ্ছিলেন ও প্রভুর শিষ্যদের হত্যা করতে উদ্যত ছিলেন। তিনি মহাযাজকের কাছে গিয়ে
2 দম্মেশকস্থ সমাজ সকলের জন্য চিঠি চাইলেন, যেন তিনি সেই পথে যাওয়া পুরুষ ও স্ত্রী যেসব লোককে পাবেন, তাদের বেঁধে যিরুশালেমে নিয়ে আসতে পারেন।
দামাস্কাসের সমাজভবনগুলির উদ্দেশে তাঁর কাছে কয়েকটি পত্র লিখে দিতে অনুরোধ করলেন, যেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সেই পথের অনুসারী যদি কাউকে দেখতে পান, তাদেরকে বন্দি করে জেরুশালেমে নিয়ে আসতে পারেন।
3 যখন যাচ্ছিলেন, আর দম্মেশকের নিকটে যখন পৌঁছলেন, হঠাৎ আকাশ হতে আলো তার চারিদিকে চমকিয়ে উঠল।
দামাস্কাসে যাওয়ার পথে, যখন তিনি সে নগরের কাছে পৌঁছালেন, হঠাৎই আকাশ থেকে এক আলো তাঁর চারপাশে দ্যুতিমান হয়ে উঠল।
4 এবং তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন আর এমন বাণী শুনলেন শৌল, শৌল, কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছ?
তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন ও এক কণ্ঠস্বর শুনতে পেলেন তাঁকে বলছে, “শৌল, শৌল, তুমি কেন আমাকে নির্যাতন করছ?”
5 তিনি বললেন, “প্রভু, তুমি কে?” প্রভু বললেন, আমি যীশু, যাকে তুমি কষ্ট দিচ্ছ;
শৌল জিজ্ঞাসা করলেন, “প্রভু, আপনি কে?” তিনি উত্তর দিলেন, “আমি যীশু, যাঁকে তুমি নির্যাতন করছ।
6 কিন্তু ওঠ, শহরে প্রবেশ কর, তোমাকে কি করতে হবে, তা বলা হবে।
এখন ওঠো, আর নগরের মধ্যে প্রবেশ করো। তোমাকে যা করতে হবে, তা তোমাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
7 আর তাঁর সাথীরা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল এবং ঐ বাণী তারা শুনল কিন্তু তারা কোনোও কিছুই দেখতে পেল না।
শৌলের সহযাত্রীরা নির্বাক হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে রইল। তারা সেই শব্দ শুনলেও কাউকে দেখতে পেল না।
8 শৌল পরে মাটি হইতে উঠলেন, কিন্তু যখন চোখ খুললে তিনি কিছুই দেখতে পেলেন না; আর তার সঙ্গীরা তাঁর হাত ধরে তাঁকে দম্মেশক শহরে নিয়ে গেল।
শৌল মাটি থেকে উঠে দাঁড়ালেন, কিন্তু তিনি চোখ খুললে পর কিছুই দেখতে পেলেন না। তাই তারা তাঁর হাত ধরে তাঁকে দামাস্কাসে নিয়ে গেল।
9 আর তিনি তিনদিন অবধি কোনোও কিছুই দেখতে পেলেন না এবং কিছুই খেলেন না বা পান করলেন না।
তিন দিন যাবৎ তিনি দৃষ্টিহীন রইলেন, খাবার বা পানীয় কিছুই গ্রহণ করলেন না।
10 ১০ দম্মেশকে অননিয় নামে একজন শিষ্য ছিলেন। প্রভু তাঁকে দর্শনের মাধ্যমে বললেন, “অনণীয়।” তিনি বললেন, প্রভু, “দেখ আমি এখানে,”
দামাস্কাসে অননিয় নামে একজন শিষ্য ছিলেন। প্রভু এক দর্শনের মাধ্যমে তাঁকে ডাক দিলেন, “অননিয়!” তিনি উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ প্রভু, দেখুন, এই আমি!”
11 ১১ প্রভু তখন তাঁকে বললেন “উঠ এবং সরল নামক রাস্তায় গিয়ে যিহূদার বাড়িতে তার্স শহরে শৌল নামক এক ব্যক্তির খোঁজ কর; কারণ তিনি প্রার্থনা করছেন;”
প্রভু তাঁকে বললেন, “তুমি সরল নামক রাস্তায় অবস্থিত যিহূদার বাড়িতে যাও এবং তার্ষ নগরের শৌল নামে এক ব্যক্তির সন্ধান করো, কারণ সে প্রার্থনা করছে।
12 ১২ শৌল দর্শন দেখলেন যে, “অননিয় নামে এক ব্যক্তি এসে তাঁর উপর হাত রাখলেন যেন সে পুনরায় দেখতে পায়।”
এক দর্শনে সে দেখেছে যে, অননিয় নামে এক ব্যক্তি এসে তার উপরে হাত রাখলেন, যেন সে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়।”
13 ১৩ অননিয় উত্তরে বললেন, প্রভু, আমি অনেকের কাছ থেকে এই ব্যক্তির বিষয় শুনেছি, সে যিরুশালেমে তোমার মনোনীত পবিত্র লোকদের প্রতি কত নির্যাতন করেছে;
অননিয় উত্তর দিলেন, “প্রভু, আমি এই লোকটি সম্পর্কে বহু অভিযোগ এবং জেরুশালেমে তোমার পবিত্রগণের যে সমস্ত ক্ষতি করেছে, তা আমি শুনেছি।
14 ১৪ এই জায়গাতেও যত লোক তোমার নামে ডাকে, সেই সব লোককে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা সে প্রধান যাজকদের কাছ থেকে পেয়েছে।
আবার এখানেও যারা তোমার নামে ডাকে, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করার জন্য সে প্রধান যাজকদের কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়ে এসেছে।”
15 ১৫ কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, তুমি যাও, কারণ অযিহুদিদের ও রাজাদের এবং ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে আমার নাম বহন করার জন্য সে আমার মনোনীত ব্যক্তি;
কিন্তু প্রভু অননিয়কে বললেন, “তুমি যাও! অইহুদি সব জাতি ও তাদের রাজাদের কাছে এবং ইস্রায়েলী জনগণের কাছে আমার নাম প্রচার করার জন্য সে আমার মনোনীত পাত্র।
16 ১৬ কারণ আমি তাঁকে দেখাবো, আমার নামের জন্য তাঁকে কত কষ্টভোগ করতে হবে।
আমি তাকে দেখাব যে আমার নামের জন্য তাকে কত কষ্টভোগ করতে হবে।”
17 ১৭ সুতরাং অননিয় চলে গেলেন এবং সেই বাড়িতে গিয়ে তাঁর উপর হাত রেখে বললেন, ভাই শৌল, প্রভু যীশু, যিনি তোমার আসবার পথে তোমাকে দেখা দিয়েছিলেন, তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, যেন তুমি আবার দৃষ্টি ফিরে পাও এবং পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হও।
অননিয় তখন সেই বাড়ির উদ্দেশে চলে গেলেন এবং সেখানে প্রবেশ করলেন। শৌলের উপরে হাত রেখে তিনি বললেন, “ভাই শৌল, প্রভু যীশু, যিনি তোমার আসার সময় পথে তোমাকে দর্শন দিয়েছেন, তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, যেন তুমি দৃষ্টি ফিরে পাও ও পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হও।”
18 ১৮ আর সেই মূহুর্তে তাঁর চক্ষু থেকে যেন একটা মাছের আঁশ পড়ে গেল এবং তিনি দৃষ্টি ফিরে পেলেন এবং উঠে বাপ্তিষ্ম নিলেন;
সঙ্গে সঙ্গে, আঁশের মতো কোনো বস্তু শৌলের দু-চোখ থেকে পড়ে গেল এবং তিনি আবার দেখতে লাগলেন। তিনি উঠে বাপ্তাইজিত হলেন,
19 ১৯ পরে তিনি খেলেন এবং শক্তি পেলেন। আর তিনি দম্মেশকের শিষ্যদের সাথে কিছুদিন থাকলেন;
এবং পরে কিছু খাবার খেয়ে তাঁর শক্তি ফিরে পেলেন। শৌল কয়েক দিন দামাস্কাসে শিষ্যদের সঙ্গে সময় কাটালেন।
20 ২০ সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সমাজঘরে গিয়ে যীশুর বাণী প্রচার করতে লাগলেন, যে তিনিই ঈশ্বরের পুত্র।
দেরি না করে তিনি সমাজভবনগুলিতে প্রচার করতে লাগলেন যে, যীশুই ঈশ্বরের পুত্র।
21 ২১ আর যারা তাঁর কথা শুনল, তারা সবাই আশ্চর্য্য হলো, বলতে লাগল, একি সেই লোকটি নয়, যে, যারা যিরুশালেমে যীশুর নামে ডাকত তাদের উচ্ছেদ করে দিতো? এবং সে এখানে এসেছেন যেন তাদের বেঁধে প্রধান যাজকদের কাছে নিয়ে যায়।
যারা তাঁর কথা শুনল, তারা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল, “এ কি সেই ব্যক্তি নয় যে জেরুশালেমে তাদের সর্বনাশ করেছিল যারা যীশুর নামে ডাকে, এবং তাদের বন্দি করে প্রধান যাজকদের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্যই কি সে এখানে আসেনি?”
22 ২২ কিন্তু শৌল দিন দিন শক্তি পেলেন এবং দম্মেশকে বসবাসকারী ইহুদীদের উত্তর দেবার পথ দিলেন না এবং প্রমাণ দিতে লাগলেন যে ইনিই সেই খ্রীষ্ট।
কিন্তু শৌল শক্তিতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে লাগলেন এবং যীশুই যে মশীহ, দামাস্কাসবাসী ইহুদিদের কাছে তা প্রমাণ করে তাদের হতবুদ্ধি করে দিলেন।
23 ২৩ আর অনেকদিন পার হয়ে গেলে, ইহুদীরা তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করলো;
এভাবে অনেকদিন কেটে যাওয়ার পর ইহুদিরা তাঁকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করল।
24 ২৪ কিন্তু শৌল তাদের চালাকি পরিকল্পনা জানতে পারলেন। আর তারা যেন তাঁকে মেরে ফেলতে পারে সেজন্য দিন রাত নগরের দরজায় পাহারা দিতে লাগল।
কিন্তু শৌল তাদের পরিকল্পনার কথা জানতে পারলেন। তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তারা দিনরাত নগরদ্বারগুলিতে সতর্ক পাহারা দিতে লাগল।
25 ২৫ কিন্তু তাঁর শিষ্যরা রাতে তাঁকে নিয়ে একটি ঝুড়িতে করে পাঁচিলের উপর দিয়ে বাইরে নামিয়ে দিল।
কিন্তু তাঁর অনুগামীরা একটি বড়ো ঝুড়িতে করে প্রাচীরের একটি ছিদ্রের মধ্য দিয়ে রাত্রিবেলা তাঁকে নামিয়ে দিলেন।
26 ২৬ পরে তিনি যখন যিরুশালেমে পৌঁছে শিষ্যদের সঙ্গে যোগ দিতে চেষ্টা করলেন, সকলে তাঁকে ভয় করলো, তিনি যে শিষ্য তা বিশ্বাস করল না।
তিনি যখন জেরুশালেমে এলেন, তিনি শিষ্যদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু তাঁরা সকলেই তাঁর সম্পর্কে ভীত হলেন, বিশ্বাস করতে চাইলেন না যে, তিনি প্রকৃতই শিষ্য হয়েছেন।
27 ২৭ তখন বার্ণবা তার হাত ধরে প্রেরিতদের কাছে নিয়ে গেলেন এবং পথের মধ্যে কীভাবে প্রভুকে দেখতে পেয়েছিলেন, ও প্রভু যে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং কিভাবে তিনি দম্মেশকে যীশুর নামে সাহসের সঙ্গে প্রচার করেছিলেন, এসব তাঁদের কাছে বললেন।
কিন্তু বার্ণবা তাঁর হাত ধরে তাঁকে প্রেরিতশিষ্যদের কাছে নিয়ে গেলেন। তিনি তাঁদের বললেন, শৌল কীভাবে তাঁর যাত্রাপথে প্রভুর দর্শন লাভ করেছেন এবং প্রভু তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন, আবার দামাস্কাসে তিনি কেমন সাহসের সঙ্গে যীশুর নামে প্রচার করেছেন।
28 ২৮ আর শৌল যিরুশালেমে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন এবং ভিতরে ও বাইরে যাওয়া আসা করতেন, প্রভুর নামে সাহসের এর সঙ্গে প্রচার করলেন,
এভাবে শৌল তাঁদের সঙ্গে থেকে গেলেন। তিনি স্বচ্ছন্দে জেরুশালেমে এদিক-ওদিক যাতায়াত করতে লাগলেন, প্রভুর নামে সাহসের সঙ্গে কথা বলতে লাগলেন।
29 ২৯ আর তিনি গ্রীক ভাষাবাদী ইহুদীদের সঙ্গে কথাবার্তা ও তর্ক করতেন; কিন্তু তারা তাঁকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করতে লাগল।
তিনি গ্রিকভাষী ইহুদিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ও তর্কবিতর্কে যুক্ত হলেন, কিন্তু তারা তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করল।
30 ৩০ যখন ভাইয়েরা এটা জানতে পারল, তাঁকে কৈসরিয়াতে নিয়ে গেলেন এবং সেখান থেকে তার্স নগরে পাঠিয়ে দিলেন।
বিশ্বাসী ভাইয়েরা যখন একথা জানতে পারলেন, তাঁরা তাঁকে কৈসরিয়ায় নিয়ে গেলেন এবং সেখান থেকে তার্ষে পাঠিয়ে দিলেন।
31 ৩১ সুতরাং তখন যিহূদীয়া, গালীল ও শমরিয়ার সব জায়গায় মণ্ডলী শান্তি ভোগ ও বৃদ্ধি পেতে লাগল এবং প্রভুর ভয়ে ও পবিত্র আত্মার সান্ত্বনায় চলতে চলতে মণ্ডলী সংখ্যায় অনেক হয়ে উঠল।
এরপরে যিহূদিয়া, গালীল ও শমরিয়ার সর্বত্র মণ্ডলীগুলি শান্তি উপভোগ করতে লাগল ও শক্তিশালী হতে লাগল। তারা প্রভুর ভয়ে দিন কাটিয়ে ও পবিত্র আত্মার দ্বারা প্রেরণা লাভ করে সংখ্যায় বৃদ্ধিলাভ করল।
32 ৩২ আর পিতর সব স্থানে ঘুরতে ঘুরতে লুদ্দা শহরে বসবাসকারী পবিত্র লোকদের কাছে গেলেন।
পিতর যখন দেশের সর্বত্র যাতায়াত করছিলেন, তিনি লুদ্দায় পবিত্রগণের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।
33 ৩৩ সেখানে তিনি ঐনিয় নামে এক ব্যক্তির দেখা পান, সে আট বছর বিছানায় ছিল, কারণ তার পক্ষাঘাত (অবসাঙ্গতা) হয়েছিল।
সেখানে তিনি ঐনিয় নামে এক ব্যক্তির সন্ধান পেলেন, সে ছিল পক্ষাঘাতগ্রস্ত ও আট বছর যাবৎ শয্যাশায়ী।
34 ৩৪ পিতর তাকে বললেন, ঐনিয়, যীশু খ্রীষ্ট তোমাকে সুস্থ করলেন, ওঠ এবং তোমার বিছানা পাত। তাতে সে তখনই উঠল।
পিতর তাকে বললেন, “ঐনিয়, যীশু খ্রীষ্ট তোমার সুস্থ করছেন। তুমি ওঠো ও তোমার বিছানা গুটিয়ে নাও।” ঐনিয় সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়াল।
35 ৩৫ তখন লুদ্দা ও শারণে বসবাসকারী সব লোক তাকে দেখতে পেল এবং তারা প্রভুর প্রতি ফিরল।
লুদ্দা ও শারোণ-নিবাসী সব মানুষ তাকে সুস্থ দেখতে পেল ও প্রভুকে গ্রহণ করল।
36 ৩৬ আর যোফা শহরে এক শিষ্যা ছিল তার নাম টাবিথা, অনুবাদ করলে এই নামের অর্থ দর্কা (হরিণী); তিনি গরিবদের জন্য নানান সৎ কাজ ও দান করতেন।
জোপ্পায় টাবিথা নামে এক মহিলা শিষ্য ছিলেন (এই নামের অনূদিত অর্থ, দর্কা); তিনি সবসময় সৎকর্ম করতেন ও দরিদ্রদের সাহায্য করতেন।
37 ৩৭ সেই দিন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান; সেখানকার লোকেরা তাঁকে স্নান করালেন এবং ওপরের ঘরে শুইয়ে রাখলেন।
সেই সময় তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান। তাঁর শরীর ধুয়ে দিয়ে উপরতলার একটি ঘরে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
38 ৩৮ আর লুদ্দা যাফোর কাছাকাছি হওয়াতে এবং পিতর লুদ্দায় আছেন শুনে, শিষ্যরা তাঁর কাছে দুই জন লোক পাঠিয়ে এই বলে অনুরোধ করলেন, “কোনোও দেরি না করে আমাদের এখানে আসুন।”
লুদ্দা জোপ্পার কাছেই ছিল, তাই শিষ্যেরা যখন শুনল যে, পিতর লুদ্দায় আছেন, তারা তাঁর কাছে দুজন লোককে পাঠিয়ে মিনতি করল, “অনুগ্রহ করে আপনি এখনই চলে আসুন!”
39 ৩৯ আর পিতর উঠে তাদের সঙ্গে চললেন। যখন তিনি পৌঁছলেন, তারা তাঁকে উপরের ঘরে নিয়ে গেল। আর সব বিধবারা তাঁর চারিদিকে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকলো এবং দর্কা তাদের সঙ্গে থাকার দিন যে সমস্ত আঙরাখা ও বস্ত্র তৈরি করেছিলেন, সেই সমস্ত দেখাতে লাগলো।
পিতর তাদের সঙ্গে গেলেন। তিনি সেখানে পৌঁছালে তাঁকে উপরতলার সেই ঘরে নিয়ে যাওয়া হল। বিধবারা কাঁদতে কাঁদতে তাঁর চারপাশে দাঁড়িয়েছিল, দর্কা তাদের সঙ্গে থাকার সময় যে সমস্ত আলখাল্লা ও অন্যান্য পোশাক তৈরি করেছিলেন, সেসব তাঁকে দেখাতে লাগল।
40 ৪০ তখন পিতর সবাইকে ঘরের বাইরে বের করে দিলেন, হাঁটু পাতলেন এবং প্রার্থনা করলেন, তারপর সেই মৃতদেহের দিকে ফিরে তিনি বললেন, “টাবিথা ওঠ।” তাতে তিনি চোখ খুললেন এবং পিতরকে দেখে উঠে বসলেন।
পিতর তাদের সবাইকে সেই ঘর থেকে বের করে দিলেন। তারপর তিনি নতজানু হয়ে প্রার্থনা করলেন। মৃত মহিলার দিকে ফিরে তিনি বললেন, “টাবিথা, ওঠো।” তিনি তাঁর চোখ খুললেন এবং পিতরকে দেখে উঠে বসলেন।
41 ৪১ তখন পিতর হাত দিয়ে তাকে ওঠালেন এবং বিশ্বাসীদের ও বিধবাদের ডেকে তাকে জীবিত দেখালেন।
তিনি তাঁর হাত ধরলেন ও তাঁর দু-পায়ে ভর দিয়ে তাঁকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করলেন। তারপর তিনি সব বিধবা ও অন্য বিশ্বাসীদের ডেকে তাদের কাছে তাঁকে জীবিত অবস্থায় উপস্থিত করলেন।
42 ৪২ এই ঘটনা যাফোর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল এবং অনেক লোক প্রভুকে বিশ্বাস করলো।
জোপ্পার সর্বত্র একথা প্রকাশ পেল, আর বহু মানুষ প্রভুর উপরে বিশ্বাস করল।
43 ৪৩ আর পিতর অনেকদিন যাবৎ যাফোতে শিমন নামে একজন চর্ম শিল্পীর বাড়িতে ছিলেন।
পিতর কিছুকাল জোপ্পায় শিমোন নামে এক চর্মকারের বাড়িতে থাকলেন।

< প্রেরিত 9 >