< প্রেরিত 13 >

1 এখন আন্তিয়খিয়ার মণ্ডলীতে বার্ণবা, শিমোন, যাকে নীগের বলা হত কুরীনীয় লুকিয়, মনহেম (যিনি হেরোদ রাজার পালিত ভাই) এবং শৌল, নামে কয়েক জন ভাববাদী ও শিক্ষক ছিলেন।
আন্তিয়খের মণ্ডলীতে কয়েকজন ভাববাদী ও শিক্ষক ছিলেন: বার্ণবা, নিগের নামে আখ্যাত শিমোন, কুরীণ প্রদেশের লুসিয়াস, মনায়েন (ইনি সামন্তরাজ হেরোদের সঙ্গে প্রতিপালিত হয়েছিলেন) ও শৌল।
2 তাঁরা প্রভুর আরাধনা ও উপবাস করছিলেন, এমন দিন পবিত্র আত্মা বললেন, আমি বার্ণবা ও শৌলকে যে কাজের জন্য ডেকেছি, সেই কাজ ও আমার জন্য এদের পৃথক করে রাখো।
তাঁরা যখন প্রভুর উপাসনা ও উপোস করছিলেন, পবিত্র আত্মা বললেন, “বার্ণবা ও শৌলকে আমি যে কাজের জন্য আহ্বান করেছি, সেই কাজের জন্য আমার উদ্দেশ্যে তাদের পৃথক করে দাও।”
3 তখন তাঁরা সভার পর উপবাস ও প্রার্থনা করলেন এবং এই মানুষগুলির উপরে তাঁদের হাত রাখলেন (হস্তার্পণ) ও তাঁদের বিদায় জানালেন।
এভাবে তাঁরা উপোস ও প্রার্থনা শেষ করার পর, তাঁরা তাঁদের উপরে হাত রাখলেন ও তাঁদের বিদায় দিলেন।
4 এই ভাবে পবিত্র আত্মা তাঁদের সিলূকিয়াতে পাঠালেন এবং সেখান থেকে জাহাজে করে কুপ্রে গেলেন।
এইভাবে তাঁরা দুজন পবিত্র আত্মার দ্বারা প্রেরিত হয়ে সিলুকিয়াতে গেলেন এবং সেখান থেকে জাহাজে সাইপ্রাস গেলেন।
5 তাঁরা সালোমী শহরে উপস্থিত হলেন এবং সেখানে ইহুদীদের সমাজঘরে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করতে লাগলেন; এবং যোহন (মার্ক) তাঁদের সহকারী রূপে যোগ দেন।
তাঁরা সালামিতে পৌঁছে ইহুদি সমাজভবনগুলিতে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করলেন। যোহনও তাঁদের সঙ্গে সাহায্যকারীরূপে ছিলেন।
6 তাঁরা সমস্ত দ্বীপ ঘুরে পাফঃ শহরে উপস্থিত হলেন। সেখানে তাঁরা একজন যিহূদী যাদুকর ও ভণ্ড ভাববাদীকে দেখতে পেলেন, তাঁর নাম বর-যীশু;
সম্পূর্ণ দ্বীপটির এদিক-ওদিক যাতায়াত করে তাঁরা পাফোতে পৌঁছালেন। সেখানে তাঁরা বর-যীশু নামে একজন ইহুদি জাদুকর ও ভণ্ড ভাববাদীর সাক্ষাৎ পেলেন।
7 সে রাজ্যপাল সের্গিয় পৌলের সঙ্গে থাকত; তিনি একজন বুদ্ধিমান লোক। তিনি বার্ণবা ও শৌলকে কাছে ডাকলেন ও ঈশ্বরের বাক্য শুনতে চাইলেন।
সে ছিল প্রদেশপাল সের্গীয় পৌলের একজন পরিচারক। প্রদেশপাল ছিলেন একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি। তিনি বার্ণবা ও শৌলকে ডেকে পাঠালেন, কারণ তিনি ঈশ্বরের বাক্য শুনতে চাইছিলেন।
8 কিন্তু ইলুমা, সেই যাদুকর (মায়াবী) (এই ভাবে নামের অনুবাদ করা হয়েছে) তাদের বিরোধিতা করছিল; সে চেষ্টা করছিল যেন রাজ্যপাল বিশ্বাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
কিন্তু ইলুমা, সেই জাদুকর (কারণ সেই ছিল তার নামের অর্থ), তাদের বিরোধিতা করল এবং প্রদেশপালকে বিশ্বাস থেকে ফেরাতে চাইল।
9 কিন্তু শৌল, যাকে পৌল বলা হয়, তিনি পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে তাঁর দিকে একভাবে তাকিয়ে বললেন,
তখন শৌল, যাঁকে পৌল নামেও অভিহিত করা হত, পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে ইলুমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে বললেন,
10 ১০ তুমি সমস্ত ছলচাতুরিতে ও মন্দ অভ্যাসে পূর্ণ, দিয়াবলের (শয়তান) সন্তান, তুমি সব রকম ধার্মিকতার শত্রু, তুমি প্রভুর সোজা পথকে বাঁকা করতে কি থামবে না?
“তুমি দিয়াবলের সন্তান এবং সর্বপ্রকার ধার্মিকতার বিপক্ষ! তুমি সর্বপ্রকার ছলনা ও ধূর্ততায় পরিপূর্ণ। প্রভুর প্রকৃত পথকে বিকৃত করতে তুমি কি কখনোই ক্ষান্ত হবে না?
11 ১১ এখন দেখ, প্রভুর হাত তোমার উপরে আছে, তুমি অন্ধ হয়ে যাবে, কিছুদিন সূর্য্য দেখতে পাবে না। আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উপর এক গভীর অন্ধকার নেমে এলো, তারফলে সে হাত ধরে চালানোর লোকের খোঁজ করতে এদিক ওদিক চলতে লাগল।
এখন প্রভুর হাত তোমার বিপক্ষে রয়েছে। তুমি দৃষ্টিহীন হবে এবং কিছু সময় পর্যন্ত তুমি সূর্যের আলো দেখতে পাবে না।” সঙ্গে সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও অন্ধকার তাকে আচ্ছন্ন করল। সে হাতড়ে বেড়াতে লাগল, খুঁজতে লাগল, কেউ যেন তার হাত ধরে নিয়ে যায়।
12 ১২ তখন প্রাচীন রোমের শাসক সেই ঘটনা ও প্রভুর উপদেশ শুনে আশ্চর্য্য হলেন এবং বিশ্বাস করলেন।
যা ঘটেছে, প্রদেশপাল তা লক্ষ্য করে বিশ্বাস করলেন, কারণ তিনি প্রভুর সম্পর্কিত উপদেশে চমৎকৃত হয়েছিলেন।
13 ১৩ পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা পাফঃ শহর থেকে জাহাজে করে পাম্ফুলিয়া দেশের পর্গা শহরে উপস্থিত হলেন। তখন যোহন (মার্ক) তাদের ছেড়ে চলে গেলেন ও যিরূশালেমে ফিরে গেলেন।
পাফো থেকে পৌল ও তাঁর সঙ্গীরা জাহাজে করে পাম্ফুলিয়ার পর্গা নগরে গেলেন। সেখানে যোহন তাঁদের ছেড়ে দিয়ে জেরুশালেমে ফিরে গেলেন।
14 ১৪ কিন্তু তাঁরা পর্গা থেকে এগিয়ে পিষিদিয়া দেশের আন্তিয়খিয়া শহরে উপস্থিত হলেন; এবং বিশ্রামবারে (সপ্তাহের শেষ দিন) তাঁরা সমাজঘরে গিয়ে বসলেন।
পর্গা থেকে তাঁরা গেলেন পিষিদিয়ার আন্তিয়খে। বিশ্রামদিনে তাঁরা সমাজভবনে প্রবেশ করে আসন গ্রহণ করলেন।
15 ১৫ ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের বই পাঠ সমাপ্ত হলে পর সমাজঘরের নেতারা তাঁদের কাছে একটা বার্তা পাঠালেন এবং বললেন ভাইয়েরা, লোকেদের কাছে শিক্ষা দেওয়ার যদি কিছু থাকে আপনারা বলুন।
বিধানশাস্ত্র ও ভাববাদী গ্রন্থ পাঠ করা হলে পর, সমাজভবনের অধ্যক্ষেরা তাঁদের কাছে বলে পাঠালেন, “ভাইরা, জনগণের জন্য আপনাদের কাছে যদি কোনও উৎসাহ দেওয়ার বার্তা থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে বলুন।”
16 ১৬ তখন পৌল দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে বলতে লাগলেন, হে ইস্রায়েলের লোকেরা, হে ঈশ্বরের ভয়কারীরা, শুনুন।
পৌল উঠে দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে ইঙ্গিত করলেন ও বললেন, “হে ইস্রায়েলবাসী ও ঈশ্বরের উপাসক অইহুদি জনগণ, আমার কথা শোনো।
17 ১৭ এই ইস্রায়েল জাতির ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের মনোনীত করেছেন এবং এই জাতি যখন মিশর দেশে প্রবাস করছিল, তখন তাদেরকে উন্নত (বংশ বৃদ্ধি) করলেন এবং তাঁর শক্তি দিয়ে তাদেরকে বার করে আনলেন।
ইস্রায়েল জাতির ঈশ্বর আমাদের পিতৃপুরুষদের মনোনীত করেছিলেন, মিশরে তাদের থাকার সময়ে তিনিই তাদের সমৃদ্ধ করেছিলেন। মহাপরাক্রমের সঙ্গে তিনি সেদেশ থেকে তাদের বের করেও এনেছিলেন।
18 ১৮ আর তিনি মরূপ্রান্তে প্রায় চল্লিশ বছর তাঁদের ব্যবহার সহ্য করলেন।
চল্লিশ বছর পর্যন্ত মরুপ্রান্তরে তিনি তাদের আচরণ সহ্য করেছিলেন।
19 ১৯ পরে তিনি কনান দেশের সাত জাতিকে উচ্ছেদ করলেন ও ইস্রায়েল জাতিকে সেই সমস্ত জাতির দেশ দিলেন। এই ভাবে চারশো পঞ্চাশ বছর কেটে যায়।
কনানে সাতটি জাতিকে উৎখাত করে তিনি অধিকাররূপে তাদের দেশ তাঁর প্রজাদের দান করেছিলেন।
20 ২০ এর পরে শমুয়েল ভাববাদীর দিন পর্যন্ত তাদের কয়েক জন বিচারক দিলেন।
এসব সম্পন্ন হতে প্রায় চারশো পঞ্চাশ বছর লেগেছিল। “এরপর, ভাববাদী শমূয়েলের আমল পর্যন্ত ঈশ্বর তাদের জন্য বিচারকর্তৃগণ দিলেন।
21 ২১ তারপরে তারা একজন রাজা চাইল, তারফলে ঈশ্বর তাদের চল্লিশ বছরের জন্য বিন্যামীন বংশের কিসের ছেলে শৌলকে দিলেন।
তারপর প্রজারা একজন রাজা চাইল। তিনি তাদের বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত কীশের ছেলে শৌলকে দিলেন। তিনি চল্লিশ বছর রাজত্ব করলেন।
22 ২২ পরে তিনি তাঁকে সরিয়ে তাদের রাজা হবার জন্য দায়ূদকে উত্থাপিত করলেন, যাঁর বিষয়ে ঈশ্বর বললেন তিনি ছিলেন দাউদ, আমি যিশয়ের পুত্র দায়ূদকে পেয়েছি, সে আমার মনের মত লোক, সে আমার সমস্ত ইচ্ছা পালন করবে।
শৌলকে পদচ্যুত করে, তিনি দাউদকে তাদের রাজা করলেন। তিনি তাঁর সম্পর্কে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন: ‘আমি আমার মনের মতো মানুষ, যিশয়ের ছেলে দাউদকে খুঁজে পেয়েছি। আমি যা চাই, সে আমার জন্য তাই করবে।’
23 ২৩ এই মানুষটির বংশ থেকেই ঈশ্বরের শপথ অনুযায়ী ইস্রায়েলের জন্য এক উদ্ধারকর্তাকে, যীশুকে উপস্থিত করলেন;
“তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ঈশ্বর তাঁরই বংশধরদের মধ্য থেকে পরিত্রাতা যীশুকে ইস্রায়েলের কাছে উপস্থিত করলেন।
24 ২৪ তাঁর আসার আগে যোহন সমস্ত ইস্রায়েল জাতির কাছে মন পরিবর্তনের বাপ্তিষ্মের কথা প্রচার করেছিলেন।
যীশুর আগমনের পূর্বে যোহন ইস্রায়েলী প্রজাদের কাছে মন পরিবর্তন ও বাপ্তিষ্মের কথা প্রচার করলেন।
25 ২৫ এবং যোহনের কাজ যখন শেষ হয়ে এসেছিল, তিনি বলতেন, আমি কে, তোমরা কি মনে কর? আমি সেই খ্রীষ্ট নই। কিন্তু দেখ, আমার পরে এমন এক ব্যক্তি আসছেন, তাঁর জুতোর ফিতে খোলার যোগ্যতাও আমার নেই।
যোহন তাঁর কাজ সম্পূর্ণ করার সময় বলেছিলেন, ‘তোমরা কী মনে করো, আমি কে? আমি সেই ব্যক্তি নই। না, কিন্তু তিনি আমার পরে আসছেন, যাঁর চটিজুতোর বাঁধন খোলারও যোগ্যতা আমার নেই।’
26 ২৬ হে ভাইয়েরা, অব্রাহামের বংশের সন্তানরা, ও তোমরা যত লোক ঈশ্বরকে ভয় কর, আমাদের কাছেই এই পরিত্রানের বাক্য পাঠানো হয়েছে।
“ভাইরা, অব্রাহামের সন্তানেরা এবং ঈশ্বরভয়শীল অইহুদি তোমরা, আমাদেরই কাছে পরিত্রাণের এই বাণী পাঠানো হয়েছে।
27 ২৭ কারণ যিরুশালেমের অধিবাসীরা এবং তাদের শাসকেরা তাঁকে চিনতে পারেনি এবং ভাববাদীদের যে সমস্ত বাক্য বিশ্রামবারে পড়া হয়, সেই কথা তাঁরা বুঝতে পারেনি, কিন্তু তাঁকে শাস্তি দিয়ে সেই সব বাক্য সফল করেছে।
জেরুশালেমের লোকেরা ও তাদের অধ্যক্ষেরা যীশুকে চিনতে পারেনি, তবুও তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে তারা ভাববাদীদের বাণী পূর্ণ করেছে, যা প্রতি বিশ্রামদিনে পড়া হয়।
28 ২৮ যদিও তারা প্রাণদন্ডের জন্য কোন দোষ তাঁর মধ্যে পায়নি, তারা পিলাতের কাছে দাবী জানালো, যেন তাঁকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
যদিও তাঁকে প্রাণদণ্ড দেওয়ার জন্য তারা কোনো যথাযথ কারণ খুঁজে পায়নি, তবুও তারা পীলাতের কাছে নিবেদন করেছিল যেন তাঁকে হত্যা করা হয়।
29 ২৯ তাঁর বিষয়ে যা কিছু লেখা হয়েছিল, সেগুলো সিদ্ধ হলে তাঁকে ক্রুশ থেকে নামিয়ে কবর দেওয়া হয়।
তাঁর সম্পর্কে লিখিত সব কথা তারা সম্পূর্ণ করলে, তারা তাঁকে ক্রুশ থেকে নামিয়ে একটি কবরে সমাধি দিল।
30 ৩০ কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করলেন।
কিন্তু ঈশ্বর তাঁকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করলেন।
31 ৩১ আর যারা তাঁর সঙ্গে গালীল থেকে যিরূশালেমে এসেছিলেন, তাঁদের তিনি অনেকদিন পর্যন্ত দেখা দিলেন; তাঁরাই এখন সমস্ত মানুষের কাছে তাঁর সাক্ষী।
যাঁরা তাঁর সঙ্গে গালীল থেকে জেরুশালেমে যাত্রা করেছিলেন, তিনি তাঁদের কাছে দেখা দিয়েছিলেন। তাঁরা এখন জনসমক্ষে তাঁর সাক্ষী হয়েছেন।
32 ৩২ তাই আমরা আপনাদের কাছে এই সুসমাচার জানাচ্ছি যা, ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে,
“আমরা তোমাদের এই সুসমাচার বলি: ঈশ্বর আমাদের পিতৃপুরুষদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,
33 ৩৩ ঈশ্বর যীশুকে জীবিত করে আমাদের সন্তানদের পক্ষে তাঁর প্রতিজ্ঞা সম্পূর্ণ করেছেন, যেমন দ্বিতীয় গীতেও লেখা আছে, “তুমি আমার পুত্র, আজ আমি তোমাকে জন্ম দিয়েছি।”
যীশুকে উত্থাপিত করে তিনি তাদের বংশধরদের, অর্থাৎ আমাদের কাছে তা পূর্ণ করেছেন। দ্বিতীয় গীতে যেমন লেখা আছে, “‘তুমি আমার পুত্র, আজ আমি তোমার পিতা হয়েছি।’
34 ৩৪ আর তিনি যে তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে জীবিত করেছেন এবং তাঁর দেহ যে আর কখনোও ক্ষয় হবে না, এই বিষয়ে ঈশ্বর বলেছেন, “আমি তোমাদের বিশ্বস্তদের দায়ূদের পবিত্র নিয়ম ও নিশ্চিত আশীর্বাদ গুলো দেব।”
ঈশ্বর তাঁকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন, কবরে পচে যাওয়ার জন্য ছেড়ে দেননি। এই সত্য এসব বচনে ব্যক্ত হয়েছে: “‘আমি তোমাকে দাউদের কাছে প্রতিশ্রুত পবিত্র ও সুনিশ্চিত সব আশীর্বাদ দান করব।’
35 ৩৫ এই জন্য তিনি অন্য গীতেও বলেছেন, “তুমি তোমার সাধু কে ক্ষয় দেখতে দেবে না।”
অন্যত্রও এই কথার এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে: “‘তুমি তোমার পবিত্রজনকে ক্ষয় দেখতে দেবে না।’
36 ৩৬ দায়ূদ, তাঁর লোকেদের মধ্যে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করলেন ও মারা গেলেন এবং তাঁকে পিতৃপুরুষদের কাছে কবর দেওয়া হলো ও তাঁর দেহ ক্ষয় পেল।
“কারণ দাউদ যখন তাঁর প্রজন্মে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পূর্ণ করলেন, তিনি নিদ্রাগত হলেন। তিনি তাঁর পিতৃপুরুষদের সঙ্গে কবরপ্রাপ্ত হলেন ও তাঁর শরীর ক্ষয় পেল।
37 ৩৭ কিন্তু ঈশ্বর যাকে জীবিত করেছেন, তিনি ক্ষয় দেখেননি।
কিন্তু ঈশ্বর যাঁকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন, তিনি ক্ষয় দেখেননি।
38 ৩৮ সুতরাং হে আমার ভাইয়েরা, আপনাদের জানা দরকার যে, এই ব্যক্তির মাধ্যমেই পাপ ক্ষমার বিষয়ে প্রচার করা হচ্ছে;
“সেই কারণে, আমার ভাইরা, আমি চাই তোমরা অবগত হও যে যীশুর মাধ্যমে সব পাপের ক্ষমা হয়, যা তোমাদের কাছে ঘোষণা করা হচ্ছে। মোশির বিধান যে সমস্ত বিষয় থেকে তোমাদের নির্দোষ করতে পারেনি,
39 ৩৯ আর মোশির ব্যবস্থা দিয়ে আপনারা পাপের ক্ষমা পাননি, কিন্তু যে কেউ সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করবে সে পাপের ক্ষমা লাভ করবে।
যীশুর মাধ্যমে প্রত্যেকজন, যারা বিশ্বাস করে, তারা সেইসব বিষয় থেকে নির্দোষ গণ্য হয়।
40 ৪০ তাই সাবধান হোন, ভাববাদীরা যা বলে গেছেন তা যেন আপনাদের জীবনে না ঘটে,
সাবধান হও, ভাববাদীরা যা বলে গেছেন, তোমাদের ক্ষেত্রে যেন সেরকম না হয়:
41 ৪১ “হে অবাধ্যরা, দেখ আর অবাক হও এবং ধ্বংস হও; কারণ তোমাদের দিনের আমি এমন কাজ করব যে, সেই সব কাজের কথা যদি কেউ তোমাদের বলে, তবুও তোমরা বিশ্বাস করবে না।”
“‘ওহে বিদ্রুপকারীর দল, তোমরা বিস্ময়চকিত হয়ে ধ্বংস হও, কারণ আমি তোমাদের দিনে এমন কিছু করব, যা তোমাদের বলা হলেও, তোমরা কখনও তা বিশ্বাস করবে না।’”
42 ৪২ পৌল ও বার্ণবা সমাজঘর ছেড়ে যাওয়ার দিন, লোকেরা তাঁদের অনুরোধ করলেন, যেন তাঁরা পরের বিশ্রামবারে এই বিষয়ে আরোও কিছু বলেন।
পৌল ও বার্ণবা সমাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়, লোকেরা পরবর্তী বিশ্রামদিনে এ প্রসঙ্গে আরও কথা বলার জন্য তাঁদের আমন্ত্রণ জানাল।
43 ৪৩ সমাজঘরের সভা শেষ হবার পর অনেক যিহূদী ও যিহূদী ধর্মান্তরিত ভক্ত লোকেরা পৌল ও বার্ণবার সঙ্গে সঙ্গে গেল; তাঁরা তাদের সঙ্গে কথা বললেন, ও ঈশ্বরের অনুগ্রহে স্থির থাকতে বললেন।
সভা শেষ হওয়ার পর বহু ইহুদি ও ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত ব্যক্তিরা পৌল ও বার্ণবাকে অনুসরণ করল। তাঁরা তাদের সঙ্গে কথা বললেন এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহে অবিচল থাকার জন্য তাদের উৎসাহিত করলেন।
44 ৪৪ পরের বিশ্রামবারে শহরের প্রায় সমস্ত লোক ঈশ্বরের বাক্য শুনতে সমবেত হলো।
পরবর্তী বিশ্রামদিনে নগরের প্রায় সমস্ত মানুষ প্রভুর বাক্য শোনার জন্য একত্র হল।
45 ৪৫ যখন ইহুদীরা লোকের সমাবেশ দেখলো, তারা হিংসায় পরিপূর্ণ হল এবং তাঁকে নিন্দা করতে করতে পৌলের কথায় প্রতিবাদ করতে লাগল।
ইহুদিরা সেই জনসমাগম দেখে ঈর্ষায় পরিপূর্ণ হল। তারা পৌলের বক্তব্যের বিরুদ্ধে কটূক্তি করতে লাগল।
46 ৪৬ কিন্তু পৌল ও বার্ণবা সাহসের সঙ্গে উত্তর দিলেন ও বললেন, প্রথমে তোমাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করা উচিত; দেখলাম তোমরা এই বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে দুরে সরিয়ে দিয়েছ, আর নিজেদের অনন্ত জীবনের অযোগ্য করে তুলেছ, তাই আমরা অযিহুদিদের কাছে যাব। (aiōnios g166)
তখন পৌল ও বার্ণবা সাহসের সঙ্গে উত্তর দিলেন, “প্রথমে আপনাদের কাছে আমাদের ঈশ্বরের বাক্য বলতে হয়েছে। আপনারা যেহেতু তা অগ্রাহ্য করছেন ও নিজেদের অনন্ত জীবন লাভের জন্য অযোগ্য বিবেচনা করছেন, আমরা এখন অইহুদিদের কাছেই যাচ্ছি। (aiōnios g166)
47 ৪৭ কারণ প্রভু আমাদের এমনই আদেশ দিয়েছেন, “আমি তোমাকে সমস্ত জাতির কাছে আলোর মত করেছি, যেন তুমি পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে পরিত্রান স্বরূপ হও।”
কারণ প্রভু আমাদের এই আদেশই দিয়েছেন: “‘আমি তোমাকে অইহুদিদের জন্য দীপ্তিস্বরূপ করেছি, যেন পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত তুমি পরিত্রাণ নিয়ে যেতে পারো।’”
48 ৪৮ এই কথা শুনে অযিহূদীর লোকেরা খুশি হল এবং ঈশ্বরের বাক্যের গৌরব করতে লাগলো; ও যারা অনন্ত জীবনের জন্য মনোনীত হয়েছিল, তারা বিশ্বাস করল। (aiōnios g166)
অইহুদিরা একথা শুনে আনন্দিত হল। তারা প্রভুর বাক্যের সমাদর করল। যারাই অনন্ত জীবনের জন্য নিরূপিত হয়েছিল, তারা সকলে বিশ্বাস করল। (aiōnios g166)
49 ৪৯ এবং প্রভুর সেই বাক্য ঐ অঞ্চলের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল।
প্রভুর বাক্য সেই সমস্ত অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল।
50 ৫০ কিন্তু ইহুদীরা ভক্ত ভদ্র মহিলা ও শহরের প্রধান নেতাদের উত্তেজিত করে, পৌল ও বার্ণবার উপর অত্যাচার শুরু করল এবং তাঁদের শহরের সীমানার বাইরে তাঁদের তাড়িয়ে দিল।
কিন্তু ইহুদিরা সম্ভ্রান্ত ঘরের ঈশ্বরভয়শীল মহিলাদের ও নগরের নেতৃস্থানীয় লোকদের উত্তেজিত করে তুলল। তারা পৌল ও বার্ণবার প্রতি নির্যাতন করা শুরু করল এবং তাদের এলাকা থেকে তাঁদের বের করে দিল।
51 ৫১ তখন তাঁরা সেই লোকেদের বিরুদ্ধে পায়ের ধূলো ঝেড়ে ফেলে ইকনিয় শহরে গেলেন।
তাঁরা তখন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ তাঁদের পায়ের ধুলো ঝেড়ে ইকনিয়তে চলে গেলেন।
52 ৫২ এবং শিষ্যরা আনন্দে ও পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হতে থাকলেন।
আর শিষ্যরা আনন্দে ও পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে উঠল।

< প্রেরিত 13 >