< ১ম পিতর 4 >

1 অতএব খ্রীষ্ট দেহে কষ্ট সহ্য করেছেন বলে তোমরাও সেই একই মনোভাব নিয়ে নিজেদেরকে প্রস্তুত কর, কারণ দেহে যে কষ্ট সহ্য করেছে, সে পাপ থেকে দূরে আছে,
অতএব, খ্রীষ্ট তাঁর শরীরে কষ্টভোগ করেছেন বলে, তোমরাও সেই একই উপায়ে নিজেদের সুসজ্জিত করে তোলো, কারণ যে শরীরে কষ্টভোগ করেছে, সে পাপের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করেছে।
2 এই মানুষটি মানুষের বাসনায় কখনো বেঁচে থাকতে পারে না, কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছায় মানুষের শরীরে বাকি দিন গুলি বসবাস কর।
এর ফলে, সে মন্দ দৈহিক কামনাবাসনায় তার পার্থিব জীবনযাপন করে না, বরং ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুসারেই করে।
3 কারণ অইহূদিরা তাদের বাসনা পূরণ করে, কাম লালসা, বিলাসিতা, মদ পান করা, আনন্দে পরিপূর্ণ মদ পানের সভা ও মূর্তিপূজার পথে চলে যে দিন নষ্ট হয়েছে, তা যথেষ্ট।
অইহুদিরা যেমন করে—লম্পটতা, ভোগলালসা, মদ্যপান, রঙ্গরস ও ঘৃণ্য প্রতিমাপূজা—এসব করে অতীতে তোমরা যথেষ্ট সময় কাটিয়ে দিয়েছ।
4 এই বিষয়ে তোমরা তাদের সঙ্গে একই মন্দ কাজ কর না দেখে তারা আশ্চর্য্য হয় ও তোমাদের নিন্দা করে।
তোমরা তাদের মতো একই উচ্ছৃঙ্খলতার জীবন অনুসরণ করছ না বলে এখন তারা বিস্ময় বোধ করে ও তোমাদের উপরে অবমাননার বোঝা চাপিয়ে দেয়।
5 যিনি জীবিত ও সমস্ত মৃতদের বিচার করার জন্য প্রস্তুত তাঁরই কাছে তাদেরকে হিসাব দিতে হবে।
কিন্তু যিনি জীবিত ও মৃতদের বিচার করতে প্রস্তুত, তাঁর কাছে তাদের কৈফিয়ত দিতে হবে।
6 কারণ এই উদ্দেশ্যের জন্যই মৃত শরীরের কাছেও সুসমাচার প্রচার করা হয়েছিল, যেন তাদেরও মানুষের মতই দেহে বিচার করা হয়, কিন্তু ঈশ্বরের মতো আত্মায় জীবিত থাকে।
এই কারণেই এখন যারা মৃত, তাদের কাছেও সুসমাচার প্রচার করা হয়েছিল, যেন শারীরিকভাবে মানুষের মতো তাদের বিচার করা গেলেও, ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী তারা আত্মায় জীবিত থাকে।
7 কিন্তু সমস্ত বিষয়ের শেষ দিন কাছে এসে গেছে, অতএব সংযত হও এবং প্রার্থনায় সবদিন সতর্ক থাক।
সবকিছুরই অন্তিমকাল সন্নিকট। অতএব তোমরা শুদ্ধমন ও আত্মসংযমী হও, যেন প্রার্থনা করতে পারো।
8 প্রথমে তোমরা একজন অন্য জনকে মন দিয়ে ভালবাসো, কারণ “ভালবাসা পাপকে প্রকাশ করে না।”
সর্বোপরি, পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোবাসো, কারণ “ভালোবাসা পাপকে আবৃত করে।”
9 কোন অভিযোগ ছাড়াই একজন অন্য জনকে অতিথির মতো সেবা কর।
বিরক্তি বোধ না করে তোমরা একে অপরের আতিথ্য করো।
10 ১০ তোমরা যে যেমন অনুগ্রহ দান পেয়েছ, সেই অনুযায়ী ঈশ্বরের আরো অনেক অনুগ্রহ দানের ভালো তত্ত্বাবধায়কের মত একজন অন্য জনের সেবা কর।
প্রত্যেকেই অন্যদের সেবা করার উদ্দেশে যে বরদান লাভ করেছে, ঈশ্বরের সেই অনুগ্রহ তারা বিশ্বস্ত কর্মাধ্যক্ষের মতো ব্যবহার করুক।
11 ১১ যদি কেউ কথা বলে, সে এমন বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণী বলছে, যদি কেউ সেবা করে, সে ঈশ্বরের দেওয়া শক্তি অনুযায়ী করুক, যেন সমস্ত বিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর গৌরব পান। মহিমা ও পরাক্রম সমস্ত যুগ ধরে যুগে যুগে তাঁরই হোক। আমেন। (aiōn g165)
কেউ যদি কথা বলে, সে এমনভাবে বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণীই বলছে। কেউ যদি সেবা করে, সে ঈশ্বরের দেওয়া শক্তির গুণেই তা করুক, যেন সব বিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর প্রশংসিত হন। মহিমা ও পরাক্রম যুগে যুগে চিরকাল তাঁরই হোক। আমেন। (aiōn g165)
12 ১২ প্রিয়েরা, তোমাদের পরীক্ষার জন্য যে আগুন তোমাদের মধ্যে জ্বলছে, তা অদ্ভূত ঘটনা বলে আশ্চর্য্য হয়ো না,
প্রিয় বন্ধুরা, যে যন্ত্রণাপূর্ণ পরীক্ষা তোমরা ভোগ করছ, তা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা তোমাদের প্রতি ঘটছে মনে করে বিস্মিত হোয়ো না।
13 ১৩ বরং যে পরিমাণে তোমরা খ্রীষ্টের দুঃখ সহ্যর সহভাগী হচ্ছো, সেই পরিমাণে আনন্দ কর, যেন তাঁর গৌরবের প্রকাশকালে উল্লাসের সঙ্গে আনন্দ করতে পার।
কিন্তু খ্রীষ্টের কষ্টভোগে তোমরাও অংশগ্রহণ করছ মনে করে আনন্দ করো, যেন যেদিন তাঁর মহিমা প্রকাশিত হবে, সেদিন তোমরাও অতিশয় আনন্দিত হতে পারো।
14 ১৪ তোমরা যদি খ্রীষ্টের নামের জন্য অপমানিত হও, তবে তোমরা ধন্য, কারণ গৌরবের আত্মা, এমনকি, ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের উপরে অবস্থিত করছেন।
খ্রীষ্টের নামের জন্য যদি তোমরা অপমানিত হও, তাহলে তোমরা ধন্য, কারণ ঈশ্বরের মহিমাময় আত্মা তোমাদের উপরে অধিষ্ঠান করছেন।
15 ১৫ তোমাদের মধ্যে কেউ যেন খুনী, কি চোর, কি মন্দ কাজে লিপ্ত, কি অন্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপকারী বলে দুঃখ সহ্য না করে।
তোমরা যদি কষ্টভোগ করো, তাহলে হত্যাকারী বা চোর অথবা অন্য কোনো প্রকার অপরাধী হয়ে, এমনকি, অনধিকার-চর্চাকারীরূপে করো না,
16 ১৬ কিন্তু যদি কেউ খ্রীষ্টান বলে দুঃখ সহ্য করে, তবে সে তার জন্য লজ্জিত না হোক, কিন্তু এই নামে ঈশ্বরের মহিমা করুক।
কিন্তু যদি খ্রীষ্টিয়ান বলে কষ্টভোগ করো, তাহলে লজ্জিত হোয়ো না, বরং সেই নামের জন্য ঈশ্বরের প্রশংসা করো।
17 ১৭ কারণ ঈশ্বরের ঘরে বিচার আরম্ভ হওয়ার দিন হল, আর যদি তা প্রথমে আমাদের দিয়ে শুরু হয়, তবে যারা ঈশ্বরের সুসমাচারের অবাধ্য, তাদের পরিণাম কি হবে?
কারণ ঈশ্বরের গৃহেই বিচারের সময় আরম্ভ হল, আর তা যদি আমাদের দিয়ে শুরু হয়, তাহলে যারা ঈশ্বরের সুসমাচারের অবাধ্য, তাদের পরিণতি কী হবে?
18 ১৮ আর ধার্ম্মিকের উদ্ধার যদি কষ্টে হয়, তবে ভক্তিহীন ও পাপী কোথায় মুখ দেখাবে?
আবার, “পরিত্রাণ লাভ যদি ধার্মিকদেরই কষ্টসাধ্য হয়, তাহলে ভক্তিহীন ও পাপীদের কী হবে?”
19 ১৯ তাই যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী দুঃখ সহ্য করে, তারা ভালো কাজ করতে করতে তাদের প্রাণকে বিশ্বস্ত সৃষ্টিকর্ত্তার হাতে সমর্পণ করুক।
তাহলে, সেই কারণে যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী কষ্টভোগ করে, তারা তাদের বিশ্বস্ত সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের সমর্পণ করুক ও সৎকর্ম করে যাক।

< ১ম পিতর 4 >