< ১ম পিতর 3 >

1 একইভাবে, সমস্ত স্ত্রীরাও, তোমরা তোমাদের স্বামীর বশীভূতা হও, যেন, অনেকে যদিও কথার অবাধ্য হয়, তবুও যখন তারা তোমাদের সভয় শুদ্ধ আচার ব্যবহার নিজেদের চোখে দেখতে পাবে,
একইভাবে স্ত্রীরা, তোমরা তোমাদের নিজ নিজ স্বামীর বশ্যতাধীন হও। তাদের মধ্যে কেউ কেউ যদি বাক্যের অবাধ্য হয়, তবে কোনো বাক্য ছাড়াই তাদের স্ত্রীর আচার-আচরণের দ্বারা তাদের জয় করা যাবে,
2 তখন কোন কথা ছাড়াই তোমাদের ভালো আচার ব্যবহার দিয়েই তাদেরকে জয় করতে পারবে।
যখন তারা তোমাদের জীবনের শুদ্ধতা ও সম্ভ্রমপূর্ণ মনোভাব লক্ষ্য করবে।
3 আর সুন্দর বিনুনি ও সোনার গয়না কিম্বা বাহ্যিক সুন্দর পোশাকে তা নয়,
তোমাদের সৌন্দর্য যেন বাহ্যিক সাজসজ্জা, যেমন চুলের বাহার, সোনার অলংকার বা সূক্ষ্ম পোশাক-পরিচ্ছদের উপর নির্ভরশীল না হয়।
4 কিন্তু হৃদয়ের যে গুপ্ত মানুষ সেই অনুযায়ী, ভদ্র ও শান্ত আত্মার যে শোভা যা কখনো শেষ হবে না, তা তাদের অলঙ্কার হোক, যা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে খুবই মূল্যবান।
বরং সেই সৌন্দর্য হবে তোমাদের আন্তরিক সত্তার, শান্ত ও কোমল আত্মার অম্লান শোভায় ভূষিত, যা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মহামূল্যবান।
5 কারণ আগে যে সমস্ত পবিত্র মহিলারা ঈশ্বরে আশা রাখতেন, তাঁরাও সেই ভাবেই নিজেদেরকে সাজাতেন, তাঁরা তাঁদের স্বামীদের বশীভূত হতেন,
কারণ প্রাচীনকালের পবিত্র নারীরা, যাঁরা ঈশ্বরের উপরে প্রত্যাশা রাখতেন, এভাবেই নিজেদের সৌন্দর্যময়ী করতেন। তাঁরা নিজের নিজের স্বামীর বশ্যতাধীন থাকতেন,
6 যেমন সারা অব্রাহামের আদেশ মানতেন, স্বামী বলে তাঁকে ডাকতেন, তোমরা যদি যা ভালো কাজ তাই করও কোন মহাভয়ে ভয় না পাও, তবে তাঁরই সন্তান হয়ে উঠেছ।
যেমন সারা, তিনি অব্রাহামের বাধ্য ছিলেন এবং তাঁকে “প্রভু” বলে সম্বোধন করতেন। যদি তোমরা ন্যায়সংগত কাজ করো ও ভয়ভীত না হও, তাহলে তোমরা তাঁরই কন্যা হয়ে উঠেছ।
7 একইভাবে, স্বামীরা, স্ত্রীরা দুর্বল সঙ্গী বলে, তাদের সঙ্গে জ্ঞানের সাথে বাস কর, তাদেরকে তোমাদের জীবনের অনুগ্রহের সমান অধিকারের যোগ্য পাত্রী মনে করে সম্মান কর, যেন তোমাদের প্রার্থনা বাধা না পায়।
একইভাবে স্বামীরা, তোমরা তোমাদের স্ত্রীর সঙ্গে বাস করার সময় সুবিবেচক হও। তাদের দুর্বলতর সঙ্গী ও জীবনের অনুগ্রহ-রূপ বরদানের সহ-উত্তরাধিকারী জেনে, তোমরা তাদের সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্বক আচরণ কোরো, যেন কোনো কিছুই তোমাদের প্রার্থনায় বাধা সৃষ্টি করতে না পারে।
8 অবশেষে বলি, তোমাদের সবার মন যেন এক হয়, পরের দুঃখে দুঃখিত, করুণা, ভাইয়ের মত ভালবাস, স্নেহে পরিপূর্ণ ও নম্র হও।
সবশেষে বলি, তোমরা সবাই পরস্পরের সঙ্গে মিল রেখে বসবাস করো; তোমরা সহানুভূতিশীল, একে অপরকে ভালোবাসো, দরদি ও নতনম্র হও।
9 মন্দের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মন্দ করো না এবং নিন্দার পরিবর্তে নিন্দা করো না, বরং আশীর্বাদ কর, কারণ আশীর্বাদের অধিকারী হবার জন্যই তোমাদের ডাকা হয়েছে।
মন্দের পরিশোধে মন্দ বা অপমানের পরিশোধে অপমান কোরো না, বরং আশীর্বাদ কোরো; কারণ এর জন্যই তোমাদের আহ্বান করা হয়েছ, যেন তোমরা আশীর্বাদের অধিকারী হতে পারো।
10 ১০ কারণ “যে ব্যক্তি জীবন ভালবাসতে চায় ও মঙ্গলের দিন দেখতে চায়, সে মন্দ থেকে নিজের জিভকে, ছলনার কথা থেকে নিজের মুখকে দূরে রাখুক।
কারণ, “কেউ যদি জীবন ভালোবাসতে চায়, মঙ্গলের দিন দেখতে চায়, সে অবশ্যই মন্দ থেকে তার জিভ ও ছলনাপূর্ণ বাক্য থেকে তার ঠোঁট রক্ষা করবে।
11 ১১ সে মন্দ থেকে ফিরুক ও যা ভালো তাই করুক, শান্তির চেষ্টা করুক ও তার খোঁজ করুক।
তারা মন্দ থেকে মন ফেরাবে আর সৎকর্ম করবে তারা অবশ্যই শান্তির সন্ধান করবে ও তা অনুসরণ করবে।
12 ১২ কারণ ধার্ম্মিকদের দিকে প্রভুর দৃষ্টি আছে, তাদের প্রার্থনার দিকে তাঁর কান আছে, কিন্তু প্রভুর মুখ মন্দ লোকদের অগ্রাহ্য করে।”
কারণ প্রভুর দৃষ্টি ধার্মিকদের প্রতি রয়েছে, আর তাদের প্রার্থনায় তিনি কর্ণপাত করেন, কিন্তু যারা দুষ্কর্ম করে প্রভুর মুখ তাদের বিরুদ্ধে।”
13 ১৩ আর যদি তোমরা যা ভালো তার প্রতি উদ্যোগী হও, তবে কে তোমাদের হিংসা করবে?
তোমরা যদি সৎকর্ম করতে আগ্রহী হও, কে তোমাদের ক্ষতি করবে?
14 ১৪ কিন্তু যদিও ধার্মিকতার জন্য দুঃখ সহ্য কর, তবু তোমরা ধন্য। আর যদি তোমাদের কেউ ভয় দেখায় তাদের ভয়ে তোমরা ভয় পেয় না এবং চিন্তা করো না, বরং হৃদয়ের মধ্যে খ্রীষ্টকে প্রভু ও পবিত্র বলে মান।
কিন্তু ন্যায়সংগত কাজের জন্য যদি তোমরা কষ্টও ভোগ করো, তাহলে তোমরা ধন্য। “তাদের ভীতি প্রদর্শনে তোমরা ভয় পেয়ো না, তোমরা বিচলিত হোয়ো না।”
15 ১৫ বরং তোমাদের হৃদয়ে প্রভু খ্রীষ্টকে মূল্যবান স্বরূপ স্থাপন কর, যে প্রশ্ন করে তাকে উত্তর দিতে সবদিন প্রস্তুত থাক কেন তোমাদের ঈশ্বরের উপর আস্থা আছে। কিন্তু এটা পবিত্রতা এবং সম্মানের সঙ্গে কর।
কিন্তু তোমাদের হৃদয়ের মধ্যে খ্রীষ্টকেই প্রভু বলে মান্য করো। তোমাদের অন্তরের প্রত্যাশার কারণ সম্পর্কে কেউ জানতে চাইলে, তাকে উত্তর দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত থেকো। কিন্তু তা কোমলতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে কোরো,
16 ১৬ যেন তোমাদের বিবেক সৎ হয়, যেন যারা তোমাদের খ্রীষ্টিয় ভালো জীবনযাপনের দুর্নাম করে, তারা তোমাদের নিন্দা করার বিষয়ে লজ্জা পায়।
বিবেককে স্বচ্ছ রেখো, যেন তোমাদের খ্রীষ্টীয় সদাচরণ দেখে যারা বিদ্বেষপূর্ণভাবে তোমাদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা তাদের কটূক্তির জন্য লজ্জিত হয়।
17 ১৭ কারণ মন্দ কাজের জন্য দুঃখ সহ্য করার থেকে বরং, ঈশ্বরের যদি এমন ইচ্ছা হয়, ভালো কাজের জন্য দুঃখ সহ্য করা আরও ভাল।
যদি ঈশ্বরের ইচ্ছা হয়, তবে দুষ্কর্ম করে দুঃখকষ্ট ভোগ করার চেয়ে বরং সৎকর্ম করে কষ্টভোগ করা শ্রেয়।
18 ১৮ কারণ খ্রীষ্টও একবার পাপের জন্য দুঃখ সহ্য করেছিলেন, সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের জন্য, যেন আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যান। তিনি দেহে মৃত্যুবরণ করলেন, কিন্তু আত্মায় জীবিত হলেন।
কারণ খ্রীষ্টও পাপের প্রায়শ্চিত্তের জন্য একবারই মৃত্যুবরণ করেছেন, সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের জন্য করেছেন, যেন তোমাদের ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যেতে পারেন। তাঁকে শরীরে হত্যা করা হলেও আত্মায় জীবিত করা হয়েছে,
19 ১৯ আবার আত্মায়, তিনি গিয়ে কারাগারে বন্দী সেই আত্মাদের কাছে ঘোষণা করলেন,
যাঁর মাধ্যমে কারাগারে বন্দি আত্মাদের কাছে গিয়ে তিনি প্রচার করেছিলেন।
20 ২০ যারা পূর্বে, নোহের দিনের, জাহাজ তৈরী হওয়ার দিনের যখন ঈশ্বর অসীম ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন, তখন তারা অবাধ্য হয়েছিল। সেই জাহাজে অল্প লোক, অর্থাৎ আটটি প্রাণ, জল থেকে রক্ষা পেয়েছিল।
এই আত্মারা বহুপূর্বে অবাধ্য হয়েছিল, যখন ঈশ্বর নোহের সময়ে সহিষ্ণুতার সঙ্গে অপেক্ষা করেছিলেন এবং জাহাজ নির্মিত হচ্ছিল। এর মধ্যে মাত্র কয়েকজন, সর্বমোট আটজন জলের মধ্য থেকে উদ্ধার পেয়েছিল।
21 ২১ আর এখন তার প্রতীক বাপ্তিষ্ম অর্থাৎ দেহের ময়লা ধোয়ার মাধ্যমে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সৎ বিবেকের নিবেদন, যা যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে জীবিত হওয়ার জন্যই তোমরা রক্ষা পেয়েছ।
এই জলই হল বাপ্তিষ্মের প্রতীক, যা এখন তোমাদেরও রক্ষা করে—শরীর থেকে ময়লা দূর করার জন্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে এক সৎ বিবেক নিবেদন করার জন্য। এ যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থান দ্বারা তোমাদের পরিত্রাণ সাধন করে।
22 ২২ তিনি স্বর্গে গেছেন ও ঈশ্বরের ডানদিকে উপবিষ্ট, স্বর্গ দূতেরা, কর্তৃত্ব ও সমস্ত পরাক্রম তাঁর অধীন হয়েছে।
তিনি স্বর্গে গিয়েছেন ও ঈশ্বরের ডানদিকে আছেন—সব স্বর্গদূত, কর্তৃত্ব ও পরাক্রম তাঁরই বশ্যতাধীন রয়েছে।

< ১ম পিতর 3 >