< ১ম করিন্থীয় 4 >

1 তোমরা লোকেরা আমাদেরকে এমন মনে কর যে, আমরা খ্রীষ্টের কর্মচারী ও ঈশ্বরের গুপ্ত বিষয়ের তত্ত্বাবধায়ক যার উপর দেখাশোনার ভার দেওয়া হয়েছে।
তাহলে, লোকেরা আমাদের অবশ্যই খ্রীষ্টের পরিচারক ও ঈশ্বরের গোপন বিষয়সমূহের ধারক বলে মনে করুক।
2 আর এই জায়গায় কর্মচারীদের এমন গুণ চাই, যেন তাদেরকে বিশ্বস্ত দেখতে পাওয়া যায়।
এখন, যাকে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার বিশ্বস্ততা প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক।
3 কিন্তু তোমাদের মাধ্যমে অথবা কোনো মানুষের বিচার সভায় যে আমার বিচার হয়, তা আমার কাছে খুবই সাধারণ বিষয়; এমনকি, আমি আমার নিজেরও বিচার করি না।
তোমাদের কাছে, কিংবা মানুষের কোনও আদালতে যদি আমার বিচার হয়, আমি তা নগণ্য বিষয় বলেই মনে করি। প্রকৃতপক্ষে, আমি নিজেরও বিচার করি না।
4 কারণ আমি আমার নিজের বিরুদ্ধে কিছু জানি না, তবুও আমি নির্দোষ বলে প্রমাণিত হই না; কিন্তু যিনি আমার বিচার করেন, তিনি প্রভু।
আমার বিবেক পরিষ্কার, কিন্তু তা আমাকে নির্দোষ প্রতিপন্ন করে না। যিনি আমার বিচার করেন, তিনি প্রভু।
5 অতএব তোমরা দিনের র আগে, যে পর্যন্ত প্রভু না আসেন, সেই পর্যন্ত কোন বিচার করো না; তিনিই অন্ধকারের সমস্ত গোপন বিষয় আলোতে প্রকাশ করবেন এবং হৃদয়ের সমস্ত গোপন বিষয়ও প্রকাশ করবেন এবং সেই দিন প্রত্যেকে ঈশ্বরের কাছে নিজের নিজের প্রশংসা পাবে।
অতএব, নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে তোমরা কোনো কিছুরই বিচার কোরো না। প্রভুর আগমন পর্যন্ত অপেক্ষা করো। অন্ধকারে যা গুপ্ত আছে, তা তিনি আলোয় নিয়ে আসবেন এবং সব মানুষের হৃদয়ের অভিপ্রায় উদ্‌ঘাটিত করবেন। সেই সময় প্রত্যেকে ঈশ্বর থেকে তার প্রশংসা লাভ করবে।
6 হে ভাইয়েরা ও বোনেরা, আমি আমার নিজের ও আপল্লোর উদাহরণ দিয়ে তোমাদের জন্য এই সব কথা বললাম; যেন আমাদের কাছ থেকে তোমরা এই শিক্ষা পাও যে, যা লেখা আছে, তা অতিক্রম করতে নেই, তোমরা কেউ যেন একজন অন্য জনের বিপক্ষে মনে অহঙ্কার না কর।
এখন ভাইবোনেরা, আমি তোমাদের উপকারের জন্য এ সমস্ত বিষয় নিজের ও আপল্লোর উপরে প্রয়োগ করেছি, যেন তোমরা আমাদের কাছ থেকে এই প্রবচনের অর্থ শিখতে পারো, “যা লেখা আছে, তা অতিক্রম কোরো না।” তখন তোমরা কোনো একজনের পক্ষে আর অন্য কারও বিপক্ষে গর্ব করতে পারবে না।
7 কারণ কে তোমাদের মধ্য পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি করেছে? আর এমনকি আছে যা তোমরা বিনামূল্যে পাও নি, এমনই বা তোমার কি আছে? আর যখন পেয়েছ; আর যা পাও নি, এমন মনে করে কেন অহঙ্কার করছ?
কারণ কে তোমাদের অন্য কারও চেয়ে বিশিষ্ট করেছে? তোমাদের এমন কী আছে যা ঈশ্বর তোমদের দান করেননি? আর যদি তা পেয়েছ, তাহলে নিজেরা তা অর্জন করেছ ভেবে গর্ব করো কেন?
8 তোমরা এখন পূর্ণ হয়েছ! এখন ধনী হয়েছ! আমাদের ছাড়া রাজত্ব পেয়েছ! আর রাজত্ব পেলে ভালই হত, তোমাদের সঙ্গে আমরাও রাজত্ব পেতাম।
তোমরা যা চাও, ইতিমধ্যে তা তোমাদের কাছে আছে। তোমরা এরই মধ্যে সম্পদশালী হয়েছ! তোমরা রাজা হয়েছ—তাও আমাদের বাদ দিয়েই! আমি কত না ইচ্ছা করি যে তোমরা সত্যিসত্যিই রাজা হয়ে ওঠো, যেন আমরাও তোমাদের সঙ্গে রাজা হতে পারি!
9 কারণ আমার মনে হয়, প্রেরিতরা যে আমরা, ঈশ্বর আমাদেরকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত লোকেদের মতো মিছিলের শেষের সারিতে প্রদর্শনীর জন্য রেখেছেন; কারণ আমরা জগতেরও দূতদের ও মানুষের কৌতুহলের বিষয় হয়েছি।
কিন্তু আমার মনে হয়, শোভাযাত্রার শেষে বধ্যভূমিতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মতো, ঈশ্বর আমাদের, অর্থাৎ প্রেরিতশিষ্যদের দর্শনীয় বস্তুরূপে প্রদর্শন করছেন। আমরা সমস্ত বিশ্ব, স্বর্গদূত ও সেই সঙ্গে সব মানুষের কাছে উপহাসের পাত্র হয়েছি।
10 ১০ আমরা খ্রীষ্টের জন্য মূর্খ, কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টে বুদ্ধিমান; আমরা দুর্বল, কিন্তু তোমরা শক্তিশালী; তোমরা সম্মানিত, কিন্তু আমরা অসম্মানিত।
আমরা খ্রীষ্টের জন্য মূর্খ, কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টে কত বুদ্ধিমান! আমরা দুর্বল, কিন্তু তোমরা সবল! তোমরা সম্মানিত, আমরা অপমানিত!
11 ১১ এখনকার এই দিন পর্যন্ত আমরা ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত ও বস্ত্রহীন অবস্থায় জীবন যাপন করছি, আর খুবই খারাপভাবে আমাদেরকে অত্যাচার করা হয়েছে এবং আমরা আশ্রয় বিহীন;
এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত হয়ে আছি, আমাদের পোশাক জীর্ণ, আমাদের প্রতি নির্মম ব্যবহার করা হয়েছে, আমরা গৃহহীন।
12 ১২ আর আমরা নিজেদের হাতে খুবই কঠিন পরিশ্রম করছি, অপমানিত হয়েও আশীর্বাদ করছি এবং অত্যাচার সহ্য করছি,
আমরা নিজেদের হাত দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করি। আমাদের অভিশাপ দেওয়া হলে, আমরা আশীর্বাদ করি, যখন আমাদের নির্যাতন করা হয়, আমরা সহ্য করি।
13 ১৩ নিন্দার পত্র হলেও অনুরোধ করছি; আজ পর্যন্ত আমরা ইহুদীরা যেন জগতের আবর্জনা, যেন সকল বস্তুর জঞ্জাল হয়ে আছি।
আমাদের যখন নিন্দা করা হয়, আমরা নম্রতায় তার উত্তর দিই। এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা সমাজের আবর্জনা, জগতের জঞ্জাল হয়ে আছি।
14 ১৪ আমি তোমাদেরকে লজ্জা দেওয়ার জন্য নয়, কিন্তু আমার প্রিয় সন্তান মনে করে তোমাদেরকে চেতনা দেওয়ার জন্য এই সব লিখছি।
তোমাদের লজ্জা দেওয়ার জন্য আমি এই পত্র লিখছি না, কিন্তু আমার প্রিয় সন্তানতুল্য মনে করে তোমাদের সতর্ক করার জন্যই লিখছি।
15 ১৫ কারণ যদিও খ্রীষ্টে তোমাদের দশ হাজার শিক্ষক থাকে তবুও তোমাদের বাবা অনেক নয়; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচারের মাধ্যমে আমিই তোমাদেরকে জন্ম দিয়েছি।
খ্রীষ্টে যদিও তোমাদের দশ হাজার অভিভাবক থাকে কিন্তু তোমাদের অনেক পিতা থাকতে পারে না, কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচারের মাধ্যমে আমি তোমাদের জন্ম দিয়েছি।
16 ১৬ অতএব তোমাদেরকে অনুরোধ করি, তোমরা আমার মতো হও।
সেই কারণে, আমি তোমাদের কাছে অনুনয় করি, তোমরা আমাকে অনুকরণ করো।
17 ১৭ এই জন্য আমি তীমথিয়কে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি; তিনি প্রভুতে আমার প্রিয় ও বিশ্বস্ত সন্তান; তিনি তোমাদেরকে খ্রীষ্ট যীশুর বিষয়ে আমার সমস্ত শিক্ষা মনে করাবেন, যা আমি সব জায়গায় সব মণ্ডলীতে শিক্ষা দিয়ে থাকি।
এই উদ্দেশ্যে আমি আমার পুত্রসম তিমথিকে তোমাদের কাছে পাঠাচ্ছি, যাঁকে আমি ভালোবাসি; তিনি প্রভুতে বিশ্বস্ত। তিনি খ্রীষ্ট যীশুতে আমার জীবনযাপনের কথা তোমাদের মনে করিয়ে দেবেন, যা আমি সর্বত্র প্রতিটি মণ্ডলীতে আমি যা শিক্ষা দিই তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
18 ১৮ আমি তোমাদের কাছে আসব না জেনে কেউ কেউ গর্বিত হয়ে উঠেছে।
তোমাদের কাছে আমি আসব না মনে করে তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্ধত হয়ে উঠেছে।
19 ১৯ কিন্তু প্রভু যদি ইচ্ছা করেন, তবে আমি খুব তাড়াতাড়িই তোমাদের কাছে যাব এবং যারা গর্বিত হয়ে উঠেছে, তাদের কথা নয়, কিন্তু তাদের ক্ষমতা জানব।
কিন্তু প্রভুর ইচ্ছা হলে, খুব শীঘ্রই আমি তোমাদের কাছে যাব। তখন এই উদ্ধত লোকেরা কীভাবে কথা বলছে, শুধু তাই নয়, তাদের ক্ষমতা কতটুকু, তাও আমি দেখব।
20 ২০ কারণ ঈশ্বরের রাজ্য কথায় নয়, কিন্তু শক্তিতে।
কারণ ঈশ্বরের রাজ্য কথা বলার বিষয় নয়, কিন্তু পরাক্রমের।
21 ২১ তোমাদের ইচ্ছা কি? আমি কি বেত নিয়ে তোমাদের কাছে যাব? না ভালবাসা ও নম্রতার আত্মায় যাব?
তোমরা কী চাও? তোমাদের কাছে আমি কি চাবুক নিয়ে যাব, না ভালোবাসায় ও কোমল মানসিকতার সঙ্গে যাব?

< ১ম করিন্থীয় 4 >