< يوحنَّا 20 >
وَفِي أَوَّلِ ٱلْأُسْبُوعِ جَاءَتْ مَرْيَمُ ٱلْمَجْدَلِيَّةُ إِلَى ٱلْقَبْرِ بَاكِرًا، وَٱلظَّلَامُ بَاقٍ. فَنَظَرَتِ ٱلْحَجَرَ مَرْفُوعًا عَنِ ٱلْقَبْرِ. | ١ 1 |
১সপ্তাহের প্রথম দিন সকালে, তখনও পর্যন্ত অন্ধকার ছিল, মগ্দলীনী মরিয়ম কবরের কাছে এসেছিলেন; তিনি দেখেছিলেন কবর থেকে পাথর খানা গড়িয়ে সরানো হয়েছে।
فَرَكَضَتْ وَجَاءَتْ إِلَى سِمْعَانَ بُطْرُسَ وَإِلَى ٱلتِّلْمِيذِ ٱلْآخَرِ ٱلَّذِي كَانَ يَسُوعُ يُحِبُّهُ، وَقَالَتْ لَهُمَا: «أَخَذُوا ٱلسَّيِّدَ مِنَ ٱلْقَبْرِ، وَلَسْنَا نَعْلَمُ أَيْنَ وَضَعُوهُ!». | ٢ 2 |
২সুতরাং তিনি দৌড়ালেন এবং শিমোন পিতরের কাছে গেলেন এবং অন্য শিষ্য যীশু যাকে ভালবাসতেন এবং তাঁদের বললেন, “তারা প্রভুকে কবর থেকে বের করে নিয়ে গেছে এবং আমরা জানি না তারা প্রভুকে কোথায় রেখেছে।”
فَخَرَجَ بُطْرُسُ وَٱلتِّلْمِيذُ ٱلْآخَرُ وَأَتَيَا إِلَى ٱلْقَبْرِ. | ٣ 3 |
৩তারপর পিতর এবং অন্য শিষ্য বেরিয়ে গেলেন এবং তারা কবরের দিকে গেলেন।
وَكَانَ ٱلِٱثْنَانِ يَرْكُضَانِ مَعًا. فَسَبَقَ ٱلتِّلْمِيذُ ٱلْآخَرُ بُطْرُسَ وَجَاءَ أَوَّلًا إِلَى ٱلْقَبْرِ، | ٤ 4 |
৪তাঁরা উভয়ে একসঙ্গে দৌড়ালেন; অন্য শিষ্য পিতরকে পেছনে ফেললেন এবং প্রথমে কবরে পৌঁছেছিলেন।
وَٱنْحَنَى فَنَظَرَ ٱلْأَكْفَانَ مَوْضُوعَةً، وَلَكِنَّهُ لَمْ يَدْخُلْ. | ٥ 5 |
৫তিনি হেঁট হয়েছিলেন এবং ভিতরে তাকিয়ে ছিলেন; তিনি সেখানে লিনেন কাপড়গুলি পড়ে থাকতে দেখেছিলেন, কিন্তু তিনি ভেতরে গেলেন না।
ثُمَّ جَاءَ سِمْعَانُ بُطْرُسُ يَتْبَعُهُ، وَدَخَلَ ٱلْقَبْرَ وَنَظَرَ ٱلْأَكْفَانَ مَوْضُوعَةً، | ٦ 6 |
৬তারপর শিমোন পিতর তাঁর পরে পৌঁছলেন এবং কবরের ভেতরে ঢুকলেন। তিনি দেখেছিলেন লিনেন কাপড়গুলি সেখানে পড়ে রয়েছে,
وَٱلْمِنْدِيلَ ٱلَّذِي كَانَ عَلَى رَأْسِهِ لَيْسَ مَوْضُوعًا مَعَ ٱلْأَكْفَانِ، بَلْ مَلْفُوفًا فِي مَوْضِعٍ وَحْدَهُ. | ٧ 7 |
৭এবং যে কাপড়টি তাঁর মাথার ওপরে ছিল। এটা সেই লিনেন কাপড়ের সঙ্গে ছিল না কিন্তু এক জায়গায় গুটিয়ে রাখা ছিল।
فَحِينَئِذٍ دَخَلَ أَيْضًا ٱلتِّلْمِيذُ ٱلْآخَرُ ٱلَّذِي جَاءَ أَوَّلًا إِلَى ٱلْقَبْرِ، وَرَأَى فَآمَنَ، | ٨ 8 |
৮তারপরে অন্য শিষ্যও ভেতরে গিয়েছিল, একজন যিনি কবরের কাছে প্রথমে পৌঁছেছিলেন; তিনি দেখেছিলেন এবং বিশ্বাস করেছিলেন।
لِأَنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا بَعْدُ يَعْرِفُونَ ٱلْكِتَابَ: أَنَّهُ يَنْبَغِي أَنْ يَقُومَ مِنَ ٱلْأَمْوَاتِ. | ٩ 9 |
৯ওই দিন পর্যন্ত তাঁরা শাস্ত্রের কথা বুঝতে পারেননি যে মৃতদের মধ্য থেকে যীশুকে আবার উঠতে হবে।
فَمَضَى ٱلتِّلْمِيذَانِ أَيْضًا إِلَى مَوْضِعِهِمَا. | ١٠ 10 |
১০সুতরাং শিষ্যরা আবার নিজের বাড়িতে চলে গেলেন।
أَمَّا مَرْيَمُ فَكَانَتْ وَاقِفَةً عِنْدَ ٱلْقَبْرِ خَارِجًا تَبْكِي. وَفِيمَا هِيَ تَبْكِي ٱنْحَنَتْ إِلَى ٱلْقَبْرِ، | ١١ 11 |
১১যদিও, মরিয়ম কবরের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে হেঁট হয়েছিলেন এবং কবরের ভেতরে তাকিয়ে ছিলেন।
فَنَظَرَتْ مَلَاكَيْنِ بِثِيَابٍ بِيضٍ جَالِسَيْنِ وَاحِدًا عِنْدَ ٱلرَّأْسِ وَٱلْآخَرَ عِنْدَ ٱلرِّجْلَيْنِ، حَيْثُ كَانَ جَسَدُ يَسُوعَ مَوْضُوعًا. | ١٢ 12 |
১২তিনি দেখেছিলেন সাদা কাপড় পরে দুই জন স্বর্গদূত বসে আছেন, যেখানে যীশুর মৃতদেহ রাখা হয়েছিল, একজন তার মাথার দিকে এবং অন্যজন পায়ের দিকে।
فَقَالَا لَهَا: «يَا ٱمْرَأَةُ، لِمَاذَا تَبْكِينَ؟». قَالَتْ لَهُمَا: «إِنَّهُمْ أَخَذُوا سَيِّدِي، وَلَسْتُ أَعْلَمُ أَيْنَ وَضَعُوهُ!». | ١٣ 13 |
১৩তাঁরা তাঁকে বললেন, “নারী, তুমি কাঁদছ কেন?” তিনি তাঁদের বললেন, “কারণ তারা আমার প্রভুকে নিয়ে গেছে এবং আমি জানি না তারা তাকে কোথায় রেখেছে।”
وَلَمَّا قَالَتْ هَذَا ٱلْتَفَتَتْ إِلَى ٱلْوَرَاءِ، فَنَظَرَتْ يَسُوعَ وَاقِفًا، وَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّهُ يَسُوعُ. | ١٤ 14 |
১৪যখন তিনি এটা বললেন, তিনি চারিদিকে ঘুরলেন এবং দেখলেন যীশু সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু তিনি চিনতে পারেননি যে তিনিই যীশু।
قَالَ لَهَا يَسُوعُ: «يَا ٱمْرَأَةُ، لِمَاذَا تَبْكِينَ؟ مَنْ تَطْلُبِينَ؟». فَظَنَّتْ تِلْكَ أَنَّهُ ٱلْبُسْتَانِيُّ، فَقَالَتْ لَهُ: «يَا سَيِّدُ، إِنْ كُنْتَ أَنْتَ قَدْ حَمَلْتَهُ فَقُلْ لِي أَيْنَ وَضَعْتَهُ، وَأَنَا آخُذُهُ». | ١٥ 15 |
১৫যীশু তাঁকে বললেন, “নারী, কাঁদছ কেন? তুমি কার খোঁজ করছ?” তিনি ভেবেছিলেন যে তিনি ছিলেন বাগানের মালি, সুতরাং তিনি তাকে বললেন, “মহাশয়, যদি আপনি তাঁকে নিয়ে গিয়ে থাকেন, আমাকে বলুন আপনি কোথায় তাঁকে রেখেছেন এবং আমি তাঁকে নিয়ে আসব।”
قَالَ لَهَا يَسُوعُ: «يَا مَرْيَمُ». فَٱلْتَفَتَتْ تِلْكَ وَقَالَتْ لَهُ: «رَبُّونِي!» ٱلَّذِي تَفْسِيرُهُ: يَا مُعَلِّمُ. | ١٦ 16 |
১৬যীশু তাঁকে বললেন, “মরিয়ম।” তিনি নিজে ঘুরলেন এবং ইব্রীয় ভাষায় তাঁকে বললেন, “রব্বূণি,” যাকে বলে “গুরু।”
قَالَ لَهَا يَسُوعُ: «لَا تَلْمِسِينِي لِأَنِّي لَمْ أَصْعَدْ بَعْدُ إِلَى أَبِي. وَلَكِنِ ٱذْهَبِي إِلَى إِخْوَتِي وَقُولِي لَهُمْ: إِنِّي أَصْعَدُ إِلَى أَبِي وَأَبِيكُمْ وَإِلَهِي وَإِلَهِكُمْ». | ١٧ 17 |
১৭যীশু তাঁকে বললেন, “আমাকে ছুঁয়না, কারণ এখনও আমি উর্ধে পিতার কাছে যাই নি; কিন্তু আমার ভাইদের কাছে যাও এবং তাদের বল যে আমি উর্ধে আমার পিতার কাছে যাব এবং তোমাদের পিতা এবং আমার ঈশ্বরও তোমাদের ঈশ্বর।”
فَجَاءَتْ مَرْيَمُ ٱلْمَجْدَلِيَّةُ وَأَخْبَرَتِ ٱلتَّلَامِيذَ أَنَّهَا رَأَتِ ٱلرَّبَّ، وَأَنَّهُ قَالَ لَهَا هَذَا. | ١٨ 18 |
১৮মগ্দলীনী মরিয়ম এলেন এবং শিষ্যদের বললেন, “আমি প্রভুকে দেখেছি,” এবং তিনি আমাকে এইসব কথা বলেছেন।
وَلَمَّا كَانَتْ عَشِيَّةُ ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ، وَهُوَ أَوَّلُ ٱلْأُسْبُوعِ، وَكَانَتِ ٱلْأَبْوَابُ مُغَلَّقَةً حَيْثُ كَانَ ٱلتَّلَامِيذُ مُجْتَمِعِينَ لِسَبَبِ ٱلْخَوْفِ مِنَ ٱلْيَهُودِ، جَاءَ يَسُوعُ وَوَقَفَ فِي ٱلْوَسْطِ، وَقَالَ لَهُمْ: «سَلَامٌ لَكُمْ!». | ١٩ 19 |
১৯এটা সেই একই দিনের সন্ধ্যেবেলা ছিল, ওই দিন সপ্তাহের প্রথম দিন এবং যখন দরজাগুলো বন্ধ ছিল যেখানে শিষ্যরা ইহুদীদের ভয়ে একত্রে ছিল, যীশু এলেন এবং তাদের মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁদের বললেন, “তোমাদের শান্তি হোক।”
وَلَمَّا قَالَ هَذَا أَرَاهُمْ يَدَيْهِ وَجَنْبَهُ، فَفَرِحَ ٱلتَّلَامِيذُ إِذْ رَأَوْا ٱلرَّبَّ. | ٢٠ 20 |
২০যখন তিনি এই বলেছিলেন, তিনি তাঁদের তাঁর দুই হাত এবং তাঁর পাঁজর দেখালেন। তারপর যখন শিষ্যরা প্রভুকে দেখতে পেয়েছিল, তারা আনন্দিত হয়েছিল।
فَقَالَ لَهُمْ يَسُوعُ أَيْضًا: «سَلَامٌ لَكُمْ! كَمَا أَرْسَلَنِي ٱلْآبُ أُرْسِلُكُمْ أَنَا». | ٢١ 21 |
২১তারপর যীশু তাদের আবার বললেন, “তোমাদের শান্তি হোক। পিতা যেমন আমাকে পাঠিয়েছেন, সেই রকম আমিও তোমাদের পাঠাই।”
وَلَمَّا قَالَ هَذَا نَفَخَ وَقَالَ لَهُمُ: «ٱقْبَلُوا ٱلرُّوحَ ٱلْقُدُسَ. | ٢٢ 22 |
২২যখন যীশু এই বলেছিলেন, তিনি তাঁদের উপরে ফুঁ দিলেন এবং তাঁদের বললেন, “পবিত্র আত্মা গ্রহণ কর।
مَنْ غَفَرْتُمْ خَطَايَاهُ تُغْفَرُ لَهُ، وَمَنْ أَمْسَكْتُمْ خَطَايَاهُ أُمْسِكَتْ». | ٢٣ 23 |
২৩তোমরা যাদের পাপ ক্ষমা করবে, তাদের ক্ষমা করা হবে; তুমি যাদের পাপ ক্ষমা করবে না, তাদের পাপ ক্ষমা করা হবে না।”
أَمَّا تُومَا، أَحَدُ ٱلِٱثْنَيْ عَشَرَ، ٱلَّذِي يُقَالُ لَهُ ٱلتَّوْأَمُ، فَلَمْ يَكُنْ مَعَهُمْ حِينَ جَاءَ يَسُوعُ. | ٢٤ 24 |
২৪যীশু যখন এসেছিলেন, তখন থোমা, সেই বারো জনের একজন, যাকে দিদুমঃ বলে, তিনি তাঁদের সঙ্গে ছিলেন না।
فَقَالَ لَهُ ٱلتَّلَامِيذُ ٱلْآخَرُونَ: «قَدْ رَأَيْنَا ٱلرَّبَّ!». فَقَالَ لَهُمْ: «إِنْ لَمْ أُبْصِرْ فِي يَدَيْهِ أَثَرَ ٱلْمَسَامِيرِ، وَأَضَعْ إِصْبِعِي فِي أَثَرِ ٱلْمَسَامِيرِ، وَأَضَعْ يَدِي فِي جَنْبِهِ، لَا أُومِنْ». | ٢٥ 25 |
২৫পরে অন্য শিষ্যরা তাঁকে বললেন, “আমরা প্রভুকে দেখেছি।” তিনি তাঁদের বললেন, “আমি যদি তাঁর দুই হাতে পেরেকের চিহ্ন না দেখি এবং সেই পেরেকের জায়গায় আমার আঙুল না দিই এবং তাঁর পাঁজরের মধ্যে আমার হাত না দিই, তবে আমি বিশ্বাস করব না।”
وَبَعْدَ ثَمَانِيَةِ أَيَّامٍ كَانَ تَلَامِيذُهُ أَيْضًا دَاخِلًا وَتُومَا مَعَهُمْ. فَجَاءَ يَسُوعُ وَٱلْأَبْوَابُ مُغَلَّقَةٌ، وَوَقَفَ فِي ٱلْوَسْطِ وَقَالَ: «سَلَامٌ لَكُمْ!». | ٢٦ 26 |
২৬আট দিন পরে তাঁর শিষ্যরা আবার ভেতরে ছিলেন এবং থোমা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। যখন দরজাগুলো বন্ধ ছিল তখন যীশু এসেছিলেন, তাদের মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং বললেন, “তোমাদের শান্তি হোক।”
ثُمَّ قَالَ لِتُومَا: «هَاتِ إِصْبِعَكَ إِلَى هُنَا وَأَبْصِرْ يَدَيَّ، وَهَاتِ يَدَكَ وَضَعْهَا فِي جَنْبِي، وَلَا تَكُنْ غَيْرَ مُؤْمِنٍ بَلْ مُؤْمِنًا». | ٢٧ 27 |
২৭তারপরে তিনি থোমাকে বললেন, তোমার আঙুল বাড়িয়ে দাও এবং আমার হাত দুখানা দেখ; আর তোমার হাত বাড়িয়ে দাও আমার পাঁজরের মধ্যে দাও; অবিশ্বাসী হও না, বিশ্বাসী হও।
أَجَابَ تُومَا وَقَالَ لَهُ: «رَبِّي وَإِلَهِي!». | ٢٨ 28 |
২৮থোমা উত্তর করে তাঁকে বললেন, “আমার প্রভু এবং আমার ঈশ্বর।”
قَالَ لَهُ يَسُوعُ: «لِأَنَّكَ رَأَيْتَنِي يَا تُومَا آمَنْتَ! طُوبَى لِلَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَرَوْا». | ٢٩ 29 |
২৯যীশু তাঁকে বললেন, “কারণ তুমি আমাকে দেখেছ, তুমি বিশ্বাস করেছ। ধন্য তারা যারা না দেখে বিশ্বাস করেছে এবং তবুও বিশ্বাস করেছে।”
وَآيَاتٍ أُخَرَ كَثِيرَةً صَنَعَ يَسُوعُ قُدَّامَ تَلَامِيذِهِ لَمْ تُكْتَبْ فِي هَذَا ٱلْكِتَابِ. | ٣٠ 30 |
৩০যীশু শিষ্যদের সামনে অনেক চিহ্ন-কাজ করেছিলেন, চিহ্ন যা এই বইতে লেখা হয়নি।
وَأَمَّا هَذِهِ فَقَدْ كُتِبَتْ لِتُؤْمِنُوا أَنَّ يَسُوعَ هُوَ ٱلْمَسِيحُ ٱبْنُ ٱللهِ، وَلِكَيْ تَكُونَ لَكُمْ إِذَا آمَنْتُمْ حَيَاةٌ بِٱسْمِهِ. | ٣١ 31 |
৩১কিন্তু এই সব লেখা হয়েছে যেন তোমরা বিশ্বাস কর যে যীশুই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র, আর বিশ্বাস কর যেন তাঁর নামে জীবন পাও।