< يوحنَّا 19 >

فَحِينَئِذٍ أَخَذَ بِيلَاطُسُ يَسُوعَ وَجَلَدَهُ. ١ 1
তারপর পীলাত যীশুকে নিয়ে তাঁকে চাবুক মারলেন।
وَضَفَرَ ٱلْعَسْكَرُ إِكْلِيلًا مِنْ شَوْكٍ وَوَضَعُوهُ عَلَى رَأْسِهِ، وَأَلْبَسُوهُ ثَوْبَ أُرْجُوَانٍ، ٢ 2
সৈন্যরা কাঁটা বাঁকিয়ে একসঙ্গে করে মুকুট তৈরী করলো। তারা এটা যীশুর মাথায় পরাল এবং তাঁকে বেগুনী কাপড় পরাল।
وَكَانُوا يَقُولُونَ: «ٱلسَّلَامُ يَا مَلِكَ ٱلْيَهُودِ!». وَكَانُوا يَلْطِمُونَهُ. ٣ 3
তারা তাঁর কাছে এল এবং বলল, “ওহে ইহুদীদের রাজা!” এবং তারা তাঁকে তাদের হাত দিয়ে আঘাত করতে লাগল।
فَخَرَجَ بِيلَاطُسُ أَيْضًا خَارِجًا وَقَالَ لَهُمْ: «هَا أَنَا أُخْرِجُهُ إِلَيْكُمْ لِتَعْلَمُوا أَنِّي لَسْتُ أَجِدُ فِيهِ عِلَّةً وَاحِدَةً». ٤ 4
তারপর পীলাত আবার বাইরে বেরিয়ে গেলেন এবং লোকদের বললেন, “দেখ, আমি যে মানুষটিকে তোমাদের কাছে বাইরে এনেছি তোমরা জান যে আমি তাঁর কোন দোষ দেখতে পাইনি।”
فَخَرَجَ يَسُوعُ خَارِجًا وَهُوَ حَامِلٌ إِكْلِيلَ ٱلشَّوْكِ وَثَوْبَ ٱلْأُرْجُوانِ. فَقَالَ لَهُمْ بِيلَاطُسُ: «هُوَذَا ٱلْإِنْسَانُ!». ٥ 5
সুতরাং যীশু বাইরে এলেন; তিনি কাঁটার মুকুট এবং বেগুনী কাপড় পরে ছিলেন। তারপর পীলাত তাদের বললেন, “দেখ, এখানে মানুষটিকে!”
فَلَمَّا رَآهُ رُؤَسَاءُ ٱلْكَهَنَةِ وَٱلْخُدَّامُ صَرَخُوا قَائِلِينَ: «ٱصْلِبْهُ! ٱصْلِبْهُ!». قَالَ لَهُمْ بِيلَاطُسُ: «خُذُوهُ أَنْتُمْ وَٱصْلِبُوهُ، لِأَنِّي لَسْتُ أَجِدُ فِيهِ عِلَّةً». ٦ 6
যখন প্রধান যাজকেরা এবং আধিকারিকরা যীশুকে দেখল, তারা চিত্কার করে উঠে বলল, “তাকে ক্রুশে দাও, তাকে ক্রুশে দাও!” পীলাত তাদের বললেন, “তোমরা নিজেরাই তাঁকে নিয়ে যাও এবং তাঁকে ক্রুশে দাও, কারণ আমি তাঁর কোন দোষ দেখতে পাচ্ছি না।”
أَجَابَهُ ٱلْيَهُودُ: «لَنَا نَامُوسٌ، وَحَسَبَ نَامُوسِنَا يَجِبُ أَنْ يَمُوتَ، لِأَنَّهُ جَعَلَ نَفْسَهُ ٱبْنَ ٱللهِ». ٧ 7
ইহুদীরা পীলাতকে উত্তর দিলেন, “আমাদের একটা আইন আছে এবং সেই আইন অনুসারে তাঁর মরা উচিত কারণ তিনি নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র মনে করেন।”
فَلَمَّا سَمِعَ بِيلَاطُسُ هَذَا ٱلْقَوْلَ ٱزْدَادَ خَوْفًا. ٨ 8
পীলাত যখন এই কথা শুনলেন, তিনি তখন আরও ভয় পেলেন,
فَدَخَلَ أَيْضًا إِلَى دَارِ ٱلْوِلَايَةِ وَقَالَ لِيَسُوعَ: «مِنْ أَيْنَ أَنْتَ؟». وَأَمَّا يَسُوعُ فَلَمْ يُعْطِهِ جَوَابًا. ٩ 9
এবং তিনি আবার রাজবাড়িতে ঢুকলেন এবং যীশুকে বললেন, “তুমি কোথা থেকে এসেছ?” তা সত্বেও, যীশু তাঁকে কোন উত্তর দিলেন না।
فَقَالَ لَهُ بِيلَاطُسُ: «أَمَا تُكَلِّمُنِي؟ أَلَسْتَ تَعْلَمُ أَنَّ لِي سُلْطَانًا أَنْ أَصْلِبَكَ وَسُلْطَانًا أَنْ أُطْلِقَكَ؟». ١٠ 10
১০তারপরে পীলাত তাঁকে বললেন, “তুমি আমার সঙ্গে কথা বলছ না কেন? তুমি কি জান না যে তোমাকে ছেড়ে দেবার ক্ষমতাও আমার আছে এবং তোমাকে ক্রুশে দেবারও ক্ষমতাও আমার আছে?”
أَجَابَ يَسُوعُ: «لَمْ يَكُنْ لَكَ عَلَيَّ سُلْطَانٌ ٱلْبَتَّةَ، لَوْ لَمْ تَكُنْ قَدْ أُعْطِيتَ مِنْ فَوْقُ. لِذَلِكَ ٱلَّذِي أَسْلَمَنِي إِلَيْكَ لَهُ خَطِيَّةٌ أَعْظَمُ». ١١ 11
১১যীশু তাঁকে উত্তর দিলেন, “যদি স্বর্গরাজ্য থেকে তোমাকে দেওয়া না হত, তবে আমার বিরুদ্ধে তোমার কোন ক্ষমতা থাকত না। সুতরাং যে লোক তোমার হাতে আমাকে সমর্পণ করেছে তারই পাপ হত বেশি।”
مِنْ هَذَا ٱلْوَقْتِ كَانَ بِيلَاطُسُ يَطْلُبُ أَنْ يُطْلِقَهُ، وَلَكِنَّ ٱلْيَهُودَ كَانُوا يَصْرُخُونَ قَائِلِينَ: «إِنْ أَطْلَقْتَ هَذَا فَلَسْتَ مُحِبًّا لِقَيْصَرَ. كُلُّ مَنْ يَجْعَلُ نَفْسَهُ مَلِكًا يُقَاوِمُ قَيْصَرَ!». ١٢ 12
১২এই উত্তরে, পীলাত তাঁকে ছেড়ে দিতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু ইহুদীরা চিত্কার করে বলল, “আপনি যদি এই মানুষটিকে ছেড়ে দেন, তবে আপনি কৈসরের বন্ধু নন: প্রত্যেকে যারা নিজেকে রাজা মনে করে, সে কৈসরের বিপক্ষে কথা বলে।”
فَلَمَّا سَمِعَ بِيلَاطُسُ هَذَا ٱلْقَوْلَ أَخْرَجَ يَسُوعَ، وَجَلَسَ عَلَى كُرْسِيِّ ٱلْوِلَايَةِ فِي مَوْضِعٍ يُقَالُ لَهُ «ٱلْبَلَاطُ» وَبِالْعِبْرَانِيَّةِ «جَبَّاثَا». ١٣ 13
১৩যখন পীলাত এই কথাগুলো শুনেছিলেন, তিনি যীশুকে বাইরে এনেছিলেন এবং পাথর দিয়ে বাঁধানো একটা জায়গায় বিচারের আসনে বসেছিলেন, ইব্রীয়তে, গব্বথা।
وَكَانَ ٱسْتِعْدَادُ ٱلْفِصْحِ، وَنَحْوَ ٱلسَّاعَةِ ٱلسَّادِسَةِ. فَقَالَ لِلْيَهُودِ: «هُوَذَا مَلِكُكُمْ!». ١٤ 14
১৪এই দিন টি ছিল নিস্তারপর্ব্বের আয়োজনের দিন, বেলা প্রায় বারোটা। পীলাত ইহুদীদের বললেন, “দেখ, এখানে তোমাদের রাজা!”
فَصَرَخُوا: «خُذْهُ! خُذْهُ! ٱصْلِبْهُ!». قَالَ لَهُمْ بِيلَاطُسُ: «أَأَصْلِبُ مَلِكَكُمْ؟». أَجَابَ رُؤَسَاءُ ٱلْكَهَنَةِ: «لَيْسَ لَنَا مَلِكٌ إِلَّا قَيْصَرَ!». ١٥ 15
১৫তারা চিত্কার করে উঠল, “তাকে দূর কর, তাকে দূর কর; তাকে ক্রুশে দাও!” পীলাত তাদের বললেন, “তোমাদের রাজাকে কি ক্রুশে দেব?” প্রধান যাজক উত্তর দিলেন, “কৈসর ছাড়া আমাদের অন্য কোনো রাজা নেই।”
فَحِينَئِذٍ أَسْلَمَهُ إِلَيْهِمْ لِيُصْلَبَ. فَأَخَذُوا يَسُوعَ وَمَضَوْا بِهِ. ١٦ 16
১৬তারপর পীলাত যীশুকে তাদের হাতে সমর্পণ করলেন যেন তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়।
فَخَرَجَ وَهُوَ حَامِلٌ صَلِيبَهُ إِلَى ٱلْمَوْضِعِ ٱلَّذِي يُقَالُ لَهُ «مَوْضِعُ ٱلْجُمْجُمَةِ» وَيُقَالُ لَهُ بِٱلْعِبْرَانِيَّةِ «جُلْجُثَةُ»، ١٧ 17
১৭তারপর তারা যীশুকে নিল এবং তিনি নিজের ক্রুশ নিজে বহন করে বেরিয়ে গেলেন, জায়গাটাকে বলত মাথার খুলির জায়গা, ইব্রীয় ভাষায় সেই জায়গাকে গলগথা বলে।
حَيْثُ صَلَبُوهُ، وَصَلَبُوا ٱثْنَيْنِ آخَرَيْنِ مَعَهُ مِنْ هُنَا وَمِنْ هُنَا، وَيَسُوعُ فِي ٱلْوَسْطِ. ١٨ 18
১৮তারা সেখানে যীশুকে ক্রুশে দিল এবং তাঁর সঙ্গে আর দুই জন মানুষকে দিল, দুই দিকে দুই জনকে, মাঝখানে যীশুকে।
وَكَتَبَ بِيلَاطُسُ عُنْوَانًا وَوَضَعَهُ عَلَى ٱلصَّلِيبِ. وَكَانَ مَكْتُوبًا: «يَسُوعُ ٱلنَّاصِرِيُّ مَلِكُ ٱلْيَهُودِ». ١٩ 19
১৯পীলাত আরও একখানা দোষপত্র লিখে ক্রুশের উপর দিকে লাগিয়ে দিলেন। সেখানে লেখা ছিল: নাসরতের যীশু, ইহুদীদের রাজা।
فَقَرَأَ هَذَا ٱلْعُنْوَانَ كَثِيرُونَ مِنَ ٱلْيَهُودِ، لِأَنَّ ٱلْمَكَانَ ٱلَّذِي صُلِبَ فِيهِ يَسُوعُ كَانَ قَرِيبًا مِنَ ٱلْمَدِينَةِ. وَكَانَ مَكْتُوبًا بِٱلْعِبْرَانِيَّةِ وَٱلْيُونَانِيَّةِ وَٱللَّاتِينِيَّةِ. ٢٠ 20
২০ইহুদীরা অনেকে সেই দোষপত্র পড়লেন, কারণ যেখানে যীশুকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল সেই জায়গাটা নগরের কাছে। দোষপত্রটি ইব্রীয়, রোমীয় ও গ্রীক ভাষায় লেখা ছিল।
فَقَالَ رُؤَسَاءُ كَهَنَةِ ٱلْيَهُودِ لِبِيلَاطُسَ: «لَا تَكْتُبْ: مَلِكُ ٱلْيَهُودِ، بَلْ: إِنَّ ذَاكَ قَالَ: أَنَا مَلِكُ ٱلْيَهُودِ!». ٢١ 21
২১তারপর ইহুদীদের প্রধান যাজকরা পীলাতকে বললেন, লিখবেন না, ইহুদীদের রাজা কিন্তু লিখুন যে, বরং তিনি বললেন, “আমি ইহুদীদের রাজা।”
أَجَابَ بِيلَاطُسُ: «مَا كَتَبْتُ قَدْ كَتَبْتُ». ٢٢ 22
২২পীলাত উত্তর দিলেন, “আমি যা লিখেছি, তা লিখেছি।”
ثُمَّ إِنَّ ٱلْعَسْكَرَ لَمَّا كَانُوا قَدْ صَلَبُوا يَسُوعَ، أَخَذُوا ثِيَابَهُ وَجَعَلُوهَا أَرْبَعَةَ أَقْسَامٍ، لِكُلِّ عَسْكَرِيٍّ قِسْمًا. وَأَخَذُوا ٱلْقَمِيصَ أَيْضًا. وَكَانَ ٱلْقَمِيصُ بِغَيْرِ خِيَاطَةٍ، مَنْسُوجًا كُلُّهُ مِنْ فَوْقُ. ٢٣ 23
২৩পরে সৈন্যরা যীশুকে ক্রুশে দিল, তারা তাঁর কাপড় নিল এবং সেগুলোকে চার টুকরো করলো, প্রত্যেক সৈন্য এক একটা অংশ নিল এবং জামাটিও নিল। ঐ জামাটায় সেলাই ছিল না, উপর থেকে সবটাই বোনা।
فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: «لَا نَشُقُّهُ، بَلْ نَقْتَرِعُ عَلَيْهِ لِمَنْ يَكُونُ». لِيَتِمَّ ٱلْكِتَابُ ٱلْقَائِلُ: «ٱقْتَسَمُوا ثِيَابِي بَيْنَهُمْ، وَعَلَى لِبَاسِي أَلْقَوْا قُرْعَةً». هَذَا فَعَلَهُ ٱلْعَسْكَرُ. ٢٤ 24
২৪তারপর তারা একে অন্যকে বলল, “এটা আমরা পৃথকভাবে ছিঁড়ব না, পরিবর্তে এস আমরা ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখি, এটা কার হবে।” এই ঘটেছিল যেন শাস্ত্রের বাক্য পূর্ণ হয় বলে, “তারা নিজেদের মধ্যে আমার কাপড় ভাগ করেছিল এবং আমার কাপড়ের জন্য তারা ভাগ্য পরীক্ষা করেছিল।”
وَكَانَتْ وَاقِفَاتٍ عِنْدَ صَلِيبِ يَسُوعَ، أُمُّهُ، وَأُخْتُ أُمِّهِ، مَرْيَمُ زَوْجَةُ كِلُوبَا، وَمَرْيَمُ ٱلْمَجْدَلِيَّةُ. ٢٥ 25
২৫সৈন্যরা এই সব করেছিল। যীশুর মা, তার মায়ের বোন, ক্লোপার স্ত্রী মরিয়ম এবং মগ্দলীনী মরিয়ম এই স্ত্রীলোকেরা যীশুর ক্রুশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
فَلَمَّا رَأَى يَسُوعُ أُمَّهُ، وَٱلتِّلْمِيذَ ٱلَّذِي كَانَ يُحِبُّهُ وَاقِفًا، قَالَ لِأُمِّهِ: «يَا ٱمْرَأَةُ، هُوَذَا ٱبْنُكِ». ٢٦ 26
২৬যখন যীশু তাঁর মাকে দেখেছিলেন এবং যাকে তিনি প্রেম করতেন সেই শিষ্য কাছে দাঁড়িয়ে আছেন দেখে, তিনি তাঁর মাকে বললেন, “নারী, দেখ, এখানে তোমার ছেলে!”
ثُمَّ قَالَ لِلتِّلْمِيذِ: «هُوَذَا أُمُّكَ». وَمِنْ تِلْكَ ٱلسَّاعَةِ أَخَذَهَا ٱلتِّلْمِيذُ إِلَى خَاصَّتِهِ. ٢٧ 27
২৭তারপর তিনি সেই শিষ্যকে বললেন, “দেখ, এখানে তোমার মা!” সেই দিন থেকে ঐ শিষ্য তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন।
بَعْدَ هَذَا رَأَى يَسُوعُ أَنَّ كُلَّ شَيْءٍ قَدْ كَمَلَ، فَلِكَيْ يَتِمَّ ٱلْكِتَابُ قَالَ: «أَنَا عَطْشَانُ». ٢٨ 28
২৮এর পরে যীশু জানতেন যে সব কিছু এখন শেষ হয়েছে, শাস্ত্রের বাক্য যেন পূর্ণ হয়, এই জন্য বললেন, “আমার পিপাসা পেয়েছে।”
وَكَانَ إِنَاءٌ مَوْضُوعًا مَمْلُوًّا خَلًّا، فَمَلَأُوا إِسْفِنْجَةً مِنَ ٱلْخَلِّ، وَوَضَعُوهَا عَلَى زُوفَا وَقَدَّمُوهَا إِلَى فَمِهِ. ٢٩ 29
২৯সেই জায়গায় সিরকায় ভর্তি একটা পাত্র ছিল, সুতরাং তারা সিরকায় ভর্তি একটা স্পঞ্জ এসোব নলে লাগাল এবং এটা উঁচুতে তুলে তাঁর মুখে ধরল।
فَلَمَّا أَخَذَ يَسُوعُ ٱلْخَلَّ قَالَ: «قَدْ أُكْمِلَ». وَنَكَّسَ رَأْسَهُ وَأَسْلَمَ ٱلرُّوحَ. ٣٠ 30
৩০যখন যীশু সিরকা গ্রহণ করলেন, তিনি বললেন, “শেষ হল।” তিনি তাঁর মাথা নীচু করলেন এবং আত্মা সমর্পণ করলেন।
ثُمَّ إِذْ كَانَ ٱسْتِعْدَادٌ، فَلِكَيْ لَا تَبْقَى ٱلْأَجْسَادُ عَلَى ٱلصَّلِيبِ فِي ٱلسَّبْتِ، لِأَنَّ يَوْمَ ذَلِكَ ٱلسَّبْتِ كَانَ عَظِيمًا، سَأَلَ ٱلْيَهُودُ بِيلَاطُسَ أَنْ تُكْسَرَ سِيقَانُهُمْ وَيُرْفَعُوا. ٣١ 31
৩১এটাই ছিল আয়োজনের দিন এবং আদেশ ছিল যে বিশ্রামবারে সেই মৃতদেহগুলো ক্রুশের ওপরে থাকবে না (কারণ বিশ্রামবার ছিল একটা বিশেষ দিন), ইহুদীরা পীলাতকে জিজ্ঞাসা করলেন যে লোকদের পা গুলি ভেঙে ফেলে এবং তাদের দেহগুলো নিচে নামানো হবে।
فَأَتَى ٱلْعَسْكَرُ وَكَسَرُوا سَاقَيِ ٱلْأَوَّلِ وَٱلْآخَرِ ٱلْمَصْلُوبِ مَعَهُ. ٣٢ 32
৩২তারপর সৈন্যরা এসেছিল এবং প্রথম লোকটী পা গুলি ভাঙলো এবং দ্বিতীয় লোকটিরও যাদের যীশুর সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়েছিল।
وَأَمَّا يَسُوعُ فَلَمَّا جَاءُوا إِلَيْهِ لَمْ يَكْسِرُوا سَاقَيْهِ، لِأَنَّهُمْ رَأَوْهُ قَدْ مَاتَ. ٣٣ 33
৩৩তখন যারা যীশুর কাছে এসেছিল, তারা দেখল যে তিনি মারা গেছেন, সুতরাং তারা তাঁর পা গুলি ভাঙলো না।
لَكِنَّ وَاحِدًا مِنَ ٱلْعَسْكَرِ طَعَنَ جَنْبَهُ بِحَرْبَةٍ، وَلِلْوَقْتِ خَرَجَ دَمٌ وَمَاءٌ. ٣٤ 34
৩৪তা সত্বেও সৈন্যদের মধ্যে একজন বল্লম দিয়ে তাঁর পাঁজরে খোঁচা দিল এবং তখনই রক্ত এবং জল বেরিয়ে এল।
وَٱلَّذِي عَايَنَ شَهِدَ، وَشَهَادَتُهُ حَقٌّ، وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ يَقُولُ ٱلْحَقَّ لِتُؤْمِنُوا أَنْتُمْ. ٣٥ 35
৩৫একজন যে দেখেছিল সে প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য দিয়েছে এবং তার সাক্ষ্য সত্য; তিনি জানতেন যে তিনি যা বলছেন সত্য যেন তোমরাও বিশ্বাস করতে পার।
لِأَنَّ هَذَا كَانَ لِيَتِمَّ ٱلْكِتَابُ ٱلْقَائِلُ: «عَظْمٌ لَا يُكْسَرُ مِنْهُ». ٣٦ 36
৩৬এই সব আসল যেন এই শাস্ত্রীয় বাক্য পূর্ণ হয়, “তাঁর একখানা হাড়ও ভাঙা হবে না।”
وَأَيْضًا يَقُولُ كِتَابٌ آخَرُ: «سَيَنْظُرُونَ إِلَى ٱلَّذِي طَعَنُوهُ». ٣٧ 37
৩৭আবার, অন্য শাস্ত্রীয় বাক্য বলে, “তারা যাকে বিদ্ধ করেছে তারা তাঁকে দেখবে।”
ثُمَّ إِنَّ يُوسُفَ ٱلَّذِي مِنَ ٱلرَّامَةِ، وَهُوَ تِلْمِيذُ يَسُوعَ، وَلَكِنْ خُفْيَةً لِسَبَبِ ٱلْخَوْفِ مِنَ ٱلْيَهُودِ، سَأَلَ بِيلَاطُسَ أَنْ يَأْخُذَ جَسَدَ يَسُوعَ، فَأَذِنَ بِيلَاطُسُ. فَجَاءَ وَأَخَذَ جَسَدَ يَسُوعَ. ٣٨ 38
৩৮এর পরে অরিমাথিয়ার যোষেফ, যিনি যীশুর একজন শিষ্য ছিলেন, কিন্তু ইহুদীদের ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন, তিনি পীলাতকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তিনি যীশুর দেহ নিয়ে যেতে পারেন। পীলাত তাঁকে অনুমতি দিলেন। সুতরাং যোষেফ এলেন এবং তাঁর মৃতদেহ নিয়ে গেলেন।
وَجَاءَ أَيْضًا نِيقُودِيمُوسُ، ٱلَّذِي أَتَى أَوَّلًا إِلَى يَسُوعَ لَيْلًا، وَهُوَ حَامِلٌ مَزِيجَ مُرٍّ وَعُودٍ نَحْوَ مِئَةِ مَنًا. ٣٩ 39
৩৯যিনি প্রথমে রাতেরবেলা যীশুর কাছে এসেছিলেন, সেই নীকদীমও এলেন। তিনি মেশানো গন্ধরস এবং অগুরু প্রায় চৌত্রিশ কিলোগ্রাম নিয়ে এলেন।
فَأَخَذَا جَسَدَ يَسُوعَ، وَلَفَّاهُ بِأَكْفَانٍ مَعَ ٱلْأَطْيَابِ، كَمَا لِلْيَهُودِ عَادَةٌ أَنْ يُكَفِّنُوا. ٤٠ 40
৪০সুতরাং তাঁরা যীশুর মৃতদেহ নিলেন এবং ইহুদীদের কবর দেবার নিয়ম মত সুগন্ধ জিনিস দিয়ে লিনেন কাপড় দিয়ে জড়ালেন।
وَكَانَ فِي ٱلْمَوْضِعِ ٱلَّذِي صُلِبَ فِيهِ بُسْتَانٌ، وَفِي ٱلْبُسْتَانِ قَبْرٌ جَدِيدٌ لَمْ يُوضَعْ فِيهِ أَحَدٌ قَطُّ. ٤١ 41
৪১যেখানে তাঁকে ক্রুশে দেওয়া হয়েছিল সেখানে একটা বাগান ছিল; এবং সেই বাগানের মধ্যে একটা নতুন কবর ছিল, যার মধ্যে কোন লোককে কখন কবর দেওয়া হয়নি।
فَهُنَاكَ وَضَعَا يَسُوعَ لِسَبَبِ ٱسْتِعْدَادِ ٱلْيَهُودِ، لِأَنَّ ٱلْقَبْرَ كَانَ قَرِيبًا. ٤٢ 42
৪২কারণ এটা ছিল ইহুদীদের আয়োজনের দিন কারণ কবরটা খুব কাছে ছিল, তাঁরা এটার মধ্যে যীশুকে রাখলেন।

< يوحنَّا 19 >