lūkaḥ 8
1 aparañca yīśu rdvādaśabhiḥ śiṣyaiḥ sārddhaṁ nānānagarēṣu nānāgrāmēṣu ca gacchan iśvarīyarājatvasya susaṁvādaṁ pracārayituṁ prārēbhē|
এরপর যীশু ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার ঘোষণা করতে করতে বিভিন্ন গ্রাম ও নগর পরিক্রমা করতে লাগলেন। সেই বারোজন প্রেরিতশিষ্যও তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
2 tadā yasyāḥ sapta bhūtā niragacchan sā magdalīnīti vikhyātā mariyam hērōdrājasya gr̥hādhipatēḥ hōṣē rbhāryyā yōhanā śūśānā
মন্দ-আত্মা ও বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থতা লাভ করেছিলেন, এমন আরও কয়েকজন মহিলা তাদের সহযাত্রী হয়েছিলেন। তারা হলেন সেই মরিয়ম (মাগ্দালাবাসী নামে আখ্যাত), যার মধ্যে থেকে যীশু সাতটি ভূত তাড়িয়ে ছিলেন,
3 prabhr̥tayō yā bahvyaḥ striyaḥ duṣṭabhūtēbhyō rōgēbhyaśca muktāḥ satyō nijavibhūtī rvyayitvā tamasēvanta, tāḥ sarvvāstēna sārddham āsan|
হেরোদের গৃহস্থালীর প্রধান ব্যবস্থাপক কূষের স্ত্রী যোহান্না, শোশন্না এবং আরও অনেকে। এই মহিলারা আপন আপন সম্পত্তি থেকে তাঁদের পরিচর্যা করতেন।
4 anantaraṁ nānānagarēbhyō bahavō lōkā āgatya tasya samīpē'milan, tadā sa tēbhya ēkāṁ dr̥ṣṭāntakathāṁ kathayāmāsa| ēkaḥ kr̥ṣībalō bījāni vaptuṁ bahirjagāma,
যখন অনেক লোক সমবেত হচ্ছিল এবং বিভিন্ন নগর থেকে লোকেরা যীশুর কাছে আসছিল, তিনি তাদের এই রূপক কাহিনিটি বললেন:
5 tatō vapanakālē katipayāni bījāni mārgapārśvē pētuḥ, tatastāni padatalai rdalitāni pakṣibhi rbhakṣitāni ca|
“একজন কৃষক তার বীজবপন করতে গেল। সে যখন বীজ ছড়াচ্ছিল, কিছু বীজ পথের ধারে পড়ল; সেগুলি পায়ের তলায় মাড়িয়ে গেল, আর পাখিরা এসে তা খেয়ে ফেলল।
6 katipayāni bījāni pāṣāṇasthalē patitāni yadyapi tānyaṅkuritāni tathāpi rasābhāvāt śuśuṣuḥ|
কতগুলি বীজ পড়ল পাথুরে জমিতে। সেগুলির অঙ্কুরোদ্গম হল, কিন্তু রস না থাকায় চারাগুলি শুকিয়ে গেল।
7 katipayāni bījāni kaṇṭakivanamadhyē patitāni tataḥ kaṇṭakivanāni saṁvr̥ddhya tāni jagrasuḥ|
কিছু বীজ পড়ল কাঁটাঝোপের মধ্যে। কাঁটাঝোপ চারাগাছের সঙ্গেই বেড়ে উঠে তাদের ঢেকে ফেলল।
8 tadanyāni katipayabījāni ca bhūmyāmuttamāyāṁ pētustatastānyaṅkurayitvā śataguṇāni phalāni phēluḥ| sa imā kathāṁ kathayitvā prōccaiḥ prōvāca, yasya śrōtuṁ śrōtrē staḥ sa śr̥ṇōtu|
আবার কিছু বীজ পড়ল উৎকৃষ্ট জমিতে, সেখানে গাছগুলি বেড়ে উঠে যা বপন করা হয়েছিল, তার শতগুণ ফসল উৎপন্ন করল।” একথা বলার পর তিনি উচ্চকণ্ঠে বললেন, “যার শোনবার কান আছে, সে শুনুক।”
9 tataḥ paraṁ śiṣyāstaṁ papracchurasya dr̥ṣṭāntasya kiṁ tātparyyaṁ?
তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে এই রূপকের অর্থ জিজ্ঞাসা করলেন।
10 tataḥ sa vyājahāra, īśvarīyarājyasya guhyāni jñātuṁ yuṣmabhyamadhikārō dīyatē kintvanyē yathā dr̥ṣṭvāpi na paśyanti śrutvāpi ma budhyantē ca tadarthaṁ tēṣāṁ purastāt tāḥ sarvvāḥ kathā dr̥ṣṭāntēna kathyantē|
তিনি বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্যের নিগূঢ়তত্ত্ব তোমাদেরই কাছে ব্যক্ত হয়েছে, কিন্তু অন্যদের কাছে আমি রূপকের আশ্রয়ে কথা বলি যেন, “‘দেখেও তারা দেখতে না পায়, আর শুনেও তারা বুঝতে না পায়।’
11 dr̥ṣṭāntasyāsyābhiprāyaḥ, īśvarīyakathā bījasvarūpā|
“এই রূপকের অর্থ হল এরকম: সেই বীজ ঈশ্বরের বাক্য।
12 yē kathāmātraṁ śr̥ṇvanti kintu paścād viśvasya yathā paritrāṇaṁ na prāpnuvanti tadāśayēna śaitānētya hr̥dayātr̥ tāṁ kathām apaharati ta ēva mārgapārśvasthabhūmisvarūpāḥ|
পথের উপর পতিত বীজ হল এমন কিছু লোক, যারা বাক্য শোনে, আর পরে দিয়াবল এসে তাদের অন্তর থেকে বাক্য হরণ করে, যেন তারা বিশ্বাস করতে না পারে ও পরিত্রাণ না পায়।
13 yē kathaṁ śrutvā sānandaṁ gr̥hlanti kintvabaddhamūlatvāt svalpakālamātraṁ pratītya parīkṣākālē bhraśyanti taēva pāṣāṇabhūmisvarūpāḥ|
পাথুরে জমির উপরে পতিত বীজ হল তারাই, যারা ঈশ্বরের বাক্য শোনামাত্র সানন্দে গ্রহণ করে, কিন্তু মূল না থাকায় তাদের বিশ্বাস ক্ষণস্থায়ী হয়, কিন্তু পরীক্ষার সময় তারা বিপথগামী হয়।
14 yē kathāṁ śrutvā yānti viṣayacintāyāṁ dhanalōbhēna ēhikasukhē ca majjanta upayuktaphalāni na phalanti ta ēvōptabījakaṇṭakibhūsvarūpāḥ|
কাঁটাঝোপের মধ্যে পতিত বীজ তারা, যারা বাক্য শোনে, কিন্তু জীবনে চলার পথে বিভিন্ন দুশ্চিন্তা, ধনসম্পত্তি ও বিলাসিতায় ব্যাহত হয়ে পরিপক্ব হতে পারে না।
15 kintu yē śrutvā saralaiḥ śuddhaiścāntaḥkaraṇaiḥ kathāṁ gr̥hlanti dhairyyam avalambya phalānyutpādayanti ca ta ēvōttamamr̥tsvarūpāḥ|
কিন্তু উৎকৃষ্ট জমিতে পতিত বীজ তারাই, যারা উদার ও শুদ্ধচিত্ত, তারা বাক্য শুনে তা আঁকড়ে থাকে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে প্রচুর শস্য উৎপন্ন করে।
16 aparañca pradīpaṁ prajvālya kōpi pātrēṇa nācchādayati tathā khaṭvādhōpi na sthāpayati, kintu dīpādhārōparyyēva sthāpayati, tasmāt pravēśakā dīptiṁ paśyanti|
“প্রদীপ জ্বেলে কেউ পাত্রের মধ্যে লুকিয়ে রাখে না, বা খাটের নিচেও রেখে দেয় না। বরং প্রদীপটিকে সে একটি বাতিদানের উপরেই রেখে দেয়, যেন যারা ভিতরে প্রবেশ করে, তারা আলো দেখতে পায়।
17 yanna prakāśayiṣyatē tādr̥g aprakāśitaṁ vastu kimapi nāsti yacca na suvyaktaṁ pracārayiṣyatē tādr̥g gr̥ptaṁ vastu kimapi nāsti|
কারণ গুপ্ত এমন কিছুই নেই, যা জানা যাবে না, বা প্রকাশ্যে উদ্ঘাটিত হবে না।
18 atō yūyaṁ kēna prakārēṇa śr̥ṇutha tatra sāvadhānā bhavata, yasya samīpē barddhatē tasmai punardāsyatē kintu yasyāśrayē na barddhatē tasya yadyadasti tadapi tasmāt nēṣyatē|
কাজেই কীভাবে শুনছ, সে বিষয়ে সতর্ক থেকো। যার আছে, তাকে আরও দেওয়া হবে; যার নেই, এমনকি, কিছু আছে বলে যদি সে মনে করে, তাও তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে।”
19 aparañca yīśō rmātā bhrātaraśca tasya samīpaṁ jigamiṣavaḥ
এরপর যীশুর মা ও ভাইয়েরা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন, কিন্তু ভিড়ের জন্য তাঁরা তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারলেন না।
20 kintu janatāsambādhāt tatsannidhiṁ prāptuṁ na śēkuḥ| tatpaścāt tava mātā bhrātaraśca tvāṁ sākṣāt cikīrṣantō bahistiṣṭhanatīti vārttāyāṁ tasmai kathitāyāṁ
এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, “আপনার মা ও ভাইয়েরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন, আপনার সঙ্গে দেখা করতে চান।”
21 sa pratyuvāca; yē janā īśvarasya kathāṁ śrutvā tadanurūpamācaranti taēva mama mātā bhrātaraśca|
তিনি উত্তর দিলেন, “যারা ঈশ্বরের বাক্য শুনে সেইমতো কাজ করে, তারাই আমার মা ও ভাই।”
22 anantaraṁ ēkadā yīśuḥ śiṣyaiḥ sārddhaṁ nāvamāruhya jagāda, āyāta vayaṁ hradasya pāraṁ yāmaḥ, tatastē jagmuḥ|
একদিন যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “চলো আমরা সাগরের ওপারে যাই।” এতে তারা একটি নৌকায় উঠে বসে যাত্রা করলেন।
23 tēṣu naukāṁ vāhayatsu sa nidadrau;
তাঁরা নৌকা চালানো শুরু করলে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। এমন সময় সাগরে প্রচণ্ড ঝড় উঠল, নৌকা জলে ভর্তি হতে লাগল। তাঁরা এক ভয়ংকর বিপদের সম্মুখীন হলেন।
24 athākasmāt prabalajhañbhśagamād hradē naukāyāṁ taraṅgairācchannāyāṁ vipat tān jagrāsa|tasmād yīśōrantikaṁ gatvā hē gurō hē gurō prāṇā nō yāntīti gaditvā taṁ jāgarayāmbabhūvuḥ|tadā sa utthāya vāyuṁ taraṅgāṁśca tarjayāmāsa tasmādubhau nivr̥tya sthirau babhūvatuḥ|
শিষ্যেরা কাছে গিয়ে তাঁকে জাগালেন, “প্রভু, প্রভু, আমরা যে ডুবতে বসেছি!” তিনি উঠে বাতাস ও উত্তাল জলরাশিকে ধমক দিলেন, ঝড় থেমে গেল। সবকিছু শান্ত হল।
25 sa tān babhāṣē yuṣmākaṁ viśvāsaḥ ka? tasmāttē bhītā vismitāśca parasparaṁ jagaduḥ, ahō kīdr̥gayaṁ manujaḥ pavanaṁ pānīyañcādiśati tadubhayaṁ tadādēśaṁ vahati|
তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন, “তোমাদের বিশ্বাস কোথায় গেল?” ভয়ে ও বিস্ময়ে তাঁরা পরস্পর বলাবলি করলেন, “ইনি তাহলে কে, যিনি বাতাস ও জলকে আদেশ দেন, ও তারা তাঁর কথা মেনে চলে?”
26 tataḥ paraṁ gālīlpradēśasya sammukhasthagidērīyapradēśē naukāyāṁ lagantyāṁ taṭē'varōhamāvād
পরে তাঁরা গেরাসেনী অঞ্চলে পৌঁছালেন। সেই স্থানটি গালীল সাগরের অপর পারে অবস্থিত।
27 bahutithakālaṁ bhūtagrasta ēkō mānuṣaḥ purādāgatya taṁ sākṣāccakāra| sa manuṣō vāsō na paridadhat gr̥hē ca na vasan kēvalaṁ śmaśānam adhyuvāsa|
যীশু তীরে নামবার সঙ্গে সঙ্গেই নগরের এক মন্দ-আত্মাগ্রস্ত ব্যক্তির সাক্ষাৎ পেলেন। বহুদিন ধরে এই লোকটি বিনা কাপড়ে উলঙ্গ হয়ে থাকত, বাড়িতে বসবাস করত না। সে থাকত কবরস্থানে।
28 sa yīśuṁ dr̥ṣṭvaiva cīcchabdaṁ cakāra tasya sammukhē patitvā prōccairjagāda ca, hē sarvvapradhānēśvarasya putra, mayā saha tava kaḥ sambandhaḥ? tvayi vinayaṁ karōmi māṁ mā yātaya|
সে যীশুকে দেখে চিৎকার করে উঠল এবং তাঁর পায়ে লুটিয়ে পড়ে উচ্চস্বরে বলল, “পরাৎপর ঈশ্বরের পুত্র যীশু, আপনি আমাকে নিয়ে কী করতে চান? আমি আপনার কাছে মিনতি করি, আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না!”
29 yataḥ sa taṁ mānuṣaṁ tyaktvā yātum amēdhyabhūtam ādidēśa; sa bhūtastaṁ mānuṣam asakr̥d dadhāra tasmāllōkāḥ śr̥ṅkhalēna nigaḍēna ca babandhuḥ; sa tad bhaṁktvā bhūtavaśatvāt madhyēprāntaraṁ yayau|
কারণ লোকটির মধ্য থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যীশু সেই অশুচি আত্মাকে আদেশ দিয়েছিলেন। বারবার সে তার উপর ভর করত। লোকটির হাতে-পায়ে শিকল দিয়ে সতর্ক পাহারা রাখা হলেও, সে তার শিকল ছিঁড়ে ফেলত, আর ভূত তাকে তাড়িয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যেত।
30 anantaraṁ yīśustaṁ papraccha tava kinnāma? sa uvāca, mama nāma bāhinō yatō bahavō bhūtāstamāśiśriyuḥ|
যীশু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার নাম কী?” “বাহিনী,” সে উত্তর দিল, কারণ বহু ভূত তার মধ্যে প্রবেশ করেছিল।
তারা তাঁর কাছে বারবার অনুরোধ করতে লাগল, তিনি যেন তাদের রসাতলে না পাঠান। (Abyssos g12)
32 tadā parvvatōpari varāhavrajaścarati tasmād bhūtā vinayēna prōcuḥ, amuṁ varāhavrajam āśrayitum asmān anujānīhi; tataḥ sōnujajñau|
সেখানে পাহাড়ের গায়ে বিশাল একপাল শূকর চরে বেড়াচ্ছিল। ভূতেরা শূকরদের মধ্যে প্রবেশ করার অনুমতি প্রার্থনা করে যীশুকে অনুনয় করল। তিনি তাদের অনুমতি দিলেন।
33 tataḥ paraṁ bhūtāstaṁ mānuṣaṁ vihāya varāhavrajam āśiśriyuḥ varāhavrajāśca tatkṣaṇāt kaṭakēna dhāvantō hradē prāṇān vijr̥huḥ|
ভূতেরা লোকটির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে সেই শূকরপালের মধ্যে প্রবেশ করল। শূকরের পাল পাহাড়ের খাড়া ঢাল বেয়ে ছুটে গিয়ে হ্রদে পড়ে ডুবে গেল।
34 tad dr̥ṣṭvā śūkararakṣakāḥ palāyamānā nagaraṁ grāmañca gatvā tatsarvvavr̥ttāntaṁ kathayāmāsuḥ|
যারা শূকর চরাচ্ছিল, তারা এই ঘটনাটি দেখে দৌড়ে পালিয়ে গেল ও নগরে ও গ্রামাঞ্চলে গিয়ে এই সংবাদ দিল।
35 tataḥ kiṁ vr̥ttam ētaddarśanārthaṁ lōkā nirgatya yīśōḥ samīpaṁ yayuḥ, taṁ mānuṣaṁ tyaktabhūtaṁ parihitavastraṁ svasthamānuṣavad yīśōścaraṇasannidhau sūpaviśantaṁ vilōkya bibhyuḥ|
কী ঘটেছে দেখবার জন্য লোকেরা বাইরে এল। যীশুর কাছে উপস্থিত হয়ে তারা দেখতে পেল, সেই লোকটি ভূতের কবলমুক্ত হয়ে পোশাক পরে সুস্থ মনে যীশুর পায়ের কাছে বসে আছে। এই দেখে তারা ভয় পেয়ে গেল।
36 yē lōkāstasya bhūtagrastasya svāsthyakaraṇaṁ dadr̥śustē tēbhyaḥ sarvvavr̥ttāntaṁ kathayāmāsuḥ|
প্রত্যক্ষদর্শীরা সেই ভূতগ্রস্ত ব্যক্তিটি কীভাবে সুস্থ হয়েছে, তা সকলকে বলতে লাগল।
37 tadanantaraṁ tasya gidērīyapradēśasya caturdiksthā bahavō janā atitrastā vinayēna taṁ jagaduḥ, bhavān asmākaṁ nikaṭād vrajatu tasmāt sa nāvamāruhya tatō vyāghuṭya jagāma|
তখন গেরাসেনী অঞ্চলের লোকেরা ভয় পেয়ে তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য যীশুকে অনুরোধ করল। যীশু তখন নৌকায় উঠে চলে গেলেন।
38 tadānīṁ tyaktabhūtamanujastēna saha sthātuṁ prārthayāñcakrē
যে লোকটির মধ্য থেকে ভূতেরা বেরিয়ে এসেছিল, সে তাঁর সঙ্গী হওয়ার জন্য যীশুকে অনুনয় করতে লাগল। কিন্তু যীশু তাকে ফিরিয়ে দিলেন,
39 kintu tadartham īśvaraḥ kīdr̥ṅmahākarmma kr̥tavān iti nivēśanaṁ gatvā vijñāpaya, yīśuḥ kathāmētāṁ kathayitvā taṁ visasarja| tataḥ sa vrajitvā yīśustadarthaṁ yanmahākarmma cakāra tat purasya sarvvatra prakāśayituṁ prārēbhē|
বললেন, “তুমি বাড়ি ফিরে যাও, আর লোকদের গিয়ে বলো, ঈশ্বর তোমার জন্য কী করেছেন।” তাই লোকটি চলে গেল, আর যীশু তার জন্য যা করেছেন, সেকথা নগরের সর্বত্র বলে বেড়াতে লাগল।
40 atha yīśau parāvr̥tyāgatē lōkāstaṁ ādarēṇa jagr̥hu ryasmāttē sarvvē tamapēkṣāñcakrirē|
যীশু ফিরে আসার পর লোকেরা তাঁকে স্বাগত জানাল, কারণ তারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল।
41 tadanantaraṁ yāyīrnāmnō bhajanagēhasyaikōdhipa āgatya yīśōścaraṇayōḥ patitvā svanivēśanāgamanārthaṁ tasmin vinayaṁ cakāra,
সেই সময়, যায়ীর নামে এক ব্যক্তি এসে যীশুর পায়ে লুটিয়ে পড়লেন; তিনি ছিলেন সমাজভবনের একজন অধ্যক্ষ। তাঁর বাড়িতে আসার জন্য তিনি তাঁকে মিনতি করলেন।
42 yatastasya dvādaśavarṣavayaskā kanyaikāsīt sā mr̥takalpābhavat| tatastasya gamanakālē mārgē lōkānāṁ mahān samāgamō babhūva|
কারণ তাঁর একমাত্র মেয়ে তখন ছিল মৃত্যুশয্যায়, যার বয়স ছিল প্রায় বারো বছর। যীশু যখন পথ চলছিলেন, মানুষের ভিড়ে তাঁর চাপা পড়ার উপক্রম হল।
43 dvādaśavarṣāṇi pradararōgagrastā nānā vaidyaiścikitsitā sarvvasvaṁ vyayitvāpi svāsthyaṁ na prāptā yā yōṣit sā yīśōḥ paścādāgatya tasya vastragranthiṁ pasparśa|
সেখানে এক নারী ছিল, যে বারো বছর ধরে রক্তস্রাবের ব্যাধিতে ভুগছিল। সে চিকিৎসকদের পিছনে তার সর্বস্ব ব্যয় করেছিল, কিন্তু কেউ তাকে সুস্থ করতে পারেনি।
44 tasmāt tatkṣaṇāt tasyā raktasrāvō ruddhaḥ|
নারী ভিড়ের মধ্যে যীশুর পিছনে এসে তাঁর পোশাকের আঁচল স্পর্শ করল এবং সঙ্গে সঙ্গে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে গেল।
45 tadānīṁ yīśuravadat kēnāhaṁ spr̥ṣṭaḥ? tatō'nēkairanaṅgīkr̥tē pitarastasya saṅginaścāvadan, hē gurō lōkā nikaṭasthāḥ santastava dēhē gharṣayanti, tathāpi kēnāhaṁ spr̥ṣṭa̮iti bhavān kutaḥ pr̥cchati?
যীশু জিজ্ঞাসা করলেন, “কে আমাকে স্পর্শ করল?” তারা সবাই অস্বীকার করলে, পিতর বললেন, “প্রভু, লোকেরা ভিড় করে যে আপনার উপরে চেপে পড়ছে!”
46 yīśuḥ kathayāmāsa, kēnāpyahaṁ spr̥ṣṭō, yatō mattaḥ śakti rnirgatēti mayā niścitamajñāyi|
কিন্তু যীশু বললেন, “কেউ একজন আমাকে স্পর্শ করেছে, কারণ আমি বুঝতে পেরেছি যে, আমার ভিতর থেকে শক্তি নির্গত হয়েছে।”
47 tadā sā nārī svayaṁ na guptēti viditvā kampamānā satī tasya sammukhē papāta; yēna nimittēna taṁ pasparśa sparśamātrācca yēna prakārēṇa svasthābhavat tat sarvvaṁ tasya sākṣādācakhyau|
সেই নারী যখন দেখল যে এই বিষয়টি গোপন রাখা সম্ভব নয়, তখন সে কাঁপতে কাঁপতে এগিয়ে এসে যীশুর পায়ে লুটিয়ে পড়ল। সে সমস্ত লোকের সাক্ষাতে বলল, কেন সে তাঁকে স্পর্শ করেছিল এবং কীভাবে, সেই মুহূর্তেই সে সুস্থ হয়েছিল।
48 tataḥ sa tāṁ jagāda hē kanyē susthirā bhava, tava viśvāsastvāṁ svasthām akārṣīt tvaṁ kṣēmēṇa yāhi|
তখন তিনি তাকে বললেন, “কন্যা, তোমার বিশ্বাসই তোমাকে সুস্থ করেছে। শান্তিতে ফিরে যাও।”
49 yīśōrētadvākyavadanakālē tasyādhipatē rnivēśanāt kaścillōka āgatya taṁ babhāṣē, tava kanyā mr̥tā guruṁ mā kliśāna|
যীশু তখনও কথা বলছেন, এমন সময় সমাজভবনের অধ্যক্ষ যায়ীরের বাড়ি থেকে একজন এসে উপস্থিত হল। সে বলল, “আপনার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আর গুরুমহাশয়কে বিব্রত করবেন না।”
50 kintu yīśustadākarṇyādhipatiṁ vyājahāra, mā bhaiṣīḥ kēvalaṁ viśvasihi tasmāt sā jīviṣyati|
একথা শুনে যীশু যায়ীরকে বললেন, “ভয় পেয়ো না, শুধু বিশ্বাস করো, সে সুস্থ হয়ে যাবে।”
51 atha tasya nivēśanē prāptē sa pitaraṁ yōhanaṁ yākūbañca kanyāyā mātaraṁ pitarañca vinā, anyaṁ kañcana pravēṣṭuṁ vārayāmāsa|
তিনি যায়ীরের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পিতর, যোহন ও যাকোব এবং মেয়েটির বাবা-মা ছাড়া আর কাউকে তাঁর সঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করতে দিলেন না।
52 aparañca yē rudanti vilapanti ca tān sarvvān janān uvāca, yūyaṁ mā rōdiṣṭa kanyā na mr̥tā nidrāti|
সেই সময়, সমস্ত লোক মেয়েটির জন্য শোক ও বিলাপ করছিল। যীশু বললেন, “তোমাদের বিলাপ বন্ধ করো। সে মারা যায়নি, ঘুমিয়ে আছে মাত্র।”
53 kintu sā niścitaṁ mr̥tēti jñātvā tē tamupajahasuḥ|
তারা জানত, মেয়েটি মারা গেছে, তাই তারা যীশুকে উপহাস করল।
54 paścāt sa sarvvān bahiḥ kr̥tvā kanyāyāḥ karau dhr̥tvājuhuvē, hē kanyē tvamuttiṣṭha,
কিন্তু যীশু মেয়েটির হাত ধরে বললেন, “খুকুমণি, ওঠো!”
55 tasmāt tasyāḥ prāṇēṣu punarāgatēṣu sā tatkṣaṇād uttasyau| tadānīṁ tasyai kiñcid bhakṣyaṁ dātum ādidēśa|
তখন তার আত্মা ফিরে এল এবং সে তখনই উঠে দাঁড়াল। তখন যীশু তাদের বললেন মেয়েটিকে কিছু খেতে দিতে।
56 tatastasyāḥ pitarau vismayaṁ gatau kintu sa tāvādidēśa ghaṭanāyā ētasyāḥ kathāṁ kasmaicidapi mā kathayataṁ|
তার বাবা-মা ভীষণ অবাক হয়ে গেল। কিন্তু তিনি এই ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে তাদের নিষেধ করে দিলেন।
