Wyjścia 2
1 I wyszedł mąż niektóry z domu Lewiego; który pojął córkę z pokolenia Lewiego.
১আর লেবির বংশের এক পুরুষ গিয়ে এক লেবীয় মেয়েকে বিয়ে করলেন।
2 I poczęła ona niewiasta, a porodziła syna; a widząc go, że był nadobny, kryła go przez trzy miesiące.
২আর সেই স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে একটি ছেলের জন্ম দিলেন ও শিশুটিকে সুন্দর দেখে তিন মাস লুকিয়ে রাখলেন।
3 Ale gdy go nie mogła dłużej zataić, wzięła plecionkę z sitowia i obmazała ją klejem i smołą; a włożywszy w nię ono dziecię, położyła je między rogóż na brzegu rzeki.
৩পরে আর লুকাতে না পেরে তিনি এক নলের ঝুড়ি নিয়ে পিচ তেল ও আলকাতরা মাখিয়ে তার মধ্যে ছেলেটিকে রাখলেন ও নদীর তীরে নলবনে সেটি রাখলেন।
4 A stała siostra jego z daleka, aby wiedziała, co się z nim dziać będzie.
৪আর তার কি দশা হয়, তা দেখবার জন্য তার দিদি দূরে দাঁড়িয়ে থাকলো।
5 Wtem wyszła córka Faraonowa, aby się kąpała w rzece, a panny jej przechadzały się po brzegu rzeki; i ujrzała plecionkę w rogoży, i posłała służebnicę swą, aby ją wzięła.
৫পরে ফরৌণের মেয়ে স্নানের জন্য নদীতে আসলেন এবং তাঁর সঙ্গীরা নদীর তীরে বেড়াচ্ছিল; আর তিনি নল বনের মধ্যে ঐ ঝুড়ি দেখে তাঁর দাসীকে সেটা আনতে পাঠালেন।
6 A otworzywszy ujrzała dziecię, a ono chłopiątko płakało; a użaliwszy się go, rzekła: Z dziatek Hebrejskich jest ten.
৬তারপর ঝুড়ি খুলে শিশুটিকে দেখলেন যে, ছেলেটি কাঁদছে; তার প্রতি তিনি দয়া দেখিয়ে বললেন, “এটা ইব্রীয়দের ছেলে।”
7 I rzekła siostra jego do córki Faraonowej: Chceszże, pójdę, i zawołam ci niewiasty, mamki Hebrejskiej, która być odchowała to dziecię?
৭তখন তার দিদি ফরৌণের মেয়েকে বলল, “আমি গিয়ে কি আপনার জন্য এই ছেলেকে দুধ দেবার জন্য একটি ইব্রীয় স্ত্রীলোককে আপনার কাছে ডেকে আনব?”
8 I rzekła jej córka Faraonowa: Idź. Tedy poszła ona dzieweczka, i zawołała matki onegoż dziecięcia.
৮ফরৌণের মেয়ে বললেন, “যাও।” তখন সেই মেয়েটি গিয়ে ছেলেটির মাকে ডেকে আনল।
9 Do której rzekła córka Faraonowa: Weźmij to dziecię, i chowaj mi je, a ja tobie dam zapłatę twoję; i wziąwszy niewiasta dziecię, chowała je.
৯ফরৌণের মেয়ে তাঁকে বললেন, “তুমি এই ছেলেটিকে নিয়ে আমার হয়ে দুধ পান করাও; আমি তোমাকে বেতন দেব।” তাতে সেই স্ত্রী ছেলেটিকে নিয়ে দুধ পান করাতে লাগলেন।
10 A gdy podrosło ono dziecię, przywiodła je do córki Faraonowej, i było jej za syna; a nazwała imię jego Mojżesz, bo mówiła: Żem z wody wyciągnęła go.
১০পরে ছেলেটি বড় হলে তিনি তাকে নিয়ে ফরৌণের মেয়েকে দিলেন; তাতে সে তাঁরই ছেলে হল; আর তিনি তার নাম মোশি [টানিয়া তোলা] রাখলেন, কারণ তিনি বললেন, “আমি তাকে জল থেকে টেনে তুলেছি।”
11 I stało się za onych dni, gdy urósł Mojżesz, że wyszedł do braci swej, i widział ciężary ich; obaczył też męża Egipczanina, który bił jednego Hebrajczyka z braci jego.
১১যখন মোশি বড় হলেন, তিনি এক দিন তাঁর ভাইদের কাছে গিয়ে তাদের কঠিন পরিশ্রম দেখতে লাগলেন; আর তিনি দেখলেন, একজন মিশরীয় একজন ইব্রীয়কে, তাঁর ভাইদের মধ্যে এক জনকে মারছে।
12 A obejrzawszy się tam i sam, gdy widział, że nikogo nie masz, zabił Egipczanina, i zagrzebł go w piasek.
১২তখন তিনি এদিক ওদিক চেয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে ঐ মিশরীয়কে হত্যা করে বালির মধ্যে পুঁতে রাখলেন।
13 A wyszedłszy zaś dnia wtórego, ujrzał, a oto, dwaj mężowie Hebrejscy wadzili się; i rzekł onemu, który krzywdę czynił:
১৩পরের দিন তিনি বাইরে গিয়ে দেখলেন, দুইজন ইব্রীয় একে অপরের সঙ্গে মারপিট করছে; তিনি দোষী ব্যক্তিকে বললেন, “তোমার ভাইকে কেন মারছ?”
14 Czemuż bijesz bliźniego swego? Ale mu odpowiedział: Któż cię postanowił książęciem i sędzią nad nami? albo mię ty myślisz zabić, jakoś zabił Egipczanina? i zląkł się Mojżesz i rzekł:
১৪সে বলল, “তোমাকে শাসনকর্ত্তা ও বিচারকর্ত্তা করে আমাদের উপরে কে নিযুক্ত করেছে? তুমি যেমন সেই মিশরীয়কে হত্যা করেছে, সেইভাবে কি আমাকেও হত্যা করতে চাও?” তখন মোশি ভয় পেয়ে বললেন, “কথাটা তাহলে জানাজানি হয়ে গেছে?”
15 Pewnie się ta rzecz wyjawiła. Usłyszał tedy Farao tę rzecz, i szukał zabić Mojżesza. Lecz Mojżesz uciekł od twarzy Faraonowej, i mieszkał w ziemi Madyjańskiej; a przyszedłszy tam siedział u studni.
১৫তারপর ফরৌণ এই কথা শুনে মোশিকে হত্যা করতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু মোশি ফরৌণের সামনে থেকে পালিয়ে গেলেন এবং মিদিয়ন দেশে বাস করতে গেলেন, সেখানে একটি কুয়োর কাছে এসে বসলেন।
16 A kapłan Madyjański miał siedem córek, które wyszedłszy czerpały wodę, i nalewały do koryt, aby napoiły trzodę ojca swego;
১৬মিদিয়নীয় যাজকের সাতটি মেয়ে ছিল; তারা সেখানে এসে বাবার ভেড়ার পাল কে জল পান করাবার জন্য জল তুলে পাত্রগুলি ভর্তি করল।
17 A przyszedłszy pasterze odganiali je. Tedy wstawszy Mojżesz obronił ich, i napoił bydło ich.
১৭তখন ভেড়ার পালকেরা এসে তাদেরকে তাড়িয়ে দিল, কিন্তু মোশি উঠে তাদের সাহায্য করলেন ও তাদের ভেড়ার পাল কে জল পান করালেন।
18 A gdy się wróciły do Raguela, ojca swego, rzekł: Czemuście dziś tak prędko przyszły?
১৮পরে তারা তাদের বাবা রূয়েলের কাছে গেলে তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আজ তোমরা কি করে এত তাড়াতাড়ি আসলে?”
19 I odpowiedziały: Mąż Egipski obronił nas od ręki pasterzów; nadto czerpając naczerpał nam i wody i napoił trzody.
১৯তারা বলল, “একজন মিশরীয় আমাদেরকে ভেড়ার পালকদের হাত থেকে উদ্ধার করলেন, আর তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট জল তুলে ভেড়ার পাল কে জল পান করালেন।”
20 Zatem rzekł do córek swych: A gdzież ten jest? Czemuście opuściły człowieka tego? Zawołajcie go, aby jadł chleb.
২০তখন তিনি তাঁর মেয়েদেরকে বললেন, “সে লোকটি কোথায়? তোমরা তাঁকে ছেড়ে কেন আসলে? তাঁকে ডাক; তিনি আহার করুন।”
21 I przyzwolił Mojżesz mieszkać z onym mężem, który dał Zeforę, córkę swoję, Mojżeszowi.
২১পরে মোশি ঐ ব্যক্তির সঙ্গে থাকতে রাজি হলেন, আর তিনি মোশির সঙ্গে নিজের মেয়ে সিপ্পোরার বিয়ে দিলেন।
22 I urodziła syna, a nazwał imię jego Gerson, bo mówił: Byłem przychodniem w ziemi cudzej.
২২পরে ঐ স্ত্রী ছেলের জন্ম দিলেন, আর মোশি তার নাম গের্শোম [তত্রপ্রবাসী] রাখলেন, কারণ তিনি বললেন, “আমি বিদেশে প্রবাসী হয়েছি।”
23 I stało się po niemałym czasie, że umarł król Egipski; i wzdychali, i wołali synowie Izraelscy dla niewoli; a wstąpiło wołanie ich do Boga przed niewolą.
২৩অনেক কাল পরে মিশরের রাজার মৃত্যু হল। ইস্রায়েলীয়রা তাদের দাসত্বের যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে উঠলো, বন্দীদশায় তারা সাহায্যের জন্য কাঁদলো, আর তাদের প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে পৌঁছালো।
24 I usłyszał Bóg wołanie ich; i wspomniał Bóg na przymierze swoje z Abrahamem, z Izaakiem, i z Jakóbem.
২৪আর ঈশ্বর তাদের আর্তনাদ শুনলেন এবং অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের সঙ্গে করা তাঁর নিয়ম স্মরণ করলেন;
25 I wejrzał Bóg na syny Izraelskie, i poznał Bóg.
২৫তার ফলে ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের দিকে তাকালেন; আর তিনি তাদের অবস্থা বুঝলেন।
