< لوقا 9 >

پس دوازده شاگرد خود را طلبیده، به ایشان قوت و قدرت بر جمیع دیوها و شفادادن امراض عطا فرمود. ۱ 1
পরে তিনি সেই বারো জনকে একসঙ্গে ডাকলেন ও তাঁদের সমস্ত ভূতের উপরে এবং রোগ ভালো করবার জন্য, শক্তি ও ক্ষমতা দিলেন;
و ایشان را فرستاد تا به ملکوت خدا موعظه کنند و مریضان را صحت بخشند. ۲ 2
ঈশ্বরের রাজ্য প্রচার করতে এবং সুস্থ করতে তাঁদের পাঠিয়ে দিলেন।
و بدیشان گفت: «هیچ‌چیز بجهت راه برمدارید نه عصا و نه توشه‌دان و نه نان و نه پول ونه برای یک نفر دو جامه. ۳ 3
আর তিনি তাঁদের বললেন, “রাস্তায় যাওয়ার দিন কিছুই সঙ্গে নিও না, লাঠি, থলে, খাবার, টাকা এমনকি দুটি জামাও নিও না।
و به هرخانه‌ای که داخل شوید همان جا بمانید تا از آن موضع روانه شوید. ۴ 4
আর তোমরা যে কোনও বাড়িতে প্রবেশ কর, সেখানেই থেকো এবং সেখান থেকে চলে যেও না।
و هر‌که شما را نپذیرد، وقتی که از آن شهر بیرون شوید خاک پایهای خود را نیزبیفشانید تا بر ایشان شهادتی شود.» ۵ 5
আর যে লোকেরা তোমাদের গ্রহণ না করে, সেই শহর থেকে চলে যাওয়ার দিনের তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যের জন্য তোমাদের পায়ের ধূলো ঝেড়ে ফেলো।”
پس بیرون شده در دهات می‌گشتند و بشارت می‌دادند و درهرجا صحت می‌بخشیدند. ۶ 6
পরে তাঁরা চলে গেলেন এবং চারিদিকে গ্রামে গ্রামে যেতে লাগলেন, সব জায়গায় সুসমাচার প্রচার এবং রোগ থেকে সুস্থ করতে লাগলেন।
اما هیرودیس تیترارک، چون خبر تمام این وقایع را شنید مضطرب شد، زیرا بعضی می‌گفتندکه یحیی از مردگان برخاسته است، ۷ 7
আর, যা কিছু হচ্ছিল, হেরোদ রাজা সব কিছুই শুনতে পেলেন এবং তিনি বড় অস্থির হয়ে পড়লেন, কারণ কেউ কেউ বলত, যোহন মৃতদের মধ্য থেকে উঠেছেন;
و بعضی که الیاس ظاهر شده و دیگران، که یکی از انبیای پیشین برخاسته است. ۸ 8
আবার অনেকে বলত, এলিয় দেখা দিয়েছেন এবং আরোও অন্যরা বলত, প্রাচীনকালের ভাববাদীদের মধ্য একজন বেঁচে উঠেছেন।
اما هیرودیس گفت «سریحیی را از تنش من جدا کردم ولی این کیست که درباره او چنین خبر می‌شنوم» و طالب ملاقات وی می‌بود. ۹ 9
আর হেরোদ বললেন, “যোহনের মাথা তো আমি কেটেছি কিন্তু ইনি কে, যাঁর বিষয়ে এমন কথা শুনতে পাচ্ছি?” আর তিনি তাঁকে দেখবার চেষ্টা করতে লাগলেন।
و چون رسولان مراجعت کردند، آنچه کرده بودند بدو بازگفتند. پس ایشان را برداشته به ویرانه‌ای نزدیک شهری که بیت صیدا نام داشت به خلوت رفت. ۱۰ 10
১০পরে প্রেরিতরা যা যা করেছিলেন, ফিরে এসে তার বৃত্তান্ত যীশুকে বললেন। আর তিনি তাদের সঙ্গে নিয়ে বৈৎসৈদা শহরের গেলেন।
اما گروهی بسیار اطلاع یافته در عقب وی شتافتند. پس ایشان را پذیرفته، ایشان را از ملکوت خدا اعلام می‌نمود و هر‌که احتیاج به معالجه می‌داشت صحت می‌بخشید. ۱۱ 11
১১কিন্তু লোকেরা তা জানতে পেরে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যেতে লাগল, আর তিনি তাদের স্বাগত জানিয়ে তাদের গ্রহণ করলেন এবং তাদের কাছে ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় কথা বললেন এবং যাদের সুস্থ হবার প্রয়োজন ছিল, তাদের সুস্থ করলেন।
و چون روز رو به زوال نهاد، آن دوازده نزدوی آمده، گفتند: «مردم را مرخص فرما تا به دهات و اراضی این حوالی رفته منزل و خوراک برای خویشتن پیدا نمایند، زیرا که در اینجا درصحرا می‌باشیم.» ۱۲ 12
১২পরে বেলা শেষ হতে লাগল, আর সেই বারো জন কাছে এসে তাঁকে বললেন, “আপনি এই লোকদের বিদায় করুন, যেন তারা আশেপাশের গ্রামে গিয়ে রাতে থাকার জায়গা ও খাবার সংগ্রহ করে, কারণ আমরা এখানে নির্জন জায়গায় আছি।”
او بدیشان گفت: «شماایشان را غذا دهید.» گفتند: «ما را جز پنج نان و دوماهی نیست مگر برویم و بجهت جمیع این گروه غدا بخریم.» ۱۳ 13
১৩কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “তোমরাই এদের খাবার দাও।” তাঁরা তাঁকে বললেন, “আমাদের এখানে শুধুমাত্র পাঁচটি রুটি ও দুটো মাছ আছে। তবে কি আমরা গিয়ে এই সমস্ত লোকের জন্য খাবার কিনে আনতে পারব?”
زیرا قریب به پنجهزار مرد بودند. پس به شاگردان خود گفت که ایشان را پنجاه پنجاه، دسته دسته، بنشانند.» ۱۴ 14
১৪কারণ সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল। তখন তিনি নিজের শিষ্যদের বললেন, “পঞ্চাশ পঞ্চাশ জন করে সারিবদ্ধ ভাবে সবাইকে বসিয়ে দাও।”
ایشان همچنین کرده همه را نشانیدند. ۱۵ 15
১৫তাঁরা তেমনই করলেন, সবাইকে বসিয়ে দিলেন।
پس آن پنج نان و دوماهی را گرفته، به سوی آسمان نگریست و آنها رابرکت داده، پاره نمود و به شاگردان خود داد تاپیش مردم گذارند. ۱۶ 16
১৬পরে তিনি সেই পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ নিয়ে স্বর্গের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং রুটি ভেঙে শিষ্যদের দিলেন লোকদের দেওয়ার জন্য।
پس همه خورده سیرشدند. و دوازده سبد پر از پاره های باقی‌مانده برداشتند. ۱۷ 17
১৭তাতে সবাই খেল এবং সন্তুষ্ট হল এবং শিষ্যরা অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া জড়ো করে পূর্ণ বারো ঝুড়ি তুলে নিলেন।
و هنگامی که او به تنهایی دعا می‌کرد وشاگردانش همراه او بودند، از ایشان پرسیده، گفت: «مردم مرا که می‌دانند؟» ۱۸ 18
১৮একবার তিনি এক নির্জন জায়গায় প্রার্থনা করছিলেন, শিষ্যরাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন; আর তিনি তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কে, এ বিষয়ে লোকেরা কি বলে?”
در جواب گفتند: «یحیی تعمید‌دهنده و بعضی الیاس ودیگران می‌گویند که یکی از انبیای پیشین برخاسته است.» ۱۹ 19
১৯তাঁরা এর উত্তরে বললেন, “বাপ্তিষ্মদাতা যোহন; কিন্তু কেউ কেউ বলে, আপনি এলিয়, আবার কেউ কেউ বলে, প্রাচীন ভাববাদীদের মধ্যে একজন বেঁচে উঠেছে।”
بدیشان گفت: «شما مرا که می‌دانید؟» پطرس در جواب گفت: «مسیح خدا.» ۲۰ 20
২০তখন তিনি তাঁদের বললেন, কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে? পিতর বললেন, “ঈশ্বরের সেই খ্রীষ্ট।”
پس ایشان را قدغن بلیغ فرمود که هیچ‌کس را از این اطلاع مدهید. ۲۱ 21
২১তখন তিনি তাঁদের কঠোরভাবে বারণ করলেন ও নির্দেশ দিলেন, “এই কথা কাউকে বল না,”
و گفت: «لازم است که پسر انسان زحمت بسیار بیند و از مشایخ وروسای کهنه و کاتبان رد شده کشته شود و روزسوم برخیزد.» ۲۲ 22
২২তিনি বললেন, “মনুষ্যপুত্রকে অনেক দুঃখ সহ্য করতে হবে, প্রাচীনেরা, প্রধান যাজকেরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকেরা আমাকে অগ্রাহ্য করবে এবং আমার মৃত্যু হবে আর তৃতীয় দিনের মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠব।”
پس به همه گفت: «اگر کسی بخواهد مراپیروی کند می‌باید نفس خود را انکار نموده، صلیب خود را هر روزه بردارد و مرا متابعت کند. ۲۳ 23
২৩আর তিনি সবাইকে বললেন, “কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, তবে সে নিজেকে অস্বীকার করুক, প্রতিদিন নিজের ক্রুশ তুলে নিক এবং আমাকে অনুসরণ করুক।
زیرا هر‌که بخواهد جان خود را خلاصی دهدآن را هلاک سازد و هر کس جان خود را بجهت من تلف کرد، آن را نجات خواهد داد. ۲۴ 24
২৪কারণ যে কেউ নিজের প্রাণ রক্ষা করতে ইচ্ছা করে, সে তা হারাবে, কিন্তু যে কেউ আমার জন্য নিজের প্রাণ হারায়, সেই তা রক্ষা করবে।
زیراانسان را چه فایده دارد که تمام جهان را ببرد ونفس خود را بر باد دهد یا آن را زیان رساند. ۲۵ 25
২৫কারণ মানুষ যদি সমস্ত জগত লাভ করে নিজেকে নষ্ট করে কিংবা হারায়, তবে তার লাভ কি হল?
زیرا هر‌که از من و کلام من عار دارد پسر انسان نیز وقتی که در جلال خود و جلال پدر و ملائکه مقدسه آید از او عار خواهد داشت. ۲۶ 26
২৬কারণ যে কেউ আমাকেও আমার বাক্যকে লজ্জার বিষয় বলে মনে করে, মনুষ্যপুত্র যখন নিজের প্রতাপে এবং পিতার ও পবিত্র দূতদের প্রতাপে আসবেন, তখন তিনি তাকেও লজ্জার বিষয় বলে মনে করবেন।
لیکن هرآینه به شما می‌گویم که بعضی از حاضرین دراینجا هستند که تا ملکوت خدا را نبینند ذائقه موت را نخواهند چشید.» ۲۷ 27
২৭কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যারা এখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের মধ্যে এমন কয়েকজন আছে, যারা, যে পর্যন্ত না ঈশ্বরের রাজ্য দেখবে, সেই পর্যন্ত তাদের কোনও মতে মৃত্যু হবে না।”
و از این کلام قریب به هشت روز گذشته بود که پطرس و یوحنا و یعقوب را برداشته برفراز کوهی برآمد تا دعا کند. ۲۸ 28
২৮এসব কথা বলার পরে, অনুমান আট দিন গত হলে পর, তিনি পিতর, যোহন ও যাকোবকে সঙ্গে নিয়ে প্রার্থনা করার জন্য পর্বতে উঠলেন।
و چون دعامی کرد هیات چهره او متبدل گشت و لباس اوسفید و درخشان شد. ۲۹ 29
২৯আর তিনি প্রার্থনা করছিলেন, এমন দিনের তাঁর মুখের দৃশ্য অন্য রকম হল এবং তাঁর পোশাক সাদা ও উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
که ناگاه دو مرد یعنی موسی و الیاس با وی ملاقات کردند. ۳۰ 30
৩০আর দেখ, দুই জন পুরুষ মোশি ও এলিয় তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন,
و به هیات جلالی ظاهر شده درباره رحلت او که می‌بایست به زودی در اورشلیم واقع شود گفتگومی کردند. ۳۱ 31
৩১তাঁরা প্রতাপে দেখা দিলেন, তাঁর মৃত্যুর বিষয় কথা বলতে লাগলেন, যা তিনি যিরুশালেমে পূর্ণ করতে যাচ্ছেন।
اما پطرس و رفقایش را خواب در ربود. پس بیدار شده جلال او و آن دو مرد را که با وی بودند، دیدند. ۳۲ 32
৩২তখন পিতর ও তাঁর সঙ্গীরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু জেগে উঠে তাঁর প্রতাপ এবং ঐ দুই ব্যক্তিকে দেখলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
و چون آن دو نفر از او جدامی شدند، پطرس به عیسی گفت که «ای استاد، بودن ما در اینجا خوب است. پس سه سایبان بسازیم یکی برای تو و یکی برای موسی ودیگری برای الیاس.» زیرا که نمی دانست چه می‌گفت. ۳۳ 33
৩৩পরে তাঁরা যীশুর কাছ থেকে চলে যাচ্ছেন, এমন দিনের পিতর যীশুকে বললেন, “প্রভু, এখানে আমাদের থাকা ভালো, আমরা তিনটি কুটির বানাই, একটি আপনার জন্য, একটি মোশির জন্য, আর একটি এলিয়ের জন্য,” কিন্তু তিনি কি বললেন, তা বুঝলেন না।
و این سخن هنوز بر زبانش می‌بود که ناگاه ابری پدیدار شده بر ایشان سایه افکند وچون داخل ابر می‌شدند، ترسان گردیدند. ۳۴ 34
৩৪তিনি এই কথা বলছিলেন, এমন দিনের একটা মেঘ এসে তাঁদের ছায়া করল, তাতে তাঁরা সেই মেঘে প্রবেশ করলেও, তাঁরা ভয় পেলেন।
آنگاه صدایی از ابر برآمد که «این است پسرحبیب من، او را بشنوید.» ۳۵ 35
৩৫আর সেই মেঘ থেকে এই বাণী হল, “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, আমার মনোনীত, তাঁর কথা শোন।”
و چون این آوازرسید عیسی را تنها یافتند و ایشان ساکت ماندندو از آنچه دیده بودند هیچ‌کس را در آن ایام خبرندادند. ۳۶ 36
৩৬এই বাণী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একা যীশুকে দেখা গেল। আর তাঁরা চুপ করে থাকলেন, যা যা দেখেছিলেন তার কিছুই সেই দিনের কাউকেই জানালেন না।
و در روز بعد چون ایشان از کوه به زیرآمدند، گروهی بسیار او را استقبال نمودند. ۳۷ 37
৩৭পরের দিন তাঁরা সেই পাহাড় থেকে নেমে আসলে অনেক লোক তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করল।
که ناگاه مردی از آن میان فریادکنان گفت: «ای استادبه تو التماس می‌کنم که بر پسر من لطف فرمایی زیرا یگانه من است. ۳۸ 38
৩৮আর দেখ, ভিড়ের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি চিত্কার করে বললেন, “হে গুরু, অনুরোধ করি, আমার ছেলেকে দেখুন, কারণ এ আমার একমাত্র সন্তান।
که ناگاه روحی او رامی گیرد و دفعه صیحه می‌زند و کف کرده مصروع می‌شود و او را فشرده به دشواری رها می‌کند. ۳۹ 39
৩৯আর দেখুন, একটা ভূত একে আক্রমণ করে, আর এ হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠে এবং সে একে মুচড়িয়ে ধরে, তাতে এর মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়, আর সে একে ক্ষতবিক্ষত করে কষ্ট দেয়।
و از شاگردانت درخواست کردم که او را بیرون کنند نتوانستند.» ۴۰ 40
৪০আর আমি আপনার শিষ্যদের অনুরোধ করেছিলাম, যেন তাঁরা এটাকে ছাড়ান কিন্তু তাঁরা পারলেন না।”
عیسی در جواب گفت: «ای فرقه بی‌ایمان کج روش، تا کی با شما باشم و متحمل شما گردم. پسر خود را اینجا بیاور.» ۴۱ 41
৪১তখন যীশু এর উত্তরে বললেন, হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, কত কাল আমি তোমাদের কাছে থাকব ও তোমাদের ওপর ধৈর্য্য রাখব?
و چون او می‌آمددیو او را دریده مصروع نمود. اما عیسی آن روح خبیث را نهیب داده طفل را شفا بخشید وبه پدرش سپرد. ۴۲ 42
৪২তোমার ছেলেকে এখানে আন। সে আসছে, এমন দিনের ঐ ভূত তাকে ফেলে দিল ও ভয়ানক মুচড়িয়ে ধরল। কিন্তু যীশু সেই মন্দ আত্মাকে ধমক দিলেন, ছেলেটাকে সুস্থ করলেন ও তার বাবার কাছে তাকে ফিরিয়ে দিলেন।
و همه از بزرگی خدامتحیر شدند و وقتی که همه از تمام اعمال عیسی متعجب شدند به شاگردان خودگفت: ۴۳ 43
৪৩তখন সবাই ঈশ্বরের মহিমায় খুবই আশ্চর্য্য হল। আর তিনি যে সমস্ত কাজ করছিলেন, তাতে সমস্ত লোক আশ্চর্য্য হল এবং তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন,
«این سخنان را در گوشهای خود فراگیریدزیرا که پسر انسان به‌دستهای مردم تسلیم خواهدشد.» ۴۴ 44
৪৪“তোমরা এই কথা ভাল করে শোন, কারণ খুব তাড়াতাড়ি মনুষ্যপুত্র লোকদের হাতে সমর্পিত হবেন।”
ولی این سخن را درک نکردند و از ایشان مخفی داشته شد که آن را نفهمند و ترسیدند که آن را از وی بپرسند. ۴۵ 45
৪৫কিন্তু তাঁরা এই কথা বুঝলেন না এবং এটা তাঁদের থেকে গোপন থাকল, যাতে তাঁরা বুঝতে না পারেন এবং তাঁর কাছে এই কথার বিষয় জিজ্ঞাসা করতে তাঁদের ভয় হল।
و در میان ایشان مباحثه شد که کدام‌یک ازما بزرگتر است. ۴۶ 46
৪৬আর তাঁদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ, এই তর্ক তাঁদের মধ্যে শুরু হল।
عیسی خیال دل ایشان راملتفت شده طفلی بگرفت و او را نزد خود برپاداشت. ۴۷ 47
৪৭তখন যীশু তাঁদের হৃদয়ের তর্ক জানতে পেরে একটি শিশুকে নিয়ে তাঁর পাশে দাঁড় করালেন,
و به ایشان گفت: «هر‌که این طفل را به نام من قبول کند، مرا قبول کرده باشد و هر‌که مراپذیرد، فرستنده مرا پذیرفته باشد. زیرا هر‌که ازجمیع شما کوچکتر باشد، همان بزرگ خواهدبود.» ۴۸ 48
৪৮এবং তাঁদের বললেন, “যে কেউ আমার নামে এই শিশুটিকে গ্রহণ করে, সে আমাকেই গ্রহণ করে এবং যে কেউ আমাকে গ্রহণ করে সে তাঁকেই গ্রহণ করে, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, কারণ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সবথেকে ছোট সবার থেকে সেই মহান।”
یوحنا جواب داده گفت: «ای استادشخصی را دیدیم که به نام تو دیوها را اخراج می‌کند و او را منع نمودیم، از آن رو که پیروی مانمی کند.» ۴۹ 49
৪৯পরে যোহন বললেন, “নাথ, আমরা এক ব্যক্তিকে আপনার নামে ভূত ছাড়াতে দেখেছিলাম, আর তাকে বারণ করছিলাম, কারণ সে আমাদের অনুসরণ করে না।”
عیسی بدو گفت: «او را ممانعت مکنید. زیرا هر‌که ضد شما نیست با شماست.» ۵۰ 50
৫০কিন্তু যীশু তাঁকে বললেন, “বারণ করো না, কারণ যে তোমাদের বিরুদ্ধে নয়, সে তোমাদেরই পক্ষে।”
و چون روزهای صعود او نزدیک می‌شدروی خود را به عزم ثابت به سوی اورشلیم نهاد. ۵۱ 51
৫১আর যখন তাঁর স্বর্গে যাওয়ার দিন প্রায় কাছে এল, তখন তিনি নিজের ইচ্ছায় যিরুশালেমে যাওয়ার জন্য তৈরি হলেন।
پس رسولان پیش از خود فرستاده، ایشان رفته به بلدی از بلاد سامریان وارد گشتند تا برای اوتدارک بینند. ۵۲ 52
৫২তিনি তাঁর দূতদের তাঁর আগে পাঠালেন আর তাঁরা গিয়ে শমরীয়দের কোন গ্রামে প্রবেশ করলেন, যাতে তাঁর জন্য আয়োজন করতে পারেন।
اما او را جای ندادند از آن رو که عازم اورشلیم می‌بود. ۵۳ 53
৫৩কিন্তু লোকেরা তাঁকে গ্রহণ করল না, কারণ তিনি যিরুশালেম যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
و چون شاگردان او، یعقوب و یوحنا این را دیدند گفتند: «ای خداوند آیا می‌خواهی بگوییم که آتش از آسمان باریده اینها را فرو‌گیرد چنانکه الیاس نیز کرد؟ ۵۴ 54
৫৪তা দেখে তাঁর শিষ্য যাকোব ও যোহন বললেন, “প্রভু, আপনি কি চান যে, এলিয় যেমন করেছিলেন, তেমনি আমরা বলি, স্বর্গ থেকে আগুন নেমে এসে এদের ভস্ম করে ফেলুক?”
آنگاه روی گردانیده بدیشان گفت: «نمی دانید که شما ازکدام نوع روح هستید. ۵۵ 55
৫৫কিন্তু তিনি মুখ ফিরিয়ে তাঁদের ধমক দিলেন, আর বললেন, “তোমরা কেমন আত্মার লোক, তা জান না।”
زیرا که پسر انسان نیامده است تا جان مردم را هلاک سازد بلکه تانجات دهد.» پس به قریه‌ای دیگر رفتند. ۵۶ 56
৫৬কারণ মনুষ্যপুত্র লোকেদের প্রাণনাশ করতে আসেননি, কিন্তু রক্ষা করতে এসেছেন। পরে তাঁরা অন্য গ্রামে চলে গেলেন।
و هنگامی که ایشان می‌رفتند در اثنای راه شخصی بدو گفت: «خداوندا هر جا روی تو رامتابعت کنم.» ۵۷ 57
৫৭তাঁরা যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন দিনের এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, আপনি যে কোন জায়গায় যাবেন, আমি আপনার সঙ্গে যাব।
عیسی به وی گفت: «روباهان راسوراخها است و مرغان هوا را آشیانه‌ها، لیکن پسر انسان را جای سر نهادن نیست.» ۵۸ 58
৫৮যীশু তাকে বললেন, “শিয়ালদের গর্ত আছে এবং আকাশের পাখিদের বাসা আছে, কিন্তু মনুষ্যপুত্রের মাথা রাখার কোন জায়গা নেই।”
و به دیگری گفت: «از عقب من بیا.» گفت: «خداوندااول مرا رخصت ده تا بروم پدر خود را دفن کنم.» ۵۹ 59
৫৯আর এক জনকে তিনি বললেন, “আমাকে অনুসরণ কর।” কিন্তু সে বলল, “প্রভু, আগে আমার বাবাকে কবর দিয়ে আসতে অনুমতি দিন।”
عیسی وی را گفت: «بگذار مردگان مردگان خود را دفن کنند. اما تو برو و به ملکوت خداموعظه کن.» ۶۰ 60
৬০তিনি তাকে বললেন, “মৃতরাই নিজের নিজের মৃতদের কবর দিক, কিন্তু তুমি গিয়ে ঈশ্বরের রাজ্য সব জায়গায় প্রচার কর।”
و کسی دیگر گفت: «خداوندا تورا پیروی می‌کنم لیکن اول رخصت ده تا اهل خانه خود را وداع نمایم.» ۶۱ 61
৬১আর একজন বলল, “প্রভু, আমি আপনাকে অনুসরণ করব, কিন্তু আগে নিজের বাড়ির লোকদের কাছে বিদায় নিয়ে আসতে অনুমতি দিন।”
عیسی وی را گفت: «کسی‌که دست را به شخم زدن دراز کرده از پشت سر نظر کند، شایسته ملکوت خدا نمی باشد.» ۶۲ 62
৬২কিন্তু যীশু তাকে বললেন, “যে ব্যক্তি লাঙ্গলে হাত দিয়ে পিছনে ফিরে চায়, সে ঈশ্বরের রাজ্যের উপযোগী নয়।”

< لوقا 9 >