< پیدایش 39 >

اما یوسف را به مصر بردند، و مردی مصری، فوطیفار نام که خواجه و سردارافواج خاصه فرعون بود، وی را از دست اسماعیلیانی که او را بدانجا برده بودند، خرید. ۱ 1
যোষেফকে মিশর দেশে নিয়ে যাওয়ার পর, যে ইশ্মায়েলীয়েরা তাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের কাছে ফরৌণের কর্মচারী পোটীফর তাকে কিনলেন, ইনি রক্ষক-সেনাপতি, একজন মিশরীয় লোক।
وخداوند با یوسف می‌بود، و او مردی کامیاب شد، و در خانه آقای مصری خود ماند. ۲ 2
আর সদাপ্রভু যোষেফের সঙ্গে ছিলেন এবং তিনি সমৃদ্ধিশালী হলেন ও নিজের মিশরীয় প্রভুর ঘরে থাকলেন।
و آقایش دیدکه خداوند با وی می‌باشد، و هر‌آنچه او می‌کند، خداوند در دستش راست می‌آورد. ۳ 3
আর সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে আছেন এবং তিনি যা কিছু করেন, সদাপ্রভু তাঁর হাতে তা সফল করছেন, এটা তাঁর প্রভু দেখলেন।
پس یوسف در نظر وی التفات یافت، و او را خدمت می‌کرد، واو را به خانه خود برگماشت و تمام مایملک خویش را بدست وی سپرد. ۴ 4
অতএব যোষেফ তার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হলেন ও তার পরিচারক হলেন এবং তিনি যোষেফকে নিজের বাড়ির পরিচালক করে তার হাতে নিজের সব কিছুর দায়িত্ব দিলেন।
و واقع شد بعد ازآنکه او را بر خانه و تمام مایملک خود گماشته بود، که خداوند خانه آن مصری را بسبب یوسف برکت داد، و برکت خداوند بر همه اموالش، چه در خانه و چه در صحرا بود. ۵ 5
যখন থেকে তিনি যোষেফকে নিজের বাড়ির ও সব কিছুর পরিচালক করলেন, তখন থেকে সদাপ্রভু যোষেফের অনুরোধে সেই মিশরীয় ব্যক্তির বাড়ির প্রতি আশীর্বাদ করলেন; বাড়িতে ও ক্ষেতে অবস্থিত তাঁর সমস্ত সম্পদের প্রতি সদাপ্রভু আশীর্বাদ করলেন।
و آنچه داشت به‌دست یوسف واگذاشت، و از آنچه با وی بود، خبر نداشت جز نانی که می‌خورد. و یوسف خوش اندام و نیک منظر بود. ۶ 6
অতএব তিনি যোষেফের হাতে নিজের সব কিছুর ভার দিলেন, তিনি নিজের খাবারের জিনিস ছাড়া আর কিছুরই বিষয়ে চিন্তা করতেন না। যোষেফ রূপবান ও সুন্দর ছিলেন।
و بعد از این امور واقع شد که زن آقایش بریوسف نظر انداخته، گفت: «با من همخواب شو.» ۷ 7
এই সব ঘটনার পর তাঁর প্রভুর স্ত্রী যোষেফের প্রতি দৃষ্টিপাত করল; আর তাঁকে বলল, “আমার সঙ্গে শয়ন কর।”
اما او ابا نموده، به زن آقای خود گفت: «اینک آقایم از آنچه نزد من در خانه است، خبر ندارد، وآنچه دارد، به‌دست من سپرده است. ۸ 8
কিন্তু তিনি অস্বীকার করায় নিজের প্রভুর স্ত্রীকে বললেন, “দেখুন, এই বাড়িতে আমার হাতে কি কি আছে, আমার প্রভু তা জানেন না; আমারই হাতে সব কিছু রেখেছেন;
بزرگتری ازمن در این خانه نیست و چیزی از من دریغ نداشته، جز تو، چون زوجه او می‌باشی؛ پس چگونه مرتکب این شرارت بزرگ بشوم و به خدا خطاورزم؟» ۹ 9
এই বাড়িতে আমার থেকে বড় কেউই নেই; তিনি সকলের মধ্যে শুধু আপনাকেই আমার অধীনা করেননি; কারণ আপনি তাঁর স্ত্রী। অতএব আমি কিভাবে এই এত বড় খারাপ কাজ করতে ও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করতে পারি?”
و اگرچه هر روزه به یوسف سخن می‌گفت، به وی گوش نمی گرفت که با او بخوابد یانزد وی بماند. ۱۰ 10
১০সে দিন দিন যোষেফকে সেই কথা বললেও তিনি তার সঙ্গে শয়ন করতে কিম্বা সঙ্গে থাকতে তার কথায় রাজি হতেন না।
و روزی واقع شد که به خانه درآمد، تا به شغل خود پردازد و از اهل خانه کسی آنجا درخانه نبود. ۱۱ 11
১১পরে এক দিন যোষেফ কাজ করার জন্য ঘরের মধ্যে গেলেন, বাড়ির লোকদের মধ্যে অন্য কেউ সেখানে ছিল না,
پس جامه او را گرفته، گفت: «با من بخواب.» اما او جامه خود را به‌دستش رها کرده، گریخت و بیرون رفت. ۱۲ 12
১২তখন সে যোষেফের পোশাক ধরে বলল, “আমার সঙ্গে শয়ন কর৷” কিন্তু যোষেফ তার হাতে নিজের পোশাক ফেলে বাইরে পালিয়ে গেলেন।
و چون او دید که رخت خود را به‌دست وی ترک کرد و از خانه گریخت، ۱۳ 13
১৩তখন যোষেফ তার হাতে পোশাক ফেলে বাইরে পালালেন দেখে, সে নিজের ঘরের লোকদেরকে ডেকে বলল,
مردان خانه راصدا زد، و بدیشان بیان کرده، گفت: «بنگرید، مردعبرانی را نزد ما آورد تا ما را مسخره کند، و نزدمن آمد تا با من بخوابد، و به آواز بلند فریاد کردم، ۱۴ 14
১৪“দেখ, তিনি আমাদের সঙ্গে ঠাট্টা করতে একজন ইব্রীয় পুরুষকে এনেছেন; সে আমার সঙ্গে শয়ন করবার জন্য আমার কাছে এসেছিল, তাতে আমি চিৎকার করে উঠলাম;”
و چون شنید که به آواز بلند فریاد برآوردم، جامه خود را نزد من واگذارده، فرار کرد و بیرون رفت.» ۱۵ 15
১৫আমার চিৎকার শুনে সে আমার কাছে নিজের পোশাকটি ফেলে বাইরে পালিয়ে গেল।
پس جامه او را نزد خود نگاه داشت، تاآقایش به خانه آمد. ۱۶ 16
১৬আর যতক্ষণ তার কর্তা ঘরে না আসলেন, সে পর্যন্ত সেই স্ত্রীলোক তাঁর পোশাক নিজের কাছে রেখে দিল।
و به وی بدین مضمون ذکر کرده، گفت: «آن غلام عبرانی که برای ماآورده‌ای، نزد من آمد تا مرا مسخره کند، ۱۷ 17
১৭পরে সে সেই কথা অনুযায়ী তাঁকে বলল, “তুমি যে ইব্রীয় দাসকে আমাদের কাছে এনেছ, সে আমার সঙ্গে ঠাট্টা করতে আমার কাছে এসেছিল;
وچون به آواز بلند فریاد برآوردم، جامه خود راپیش من رها کرده، بیرون گریخت.» ۱۸ 18
১৮পরে আমি চিৎকার করে উঠলে সে আমার কাছে তার বস্ত্রখানি ফেলে বাইরে পালিয়ে গেল।”
پس چون آقایش سخن زن خود را شنید که به وی بیان کرده، گفت: «غلامت به من چنین کرده است، » خشم او افروخته شد. ۱۹ 19
১৯তাঁর প্রভু যখন নিজের স্ত্রীর এই কথা শুনলেন যে, “তোমার দাস আমার প্রতি এইরকম ব্যবহার করেছে,” তখন খুব রেগে গেলেন।
و آقای یوسف، او را گرفته، در زندان خانه‌ای که اسیران پادشاه بسته بودند، انداخت و آنجا در زندان ماند. ۲۰ 20
২০অতএব যোষেফের প্রভু তাঁকে নিয়ে কারাগারে রাখলেন, যে জায়গায় রাজার বন্দিরা বন্ধ থাকত; তাতে তিনি সেখানে, সেই কারাগারে থাকলেন।
اماخداوند با یوسف می‌بود و بر وی احسان می‌فرمود، و او را در نظر داروغه زندان حرمت داد. ۲۱ 21
২১কিন্তু সদাপ্রভু যোষেফের সঙ্গে ছিলেন এবং তাঁর প্রতি দয়া করলেন ও তাঁকে কারারক্ষকের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ-পাত্র করলেন।
و داروغه زندان همه زندانیان را که درزندان بودند، به‌دست یوسف سپرد. و آنچه درآنجا می‌کردند، او کننده آن بود. ۲۲ 22
২২তাতে কারারক্ষক কারাগারে অবস্থিত সমস্ত বন্দির ভার যোষেফের হাতে সমর্পণ করলেন এবং সেখানকার লোকেদের সমস্ত কাজ যোষেফের আদেশ অনুযায়ী চলতে লাগল।
و داروغه زندان بدانچه در دست وی بود، نگاه نمی کرد، زیرا خداوند با وی می‌بود و آنچه را که او می‌کرد، خداوند راست می‌آورد. ۲۳ 23
২৩কারারক্ষক তাঁর অধিকারের কোনো বিষয়ে দেখতেন না, কারণ সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গী ছিলেন এবং তিনি যা কিছু করতেন সদাপ্রভু তা সফল করতেন।

< پیدایش 39 >