< پیدایش 39 >
اما یوسف را به مصر بردند، و مردی مصری، فوطیفار نام که خواجه و سردارافواج خاصه فرعون بود، وی را از دست اسماعیلیانی که او را بدانجا برده بودند، خرید. | ۱ 1 |
১যোষেফকে মিশর দেশে নিয়ে যাওয়ার পর, যে ইশ্মায়েলীয়েরা তাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের কাছে ফরৌণের কর্মচারী পোটীফর তাকে কিনলেন, ইনি রক্ষক-সেনাপতি, একজন মিশরীয় লোক।
وخداوند با یوسف میبود، و او مردی کامیاب شد، و در خانه آقای مصری خود ماند. | ۲ 2 |
২আর সদাপ্রভু যোষেফের সঙ্গে ছিলেন এবং তিনি সমৃদ্ধিশালী হলেন ও নিজের মিশরীয় প্রভুর ঘরে থাকলেন।
و آقایش دیدکه خداوند با وی میباشد، و هرآنچه او میکند، خداوند در دستش راست میآورد. | ۳ 3 |
৩আর সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গে আছেন এবং তিনি যা কিছু করেন, সদাপ্রভু তাঁর হাতে তা সফল করছেন, এটা তাঁর প্রভু দেখলেন।
پس یوسف در نظر وی التفات یافت، و او را خدمت میکرد، واو را به خانه خود برگماشت و تمام مایملک خویش را بدست وی سپرد. | ۴ 4 |
৪অতএব যোষেফ তার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হলেন ও তার পরিচারক হলেন এবং তিনি যোষেফকে নিজের বাড়ির পরিচালক করে তার হাতে নিজের সব কিছুর দায়িত্ব দিলেন।
و واقع شد بعد ازآنکه او را بر خانه و تمام مایملک خود گماشته بود، که خداوند خانه آن مصری را بسبب یوسف برکت داد، و برکت خداوند بر همه اموالش، چه در خانه و چه در صحرا بود. | ۵ 5 |
৫যখন থেকে তিনি যোষেফকে নিজের বাড়ির ও সব কিছুর পরিচালক করলেন, তখন থেকে সদাপ্রভু যোষেফের অনুরোধে সেই মিশরীয় ব্যক্তির বাড়ির প্রতি আশীর্বাদ করলেন; বাড়িতে ও ক্ষেতে অবস্থিত তাঁর সমস্ত সম্পদের প্রতি সদাপ্রভু আশীর্বাদ করলেন।
و آنچه داشت بهدست یوسف واگذاشت، و از آنچه با وی بود، خبر نداشت جز نانی که میخورد. و یوسف خوش اندام و نیک منظر بود. | ۶ 6 |
৬অতএব তিনি যোষেফের হাতে নিজের সব কিছুর ভার দিলেন, তিনি নিজের খাবারের জিনিস ছাড়া আর কিছুরই বিষয়ে চিন্তা করতেন না। যোষেফ রূপবান ও সুন্দর ছিলেন।
و بعد از این امور واقع شد که زن آقایش بریوسف نظر انداخته، گفت: «با من همخواب شو.» | ۷ 7 |
৭এই সব ঘটনার পর তাঁর প্রভুর স্ত্রী যোষেফের প্রতি দৃষ্টিপাত করল; আর তাঁকে বলল, “আমার সঙ্গে শয়ন কর।”
اما او ابا نموده، به زن آقای خود گفت: «اینک آقایم از آنچه نزد من در خانه است، خبر ندارد، وآنچه دارد، بهدست من سپرده است. | ۸ 8 |
৮কিন্তু তিনি অস্বীকার করায় নিজের প্রভুর স্ত্রীকে বললেন, “দেখুন, এই বাড়িতে আমার হাতে কি কি আছে, আমার প্রভু তা জানেন না; আমারই হাতে সব কিছু রেখেছেন;
بزرگتری ازمن در این خانه نیست و چیزی از من دریغ نداشته، جز تو، چون زوجه او میباشی؛ پس چگونه مرتکب این شرارت بزرگ بشوم و به خدا خطاورزم؟» | ۹ 9 |
৯এই বাড়িতে আমার থেকে বড় কেউই নেই; তিনি সকলের মধ্যে শুধু আপনাকেই আমার অধীনা করেননি; কারণ আপনি তাঁর স্ত্রী। অতএব আমি কিভাবে এই এত বড় খারাপ কাজ করতে ও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করতে পারি?”
و اگرچه هر روزه به یوسف سخن میگفت، به وی گوش نمی گرفت که با او بخوابد یانزد وی بماند. | ۱۰ 10 |
১০সে দিন দিন যোষেফকে সেই কথা বললেও তিনি তার সঙ্গে শয়ন করতে কিম্বা সঙ্গে থাকতে তার কথায় রাজি হতেন না।
و روزی واقع شد که به خانه درآمد، تا به شغل خود پردازد و از اهل خانه کسی آنجا درخانه نبود. | ۱۱ 11 |
১১পরে এক দিন যোষেফ কাজ করার জন্য ঘরের মধ্যে গেলেন, বাড়ির লোকদের মধ্যে অন্য কেউ সেখানে ছিল না,
پس جامه او را گرفته، گفت: «با من بخواب.» اما او جامه خود را بهدستش رها کرده، گریخت و بیرون رفت. | ۱۲ 12 |
১২তখন সে যোষেফের পোশাক ধরে বলল, “আমার সঙ্গে শয়ন কর৷” কিন্তু যোষেফ তার হাতে নিজের পোশাক ফেলে বাইরে পালিয়ে গেলেন।
و چون او دید که رخت خود را بهدست وی ترک کرد و از خانه گریخت، | ۱۳ 13 |
১৩তখন যোষেফ তার হাতে পোশাক ফেলে বাইরে পালালেন দেখে, সে নিজের ঘরের লোকদেরকে ডেকে বলল,
مردان خانه راصدا زد، و بدیشان بیان کرده، گفت: «بنگرید، مردعبرانی را نزد ما آورد تا ما را مسخره کند، و نزدمن آمد تا با من بخوابد، و به آواز بلند فریاد کردم، | ۱۴ 14 |
১৪“দেখ, তিনি আমাদের সঙ্গে ঠাট্টা করতে একজন ইব্রীয় পুরুষকে এনেছেন; সে আমার সঙ্গে শয়ন করবার জন্য আমার কাছে এসেছিল, তাতে আমি চিৎকার করে উঠলাম;”
و چون شنید که به آواز بلند فریاد برآوردم، جامه خود را نزد من واگذارده، فرار کرد و بیرون رفت.» | ۱۵ 15 |
১৫আমার চিৎকার শুনে সে আমার কাছে নিজের পোশাকটি ফেলে বাইরে পালিয়ে গেল।
پس جامه او را نزد خود نگاه داشت، تاآقایش به خانه آمد. | ۱۶ 16 |
১৬আর যতক্ষণ তার কর্তা ঘরে না আসলেন, সে পর্যন্ত সেই স্ত্রীলোক তাঁর পোশাক নিজের কাছে রেখে দিল।
و به وی بدین مضمون ذکر کرده، گفت: «آن غلام عبرانی که برای ماآوردهای، نزد من آمد تا مرا مسخره کند، | ۱۷ 17 |
১৭পরে সে সেই কথা অনুযায়ী তাঁকে বলল, “তুমি যে ইব্রীয় দাসকে আমাদের কাছে এনেছ, সে আমার সঙ্গে ঠাট্টা করতে আমার কাছে এসেছিল;
وچون به آواز بلند فریاد برآوردم، جامه خود راپیش من رها کرده، بیرون گریخت.» | ۱۸ 18 |
১৮পরে আমি চিৎকার করে উঠলে সে আমার কাছে তার বস্ত্রখানি ফেলে বাইরে পালিয়ে গেল।”
پس چون آقایش سخن زن خود را شنید که به وی بیان کرده، گفت: «غلامت به من چنین کرده است، » خشم او افروخته شد. | ۱۹ 19 |
১৯তাঁর প্রভু যখন নিজের স্ত্রীর এই কথা শুনলেন যে, “তোমার দাস আমার প্রতি এইরকম ব্যবহার করেছে,” তখন খুব রেগে গেলেন।
و آقای یوسف، او را گرفته، در زندان خانهای که اسیران پادشاه بسته بودند، انداخت و آنجا در زندان ماند. | ۲۰ 20 |
২০অতএব যোষেফের প্রভু তাঁকে নিয়ে কারাগারে রাখলেন, যে জায়গায় রাজার বন্দিরা বন্ধ থাকত; তাতে তিনি সেখানে, সেই কারাগারে থাকলেন।
اماخداوند با یوسف میبود و بر وی احسان میفرمود، و او را در نظر داروغه زندان حرمت داد. | ۲۱ 21 |
২১কিন্তু সদাপ্রভু যোষেফের সঙ্গে ছিলেন এবং তাঁর প্রতি দয়া করলেন ও তাঁকে কারারক্ষকের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ-পাত্র করলেন।
و داروغه زندان همه زندانیان را که درزندان بودند، بهدست یوسف سپرد. و آنچه درآنجا میکردند، او کننده آن بود. | ۲۲ 22 |
২২তাতে কারারক্ষক কারাগারে অবস্থিত সমস্ত বন্দির ভার যোষেফের হাতে সমর্পণ করলেন এবং সেখানকার লোকেদের সমস্ত কাজ যোষেফের আদেশ অনুযায়ী চলতে লাগল।
و داروغه زندان بدانچه در دست وی بود، نگاه نمی کرد، زیرا خداوند با وی میبود و آنچه را که او میکرد، خداوند راست میآورد. | ۲۳ 23 |
২৩কারারক্ষক তাঁর অধিকারের কোনো বিষয়ে দেখতেন না, কারণ সদাপ্রভু তাঁর সঙ্গী ছিলেন এবং তিনি যা কিছু করতেন সদাপ্রভু তা সফল করতেন।