< حزقیال 16 >
و کلام خداوند بر من نازل شده، گفت: | ۱ 1 |
১পরে সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এল এবং বলল,
«ای پسر انسان اورشلیم را ازرجاساتش آگاه ساز! | ۲ 2 |
২হে মানুষের সন্তান, যিরুশালেমকে তার জঘন্য কাজ সব জানাও,
و بگو خداوند یهوه به اورشلیم چنین میفرماید: اصل و ولادت تو اززمین کنعان است. پدرت اموری و مادرت حتی بود. | ۳ 3 |
৩এবং ঘোষণা কর, প্রভু সদাপ্রভু যিরুশালেমকে এই কথা বলেন, “তোমার উৎপত্তি ও জন্মস্থান কনানীয়দের দেশ, তোমার বাবা ইমোরীয় ও মা হিত্তীয়া।
و اما ولادت تو. در روزی که متولد شدی نافت را نبریدند و تو را به آب غسل ندادند و طاهرنساختند و نمک نمالیدند و به قنداقه نپیچیدند. | ۴ 4 |
৪তোমার জন্মের দিনের, তোমার মা নাভি কাটেনি, তোমাকে জলে তোমাকে পরিষ্কার অথবা তোমাকে লবণ মাখান বা তোমাকে কাপড়ে জড়ায়নি।
چشمی بر تو شفقت ننمود و بر تو مرحمت نفرمود تا یکی از اینکارها را برای تو بعمل آورد. بلکه در روز ولادتت جان تو را خوار شمرده، تورا بر روی صحرا انداختند. | ۵ 5 |
৫তোমার প্রতি কোনো চোখ দয়া সহকারে এর কোনো কাজ করে নি, যে দিন তুমি জন্ম গ্রহণ করেছিলে, তুমি নিজের জন্য ঘৃণার সঙ্গে খোলা মাঠে নিক্ষিপ্তা হয়েছিলে।
و من از نزد تو گذرنمودم و تو را در خونت غلطان دیدم. پس تو راگفتم: ای که به خونت آلوده هستی زنده شو! بلی گفتم: ای که به خونت آلوده هستی، زنده شو! | ۶ 6 |
৬কিন্তু আমি তোমার কাছ দিয়ে গেলাম, আমি দেখলাম তুমি তোমার রক্তের মধ্যে মোচড় খাচ্ছ; তাই আমি তোমার রক্তে বললাম, ‘জীবিত!’
وتو را مثل نباتات صحرا بسیار افزودم تا نمو کرده، بزرگ شدی و به زیبایی کامل رسیدی. پستانهایت برخاسته و مویهایت بلند شد، لیکن برهنه و عریان بودی. | ۷ 7 |
৭আমি তোমাকে ক্ষেতের উদ্ভিদের মতো, অনেক বাড়ালাম, তাতে তুমি বৃদ্ধি পেয়ে বড় হয়ে উঠলে, অলংকার হলে, তোমার স্তনযুগল মজবুত ও চুল ঘন হল; কিন্তু তুমি বিবস্ত্রা ও উলঙ্গিনী ছিলে।
«و چون از تو گذر کردم برتو نگریستم واینک زمان تو زمان محبت بود. پس دامن خود رابر تو پهن کرده، عریانی تو را مستور ساختم و خداوند یهوه میگوید که با تو قسم خوردم و با توعهد بستم و از آن من شدی. | ۸ 8 |
৮পরে আমি তোমার পাশ দিয়ে গিয়ে তোমার দিকে তাকালাম, দেখ, প্রেমের দিন তোমার জন্যে এসেছে, এই জন্য আমি তোমার উপরে নিজের পোশাক বিস্তার করে তোমার উলঙ্গতা ঢেকে দিলাম এবং আমি শপথ করে তোমার সঙ্গে নিয়ম স্থির করলাম” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন, “তাতে তুমি আমার হলে।
و تو را به آب غسل داده، تو را از خونت طاهر ساختم و تو را به روغن تدهین کردم. | ۹ 9 |
৯তাতে আমি তোমাকে জলে স্নান করালাম, তোমার গা থেকে সমস্ত রক্ত ধূলোম, আর তেল মাখালাম। আর
و تو را به لباس قلابدوزی ملبس ساختم و نعلین پوست خز به پایت کردم و تو را به کتان نازک آراسته و به ابریشم پیراسته ساختم. | ۱۰ 10 |
১০আমি তোমাকে অলংকরা করা কাপড় পড়ালাম, চামড়ার চটি পরালাম এবং তোমাকে মসীনা পোশাকের জড়ালাম ও রেশমের পোশাকে ঢেকে দিলাম।
و تو را به زیورها زینت داده، دستبندها بردستت و گردن بندی بر گردنت نهادم. | ۱۱ 11 |
১১পরে তোমাকে মণিরত্নে সুশোভিত করলাম, তোমার হাতে বালা ও গলায় হার দিলাম।
وحلقهای در بینی و گوشوارهها در گوشهایت و تاج جمالی بر سرت نهادم. | ۱۲ 12 |
১২আমি তোমার নাকে নথ, কানে দুল ও মাথায় সুন্দর মুকুট দিলাম।
پس با طلا و نقره آرایش یافتی و لباست از کتان نازک و ابریشم قلابدوزی بود و آرد میده و عسل و روغن خوردی و بینهایت جمیل شده، به درجه ملوکانه ممتاز گشتی. | ۱۳ 13 |
১৩এই ভাবে তুমি সোনায় ও রূপায় সুশোভিত হলে; তোমার পোশাক মসীনা সুতো ও রেশম দ্বারা বানানো এবং অলংকরা হল, তুমি ভালো সূজী, মধু ও তেল খেতে এবং খুব সুন্দরী হয়ে অবশেষে রাণীর পদ পেলে।
و آوازه تو بهسبب زیباییت درمیان امتها شایع شد. زیرا خداوند یهوه میگویدکه آن زیبایی از جمال من که بر تو نهاده بودم کامل شد. | ۱۴ 14 |
১৪আর তোমার সৌন্দর্যের জন্য জাতিদের মধ্যে তোমার কীর্তি ছড়িয়ে পড়ল, কারণ আমি তোমাকে যে শোভা দিয়েছিলাম, তা দ্বারা তোমার সৌন্দর্য সম্পূর্ণ হয়েছিল,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
«اما بر زیبایی خود توکل نمودی و بهسبب آوازه خویش زناکار گردیدی و زنای خویش را برهر رهگذری ریختی و از آن او شد. | ۱۵ 15 |
১৫পরে তুমি নিজের সৌন্দর্যে নির্ভর করে নিজ কীর্তির অভিমানে ব্যভিচারিণী হলে; যে কেউ কাছ দিয়ে যেত, তার উপরে তোমার ব্যভিচার ঢেলে দিতে; তুমি তার সম্পত্তি হতে!
و ازلباسهای خود گرفتی و مکان های بلند رنگارنگ برای خود ساخته، بر آنها زنا نمودی که مثل اینکارها واقع نشده و نخواهد شد. | ۱۶ 16 |
১৬তারপর তুমি নিজের কোনো কোনো পোশাক নিয়ে নিজের জন্য বিভিন্ন রঙের ঘর তৈরী করতে এবং তার ওপরে বেশ্যাক্রিয়া করতে; এরকম হবেও না, হবারও নয়।
و زیورهای زینت خود را از طلا و نقره (من که به تو داده بودم )گرفته، تمثالهای مردان را ساخته با آنها زنانمودی. | ۱۷ 17 |
১৭আর আমার সোনা ও আমার রূপা দ্বারা বানানো যে সব সুন্দর অলংকার আমি তোমাকে দিয়েছিলাম, তুমি তা নিয়ে পুরুষাকৃতি প্রতিমা তৈরী করে তাদের সঙ্গে ব্যভিচার করতে।
و لباس قلابدوزی خود را گرفته، به آنها پوشانیدی و روغن و بخور مرا پیش آنهاگذاشتی. | ۱۸ 18 |
১৮তুমি নিজের অলংকরা পোশাক সকল নিয়ে তাদেরকে পরাতে এবং আমার তেল ও আমার ধূপ তাদের সামনে রাখতে।
و نان مرا که به تو داده بودم و آردمیده و روغن و عسل را که رزق تو ساخته بودم، پیش آنها برای هدیه خوشبویی نهادی و چنین شد. قول خداوند یهوه این است. | ۱۹ 19 |
১৯আর আমি তোমাকে আমার যে খাবার দিয়েছিলাম, যে ভালো সূজী, তেল ও মধু তোমাকে খেতে দিয়েছিলাম, তা তুমি সুগন্ধের জন্য তাদের সামনে রাখতে; এটাই করা হত, এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
و پسران ودخترانت را که برای من زاییده بودی گرفته، ایشان را به جهت خوراک آنها ذبح نمودی. آیا زنا کاری تو کم بود | ۲۰ 20 |
২০“আর তুমি, আমার জন্য জন্ম দেওয়া তোমার যে ছেলে মেয়েরা, তাদেরকে নিয়ে খাবার হিসাবে ওদের কাছে উৎসর্গ করেছ।
که پسران مرا نیز کشتی و ایشان راتسلیم نمودی که برای آنها از آتش گذرانیده شوند؟ | ۲۱ 21 |
২১তোমার ব্যভিচার কি ছোট বিষয় যে, তুমি আমার সন্তানদেরকেও হত্যা করে উৎসর্গ করেছ এবং বলিদান করেছ প্রতিমার কাছে
و در تمامی رجاسات و زنای خود ایام جوانی خود را حینی که عریان و برهنه بودی و درخون خود میغلطیدی بیاد نیاوردی.» | ۲۲ 22 |
২২নিজের সমস্ত জঘন্য কাজে ও ব্যভিচারে মগ্ন হওয়াতে তুমি নিজের যৌবনাবস্থার সেই দিন মনে করনি, যখন তুমি বিবস্ত্রা ও উলঙ্গিনী ছিলে, নিজ রক্তে আছাড় খাচ্ছিলে।
و خداوند یهوه میگوید: «وای بر تو! وای بر تو! زیرا بعد از تمامی شرارت خود، | ۲۳ 23 |
২৩আর তোমার এই সকল খারাপ কাজের পরে ধিক, ধিক তোমাকে।” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।
خراباتها برای خود بنا نمودی و عمارات بلنددر هر کوچه برای خود ساختی. | ۲۴ 24 |
২৪তুমি নিজের জন্য ধর্মীয় স্থান তৈরী করেছ এবং প্রত্যেক সার্বজনীন স্থানে উচ্চস্থান তৈরী করেছ।
بسر هر راه عمارتهای بلند خود را بنا نموده، زیبایی خود رامکروه ساختی و برای هر راهگذری پایهای خویش را گشوده، زناکاریهای خود را افزودی. | ۲۵ 25 |
২৫প্রত্যেক রাস্তার মাথায় তুমি নিজের উচ্চস্থান তৈরী করেছ, নিজের সৌন্দর্য্যকে ঘৃণার জিনিস করেছ, প্রত্যেক পথিকের জন্য নিজের পা খুলে দিয়েছ এবং নিজের বেশ্যা-ক্রিয়া বাড়িয়েছ।
و با همسایگان خود پسران مصر که بزرگ گوشت میباشند، زنا نمودی و زناکاری خود راافزوده، خشم مرا بهیجان آوردی. | ۲۶ 26 |
২৬তুমি মিশরীয়দের সঙ্গে বেশ্যাদের মতো কাজ করেছ, তোমার প্রতিবেশী যযাদের লালসাপূর্ণ ইচ্ছা এবং তুমি আরো অনেক বেশ্যাবৃত্তির কাজের প্রতিজ্ঞা করেছ সেইজন্য তুমি আমাকে রাগিয়ে দিয়েছ।
لهذا اینک من دست خود را بر تو دراز کرده، وظیفه تو را قطع نمودم و تو را به آرزوی دشمنانت یعنی دختران فلسطینیان که از رفتار قبیح تو خجل بودند، تسلیم نمودم. | ۲۷ 27 |
২৭সুতরাং দেখ! আমি আমার হাতের দ্বারা তোমাকে আঘাত করব এবং তোমার খাবার উচ্ছিন্ন করব। যে পলেষ্টীয়দের মেয়েরা তোমার লালসাপূর্ণ আচরণে লজ্জিতা হয়েছে, তাদের ইচ্ছায় তোমাকে সমর্পণ করলাম।
و چونکه سیر نشدی با بنی آشور نیز زنا نمودی و با ایشان نیز زنا نموده، سیرنگشتی. | ۲۸ 28 |
২৮তুমি সন্তুষ্ট না হওয়াতে অশূরীয়দের সঙ্গে বেশ্যাক্রিয়া করেছ; তুমি তাদের সঙ্গে ব্যাভিচার করলেও সন্তুষ্ট হওনি।
و زناکاریهای خود را از زمین کنعان تازمین کلدانیان زیاد نمودی و از این هم سیرنشدی.» | ۲۹ 29 |
২৯এবং তুমি কলদীয়দের বাণিজ্যের দেশে আরো অনেক ব্যাভিচার করেছ এবং এতেও সন্তুষ্ট হলে না।
خداوند یهوه میگوید: «دل تو چه قدرضعیف است که تمامی این اعمال را که کار زن زانیه سلیطه میباشد، بعمل آوردی. | ۳۰ 30 |
৩০তোমার হৃদয় কেন দুর্বল? প্রভু সদাপ্রভু বলেন, যে তুমি তো এই সব করেছ, এটা বিশৃঙ্খল এবং লজ্জাহীন মহিলার কাজ?
که بسرهر راه خرابات خود را بنا نمودی و در هر کوچه عمارات بلند خود را ساختی و مثل فاحشه های دیگر نبودی چونکه اجرت را خوار شمردی. | ۳۱ 31 |
৩১তুমি প্রত্যেক রাস্তার মাথায় তোমার ধর্মীয় স্থান তৈরী করেছ, প্রত্যেক সার্বজনীন জায়গায় তোমার উচ্চস্থান তৈরী করেছ; এতে তুমি বেশ্যার মতো হওনি; তুমি তো পণ অবজ্ঞা করেছ।
ای زن زانیه که غریبان را بهجای شوهر خودمی گیری! | ۳۲ 32 |
৩২ব্যভিচারী নারী। তুমি নিজের স্বামীর পরিবর্তে অপরিচিত লোকদেরকে গ্রহণ করে থাক!
به جمیع فاحشهها اجرت میدهند. | ۳۳ 33 |
৩৩লোকে প্রত্যেক বেশ্যাকেই পারিশ্রমিক দেয়, কিন্তু তুমি তোমার সব প্রেমিককেই উপহার দিয়েছ এবং তোমার বেশ্যাবৃত্তিক্রমে তারা যেন সব দিক থেকে তোমার কাছে আসে, এই জন্য তাদেরকে ঘুষ দিয়েছ।
و عادت تو درزناکاریت برعکس سایر زنان است. چونکه کسی به جهت زناکاری از عقب تو نمی آید و تو اجرت میدهی و کسی به تو اجرت نمی دهد. پس عادت تو بر عکس دیگران است.» | ۳۴ 34 |
৩৪এতে অন্যান্য স্ত্রী থেকে তোমার বিপরীত; কারণ কোনো লোক তোমার সঙ্গে শোয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করে না। পরিবর্তে, তুমি তাদের বেতন দাও! কেউ তোমাকে বেতন দাও।
بنابراینای زانیه! کلام خداوند را بشنو! | ۳۵ 35 |
৩৫অতএব, হে বেশ্যা, সদাপ্রভুর বাক্য শোনো!
خداوند یهوه چنین میگوید: «چونکه نقد توریخته شد و عریانی تو از زناکاریت با عاشقانت وبا همه بتهای رجاساتت و از خون پسرانت که به آنها دادی مکشوف گردید، | ۳۶ 36 |
৩৬প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তোমার লালসা ঢেলে দেওয়া হয়েছে এবং তোমার প্রেমিকদের সঙ্গে তোমার ব্যাভিচারের জন্য তোমার উলঙ্গতা প্রকাশিত হয়েছে এবং তোমার সব ঘৃণ্য মূর্তির জন্য, কারণ তোমার সন্তানদের রক্ত যা তুমি তোমার মূর্তিদেরকে দিয়েছ;
لهذا هان من جمیع عاشقانت را که به ایشان ملتذ بودی و همه آنانی راکه دوست داشتی، با همه کسانی که از ایشان نفرت داشتی جمع خواهم نمود. و ایشان را از هرطرف نزد تو فراهم آورده، برهنگی تو را به ایشان مکشوف خواهم ساخت، تا تمامی عریانیت راببینند. | ۳۷ 37 |
৩৭অতএব দেখ! আমি তোমার সেই সব প্রেমিকদেরকে জড়ো করব, যাদের সঙ্গে তুমি মিলিত হয়েছ এবং যাদেরকে তুমি ভালোবেসেছো ও যাদেরকে ঘৃণা করেছ; তোমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দিক থেকে তাদেরকে জড়ো করব, পরে তাদের সামনে তোমার উলঙ্গতা প্রকাশ করব, তাতে তারা তোমার সমস্ত উলঙ্গতা দেখবে।
و بر تو فتوای زنانی را که زنا میکنند وخونریز میباشند، خواهم داد. و خون غضب وغیرت را بر تو وارد خواهم آورد. | ۳۸ 38 |
৩৮কারণ আমি তোমার ব্যাভিচারের ও রক্তপাতের জন্য বিচার করব এবং আমি তোমার ওপরে আমার রাগের রক্তপাত এবং ক্রোধ আনব।
و تو را بهدست ایشان تسلیم نموده، خراباتهای تو راخراب و عمارات بلند تو را منهدم خواهندساخت. و لباست را از تو خواهند کند و زیورهای قشنگ تو را خواهند گرفت و تو را عریان و برهنه خواهند گذاشت. | ۳۹ 39 |
৩৯আমি তাদের হাতে তোমাকে দেব, তাতে তারা তোমার মন্দির ভেঙে ফেলবে, তোমার উচ্চস্থান সব ধ্বংস করবে, তোমাকে নগ্ন করবে এবং তোমার সব ধরনের অলংকার নিয়ে নেবে; তারা তোমাকে নগ্ন ও উলঙ্গিনী করে রাখবে।
و گروهی بر تو آورده، تو رابه سنگها سنگسار خواهند کرد و به شمشیرهای خود تو را پاره پاره خواهند نمود. | ۴۰ 40 |
৪০তারা তোমার বিরুদ্ধে জনসাধারণকে আনবে, তোমাকে পাথর মারবে ও তারা তাদের তরোয়ালের দ্বারা তোমাকে বিচ্ছিন্ন করবে।
و خانه های تو را به آتش سوزانیده، در نظر زنان بسیار بر توعقوبت خواهند رسانید. پس من تو را از زنا کاری بازخواهم داشت و بار دیگر اجرت نخواهی داد. | ۴۱ 41 |
৪১এবং তোমার বাড়ি সব আগুনে পুড়িয়ে দেবে ও অনেক স্ত্রীলোকের সামনে তোমার ওপরে শাস্তির অনেক আইন সঞ্চালিত হবে; কারণ আমি তোমার ব্যাভিচার থামাব, তুমি আর তাদেরকে পণ দেবে না!
و حدت خشم خود را بر تو فرو خواهم نشانیدو غیرت من از تو خواهد برگشت و آرام گرفته، بار دیگر غضب نخواهم نمود. | ۴۲ 42 |
৪২তারপর আমি আপনার বিরুদ্ধে আমার রাগ শান্ত করব, তাতে তোমার ওপর থেকে আমার রাগ যাবে, কারণ আমি সন্তুষ্ট হব এবং রাগ করব না।
چونکه ایام جوانی خود را به یاد نیاورده، مرا به همه اینکارهارنجانیدی، از این جهت خداوند یهوه میگوید که اینک نیز رفتار تو را بر سرت وارد خواهم آورد وعلاوه بر تمامی رجاساتت دیگر این عمل قبیح رامرتکب نخواهی شد. | ۴۳ 43 |
৪৩তুমি নিজের যৌবনাবস্থা মনে করনি, যখন তুমি আমাকে এই সব বিষয়ে আমাকে রাগিয়েছ; দেখ, আমিও তোমার ব্যবহারের জন্য তোমাকে মাথায় শাস্তি দেব,” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; “ঐ সব অন্যায় আচরণের পরে তুমি আর ঘৃণ্য পদ্ধতিতে চলবে না!
«اینک هرکه مثل میآورد این مثل را بر توآورده، خواهد گفت که مثل مادر، مثل دخترش میباشد. | ۴۴ 44 |
৪৪দেখ, যে কেউ প্রবাদ বলে, সে তোমার বিরুদ্ধে এই প্রবাদ বলবে, ‘যেমন মা তেমনি মেয়ে’।
تو دختر مادر خود هستی که ازشوهر و پسران خود نفرت میداشت. و خواهرخواهران خود هستی که از شوهران و پسران خویش نفرت میدارند. مادر شما حتی بود و پدرشما اموری. | ۴۵ 45 |
৪৫তুমি তোমার মায়ের মেয়ে, যে নিজের স্বামীকে ও সন্তানদের ঘৃণা করত এবং তুমি তোমার বোনদের বোন, যারা নিজেদের স্বামী ও সন্তানদের ঘৃণা করত; তোমাদের মা হিত্তীয়া ও তোমাদের বাবা ইমোরীয় ছিল।
و خواهر بزرگ تو سامره است که با دختران خود بطرف چپ تو ساکن میباشد. وخواهر کوچک تو سدوم است که با دختران خودبطرف راست تو ساکن میباشد. | ۴۶ 46 |
৪৬তোমার বড় বোন শমরিয়া, সে নিজের মেয়েদের সঙ্গে তোমার উত্তর দিকে বাস করে এবং তোমার ছোট বোন সদোম, সে নিজের মেয়েদের সঙ্গে তোমার দক্ষিণ দিকে বাস করে।
اما تو درطریق های ایشان سلوک نکردی و مثل رجاسات ایشان عمل ننمودی. بلکه گویا این سهل بود که تو در همه رفتار خود از ایشان زیاده فاسد شدی.» | ۴۷ 47 |
৪৭এখন তুমি যে তাদের পথে গিয়েছ ও তাদের ঘৃণার কাজ অনুসারে কাজ করেছ, তা নয়, বরং ওটা ছোট বিষয় বলে নিজের সব ব্যবহারে তাদের থেকেও খারাপ হয়েছ।
پس خداوند یهوه میگوید: «به حیات خودم قسم که خواهر تو سدوم و دخترانش موافق اعمال تو و دخترانت عمل ننمودند. | ۴۸ 48 |
৪৮যেমন আমি জীবন্ত” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন “তোমার বোন সদোম ও তার মেয়েরা তোমার মত ও তোমার মেয়েদের মত খারাপ কাজ করে নি!
اینک گناه خواهرت سدوم این بود که تکبر وفراوانی نان و سعادتمندی رفاهیت برای او ودخترانش بود و فقیران و مسکینان را دستگیری ننمودند. | ۴۹ 49 |
৪৯দেখ! তোমার বোন সদোমের এই অপরাধ ছিল; তার ও তার মেয়েদের অহঙ্কার, যে কোনো বিষয়ে অমনোযোগী ও উদাসীন ছিল; গরিব ও অভাবগ্রস্তদের হাত তার এবং তার মেয়েদের কাছে যেত, কিন্তু সে তাদের সাহায্য করত না।
و مغرور شده، در حضور من مرتکب رجاسات گردیدند. لهذا چنانکه صلاح دیدم ایشان را از میان برداشتم. | ۵۰ 50 |
৫০সে অহঙ্কারিনী ছিল ও আমার সামনে ঘৃণার কাজ করত, অতএব আমি তা দেখে তাদেরকে দূর করলাম।
و سامره نصف گناهانت را مرتکب نشد، بلکه تو رجاسات خودرا از آنها زیاده نمودی و خواهران خود را به تمامی رجاسات خویش که بعمل آوردی مبری ساختی. | ۵۱ 51 |
৫১শমরিয়া তোমার পাপের অর্ধেক পাপও করে নি, পরিবর্তে, তুমি ঘৃণার কাজ তাদের থেকেও বেশি করেছ এবং নিজের করা সব ঘৃণার কাজের দ্বারা নিজের বোনদেরকে ধার্মিক দেখিয়েছ।
پس تو نیز که بر خواهران خود حکم دادی خجالت خود را متحمل بشو. زیرا به گناهانت که در آنها بیشتر از ایشان رجاسات نمودی ایشان از تو عادلتر گردیدند. لهذا تو نیزخجل شو و رسوایی خود را متحمل باش چونکه خواهران خود را مبری ساختی. | ۵۲ 52 |
৫২বিশেষভাবে তুমি, তুমিও নিজের লজ্জা দেখাও, এই ভাবে তুমি দেখাও যে তোমার বোনেরা তোমার থেকে ভালো, কারণ সেই সব মন্দ অভ্যাসের মধ্যে তুমি পাপ করেছিলে। তোমার বোনেরা এখন তোমার চেয়ে ভাল বলে মনে হয়। বিশেষভাবে তুমি, নিজের লজ্জা দেখাও, কারণ এই ভাবে তুমি দেখো যে তোমার বোনেরা তোমার থেকে ভালো।
و من اسیری ایشان یعنی اسیری سدوم و دخترانش و اسیری سامره و دخترانش و اسیری اسیران تو را در میان ایشان خواهم برگردانید. | ۵۳ 53 |
৫৩কারণ আমি তাদের বন্দিত্ব, সদোম ও তার মেয়েদের বন্দিত্ব এবং শমরিয়া ও তার মেয়েদের বন্দিত্ব ফেরাব এবং তাদের মধ্যে তোমার বন্দিদের ফেরাব;
تا خجالت خود رامتحمل شده، از هرچه کردهای شرمنده شوی چونکه ایشان را تسلی دادهای. | ۵۴ 54 |
৫৪এইগুলির জন্য তুমি লজ্জিতবোধ করবে; তুমি অপদস্থ হবে কারণ যা কিছু করেছ তার জন্য এবং এই ভাবে তুমি তাদেরকে সান্ত্বনা দেবে।
و خواهرانت یعنی سدوم و دخترانش به حالت نخستین خودخواهند برگشت. و سامره و دخترانش به حالت نخستین خود خواهند برگشت. و تو و دخترانت به حالت نخستین خود خواهید برگشت. | ۵۵ 55 |
৫৫আর তোমার বোন সদোম ও তার মেয়েরা, আগের অবস্থা পাবে এবং শমরিয়া ও তার মেয়েরা আগের অবস্থা পাবে এবং তুমি ও তোমার মেয়েরা আগের অবস্থা পাবে।
اماخواهر تو سدوم در روز تکبر تو به زبانت آورده نشد. | ۵۶ 56 |
৫৬তোমার অহঙ্কারের দিনের তুমি নিজের বোন সদোমের নাম মুখে আনতে না;
قبل از آنکه شرارت تو مکشوف بشود. مثل آن زمانی که دختران ارام مذمت میکردند وجمیع مجاورانش یعنی دختران فلسطینیان که تورا از هر طرف خوار میشمردند.» | ۵۷ 57 |
৫৭তখন তোমার দুষ্টতা প্রকাশ পায়নি; যেমন এই দিনের অরামের মেয়েরা ও তার চারিদিকের নিবাসিনী সবাই, পলেষ্টীয়দের মেয়েরা, তোমাকে অবজ্ঞা করছে এরা চারিদিকে তোমাকে তুচ্ছ করে।
پس خداوند میفرماید که «تو قباحت ورجاسات خود را متحمل خواهی شد. | ۵۸ 58 |
৫৮তুমি নিজের লজ্জা এবং নিজের ঘৃণ্য কাজ দেখাবে!” এটা সদাপ্রভু বলেন!
زیراخداوند یهوه چنین میگوید: به نهجی که تو عمل نمودی من با تو عمل خواهم نمود، زیرا که قسم را خوار شمرده، عهد را شکستی. | ۵۹ 59 |
৫৯প্রভু সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তুমি যেমন কাজ করেছ, আমি তোমার প্রতি সেরকম কাজ করব; তুমি তো শপথ অবজ্ঞা করে নিয়ম ভেঙ্গেছ।
لیکن من عهد خود را که در ایام جوانیت با تو بستم به یادخواهم آورد و عهد جاودانی با تو استوار خواهم داشت. | ۶۰ 60 |
৬০কিন্তু তোমার যৌবনকালে তোমার সঙ্গে আমার যে নিয়ম ছিল, তা আমি মনে করব এবং তোমার পক্ষে চিরস্থায়ী এক নিয়ম স্থাপিত করব।
و هنگامی که خواهران بزرگ و کوچک خود را پذیرفته باشی، آنگاه راههای خود را به یاد آورده، خجل خواهی شد. و من ایشان را بهجای دختران به تو خواهم داد، لیکن نه از عهد تو. | ۶۱ 61 |
৬১তখন তুমি নিজের আচার ব্যবহার মনে করে লজ্জিতা হবে, যখন নিজের বোনদেরকে, নিজের বড় ও ছোট বোনদেরকে গ্রহণ করবে; আর আমি তাদেরকে মেয়েদের মতো তোমাকে দেব, কিন্তু তোমার নিয়মের কারণে নয়।
و من عهد خود را با تو استوار خواهم ساخت وخواهی دانست که من یهوه هستم. | ۶۲ 62 |
৬২আমি নিজেই তোমার সঙ্গে নিজের নিয়ম স্থির করব; তাতে তুমি জানবে যে, আমিই সদাপ্রভু;
تا آنکه به یاد آورده، خجل شوی. و خداوند یهوه میفرماید که چون من همه کارهای تو را آمرزیده باشم، بار دیگر بهسبب رسوایی خویش دهان خود را نخواهی گشود.» | ۶۳ 63 |
৬৩কারণ এই বিষয়, আমি যখন তোমার কাজ সব ক্ষমা করব, তখন তুমি যেন তা মনে করে লজ্জিতা হও ও নিজের অপমানের জন্য আর কখনও মুখ না খোলো।” এটা প্রভু সদাপ্রভু বলেন।