< دوم پادشاهان 20 >
در آن ایام، حزقیا بیمار و مشرف به موت شد و اشعیا ابن آموص نبی نزدوی آمده، او را گفت: «خداوند چنین میگوید: تدارک خانه خود را ببین زیرا که میمیری و زنده نخواهی ماند.» | ۱ 1 |
১সেই দিনের হিষ্কিয় খুব অসুস্থ হয়েছিলেন। তখন আমোসের ছেলে যিশাইয় ভাববাদী তাঁর কাছে গেলেন এবং তাঁকে বললেন, “সদাপ্রভু বলছেন যে, ‘তুমি তোমার বাড়ির ব্যবস্থা করে রাখ, কারণ তোমার মৃত্যু হবে, বাঁচবে না’।”
آنگاه او روی خود را به سوی دیوار برگردانید و نزد خداوند دعا نموده، گفت: | ۲ 2 |
২তখন হিষ্কিয় দেয়ালের দিকে মুখ ফেরালেন এবং সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করে বললেন,
«ای خداوند مسالت اینکه بیاد آوری که چگونه به حضور تو به امانت و به دل کامل سلوک نمودهام و آنچه در نظر تو پسند بوده است، بجا آوردهام.» پس حزقیا زارزار بگریست. | ۳ 3 |
৩“হে সদাপ্রভু, তুমি স্মরণ করে দেখ আমি তোমার সামনে কেমন বিশ্বস্তভাবে ও সমস্ত হৃদয় দিয়ে চলেছি এবং তোমার চোখে যা কিছু ভালো তাই করেছি।” এবং হিষ্কিয় খুব কাঁদলেন।
و واقع شد قبل از آنکه اشعیا از وسط شهربیرون رود، که کلام خداوند بر وی نازل شده، گفت: | ۴ 4 |
৪যিশাইয় বের হয়ে রাজবাড়ীর মাঝখানের উঠান পার হয়ে যাওয়ার আগেই সদাপ্রভুর বাক্য তাঁর কাছে প্রকাশিত হল, বললেন,
«برگرد و به پیشوای قوم من حزقیا بگو: خدای پدرت، داود چنین میگوید: دعای تو راشنیدم و اشکهای تو را دیدم. اینک تو را شفاخواهم داد و در روز سوم به خانه خداوند داخل خواهی شد. | ۵ 5 |
৫“তুমি ফিরে যাও এবং আমার লোকদের নেতা হিষ্কিয়কে বল যে, তার পূর্বপুরুষ দায়ূদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেছেন, ‘আমি তোমার প্রার্থনা শুনেছি ও তোমার চোখের জল দেখেছি। আমি তোমাকে তৃতীয় দিনের সুস্থ করব এবং তুমি সদাপ্রভুর গৃহে যাবে।
و من بر روزهای تو پانزده سال خواهم افزود، و تو را و این شهر را از دست پادشاه آشور خواهم رهانید، و این شهر را بهخاطر خود و بهخاطر بنده خود، داود حمایت خواهم کرد.» | ۶ 6 |
৬আমি তোমার আয়ু আরও পনেরো বছর বাড়িয়ে দেব এবং আমি অশূর রাজার হাত থেকে তোমাকে এবং এই শহরকে উদ্ধার করব। আমার জন্য ও আমার দাস দায়ূদের জন্য আমি এই শহরকে রক্ষা করব’।”
و اشعیا گفت که «قرصی از انجیربگیرید.» و ایشان آن را گرفته، بر دمل گذاشتند که شفا یافت. | ۷ 7 |
৭ফলে যিশাইয় বললেন, “ডুমুর ফলের একটা চাক নিয়ে এস।” লোকেরা তা এনে হিষ্কিয়ের ফোড়ার উপরে দিল এবং তিনি সুস্থ হলেন।
و حزقیا به اشعیا گفت: «علامتی که خداوند مرا شفا خواهد بخشید و در روز سوم به خانه خداوند خواهم برآمد، چیست؟» | ۸ 8 |
৮হিষ্কিয় যিশাইয়কে বলেছিলেন যে, “সদাপ্রভু আমাকে সুস্থ করবেন এবং এখন থেকে তৃতীয় দিনের আমি যে সদাপ্রভুর গৃহে যাব তার চিহ্ন কি?”
و اشعیا گفت: «علامت از جانب خداوند که خداوند این کلام راکه گفته است، بجا خواهد آورد، این است: آیاسایه ده درجه پیش برود یا ده درجه برگردد؟» | ۹ 9 |
৯যিশাইয় উত্তর দিয়ে বলেছিলেন, “সদাপ্রভু যে তাঁর প্রতিজ্ঞা রক্ষা করবেন তার জন্য তিনি আপনাকে জন্য একটি চিহ্ন দেবেন। ছায়া কি দশ ধাপ এগিয়ে যাবে, না দশ ধাপ পিছিয়ে যাবে?”
حزقیا گفت: «سهل است که سایه ده درجه پیش برود. نی، بلکه سایه ده درجه به عقب برگردد.» | ۱۰ 10 |
১০হিষ্কিয় উত্তর দিয়ে বলেছিলেন, “ছায়াটি দশ ধাপ এগিয়ে যাওয়াটাই সহজ ব্যাপার। না, ছায়াটি দশ ধাপ পিছিয়ে যাক।”
پس اشعیای نبی از خداوند استدعانمود و سایه را از درجاتی که بر ساعت آفتابی آحاز پایین رفته بود، ده درجه برگردانید. | ۱۱ 11 |
১১তখন যিশাইয় ভাববাদী সদাপ্রভুকে চীত্কার করে ডাকলেন। এবং তাতে আহসের সিঁড়ি থেকে ছায়াটা যেখানে ছিল সেখান থেকে দশ ধাপ পিছিয়ে পড়েছিল।
و در آن زمان، مرودک بلدان بن بلدان، پادشاه بابل، رسایل و هدیه نزد حزقیا فرستاد زیراشنیده بود که حزقیا بیمار شده است. | ۱۲ 12 |
১২সেই দিনের বলদনের ছেলে বাবিলের রাজা বরোদক্বলদন্ হিষ্কিয়ের কাছে চিঠি ও উপহার পাঠিয়ে দিলেন, কারণ তিনি শুনেছিলেন যে হিষ্কিয় অসুস্থ ছিলেন।
و حزقیاایشان را اجابت نمود و تمامی خانه خزانه های خود را از نقره و طلا و عطریات و روغن معطر وخانه اسلحه خویش و هرچه را که در خزاین اویافت میشد، به ایشان نشان داد، و در خانهاش ودر تمامی مملکتش چیزی نبود که حزقیا آن را به ایشان نشان نداد. | ۱۳ 13 |
১৩হিষ্কিয় সেই চিঠিগুলি গ্রহণ করলেন এবং তাঁর সব ভান্ডারগুলোতে যা মূল্যবান বস্তু ছিল, অর্থাৎ সোনা, রূপা, সুগন্ধি মশলা, দামী তেল এবং তাঁর অস্ত্রশস্ত্রের ভান্ডার ও ধনভান্ডারে যা কিছু ছিল সব সেই দূতদের দেখালেন। হিষ্কিয়ের রাজবাড়ীতে কিম্বা তাঁর সারা রাজ্যে এমন কিছু ছিল না যা তিনি তাদের দেখান নি।
پس اشعیای نبی نزد حزقیای پادشاه آمده، وی را گفت: «این مردمان چه گفتند؟ و نزد تو از کجا آمدند؟» حزقیا جواب داد: «ازجای دور، یعنی از بابل آمدهاند.» | ۱۴ 14 |
১৪তখন যিশাইয় ভাববাদী রাজা হিষ্কিয়ের কাছে আসলেন এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “এই লোকগুলি আপনাকে কি বলল? কোথা থেকেই বা তারা আপনার কাছে এসেছিল?” হিষ্কিয় বললেন, “ওরা দূর দেশ থেকে, বাবিল থেকে এসেছিল।”
او گفت: «درخانه تو چه دیدند؟» حزقیا جواب داد: «هرچه درخانه من است، دیدند و چیزی در خزاین من نیست که به ایشان نشان ندادم.» | ۱۵ 15 |
১৫যিশাইয় জিজ্ঞাসা করলেন, “তারা আপনার রাজবাড়ীর মধ্যে কি কি দেখেছে?” হিষ্কিয় উত্তর দিয়ে বললেন, “তারা আমার রাজবাড়ীর সব কিছুই দেখেছে। আমার ধনভান্ডারের এমন কিছু মূল্যবান জিনিস নেই যা আমি তাদের দেখায়নি।”
پس اشعیا به حزقیا گفت: «کلام خداوند رابشنو: | ۱۶ 16 |
১৬অতএব যিশাইয় হিষ্কিয়কে বললেন, “সদাপ্রভুর বাক্য শুনুন।
اینک روزها میآید که هرچه در خانه توست و آنچه پدرانت تا امروز ذخیره کردهاند، به بابل برده خواهد شد. و خداوند میگوید که چیزی باقی نخواهد ماند. | ۱۷ 17 |
১৭দেখো, এমন দিন আসছে যে, যখন আপনার রাজবাড়ীর সব কিছু এবং আপনার পূর্বপুরুষরা যা কিছু আজ পর্যন্ত জমিয়ে রেখেছে সবই বাবিলে নিয়ে যাওয়া হবে, কিছুই পড়ে থাকবে না, এটি সদাপ্রভু বলেন।
و بعضی از پسرانت را که از تو پدید آیند و ایشان را تولید نمایی، خواهند گرفت و در قصر پادشاه بابل، خواجه خواهند شد.» | ۱۸ 18 |
১৮এবং আপনার নিজের সন্তান, কয়েকজন বংশধর, যাদের আপনি জন্ম দিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারা বাবিলের রাজাবাড়ীতে নপুংসক হয়ে থাকবে।”
حزقیا به اشعیا گفت: «کلام خداوند که گفتی نیکوست.» و دیگر گفت: «هرآینه در ایام من سلامتی و امان خواهد بود.» | ۱۹ 19 |
১৯তখন উত্তর দিয়ে হিষ্কিয় যিশাইয়কে বললেন, “সদাপ্রভুর কথা যা আপনি বললেন, তা ভাল।” কারণ তিনি ভেবেছিলেন যে, যদি আমার দিনের শান্তি ও সত্য হয়, তবে সেটা কি ভাল নয়?
و بقیه وقایع حزقیا و تمامی تهور او وحکایت حوض و قناتی که ساخت و آب را به شهر آورد، آیا در کتاب تواریخ ایام پادشاهان یهودا مکتوب نیست؟ | ۲۰ 20 |
২০হিষ্কিয়ের অন্যান্য বাকি সমস্ত কাজের কথা এবং সব শক্তি এবং কেমন করে তিনি পুকুর ও সুড়ঙ্গ কেটেছিলেন ও শহরে জল নিয়ে এসেছিলেন সেগুলি কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে লেখা নেই?
پس حزقیا با پدران خود خوابید و پسرش، منسی بهجایش سلطنت نمود. | ۲۱ 21 |
২১হিষ্কিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রাগত হলেন এবং তাঁর ছেলে মনঃশি তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।