< دوم پادشاهان 16 >

در سال هفدهم فقح بن رملیا، آحاز بن یوتام، پادشاه یهودا آغاز سلطنت نمود. ۱ 1
রমলিয়ের ছেলে পেকহের রাজত্বের সতেরো বছরের দিন যিহূদার রাজা যোথমের ছেলে আহস রাজত্ব করতে শুরু করেন।
و آحاز بیست ساله بود که پادشاه شد و شانزده سال در اورشلیم سلطنت نمود و آنچه در نظریهوه خدایش شایسته بود، موافق پدرش داودعمل ننمود. ۲ 2
আহস কুড়ি বছর বয়সে রাজত্ব করতে শুরু করেন এবং তিনি ষোল বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেছিলেন। আহস তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদ যেমন তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল তাই করতেন, তিনি তেমন করতেন না।
و نه فقط به راه پادشاهان اسرائیل سلوک نمود، بلکه پسر خود را نیز از آتش گذرانید، موافق رجاسات امتهایی که خداوند، ایشان را از حضور بنی‌اسرائیل اخراج نموده بود. ۳ 3
তার পরিবর্তে তিনি ইস্রায়েলের রাজাদের মতই চলতেন; এমন কি, সদাপ্রভু যে সব জাতিকে ইস্রায়েলের মানুষদের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছিলেন তাদের মত তিনিও তাঁর নিজের ছেলেকে আগুনে ফেলে দিয়ে হোম উৎসর্গ করলেন।
و در مکان های بلند و تلها و زیر هر درخت سبزقربانی می‌گذرانید و بخور می‌سوزانید. ۴ 4
তিনি উঁচু জায়গাগুলিতে, পাহাড়ের উপরে ও প্রত্যেকটি সবুজ গাছের নীচে বলিদান উৎসর্গ করতেন ও ধূপ জ্বালাতেন।
آنگاه رصین، پادشاه ارام، و فقح بن رملیا، پادشاه اسرائیل، به اورشلیم برای جنگ برآمده، آحاز را محاصره نمودند اما نتوانستند غالب آیند. ۵ 5
অরামের রাজা রৎসীন ও রমলিয়ের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা পেকহ যিরূশালেমে এসে আহস সুদ্ধ শহরটা ঘেরাও করলেন, কিন্তু তাঁরা আহসকে জয় করতে পারলেন না।
در آن وقت رصین، پادشاه ارام، ایلت رابرای ارامیان استرداد نمود و یهود را از ایلت اخراج نمود و ارامیان به ایلت داخل شده، تاامروز در آن ساکن شدند. ۶ 6
সেই দিন অরামের রাজা রৎসীন এলৎ শহর আবার অরামের অধীনে নিয়ে আসলেন এবং এলৎশহর থেকে যিহূদার লোকদের তাড়িয়ে দিলেন। তারপর অরামীয়েরা এলতে গেলো, যেখানে আজও তারা বাস করছে।
و آحاز رسولان نزدتغلت فلاسر، پادشاه آشور، فرستاده، گفت: «من بنده تو و پسر تو هستم. پس برآمده، مرا از دست پادشاه ارام و از دست پادشاه اسرائیل که به ضدمن برخاسته‌اند، رهایی ده.» ۷ 7
পরে আহস অশূরের রাজা তিগ্লৎ-পিলেষরের কাছে এই কথা বলতে লোক পাঠিয়ে দিলেন, “আমি আপনার দাস এবং আপনার ছেলে। আপনি আসুন এবং অরামের রাজার হাত থেকে এবং ইস্রায়েলের রাজার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করুন, যারা আমাকে আক্রমণ করেছে।”
و آحاز، نقره وطلایی را که در خانه خداوند و در خزانه های خانه پادشاه یافت شد، گرفته، آن را نزد پادشاه آشور پیشکش فرستاد. ۸ 8
আহস সদাপ্রভুর গৃহে গিয়েছিলেন ও রাজবাড়ীর ভান্ডার থেকে সোনা ও রূপা নিলেন এবং উপহার হিসাবে অশূরের রাজার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
پس پادشاه آشور، وی را اجابت نمود و پادشاه آشور به دمشق برآمده، آن را گرفت و اهل آن را به قیر به اسیری برد ورصین را به قتل رسانید. ۹ 9
তখন অশূরের রাজা তাঁর কথা শুনলেন এবং দম্মেশকের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে তা দখল করলেন এবং তিনি সেখানকার লোকদের বন্দী করে কীরে নিয়ে গেলেন এবং অরামের রাজা রৎসীনকেও মেরে ফেললেন।
و آحاز پادشاه برای ملاقات تغلت فلاسر، پادشاه آشور، به دمشق رفت و مذبحی را که دردمشق بود، دید و آحاز پادشاه شبیه مذبح و شکل آن را بر‌حسب تمامی صنعتش نزد اوریای کاهن فرستاد. ۱۰ 10
১০তখন রাজা আহস দম্মেশকে অশূরের রাজা তিগ্লৎ-পিলেষরের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তিনি সেখানকার বেদীটা দেখে তাঁর আকার, শিল্পকার্য্য, নকশা ও সেটা তৈরী করবার পুরো পদ্ধতি ঊরিয় যাজকের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
و اوریای کاهن مذبحی موافق آنچه آحاز پادشاه از دمشق فرستاده بود، بنا کرد، واوریای کاهن تا وقت آمدن آحاز پادشاه از دمشق، آن را همچنان ساخت. ۱۱ 11
১১দম্মেশক থেকে রাজা আহসের পাঠানো সব পরিকল্পনা মতই যাজক ঊরিয় একটা বেদী তৈরী করলেন এবং রাজা আহস দম্মেশক থেকে ফিরে আসবার আগেই তা শেষ করলেন।
و چون پادشاه ازدمشق آمد، پادشاه مذبح را دید. و پادشاه به مذبح نزدیک آمده، برآن قربانی گذرانید. ۱۲ 12
১২দম্মেশক থেকে ফিরে এসে রাজা সেই বেদীটা দেখলেন এবং সেই বেদির কাছে গিয়ে তার উপর বলি উৎসর্গ করলেন।
و قربانی سوختنی و هدیه آردی خود را سوزانید و هدیه ریختنی خویش را ریخت و خون ذبایح سلامتی خود را بر مذبح پاشید. ۱۳ 13
১৩তিনি সেখানে তাঁর হোমবলি উৎসর্গ, শস্য উৎসর্গ ও পানীয় উৎসর্গ করলেন এবং তাঁর মঙ্গলার্থক উৎসর্গের রক্তও ছিটিয়ে দিলেন।
و مذبح برنجین را که پیش خداوند بود، آن را از روبروی خانه، از میان مذبح خود و خانه خداوند آورده، آن را به طرف شمالی آن مذبح گذاشت. ۱۴ 14
১৪তিনি সদাপ্রভুর সামনে রাখা ব্রোঞ্জের বেদীটা সদাপ্রভুর ঘর ও তাঁর নতুন বেদির মাঝখান থেকে সরিয়ে এনে নিজের নতুন বেদির উত্তর ধারে রাখলেন।
و آحاز پادشاه، اوریای کاهن را امر فرموده، گفت: «قربانی سوختنی صبح و هدیه آردی شام و قربانی سوختنی پادشاه و هدیه آردی او را با قربانی سوختنی تمامی قوم زمین و هدیه آردی ایشان وهدایای ریختنی‌ایشان بر مذبح بزرگ بگذران، وتمامی خون قربانی سوختنی و تمامی خون ذبایح را بر آن بپاش اما مذبح برنجین برای من باشد تامسالت نمایم.» ۱۵ 15
১৫তখন পরে রাজা আহস যাজক ঊরিয়কে এই সব আদেশ দিলেন, “ঐ বড় বেদীটার উপর সকালবেলার হোমবলি ও সন্ধ্যায় শস্য উৎসর্গ এবং তার উপর রাজার হোমবলি ও শস্য উৎসর্গ এবং দেশের সব লোকদের হোমবলি ও তাদের শস্য উৎসর্গ আর পানীয় উৎসর্গ অনুষ্ঠান করবেন। সমস্ত হোমবলি ও অন্যান্য পশু উৎসর্গের রক্ত নিজেই সেই বেদির উপর ছিটিয়ে দেবেন। কিন্তু ঈশ্বরের সাহায্য পাওয়ার জন্য আমি ঐ ব্রোঞ্জের বেদীটা ব্যবহার করব।”
پس اوریای کاهن بر وفق آنچه آحاز پادشاه امر فرموده بود، عمل نمود. ۱۶ 16
১৬যাজক ঊরিয় রাজা আহস যেমন আদেশ দিয়েছিলেন ঠিক সেই মতই সব করলেন।
و آحاز پادشاه، حاشیه پایه‌ها را بریده، حوض را از آنها برداشت و دریاچه را از بالای گاوان برنجینی که زیر آن بودند، فرود آورد و آن را بر سنگ فرشی گذاشت. ۱۷ 17
১৭রাজা আহস গামলা বসাবার ব্রোঞ্জের আসনগুলোর পাশের সব পাত খুলে ফেললেন এবং সেখান থেকে জলাধারগুলো খুলে ফেললেন। ব্রোঞ্জের গরুগুলোর উপর যে জলাধারটি বসানো ছিল সেটা তিনি খুলে নিয়ে একটা পাথর দিয়ে বাঁধানো এমন জায়গায় বসালেন।
و رواق سبت را که در خانه بنا کرده بودند و راهی را که پادشاه ازبیرون به آن داخل می‌شد، در خانه خداوند به‌خاطر پادشاه آشور تغییر داد. ۱۸ 18
১৮সদাপ্রভুর গৃহে বিশ্রামবারের উদ্দেশ্যে যে চাঁদোয়া তৈরী করা হয়েছিল অশূরের রাজার ভয়ে আহস সেটা খুলে অন্য জায়গায় রাখলেন এবং সদাপ্রভুর গৃহের বাইরের দিকে রাজার ঢুকবার জন্য যে বিশেষ পথ তৈরী করা হয়েছিল তাও সরিয়ে অন্য জায়গায় রাখলেন।
و بقیه اعمال آحاز که کرد، آیا در کتاب تواریخ ایام پادشاهان یهودا مکتوب نیست. ۱۹ 19
১৯আহসের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা কি যিহূদার রাজাদের ইতিহাস নামে বইটিতে লেখা নেই?
پس آحاز با پدران خودخوابید و با پدران خویش در شهر داود دفن شد وپسرش حزقیا در جایش پادشاه شد. ۲۰ 20
২০পরে আহস নিজের পূর্বপুরুষদের কাছে চলে গেলেন এবং দায়ূদ শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে তাঁকে কবর দেওয়া হল। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে হিষ্কিয় রাজা হলেন।

< دوم پادشاهان 16 >