< اول سموئیل 1 >
و مردی بود از رامه تایم صوفیم از کوهستان افرایم، مسمی به القانه بن یروحام بن الیهو بن توحو بن صوف. و او افرایمی بود. | ۱ 1 |
১ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকায় রামাথয়িম (গ্রামের) সোফীম শহরে ইলকানা নামে একজন লোক ইফ্রয়িম গোষ্ঠীর লোকদের সঙ্গে বাস করতেন। তাঁর বাবার নাম ছিল যিরোহম। যিরোহম ছিলেন ইলীহূর ছেলে, ইলীহূ ছিলেন তোহের ছেলে এবং তোহ ছিলেন সুফের ছেলে।
و او دو زن داشت. اسم یکی حنا و اسم دیگری فننه بود. و فننه اولاد داشت لیکن حنا رااولاد نبود. | ۲ 2 |
২তাঁর দুইজন স্ত্রী ছিল; এক জনের নাম হান্না আর অন্য জনের নাম পনিন্না। পনিন্নার ছেলেমেয়ে হয়েছিল, কিন্তু হান্নার কোনো ছেলেমেয়ে হয়নি।
و آن مرد هر سال برای عبادت نمودن وقربانی گذرانیدن برای یهوه صبایوت از شهر خودبه شیلوه میآمد، و حفنی و فینحاس دو پسرعیلی، کاهنان خداوند در آنجا بودند. | ۳ 3 |
৩এই ব্যক্তি প্রত্যেক বছর তাঁর শহর থেকে শীলোতে গিয়ে বাহিনীগণের সদাপ্রভুর উপাসনা ও বলিদান করতেন। সেখানে এলির দুই ছেলে হফ্নি ও পীনহস সদাপ্রভুর যাজক ছিল।
و چون روزی میآمد که القانه قربانی میگذرانید، به زن خود فننه و همه پسران و دختران خود قسمت هامی داد. | ۴ 4 |
৪যজ্ঞের দিনের ইলকানা তাঁর স্ত্রী পনিন্না ও তাঁর সব ছেলে মেয়েদের ভাগ দিতেন।
و اما به حنا قسمت مضاعف میداد زیراکه حنا را دوست میداشت، اگرچه خداوند رحم او را بسته بود. | ۵ 5 |
৫কিন্তু হান্নাকে দুই ভাগ দিতেন, কারণ তিনি হান্নাকে ভালবাসতেন। কিন্তু সদাপ্রভু হান্নাকে বন্ধ্যা করে রেখেছিলেন।
و هئوی وی او را نیز سخت میرنجانید به حدی که وی را خشمناک میساخت، چونکه خداوند رحم او را بسته بود. | ۶ 6 |
৬সদাপ্রভু তাঁকে বন্ধ্যা রেখেছিলেন বলে তাঁর সতীন (প্রতিদ্বন্দী স্ত্রী) তাঁকে দুঃখ দেবার চেষ্টায় বিরক্ত করে তুলত।
و همچنین سال به سال واقع میشد که چون حنابه خانه خدا میآمد، فننه همچنین او رامی رنجانید و او گریه نموده، چیزی نمی خورد. | ۷ 7 |
৭বছরের পর বছর হান্না যখনই সদাপ্রভুর ঘরে যেতেন তখন তাঁর স্বামী ঐরকম করতেন এবং পনিন্না তাঁকে ঐভাবে বিরক্ত করতেন; তাই তিনি কিছু না খেয়ে কান্নাকাটি করতেন।
و شوهرش، القانه، وی را میگفت: «ای حنا چراگریانی و چرا نمی خوری و دلت چرا غمگین است؟ آیا من برای تو از ده پسر بهتر نیستم؟» | ۸ 8 |
৮তাতে তাঁর স্বামী ইলকানা তাঁকে বলতেন, “হান্না, কেন কাঁদছ? কেন কিছু খাচ্ছ না? তোমার মনে এত দুঃখ কেন? আমি কি তোমার কাছে দশটা ছেলের চেয়েও বেশী না?”
و بعد از اکل و شرب نمودن ایشان در شیلوه، حنا برخاست و عیلی کاهن بر کرسی خود نزد ستونی در هیکل خدا نشسته بود. | ۹ 9 |
৯এক দিন শীলোতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে হান্না উঠলেন৷ তখন এলি সদাপ্রভুর মন্দিরের দরজার কাছে যাজকের আসনে বসে ছিলেন।
و او به تلخی جان نزد خداوند دعا کرد، و زارزار بگریست. | ۱۰ 10 |
১০হান্না প্রচণ্ড দুঃখে সদাপ্রভুর কাছে কাতর স্বরে কেঁদে প্রার্থনা করতে লাগলেন।
ونذر کرده، گفت: «ای یهوه صبایوت اگر فی الواقع به مصیبت کنیز خود نظر کرده، مرا بیاد آوری وکنیزک خود را فراموش نکرده، اولاد ذکوری به کنیز خود عطا فرمایی، او را تمامی ایام عمرش به خداوند خواهم داد، و استره بر سرش نخواهدآمد.» | ۱۱ 11 |
১১তিনি মানত করে বললেন, “হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, যদি তুমি তোমার এই দাসীর দুঃখের প্রতি মনোযোগ দাও, আমাকে স্মরণ কর এবং তোমার দাসীকে ভুলে না গিয়ে তোমার এই দাসীকে যদি একটা ছেলে দাও তবে সারা জীবনের জন্য আমি তাকে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে দান করব; তার মাথায় ক্ষুর লাগানো হবে না।”
و چون دعای خود را به حضور خداوندطول داد عیلی دهن او را ملاحظه کرد. | ۱۲ 12 |
১২যতক্ষণ হান্না সদাপ্রভুর কাছে দীর্ঘ প্রার্থনা করলেন ততক্ষণ এলি তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন।
و حنادر دل خود سخن میگفت، و لبهایش فقط، متحرک بود و آوازش مسموع نمی شد، و عیلی گمان برد که مست است. | ۱۳ 13 |
১৩হান্না মনে মনে কথা বলছিলেন, তাঁর ঠোঁট নড়ছিল, কিন্তু গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল না। সেইজন্য এলি তাঁকে মাতাল ভাবলেন।
پس عیلی وی راگفت: «تا به کی مست میشوی؟ شرابت را از خوددور کن.» | ۱۴ 14 |
১৪তাই এলি তাঁকে বললেন, “তুমি কতক্ষণ মাতাল হয়ে থাকবে? আঙ্গুর রস তোমার থেকে দূর কর।”
و حنا در جواب گفت: «نی آقایم، بلکه زن شکسته روح هستم، و شراب و مسکرات ننوشیدهام، بلکه جان خود را به حضور خداوندریختهام. | ۱۵ 15 |
১৫হান্না উত্তরে বললেন, “হে আমার প্রভু, তা নয়। আমি দুঃখিনী স্ত্রী, আমি আংগুর-রস কিংবা মদ পান করি নি। সদাপ্রভুর সামনে আমার মনের কথা ভেঙে বলেছি।
کنیز خود را از دختران بلیعال مشمار، زیرا که از کثرت غم و رنجیدگی خود تابحال میگفتم.» | ۱۶ 16 |
১৬আপনার এই দাসীকে আপনি একজন মন্দ স্ত্রীলোক মনে করবেন না। আসলে আমার চিন্তা ও মনের দুঃখের জন্য আমি এতক্ষণ কথা বলছিলাম।”
عیلی در جواب گفت: «به سلامتی برو و خدای اسرائیل مسالتی را که از اوطلب نمودی، تو را عطا فرماید.» | ۱۷ 17 |
১৭তখন এলি উত্তর দিলেন, “তুমি শান্তিতে যাও; ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বরের কাছে তুমি যা চাইলে, তা যেন তিনি তোমাকে দেন।”
گفت: «کنیزت در نظرت التفات یابد.» پس آن زن راه خود را پیش گرفت و میخورد و دیگر ترشرونبود. | ۱۸ 18 |
১৮হান্না বললেন, “আপনার দৃষ্টিতে আপনার এই দাসী অনুগ্রহ পাক।” এই বলে তিনি তার পথে চলে গেলেন এবং খাওয়া দাওয়া করলেন। তাঁর মুখে আর দুঃখের ছায়া থাকল না।
و ایشان بامدادان برخاسته، به حضور خداوند عبادت کردند و برگشته، به خانه خویش به رامه آمدند، و القانه زن خود حنا را بشناخت وخداوند او را به یاد آورد. | ۱۹ 19 |
১৯পরে তাঁরা খুব ভোরে উঠে সদাপ্রভুর উপাসনা করলেন এবং রামায় তাঁদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে গেলেন। পরে ইলকানা তাঁর স্ত্রী হান্নার সঙ্গে মিলিত হলে সদাপ্রভু তাঁকে স্মরণ করলেন।
و بعد از مرور ایام حنا حامله شده، پسری زایید و او را سموئیل نام نهاد، زیرا گفت: «او را از خداوند سوال نمودم.» | ۲۰ 20 |
২০তাতে নির্দিষ্ট দিনের হান্না গর্ভবতী হয়ে একটি ছেলের জন্ম দিলেন, আর আমি সদাপ্রভুর কাছ থেকে তাকে চেয়ে নিয়েছি, এই বলে তার নাম শমূয়েল রাখলেন।
و شوهرش القانه با تمامی اهل خانهاش رفت تا قربانی سالیانه و نذر خود را نزد خداوندبگذراند. | ۲۱ 21 |
২১পরে তাঁর স্বামী ইলকানা ও তাঁর সমস্ত পরিবার সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে বার্ষিক বলিদান ও মানত নিবেদন করতে গেলেন,
و حنا نرفت زیرا که به شوهر خودگفته بود تا پسر از شیر باز داشته نشود، نمی آیم، آنگاه او را خواهم آورد و به حضور خداوندحاضر شده، آنجا دائم خواهد ماند. | ۲۲ 22 |
২২কিন্তু হান্না গেলেন না, কারণ তিনি স্বামীকে বললেন, “ছেলেটিকে বুকের দুধ ছাড়ানোর পর আমি তাকে নিয়ে যাব, তাতে সে সদাপ্রভুর সামনে উপস্থিত হয়ে সবদিন সেখানেই থাকবে।”
شوهرش القانه وی را گفت: «آنچه در نظرت پسند آید، بکن، تا وقت باز داشتنش از شیر بمان، لیکن خداوند کلام خود را استوار نماید.» پس آن زن ماند و تا وقت بازداشتن پسر خود از شیر، او راشیر میداد. | ۲۳ 23 |
২৩তাঁর স্বামী ইলকানা তাঁকে বললেন, “তোমার দৃষ্টিতে যা ভাল মনে হয় তাই কর; তার দুধ ছাড়ানো পর্যন্ত তুমি অপেক্ষা কর; সদাপ্রভু শুধু তাঁর বাক্য পূরণ করুন।” অতএব সেই স্ত্রী বাড়ীতেই রয়ে গেলেন এবং ছেলেটিকে দুধ না ছাড়ানো পর্যন্ত তাকে দুধ পান করালেন।
و چون او را از شیر باز داشته بود، وی را باسه گاو و یک ایفه آرد و یک مشک شراب با خودآورده، به خانه خداوند در شیلوه رسانید و آن پسر کوچک بود. | ۲۴ 24 |
২৪পরে তার দুধ ছাড়ার পর তিনি তিনটি ষাঁড়, এক ঐফা সুজী ও এক থলি আংগুর-রসের সঙ্গে তাকে শীলোতে সদাপ্রভুর বাড়িতে নিয়ে গেলেন; তখন ছেলেটির অল্প বয়স ছিল।
و گاو را ذبح نمودند، و پسررا نزد عیلی آوردند. | ۲۵ 25 |
২৫পরে তাঁরা ষাঁড় বলিদান করলেন এবং ছেলেটিকে এলির কাছে নিয়ে গেলেন।
و حنا گفت: «عرض میکنمای آقایم! جانت زنده بادای آقایم! من آن زن هستم که در اینجا نزد تو ایستاده، از خداوندمسئلت نمودم. | ۲۶ 26 |
২৬আর হান্না বললেন, “হে আমার প্রভু, আপনার প্রাণের দিব্যি, হে আমার প্রভু, যে স্ত্রী সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করতে করতে এখানে আপনার সামনে দাঁড়িয়েছিল, আমিই সেই।
برای این پسر مسالت نمودم وخداوند مسالت مرا که از او طلب نموده بودم، به من عطا فرموده است. | ۲۷ 27 |
২৭আমি এই ছেলেটির জন্য প্রার্থনা করেছিলাম আর সদাপ্রভুর কাছে যা চেয়েছিলাম তা তিনি আমাকে দিয়েছেন।
و من نیز او را برای خداوند وقف نمودم؛ تمام ایامی که زنده باشدوقف خداوند خواهد بود.» پس در آنجا خداوند را عبادت نمودند. | ۲۸ 28 |
২৮সেইজন্য আমিও একে সদাপ্রভুকে দিলাম, এ সারা জিবনের জন্য সদাপ্রভুরই থাকবে।” পরে তাঁরা সেখানে সদাপ্রভুর উপাসনা করলেন।