ကမ္ဘာဦး 29
পরে যাকোব তাঁর যাত্রাপথে এগিয়ে গেলেন এবং প্রাচ্যদেশীয় লোকদের দেশে পৌঁছালেন।
2 ၂ မြော်ကြည့်၍ တောစ၌ ရေတွင်းတခုကို မြင်၏။ ထိုတွင်းရေဖြင့် သိုးစုများကို တိုက်တတ်သည်ဖြစ်၍၊ တွင်းနားမှာ သိုးစုသုံးစု အိပ်လျက်ရှိ၏။ ရေတွင်းဝပေါ် မှာ ကြီးစွာသော ကျောက်ရှိ၏။
সেখানে খোলা মাঠের মধ্যে তিনি একটি কুয়ো দেখতে পেলেন, যার কাছে মেষের তিনটি পাল শুয়েছিল, কারণ সেই কুয়ো থেকে পালগুলিকে জলপান করানো হত। কুয়োর মুখের উপর রাখা পাথরটি খুব বড়ো ছিল।
3 ၃ သိုးထိန်းအပေါင်းတို့သည် ထိုအရပ်၌ စုဝေး သောအခါ၊ ရေတွင်းဝ၌ ဖုံးအုပ်သော ကျောက်ကို လှိမ့်လှန်၍၊ သိုးများကို ရေတိုက်ပြီးလျှင်၊ ထိုကျောက်ကို မိမိနေရာရေတွင်းဝပေါ်မှာ တဖန်တင်ထားလေ့ရှိ၏။
সবকটি পাল যখন সেখানে একত্রিত হত, তখন মেষপালকেরা কুয়োর মুখ থেকে সেই পাথরটি সরিয়ে মেষদের জলপান করাতো। পরে তারা আবার কুয়োর মুখে যথাস্থানে পাথরটি বসিয়ে দিত।
4 ၄ ယာကုပ်ကလည်း၊ ငါ့ညီအစ်ကိုတို့၊ သင်တို့သည် အဘယ်အရပ်က လာကြသနည်းဟု မေးလျှင်၊ငါတို့သည် ခါရန်မြို့က လာကြသည်ဟုပြောဆိုလေ၏။
যাকোব মেষপালকদের জিজ্ঞাসা করলেন, “হে আমার ভাইসকল, তোমরা কোথাকার লোক?” “আমরা হারণের অধিবাসী,” তারা উত্তর দিল।
তিনি তাদের বললেন, “তোমরা কি সেই লাবনকে চেন, যিনি নাহোরের নাতি?” “হ্যাঁ, আমরা তাঁকে চিনি,” তারা উত্তর দিল।
6 ၆ သူသည်မာပါ၏လောဟု တဖန်မေးပြန်လျှင်၊ မာပါ၏။ သူ၏သမီးရာခေလသည် သိုးများနှင့်တကွ လာလိမ့်မည်ဟု ဆိုကြလေ၏။
তখন যাকোব জিজ্ঞাসা করলেন, “তিনি ভালো আছেন তো?” “হ্যাঁ, তিনি ভালো আছেন,” তারা বলল, “আর দেখুন, তাঁর মেয়ে রাহেল মেষপাল নিয়ে এদিকেই আসছে।”
7 ၇ ယာကုပ်ကလည်း၊ နေ့အချိန် အလွန်များစွာ ရှိသေး၏။ သိုးတို့ကို စုဝေးရာအချိန်မဟုတ်သေး။ ရေတိုက်ပြီးလျှင်၊ သွား၍ထိန်းကြဦးလော့ဟု ဆိုလေ၏။
“দেখো,” তিনি বললেন, “সূর্য এখনও মাথার উপরেই আছে; পালগুলি একত্রিত করার সময় এখনও হয়নি। মেষদের জলপান করিয়ে তাদের আবার চরাতে নিয়ে যাও।”
8 ၈ သူတို့ကလည်း၊ သိုးထိန်းအပေါင်းစုဝေး၍၊ ရေတွင်းဝ၌ ဖုံးအုပ် သော ကျောက်ကို လှိမ့်လှန်ပြီးမှသာ၊ သိုးတို့ကို ရေတိုက်ရ၏။ သို့မဟုတ်၊ မတိုက်ရဟု ပြန်ဆို ကြ၏။
“আমরা তা পারবো না,” তারা উত্তর দিল, “আগে সব পাল একসঙ্গে একত্রিত হোক এবং কুয়োর মুখ থেকে পাথরটি সরানো হোক। পরে আমরা মেষদের জলপান করাব।”
9 ၉ ထိုသို့တဦးနှင့်တဦး နှုတ်ဆက်ကြစဉ်တွင်၊ ရာခေလသည်၊ မိမိအဘ၏သိုးတို့ကို ထိန်းရသည် ဖြစ်၍၊ သိုးတို့ကို ဆောင်လျက်လာ၏။
তিনি তখনও তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, ইতিমধ্যে রাহেল তাঁর বাবার মেষপাল নিয়ে উপস্থিত হলেন, কারণ তিনি এক মেষপালিকা ছিলেন।
10 ၁၀ ယာကုပ်သည်၊ မိမိဦးရီးလာဗန်၏သမီး ရာခေလနှင့် ဦးရီးလာဗန်၏သိုးတို့ကို မြင်သောအခါ၊ အနီးသို့ချဉ်း၍၊ ရေတွင်း၌ဖုံးအုပ်သော ကျောက်ကို လှိမ့်လှန်ပြီးလျှင်၊ ဦးရီးလာဗန်၏ သိုးတို့ကို ရေတိုက် လေ၏။
যাকোব যখন তাঁর মামা লাবনের মেয়ে রাহেলকে, ও লাবনের মেষদের দেখতে পেলেন, তখন তিনি এগিয়ে গিয়ে কুয়োর মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে দিলেন ও তাঁর মামার মেষদের জলপান করালেন।
পরে যাকোব রাহেলকে চুমু দিলেন এবং জোর গলায় কাঁদতে শুরু করলেন।
12 ၁၂ မိမိသည် ရာခေလအဘ၏တူ၊ ရေဗက္က၏သား ဖြစ်ကြောင်းကို ကြားပြောလျှင်၊ ရာခေလသည်ပြေး၍ မိမိအဘအား ပြန်ကြားလေ၏။
তিনি রাহেলকে বলে দিয়েছিলেন যে তিনি রাহেলের বাবার এক আত্মীয় ও রিবিকার এক ছেলে। তাই রাহেল দৌড়ে গিয়ে তাঁর বাবাকে সেকথা জানালেন।
13 ၁၃ လာဗန်သည် မိမိတူယာကုပ်၏ သိတင်းစကား ကို ကြားသောအခါ၊ ကြိုဆိုခြင်းငှါ အလျင်အမြန်သွား၍၊ ပိုက်ဘက်နမ်းရှုတ်လျက်၊ မိမိအိမ်သို့ ဆောင်သွားလေ၏။ ယာကုပ်သည်လည်း မိမိအမှုအရာရှိသမျှကို ကြားပြော လျှင်၊
যে মুহূর্তে লাবন তাঁর বোনের ছেলে যাকোবের খবর পেলেন, তিনি তাড়াতাড়ি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তিনি তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন ও তাঁকে চুমু দিলেন এবং তাঁকে নিজের ঘরে নিয়ে এলেন, ও যাকোব সেখানে তাঁকে সবকিছু বলে শোনালেন।
তখন লাবন তাঁকে বললেন, “তুমি আমার আপন রক্তমাংসের আত্মীয়।” যাকোব সম্পূর্ণ এক মাস লাবনের সঙ্গে থাকার পর,
15 ၁၅ ယာကုပ်သည် တလခန့်မျှ နေပြီးမှ၊ လာဗန်က၊ သင်သည် ငါ့တူဖြစ်သောကြောင့်၊ အကျိုးမဲ့ ကျွန်ခံရပါ မည်လော။ ခံလိုသောအခကို ငါ့အား ပြောလော့ဟု ဆိုလေ၏။
লাবন যাকোবকে বললেন, “তুমি আমার এক আত্মীয় বলে কি কিছু না নিয়েই আমার জন্য কাজ করবে? তোমার বেতন কত হওয়া উচিত তা তুমিই বলে দাও।”
লাবনের দুই মেয়ে ছিল; বড়টির নাম লেয়া ও ছোটোটির নাম রাহেল।
লেয়ার চোখদুটি দুর্বল ছিল, কিন্তু রাহেল স্বাস্থ্যবতী ও সুন্দরী ছিলেন।
18 ၁၈ ယာကုပ်သည် ရာခေလကို ချစ်သောကြောင့်၊ လာဗန်အား၊ ဦးမင်းသမီးအငယ်ရာခေလကိုရခြင်းငှါ၊ ခုနစ်နှစ်အစေခံပါမည်ဟု ဆိုလျှင်၊
যাকোব রাহেলের প্রেমে পড়ে গেলেন এবং তিনি বললেন, “আপনার ছোটো মেয়ে রাহেলের জন্য আমি সাত বছর আপনার কাছে কাজ করব।”
লাবন বললেন, “তাকে অন্য কোনও পুরুষের হাতে তুলে দেওয়ার পরিবর্তে বরং তোমাকে দেওয়াই ভালো। আমার সঙ্গে তুমি এখানেই থাকো।”
20 ၂၀ ယာကုပ်သည်လည်း၊ ရာခေလကို ရခြင်းငှါ ခုနစ်နှစ် အစေခံလေ၏။ ရာခေလကိုချစ်သောကြောင့်၊ ခုနစ်နှစ်ကို နည်းသောနေ့ရက်ကဲ့သို့ ထင်မှတ်သတည်း။
অতএব যাকোব রাহেলকে পাওয়ার জন্য সাত বছর দাসত্ব করলেন, কিন্তু যেহেতু তিনি রাহেলকে ভালোবেসেছিলেন তাই এতগুলি বছর তাঁর কাছে মাত্র কয়েক দিন বলে মনে হল।
21 ၂၁ ယာကုပ်ကလည်း၊ ချိန်းချက်သော အချိန်စေ့ ပါပြီ။ ကျွန်ုပ်သည် မယားနှင့် ဆက်ဆံဘို့ရာ ပေးစားပါဟု လာဗန်အားဆိုလျှင်၊
পরে যাকোব লাবনকে বললেন, “আমার স্ত্রীকে আমার হাতে তুলে দিন। আমার সময় সম্পূর্ণ হয়েছে, আর আমি তাকে প্রণয়জ্ঞাপন করতে চাই।”
অতএব লাবন সেখানকার সব লোকজনকে একত্রিত করে এক ভোজসভার আয়োজন করলেন।
23 ၂၃ ညဦးအချိန်ရောက်မှ၊ ဇိလပအမည်ရှိသော ကျွန်မကို သမီးလေအာ၌ လက်ဖွဲ့လျက်၊ ထိုသမီးကို ဆောင်သွင်း၍၊ ယာကုပ်သည် သူနှင့်ဆက်ဆံလေ၏။
কিন্তু সন্ধ্যাবেলায়, তিনি তাঁর মেয়ে লেয়াকে এনে তাঁকে যাকোবের কাছে পৌঁছে দিলেন এবং যাকোব তাঁকে প্রণয়জ্ঞাপন করলেন।
24 ၂၄
আর লাবন তাঁর দাসী সিল্পাকে তাঁর মেয়ে লেয়ার সেবিকারূপে তাঁকে দিলেন।
25 ၂၅ နံနက်အချိန်ရောက်မှ ယာကုပ်သည် ကြည့်ရှုသောအခါ၊ လေအာဖြစ်ကြောင်းကို သိမြင်လျှင်၊ လာဗန် ထံသို့သွား၍ ကျွန်ုပ်၌ပြုသောအမှုကား၊ အဘယ်သို့နည်း။ ကျွန်ုပ်သည် ရာခေလကိုရခြင်းငှါ အစေခံရပြီ မဟုတ်လော။ ကျွန်ုပ်ကို အဘယ်ကြောင့် လှည့်စားရသနည်းဟု ဆိုသော်၊
যখন সকাল হল, দেখা গেল তিনি লেয়া! অতএব যাকোব লাবনকে বললেন, “আপনি আমার সঙ্গে এ কী করলেন? আমি রাহেলের জন্যই তো আপনার দাসত্ব করেছি, তাই না? তবে কেন আপনি আমাকে ঠকালেন?”
লাবন উত্তর দিলেন, “আমাদের এখানে বড়ো মেয়ের আগে ছোটো মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রথা নেই।
27 ၂၇ ခုနစ်ရက်စေ့အောင် ငံ့ဦးလော့။ နောက်တဖန် ခုနစ်နှစ် အစေခံရသည်အတွက်၊ ရာခေလကိုလည်း သင့်အား ပေးစားဦးမည်ဟု ဆိုသည်အတိုင်း၊
এই মেয়েটির দাম্পত্য-সপ্তাহ সম্পূর্ণ করো; আরও সাত বছর কাজ করার পরিবর্তে পরে আমরা ছোটো মেয়েটিকেও তোমার হাতে তুলে দেব।”
28 ၂၈ ယာကုပ်ဝန်ခံ၍ ခုနစ်ရက်စေ့ပြီးမှ၊ လာဗန်သည် ဗိလဟာအမည်ရှိသော ကျွန်မကို လက်ဖွဲ့လျက်၊ သမီးရာခေလကို ပေးစားလေ၏။
আর যাকোব তেমনই করলেন। তিনি লেয়ার সপ্তাহ সম্পূর্ণ করলেন, এবং পরে লাবন তাঁর মেয়ে রাহেলকে যাকোবের স্ত্রী হওয়ার জন্য তাঁর হাতে তুলে দিলেন।
29 ၂၉
লাবন তাঁর দাসী বিলহাকে রাহেলের সেবিকারূপে তাঁকে দিলেন।
যাকোব রাহেলকেও প্রণয়জ্ঞাপন করলেন, এবং লেয়াকে তিনি যত না ভালোবাসতেন, রাহেলকে সে তুলনায় অনেক বেশি ভালোবাসতেন। আর তিনি লাবনের জন্য আরও সাত বছর কাজ করলেন।
সদাপ্রভু যখন দেখলেন যে লেয়া ভালোবাসা পাচ্ছেন না, তখন তিনি তাঁকে গর্ভধারণের ক্ষমতা দিলেন, কিন্তু রাহেল নিঃসন্তান রয়ে গেলেন।
32 ၃၂ လေအာသည် ပဋိသန္ဓေယူသဖြင့်၊ သားကို ဘွားမြင်၍ ရုဗင်အမည်ဖြင့် မှည့်လေ၏။ အကြောင်း မူကား၊ ထာဝရဘုရားသည် ငါ၏ဆင်းရဲခံခြင်းကို အမှန် ကြည့်မြင်တော်မူပြီ။ သို့ဖြစ်၍ ယခုငါ့လင်သည် ငါ့ကိုချစ် လိမ့်မည်ဟု ဆိုသတည်း။
লেয়া অন্তঃসত্ত্বা হলেন এবং একটি ছেলের জন্ম দিলেন। তিনি তাঁর নাম রাখলেন রূবেণ, কারণ তিনি বললেন, “সদাপ্রভু আমার দুর্দশা দেখেছেন বলেই এমনটি ঘটেছে। এখন নিশ্চয় আমার স্বামী আমাকে ভালোবাসবেন।”
33 ၃၃ တဖန် ပဋိသန္ဓေယူပြန်၍ သားကိုဘွားမြင်သော်၊ ငါသည် အမုန်းခံရကြောင်းကို ထာဝရဘုရား ကြားသော ကြောင့်၊ ဤသားကိုလည်း ပေးသနားတော်မူပြီဟု ဆိုပြီး လျှင်၊ ထိုသားကို ရှိမောင်အမည်ဖြင့် မှည့်လေ၏။
তিনি আবার গর্ভবতী হলেন, এবং যখন তিনি আর একটি ছেলের জন্ম দিলেন, তখন তিনি বললেন, “যেহেতু সদাপ্রভু শুনেছেন যে আমি ভালোবাসা পাইনি, তাই তিনি আমাকে এই একটি ছেলেও দিলেন।” অতএব তিনি তার নাম রাখলেন শিমিয়োন।
34 ၃၄ တဖန် ပဋိသန္ဓေယူပြန်၍ သားကိုဘွားမြင်သော်၊ ငါ့လင်အား သားသုံးယောက်ကို ငါဘွားမြင်သောကြောင့်၊ ယခုတခါသူသည် ငါနှင့်ပေါင်းဘော်လိမ့်မည်ဟု ဆို၍၊ ထိုသားကို လေဝိအမည်ဖြင့် မှည့်လေ၏။
আবার তিনি গর্ভবতী হলেন, এবং যখন তিনি আর একটি ছেলের জন্ম দিলেন, তখন তিনি বললেন, “এখন অবশেষে আমার স্বামী আমার প্রতি সংলগ্ন হবেন, কারণ আমি তাঁর জন্য তিন ছেলের জন্ম দিয়েছি।” অতএব তার নাম রাখা হল লেবি।
35 ၃၅ တဖန် ပဋိသန္ဓေယူပြန်၍ သားကို ဘွားမြင် သော်၊ ထာဝရဘုရားကို ယခုငါချီးမွမ်းမည်ဟု ဆိုသည် ဖြစ်၍၊ ထိုသားကို ယုဒအမည်ဖြင့် မှည့်လေ၏။ ထိုနောက်၊ သားပြတ်၍ မဘွားဘဲနေ၏။
তিনি আর একবার গর্ভবতী হলেন, এবং যখন তিনি আর একটি ছেলের জন্ম দিলেন, তখন তিনি বললেন, “এবার আমি সদাপ্রভুর প্রশংসা করব।” অতএব তিনি তার নাম রাখলেন যিহূদা। পরে তিনি আর কোনও সন্তানের জন্ম দেননি।
