Βασιλειῶν Βʹ 3
1 καὶ ἐγένετο ὁ πόλεμος ἐπὶ πολὺ ἀνὰ μέσον τοῦ οἴκου Σαουλ καὶ ἀνὰ μέσον τοῦ οἴκου Δαυιδ καὶ ὁ οἶκος Δαυιδ ἐπορεύετο καὶ ἐκραταιοῦτο καὶ ὁ οἶκος Σαουλ ἐπορεύετο καὶ ἠσθένει
১শৌলের বংশে ও দায়ূদের বংশে পরস্পরের মধ্য অনেক দিন যুদ্ধ হল; তাতে দায়ূদ (ক্রমশঃ) শক্তিশালী হয়ে উঠলেন, কিন্তু শৌলের বংশ দুর্বল হয়ে পড়ল৷
2 καὶ ἐτέχθησαν τῷ Δαυιδ υἱοὶ ἐν Χεβρων καὶ ἦν ὁ πρωτότοκος αὐτοῦ Αμνων τῆς Αχινοομ τῆς Ιεζραηλίτιδος
২আর হিব্রোণে দায়ূদের একটি ছেলে হল; তাঁর বড় ছেলে অম্মোন, সে যিষ্রিয়েলীয়া অহীনোয়মের ছেলে;
3 καὶ ὁ δεύτερος αὐτοῦ Δαλουια τῆς Αβιγαιας τῆς Καρμηλίας καὶ ὁ τρίτος Αβεσσαλωμ υἱὸς Μααχα θυγατρὸς Θολμι βασιλέως Γεσιρ
৩তাঁর দ্বিতীয় ছেলে কিলাব, সে কর্মিলীয় নাবলের বিধবা অবীগলের ছেলে; তৃতীয় অবশালোম, সে গশূরের তলময় রাজার মেয়ে মাখার ছেলে;
4 καὶ ὁ τέταρτος Ορνια υἱὸς Φεγγιθ καὶ ὁ πέμπτος Σαβατια τῆς Αβιταλ
৪চতুর্থ আদোনিয়, সে হগীতের ছেলে; পঞ্চম শফটিয়, সে অবীটলের ছেলে
5 καὶ ὁ ἕκτος Ιεθερααμ τῆς Αιγλα γυναικὸς Δαυιδ οὗτοι ἐτέχθησαν τῷ Δαυιδ ἐν Χεβρων
৫এবং ষষ্ঠ যিত্রিয়ম, সে দায়ূদের স্ত্রী ইগ্লার ছেলে; দায়ূদের এই সব ছেলের হিব্রোণে জন্ম হল৷
6 καὶ ἐγένετο ἐν τῷ εἶναι τὸν πόλεμον ἀνὰ μέσον τοῦ οἴκου Σαουλ καὶ ἀνὰ μέσον τοῦ οἴκου Δαυιδ καὶ Αβεννηρ ἦν κρατῶν τοῦ οἶκου Σαουλ
৬যে দিনের শৌলের বংশে ও দায়ূদের বংশে পরস্পর যুদ্ধ হল, সেই দিনের অবনের শৌলের বংশের হয়ে বীরত্ব দেখালেন৷
7 καὶ τῷ Σαουλ παλλακὴ Ρεσφα θυγάτηρ Ιαλ καὶ εἶπεν Μεμφιβοσθε υἱὸς Σαουλ πρὸς Αβεννηρ τί ὅτι εἰσῆλθες πρὸς τὴν παλλακὴν τοῦ πατρός μου
৭কিন্তু অয়ার মেয়ে রিসপা নামে শৌলের একজন উপপত্নী ছিল; ঈশবোশৎ অবনেরকে বললেন, “তুমি আমার বাবার উপপত্নীর সঙ্গে কেন শয়ন করেছ?”
8 καὶ ἐθυμώθη σφόδρα Αβεννηρ περὶ τοῦ λόγου Μεμφιβοσθε καὶ εἶπεν Αβεννηρ πρὸς αὐτόν μὴ κεφαλὴ κυνὸς ἐγώ εἰμι ἐποίησα ἔλεος σήμερον μετὰ τοῦ οἴκου Σαουλ τοῦ πατρός σου καὶ περὶ ἀδελφῶν καὶ γνωρίμων καὶ οὐκ ηὐτομόλησα εἰς τὸν οἶκον Δαυιδ καὶ ἐπιζητεῖς ἐπ’ ἐμὲ ὑπὲρ ἀδικίας γυναικὸς σήμερον
৮ঈশবোশতের এই কথায় অবনের খুব রেগে গিয়ে বললেন, “আমি কি যিহূদা কুলের কুকুরের মাথা? আজ পর্যন্ত তোমার বাবা শৌলের বংশের প্রতি, তাঁর ভাইয়েরা এবং বন্ধুদের প্রতি দয়া করছি এবং তোমাকে দায়ূদের হাতে তুলে দিইনি; তবু তুমি আজ ওই মহিলার বিষয়ে আমাকে অপরাধী করছ?
9 τάδε ποιήσαι ὁ θεὸς τῷ Αβεννηρ καὶ τάδε προσθείη αὐτῷ ὅτι καθὼς ὤμοσεν κύριος τῷ Δαυιδ ὅτι οὕτως ποιήσω αὐτῷ ἐν τῇ ἡμέρᾳ ταύτῃ
৯ঈশ্বর অবনেরকে ঐরকম ও তার থেকে বেশি শাস্তি দিন, যদি দায়ূদের বিষয়ে সদাপ্রভু যে শপথ করেছেন, আমি সেই অনুসারে কাজ না করি,
10 περιελεῖν τὴν βασιλείαν ἀπὸ τοῦ οἴκου Σαουλ καὶ τοῦ ἀναστῆσαι τὸν θρόνον Δαυιδ ἐπὶ Ισραηλ καὶ ἐπὶ τὸν Ιουδαν ἀπὸ Δαν ἕως Βηρσαβεε
১০শৌলের বংশ থেকে রাজ্য নিয়ে দান থেকে বের-শেবা পর্যন্ত ইস্রায়েলের উপরে ও যিহূদার উপরে দায়ূদের সিংহাসন স্থাপন করার চেষ্টা না করি৷”
11 καὶ οὐκ ἠδυνάσθη ἔτι Μεμφιβοσθε ἀποκριθῆναι τῷ Αβεννηρ ῥῆμα ἀπὸ τοῦ φοβεῖσθαι αὐτόν
১১তখন তিনি অবনেরকে আর একটা কথাও বলতে পারলেন না, কারণ তিনি তাঁকে ভয় করলেন৷
12 καὶ ἀπέστειλεν Αβεννηρ ἀγγέλους πρὸς Δαυιδ εἰς Θαιλαμ οὗ ἦν παραχρῆμα λέγων διάθου διαθήκην σου μετ’ ἐμοῦ καὶ ἰδοὺ ἡ χείρ μου μετὰ σοῦ τοῦ ἐπιστρέψαι πρὸς σὲ πάντα τὸν οἶκον Ισραηλ
১২পরে অবনের নিজের হয়ে দায়ূদের কাছে দূতদের পাঠিয়ে বললেন, “এই দেশ কার?” আরও বললেন, “আপনি আমার সঙ্গে নিয়ম করুন, আর দেখুন, সমস্ত ইস্রায়েলকে আপনার পক্ষে আনতে আমার হাত আপনার সাহায্যকারী হবে৷”
13 καὶ εἶπεν Δαυιδ ἐγὼ καλῶς διαθήσομαι πρὸς σὲ διαθήκην πλὴν λόγον ἕνα ἐγὼ αἰτοῦμαι παρὰ σοῦ λέγων οὐκ ὄψει τὸ πρόσωπόν μου ἐὰν μὴ ἀγάγῃς τὴν Μελχολ θυγατέρα Σαουλ παραγινομένου σου ἰδεῖν τὸ πρόσωπόν μου
১৩দায়ূদ বললেন, “ভালো; আমি তোমার সঙ্গে নিয়ম করব; শুধু একটা বিষয় আমি তোমার কাছে চাই; যখন তুমি আমার মুখ দেখতে আসবে, তখন শৌলের মেয়ে মীখলকে না আনলে আমার মুখ দেখতে পাবে না৷”
14 καὶ ἐξαπέστειλεν Δαυιδ πρὸς Μεμφιβοσθε υἱὸν Σαουλ ἀγγέλους λέγων ἀπόδος μοι τὴν γυναῖκά μου τὴν Μελχολ ἣν ἔλαβον ἐν ἑκατὸν ἀκροβυστίαις ἀλλοφύλων
১৪আর দায়ূদ শৌলের ছেলে ঈশবোশতের কাছে দূত পাঠিয়ে বললেন, “আমি পলেষ্টীয়দের একশোটা লিঙ্গের চামড়া যৌতুক দিয়ে যাকে বিয়ে করেছি, আমার সেই স্ত্রী মীখলকে দাও৷”
15 καὶ ἀπέστειλεν Μεμφιβοσθε καὶ ἔλαβεν αὐτὴν παρὰ τοῦ ἀνδρὸς αὐτῆς παρὰ Φαλτιηλ υἱοῦ Σελλης
১৫তাতে ঈশবোশৎ লোক পাঠিয়ে তাঁর স্বামী অর্থাৎ লয়িশের ছেলে পলটিয়ের কাছ থেকে মীখলকে নিয়ে আসলেন৷
16 καὶ ἐπορεύετο ὁ ἀνὴρ αὐτῆς μετ’ αὐτῆς κλαίων ὀπίσω αὐτῆς ἕως Βαρακιμ καὶ εἶπεν πρὸς αὐτὸν Αβεννηρ πορεύου ἀνάστρεφε καὶ ἀνέστρεψεν
১৬তখন তাঁর স্বামী তাঁর পিছন পিছন কাঁদতে কাঁদতে বহুরীম পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চলতে লাগলো৷ পরে অবনের তাকে বললেন, “যাও, ফিরে যাও,” তাতে সে ফিরে গেল৷
17 καὶ εἶπεν Αβεννηρ πρὸς τοὺς πρεσβυτέρους Ισραηλ λέγων ἐχθὲς καὶ τρίτην ἐζητεῖτε τὸν Δαυιδ βασιλεύειν ἐφ’ ὑμῶν
১৭পরে অবনের ইস্রায়েলের প্রাচীনদের সঙ্গে এইরকম কথাবার্তা করলেন, “তোমরা এর আগেই নিজেদের উপরে দায়ূদকে রাজা করার চেষ্টা করেছিলে৷
18 καὶ νῦν ποιήσατε ὅτι κύριος ἐλάλησεν περὶ Δαυιδ λέγων ἐν χειρὶ τοῦ δούλου μου Δαυιδ σώσω τὸν Ισραηλ ἐκ χειρὸς ἀλλοφύλων καὶ ἐκ χειρὸς πάντων τῶν ἐχθρῶν αὐτῶν
১৮এখন তাই কর, কারণ সদাপ্রভু দায়ূদের বিষয়ে বলেছেন, ‘আমি নিজের দাস দায়ূদের হাত দিয়ে নিজের প্রজা ইস্রায়েলকে পলেষ্টীয়দের হাত থেকে ও সব শত্রুর হাত থেকে উদ্ধার করব৷’”
19 καὶ ἐλάλησεν Αβεννηρ ἐν τοῖς ὠσὶν Βενιαμιν καὶ ἐπορεύθη Αβεννηρ τοῦ λαλῆσαι εἰς τὰ ὦτα τοῦ Δαυιδ εἰς Χεβρων πάντα ὅσα ἤρεσεν ἐν ὀφθαλμοῖς Ισραηλ καὶ ἐν ὀφθαλμοῖς παντὸς οἴκου Βενιαμιν
১৯আর অবনের বিন্যামীন বংশের কানের কাছেও সেই কথা বললেন৷ আর ইস্রায়েলের ও বিন্যামীনের সব বংশের চোখে যা ভালো মনে হল, অবনের সেই সব কথা দায়ূদের কানের কাছে বলার জন্য হিব্রোণে গেলেন৷
20 καὶ ἦλθεν Αβεννηρ πρὸς Δαυιδ εἰς Χεβρων καὶ μετ’ αὐτοῦ εἴκοσι ἄνδρες καὶ ἐποίησεν Δαυιδ τῷ Αβεννηρ καὶ τοῖς ἀνδράσιν τοῖς μετ’ αὐτοῦ πότον
২০তখন অবনের কুড়ি জনকে সঙ্গে নিয়ে হিব্রোণে দায়ূদের কাছে উপস্থিত হলে দায়ূদ অবনেরের ও তাঁর সঙ্গীদের জন্য আহার তৈরী করলেন৷
21 καὶ εἶπεν Αβεννηρ πρὸς Δαυιδ ἀναστήσομαι δὴ καὶ πορεύσομαι καὶ συναθροίσω πρὸς κύριόν μου τὸν βασιλέα πάντα Ισραηλ καὶ διαθήσομαι μετὰ σοῦ διαθήκην καὶ βασιλεύσεις ἐπὶ πᾶσιν οἷς ἐπιθυμεῖ ἡ ψυχή σου καὶ ἀπέστειλεν Δαυιδ τὸν Αβεννηρ καὶ ἐπορεύθη ἐν εἰρήνῃ
২১পরে অবনের দায়ূদকে বললেন, “আমি উঠে গিয়ে সকল ইস্রায়েলকে আমার প্রভু মহারাজের কাছে জড়ো করি; যেন তারা আপনার সঙ্গে নিয়ম করে, আর আপনি নিজের প্রাণের ইচ্ছামত সবার উপরে রাজত্ব করেন৷” পরে দায়ূদ অবনেরকে বিদায় দিলে তিনি ভালোভাবে চলে গেলেন৷
22 καὶ ἰδοὺ οἱ παῖδες Δαυιδ καὶ Ιωαβ παρεγίνοντο ἐκ τῆς ἐξοδίας καὶ σκῦλα πολλὰ ἔφερον μετ’ αὐτῶν καὶ Αβεννηρ οὐκ ἦν μετὰ Δαυιδ εἰς Χεβρων ὅτι ἀπεστάλκει αὐτὸν καὶ ἀπεληλύθει ἐν εἰρήνῃ
২২আর দেখ, দায়ূদের দাসেরা ও যোয়াব আক্রমণ করে ফিরে আসলেন, অনেক লুট করা জিনিস সঙ্গে করে নিয়ে আসলেন৷ তখন অবনের হিব্রোণে দায়ূদের কাছে ছিলেন না, কারণ দায়ূদ তাঁকে বিদায় করেছিলেন, তিনি ভালোভাবে চলে গিয়েছিলেন৷
23 καὶ Ιωαβ καὶ πᾶσα ἡ στρατιὰ αὐτοῦ ἤχθησαν καὶ ἀπηγγέλη τῷ Ιωαβ λέγοντες ἥκει Αβεννηρ υἱὸς Νηρ πρὸς Δαυιδ καὶ ἀπέσταλκεν αὐτὸν καὶ ἀπῆλθεν ἐν εἰρήνῃ
২৩পরে যোয়াব ও তাঁর সঙ্গী সমস্ত সৈন্য আসলে লোকেরা যোয়াবকে বলল, “নেরের ছেলে অবনের রাজার কাছে এসেছিলেন, রাজা তাঁকে বিদায় দিয়েছেন, তিনি ভালোভাবে চলে গেছেন৷”
24 καὶ εἰσῆλθεν Ιωαβ πρὸς τὸν βασιλέα καὶ εἶπεν τί τοῦτο ἐποίησας ἰδοὺ ἦλθεν Αβεννηρ πρὸς σέ καὶ ἵνα τί ἐξαπέσταλκας αὐτὸν καὶ ἀπελήλυθεν ἐν εἰρήνῃ
২৪তখন যোয়াব রাজার কাছে গিয়ে বললেন, “আপনি কি করেছেন? দেখুন, অবনের আপনার কাছে এসেছিল, আপনি কেন তাকে বিদায় দিয়ে একেবারে চলে যেতে দিয়েছেন?
25 ἦ οὐκ οἶδας τὴν κακίαν Αβεννηρ υἱοῦ Νηρ ὅτι ἀπατῆσαί σε παρεγένετο καὶ γνῶναι τὴν ἔξοδόν σου καὶ τὴν εἴσοδόν σου καὶ γνῶναι ἅπαντα ὅσα σὺ ποιεῖς
২৫আপনি তো নেরের ছেলে অবনেরকে জানেন; আপনাকে ভুলাবার জন্য, আপনার বাইরে ও ভিতরে যাতায়াত জানার জন্য, আর আপনি যা যা করছেন, সে সমস্ত জানার জন্য সে এসেছিল৷”
26 καὶ ἀνέστρεψεν Ιωαβ ἀπὸ τοῦ Δαυιδ καὶ ἀπέστειλεν ἀγγέλους ὀπίσω Αβεννηρ καὶ ἐπιστρέφουσιν αὐτὸν ἀπὸ τοῦ φρέατος τοῦ Σεϊραμ καὶ Δαυιδ οὐκ ᾔδει
২৬পরে যোয়াব দায়ূদের কাছ থেকে বেরিয়ে গিয়ে অবনেরের পিছনে দূতদেরকে পাঠালেন; তারা সিরা কূপের কাছ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনলো; কিন্তু দায়ূদ তা জানতেন না৷
27 καὶ ἐπέστρεψεν Αβεννηρ εἰς Χεβρων καὶ ἐξέκλινεν αὐτὸν Ιωαβ ἐκ πλαγίων τῆς πύλης λαλῆσαι πρὸς αὐτὸν ἐνεδρεύων καὶ ἐπάταξεν αὐτὸν ἐκεῖ ἐπὶ τὴν ψόαν καὶ ἀπέθανεν ἐν τῷ αἵματι Ασαηλ τοῦ ἀδελφοῦ Ιωαβ
২৭পরে অবনের হিব্রোণে ফিরে এলে যোয়াব তাঁর সঙ্গে গোপনে আলাপ করার ছলনায় নগরের ফটকের ভিতরে তাঁকে নিয়ে গেলেন, পরে নিজের ভাই অসাহেলের রক্তের প্রতিশাধের জন্য সেই জায়গায় তাঁর পেটে আঘাত করলেন, তাতে তিনি মারা গেলেন৷
28 καὶ ἤκουσεν Δαυιδ μετὰ ταῦτα καὶ εἶπεν ἀθῷός εἰμι ἐγὼ καὶ ἡ βασιλεία μου ἀπὸ κυρίου ἕως αἰῶνος ἀπὸ τῶν αἱμάτων Αβεννηρ υἱοῦ Νηρ
২৮তারপর দায়ূদ যখন সেই কথা শুনলেন, তখন তিনি বললেন, “নেরের ছেলে অবনেরের রক্তপাতের বিষয়ে আমি ও আমার রাজ্য সদাপ্রভুর সামনে চিরকাল নির্দোষ৷
29 καταντησάτωσαν ἐπὶ κεφαλὴν Ιωαβ καὶ ἐπὶ πάντα τὸν οἶκον τοῦ πατρὸς αὐτοῦ καὶ μὴ ἐκλίποι ἐκ τοῦ οἴκου Ιωαβ γονορρυὴς καὶ λεπρὸς καὶ κρατῶν σκυτάλης καὶ πίπτων ἐν ῥομφαίᾳ καὶ ἐλασσούμενος ἄρτοις
২৯সেই রক্ত যোয়াবের ও তার সমস্ত বংশের উপরে পড়ুক এবং যোয়াবের বংশের বহুমূত্র রোগ কিংবা কুষ্ঠী কিংবা লাঠিতে ভর দিয়ে চলার কিংবা তলোয়ারে মারা যাওয়ার কিংবা খাবারের অভাবে কষ্ট পাওয়ার লোকের অভাব না হোক৷”
30 Ιωαβ δὲ καὶ Αβεσσα ὁ ἀδελφὸς αὐτοῦ διεπαρετηροῦντο τὸν Αβεννηρ ἀνθ’ ὧν ἐθανάτωσεν τὸν Ασαηλ τὸν ἀδελφὸν αὐτῶν ἐν Γαβαων ἐν τῷ πολέμῳ
৩০এই ভাবে যোয়াব ও তাঁর ভাই অবীশয় অবনেরকে হত্যা করলেন, কারণ তিনি গিবিয়োনে যুদ্ধের দিনের তাঁদের ভাই অসাহেলকে হত্যা করেছিলেন৷
31 καὶ εἶπεν Δαυιδ πρὸς Ιωαβ καὶ πρὸς πάντα τὸν λαὸν τὸν μετ’ αὐτοῦ διαρρήξατε τὰ ἱμάτια ὑμῶν καὶ περιζώσασθε σάκκους καὶ κόπτεσθε ἔμπροσθεν Αβεννηρ καὶ ὁ βασιλεὺς Δαυιδ ἐπορεύετο ὀπίσω τῆς κλίνης
৩১পরে দায়ূদ যোয়াবকে ও তাঁর সঙ্গী সব লোককে বললেন, “তোমরা নিজের নিজের পোশাক ছিঁড়ে চট পর এবং শোক করতে করতে অবনেরের আগে আগে চল৷” আর দায়ূদ রাজাও শবযাত্রার পিছনে পিছনে চললেন৷
32 καὶ θάπτουσιν τὸν Αβεννηρ εἰς Χεβρων καὶ ἦρεν ὁ βασιλεὺς τὴν φωνὴν αὐτοῦ καὶ ἔκλαυσεν ἐπὶ τοῦ τάφου αὐτοῦ καὶ ἔκλαυσεν πᾶς ὁ λαὸς ἐπὶ Αβεννηρ
৩২আর হিব্রোণে অবনেরকে কবর দেওয়া হল; তখন রাজা অবনেরের কবরের কাছে খুব জোরে কাঁদতে লাগলেন, সব লোকও কাঁদলো৷
33 καὶ ἐθρήνησεν ὁ βασιλεὺς ἐπὶ Αβεννηρ καὶ εἶπεν εἰ κατὰ τὸν θάνατον Ναβαλ ἀποθανεῖται Αβεννηρ
৩৩রাজা অবনেরের বিষয়ে দুঃখ করে বললেন, “যেমন মূর্খ মরে, সেই ভাবেই কি অবনের মরলেন?”
34 αἱ χεῖρές σου οὐκ ἐδέθησαν οἱ πόδες σου οὐκ ἐν πέδαις οὐ προσήγαγεν ὡς Ναβαλ ἐνώπιον υἱῶν ἀδικίας ἔπεσας καὶ συνήχθη πᾶς ὁ λαὸς τοῦ κλαῦσαι αὐτόν
৩৪তোমার হাত বাঁধা ছিল না, তোমার পায়ে শিকলও ছিল না; যেমন কেউ অন্যায়কারীদের সামনে পড়ে, তেমন ভাবে তুমিও পড়লে৷ তখন সব লোক তাঁর জন্য আবার কাঁদলো৷
35 καὶ ἦλθεν πᾶς ὁ λαὸς περιδειπνῆσαι τὸν Δαυιδ ἄρτοις ἔτι οὔσης ἡμέρας καὶ ὤμοσεν Δαυιδ λέγων τάδε ποιήσαι μοι ὁ θεὸς καὶ τάδε προσθείη ὅτι ἐὰν μὴ δύῃ ὁ ἥλιος οὐ μὴ γεύσωμαι ἄρτου ἢ ἀπὸ παντός τινος
৩৫পরে বেলা থাকতে সব লোক দায়ূদকে খাবার খাওয়াতে এল, কিন্তু দায়ূদ এই শপথ করলেন, “ঈশ্বর আমাকে ওই রকম ও তার থেকে বেশি শাস্তি দিন, যদি সূর্য্য অস্ত যাবার আগে আমি রুটি কিংবা অন্য কোনো জিনিসের স্বাদ গ্রহণ করি৷”
36 καὶ ἔγνω πᾶς ὁ λαός καὶ ἤρεσεν ἐνώπιον αὐτῶν πάντα ὅσα ἐποίησεν ὁ βασιλεὺς ἐνώπιον τοῦ λαοῦ
৩৬তখন সব লোক তা লক্ষ্য করল ও সন্তুষ্ট হল; রাজা যা কিছু করলেন, তাতেই সব লোক সন্তুষ্ট হল৷
37 καὶ ἔγνω πᾶς ὁ λαὸς καὶ πᾶς Ισραηλ ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ ὅτι οὐκ ἐγένετο παρὰ τοῦ βασιλέως θανατῶσαι τὸν Αβεννηρ υἱὸν Νηρ
৩৭আর নেরের ছেলে অবনেরের হত্যা রাজার থেকে হয়নি, এটা সব লোক ও সমস্ত ইস্রায়েল, সেই দিনের জানতে পারল৷
38 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς πρὸς τοὺς παῖδας αὐτοῦ οὐκ οἴδατε ὅτι ἡγούμενος μέγας πέπτωκεν ἐν τῇ ἡμέρᾳ ταύτῃ ἐν τῷ Ισραηλ
৩৮আর রাজা নিজের দাসেদের বললেন, “তোমরা কি জান না যে, আজ ইস্রায়েলের মধ্যে প্রধান ও মহান একজন মারা গেছেন? আর রাজপদে অভিষিক্ত হলেও আজ আমি দুর্বল;
39 καὶ ὅτι ἐγώ εἰμι σήμερον συγγενὴς καὶ καθεσταμένος ὑπὸ βασιλέως οἱ δὲ ἄνδρες οὗτοι υἱοὶ Σαρουιας σκληρότεροί μού εἰσιν ἀνταποδῷ κύριος τῷ ποιοῦντι πονηρὰ κατὰ τὴν κακίαν αὐτοῦ
৩৯এই কয়েকজন লোক, সরূয়ার ছেলেরা, আমার অবাধ্য৷ সদাপ্রভু খারাপ কাজ করা ব্যক্তিকে, তার দুষ্টতা অনুযায়ী প্রতিফল দিন ৷”
