Κατα Ιωαννην 9
1 και παραγων ειδεν ανθρωπον τυφλον εκ γενετης
পথ চলতে চলতে যীশু এক জন্মান্ধ ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন।
2 και ηρωτησαν αυτον οι μαθηται αυτου λεγοντες ραββι τις ημαρτεν ουτος η οι γονεις αυτου ινα τυφλος γεννηθη
তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “রব্বি, কার পাপের কারণে এ অন্ধ হয়ে জন্মেছে, নিজের না এর বাবা-মার?”
3 απεκριθη ιησους ουτε ουτος ημαρτεν ουτε οι γονεις αυτου αλλ ινα φανερωθη τα εργα του θεου εν αυτω
যীশু বললেন, “এই ব্যক্তি বা এর বাবা-মা যে পাপ করেছে, তা নয়, কিন্তু এর জীবনে যেন ঈশ্বরের কাজ প্রকাশ পায়, তাই এরকম ঘটেছে।
4 εμε δει εργαζεσθαι τα εργα του πεμψαντος με εως ημερα εστιν ερχεται νυξ οτε ουδεις δυναται εργαζεσθαι
যতক্ষণ দিনের আলো আছে, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁরই কাজ আমাদের করতে হবে। রাত্রি ঘনিয়ে আসছে, তখন কেউ আর কাজ করতে পারে না।
5 οταν εν τω κοσμω ω φως ειμι του κοσμου
যতক্ষণ আমি জগতে আছি, আমিই এই জগতের জ্যোতি হয়ে আছি।”
6 ταυτα ειπων επτυσεν χαμαι και εποιησεν πηλον εκ του πτυσματος και επεχρισεν τον πηλον επι τους οφθαλμους του τυφλου
একথা বলে, তিনি মাটিতে থুতু ফেললেন এবং সেই লালা দিয়ে কাদা তৈরি করে সেই ব্যক্তির চোখে মাখিয়ে দিলেন।
7 και ειπεν αυτω υπαγε νιψαι εις την κολυμβηθραν του σιλωαμ ο ερμηνευεται απεσταλμενος απηλθεν ουν και ενιψατο και ηλθεν βλεπων
তারপর তিনি তাকে বললেন, “যাও, সিলোয়াম সরোবরে গিয়ে ধুয়ে ফেলো” (সিলোয়াম শব্দের অর্থ, প্রেরিত)। তখন সেই ব্যক্তি সেখানে গিয়ে (চোখ) ধুয়ে ফেলল এবং দৃষ্টিশক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে গেল।
8 οι ουν γειτονες και οι θεωρουντες αυτον το προτερον οτι τυφλος ην ελεγον ουχ ουτος εστιν ο καθημενος και προσαιτων
তার প্রতিবেশীরা এবং যারা তাকে আগে ভিক্ষা করতে দেখেছিল, তারা বলল, “যে ব্যক্তি বসে ভিক্ষা করত, এ কি সেই একই ব্যক্তি নয়?”
9 αλλοι ελεγον οτι ουτος εστιν αλλοι δε οτι ομοιος αυτω εστιν εκεινος ελεγεν οτι εγω ειμι
কেউ কেউ বলল যে, সেই ব্যক্তিই তো! অন্যেরা বলল, “না, সে তার মতো দেখতে।” সে বলল, “আমিই সেই ব্যক্তি।”
10 ελεγον ουν αυτω πως ανεωχθησαν σου οι οφθαλμοι
তারা জানতে চাইল, “তাহলে তোমার চোখ কীভাবে খুলে গেল?”
11 απεκριθη εκεινος και ειπεν ανθρωπος λεγομενος ιησους πηλον εποιησεν και επεχρισεν μου τους οφθαλμους και ειπεν μοι υπαγε εις την κολυμβηθραν του σιλωαμ και νιψαι απελθων δε και νιψαμενος ανεβλεψα
উত্তরে সে বলল, “লোকে যাকে যীশু বলে, তিনি কিছু কাদা তৈরি করে আমার দু-চোখে মাখিয়ে দিলেন এবং আমাকে বললেন, ‘যাও, সিলোয়াম সরোবরে গিয়ে ধুয়ে ফেলো।’ তাঁর নির্দেশমতো গিয়ে আমি তাই ধুয়ে ফেললাম, আর তারপর থেকে আমি দেখতে পাচ্ছি।”
12 ειπον ουν αυτω που εστιν εκεινος λεγει ουκ οιδα
তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল, “সেই ব্যক্তি কোথায়?” সে বলল, “আমি জানি না।”
13 αγουσιν αυτον προς τους φαρισαιους τον ποτε τυφλον
যে অন্ধ ছিল, সেই ব্যক্তিকে তারা ফরিশীদের কাছে নিয়ে গেল।
14 ην δε σαββατον οτε τον πηλον εποιησεν ο ιησους και ανεωξεν αυτου τους οφθαλμους
যেদিন যীশু কাদা তৈরি করে ব্যক্তির চোখ খুলে দিয়েছিলেন, সেই দিনটি ছিল বিশ্রামদিন।
15 παλιν ουν ηρωτων αυτον και οι φαρισαιοι πως ανεβλεψεν ο δε ειπεν αυτοις πηλον επεθηκεν μου επι τους οφθαλμους και ενιψαμην και βλεπω
তাই ফরিশীরাও তাকে জিজ্ঞাসা করল, কীভাবে সে দৃষ্টিশক্তি লাভ করেছে। সে উত্তর দিল, “তিনি আমার চোখদুটিতে কাদা মাখিয়ে দিলেন। আমি ধুয়ে ফেললাম, আর এখন আমি দেখতে পাচ্ছি।”
16 ελεγον ουν εκ των φαρισαιων τινες ουτος ο ανθρωπος ουκ εστιν παρα του θεου οτι το σαββατον ου τηρει αλλοι ελεγον πως δυναται ανθρωπος αμαρτωλος τοιαυτα σημεια ποιειν και σχισμα ην εν αυτοις
ফরিশীদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, “এই লোকটি ঈশ্বরের কাছ থেকে আসেনি, কারণ সে বিশ্রামদিন পালন করে না।” অন্য ফরিশীরা বলল, “যে পাপী, সে কী করে এমন চিহ্নকাজ করতে পারে?” এইভাবে তাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিল।
17 λεγουσιν τω τυφλω παλιν συ τι λεγεις περι αυτου οτι ηνοιξεν σου τους οφθαλμους ο δε ειπεν οτι προφητης εστιν
অবশেষে তারা অন্ধ ব্যক্তির দিকে ফিরে তাকে আবার জিজ্ঞাসা করল, “যে তোমার চোখ খুলে দিয়েছে তার বিষয়ে তোমার কী বলার আছে?” সে উত্তর দিল, “তিনি একজন ভাববাদী।”
18 ουκ επιστευσαν ουν οι ιουδαιοι περι αυτου οτι τυφλος ην και ανεβλεψεν εως οτου εφωνησαν τους γονεις αυτου του αναβλεψαντος
তার বাবা-মাকে ডেকে না আনা পর্যন্ত ইহুদিরা বিশ্বাসই করতে পারল না যে, সে অন্ধ ছিল এবং সে দৃষ্টিশক্তি লাভ করেছে।
19 και ηρωτησαν αυτους λεγοντες ουτος εστιν ο υιος υμων ον υμεις λεγετε οτι τυφλος εγεννηθη πως ουν αρτι βλεπει
তারা জিজ্ঞাসা করল, “এ কি তোমাদেরই ছেলে? এর বিষয়েই কি তোমরা বলো যে, এ অন্ধ হয়েই জন্মগ্রহণ করেছিল? তাহলে এখন কী করে ও দেখতে পাচ্ছে?”
20 απεκριθησαν δε αυτοις οι γονεις αυτου και ειπον οιδαμεν οτι ουτος εστιν ο υιος ημων και οτι τυφλος εγεννηθη
তার বাবা-মা উত্তর দিল, “আমরা জানি ও আমাদের ছেলে, আর আমরা এও জানি যে, ও অন্ধ হয়েই জন্মগ্রহণ করেছিল।
21 πως δε νυν βλεπει ουκ οιδαμεν η τις ηνοιξεν αυτου τους οφθαλμους ημεις ουκ οιδαμεν αυτος ηλικιαν εχει αυτον ερωτησατε αυτος περι εαυτου λαλησει
কিন্তু এখন ও কীভাবে দেখতে পাচ্ছে বা কে ওর চোখ খুলে দিয়েছে, আমরা তা জানি না। আপনারা ওকেই জিজ্ঞাসা করুন। ও সাবালক, তাই ওর কথা ও নিজেই বলবে।”
22 ταυτα ειπον οι γονεις αυτου οτι εφοβουντο τους ιουδαιους ηδη γαρ συνετεθειντο οι ιουδαιοι ινα εαν τις αυτον ομολογηση χριστον αποσυναγωγος γενηται
তার বাবা-মা ইহুদিদের ভয়ে একথা বলল, কারণ ইহুদিরা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যীশুকে যে খ্রীষ্ট বলে স্বীকার করবে, সমাজভবন থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
23 δια τουτο οι γονεις αυτου ειπον οτι ηλικιαν εχει αυτον ερωτησατε
সেইজন্য তার বাবা-মা বলল, “ও সাবালক, তাই ওকেই জিজ্ঞাসা করুন।”
24 εφωνησαν ουν εκ δευτερου τον ανθρωπον ος ην τυφλος και ειπον αυτω δος δοξαν τω θεω ημεις οιδαμεν οτι ο ανθρωπος ουτος αμαρτωλος εστιν
যে আগে অন্ধ ছিল, সেই ব্যক্তিকে তারা দ্বিতীয়বার ডেকে এনে বলল, “ঈশ্বরকে গৌরব প্রদান করো। আমরা জানি, সেই ব্যক্তি একজন পাপী।”
25 απεκριθη ουν εκεινος και ειπεν ει αμαρτωλος εστιν ουκ οιδα εν οιδα οτι τυφλος ων αρτι βλεπω
সে উত্তর দিল, “তিনি পাপী, কি পাপী নন, তা আমি জানি না। আমি একটি বিষয় জানি, আমি আগে অন্ধ ছিলাম, কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি।”
26 ειπον δε αυτω παλιν τι εποιησεν σοι πως ηνοιξεν σου τους οφθαλμους
তারা তখন তাকে জিজ্ঞাসা করল, “সে তোমার প্রতি কী করেছিল? সে কী করে তোমার চোখ খুলে দিল?”
27 απεκριθη αυτοις ειπον υμιν ηδη και ουκ ηκουσατε τι παλιν θελετε ακουειν μη και υμεις θελετε αυτου μαθηται γενεσθαι
সে উত্তর দিল, “আমি এর আগেই সেকথা আপনাদের বলেছি, কিন্তু আপনারা তা শোনেননি। আপনারা আবার তা শুনতে চাইছেন কেন? আপনারাও কি তাঁর শিষ্য হতে চান?”
28 ελοιδορησαν αυτον και ειπον συ ει μαθητης εκεινου ημεις δε του μωσεως εσμεν μαθηται
তারা তাকে গালাগাল দিয়ে অপমান করে বলল, “তুই ওই লোকটির শিষ্য! আমরা মোশির শিষ্য।
29 ημεις οιδαμεν οτι μωση λελαληκεν ο θεος τουτον δε ουκ οιδαμεν ποθεν εστιν
আমরা জানি, ঈশ্বর মোশির সঙ্গে কথা বলেছিলেন, কিন্তু এই লোকটির আগমন কোথা থেকে হল তা আমরা জানি না।”
30 απεκριθη ο ανθρωπος και ειπεν αυτοις εν γαρ τουτω θαυμαστον εστιν οτι υμεις ουκ οιδατε ποθεν εστιν και ανεωξεν μου τους οφθαλμους
সে উত্তর দিল, “সেটাই তো আশ্চর্যের কথা! আপনারা জানেন না তিনি কোথা থেকে এলেন, অথচ তিনিই আমার দু-চোখ খুলে দিলেন।
31 οιδαμεν δε οτι αμαρτωλων ο θεος ουκ ακουει αλλ εαν τις θεοσεβης η και το θελημα αυτου ποιη τουτου ακουει
আমরা জানি, ঈশ্বর পাপীদের কথা শোনেন না। যারা ঈশ্বরভক্ত ও তাঁর ইচ্ছা পালন করে, তিনি তাদেরই কথা শোনেন।
জন্মান্ধ ব্যক্তির চোখ কেউ খুলে দিয়েছে, একথা কেউ কখনও শোনেনি। (aiōn g165)
33 ει μη ην ουτος παρα θεου ουκ ηδυνατο ποιειν ουδεν
সেই ব্যক্তির আগমন ঈশ্বরের কাছ থেকে না হলে, কোনো কিছুই তিনি করতে পারতেন না।”
34 απεκριθησαν και ειπον αυτω εν αμαρτιαις συ εγεννηθης ολος και συ διδασκεις ημας και εξεβαλον αυτον εξω
একথা শুনে তারা বলল, “তোর জন্ম পাপেই হয়েছে, তুই কী করে আমাদের শিক্ষা দেওয়ার সাহস পেলি?” আর তারা তাকে সমাজ থেকে বের করে দিল।
35 ηκουσεν ο ιησους οτι εξεβαλον αυτον εξω και ευρων αυτον ειπεν αυτω συ πιστευεις εις τον υιον του θεου
যীশু শুনতে পেলেন তারা লোকটিকে বের করে দিয়েছে। তিনি তাকে যখন দেখতে পেলেন, তিনি বললেন, “তুমি কি মনুষ্যপুত্রে বিশ্বাস করো?”
36 απεκριθη εκεινος και ειπεν και τις εστιν κυριε ινα πιστευσω εις αυτον
সেই ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, “প্রভু তিনি কে? আমাকে বলুন, আমি যেন তাঁকে বিশ্বাস করতে পারি।”
37 ειπεν δε αυτω ο ιησους και εωρακας αυτον και ο λαλων μετα σου εκεινος εστιν
যীশু বললেন, “তুমি তাঁকে দেখেছ। প্রকৃতপক্ষে, তিনিই তোমার সঙ্গে কথা বলছেন।”
38 ο δε εφη πιστευω κυριε και προσεκυνησεν αυτω
“প্রভু, আমি বিশ্বাস করি,” একথা বলে সে তাঁকে প্রণাম করল।
39 και ειπεν ο ιησους εις κριμα εγω εις τον κοσμον τουτον ηλθον ινα οι μη βλεποντες βλεπωσιν και οι βλεποντες τυφλοι γενωνται
যীশু বললেন, “বিচার করতেই আমি এ জগতে এসেছি, যেন দৃষ্টিহীনরা দেখতে পায় এবং যারা দেখতে পায়, তারা দৃষ্টিহীন হয়।”
40 και ηκουσαν εκ των φαρισαιων ταυτα οι οντες μετ αυτου και ειπον αυτω μη και ημεις τυφλοι εσμεν
তাঁর সঙ্গী কয়েকজন ফরিশী তাঁকে একথা বলতে শুনে জিজ্ঞাসা করল, “কী হল? আমরাও অন্ধ নাকি?”
41 ειπεν αυτοις ο ιησους ει τυφλοι ητε ουκ αν ειχετε αμαρτιαν νυν δε λεγετε οτι βλεπομεν η ουν αμαρτια υμων μενει
যীশু বললেন, “তোমরা অন্ধ হলে তোমাদের পাপের জন্য অপরাধী হতে না; কিন্তু তোমরা নিজেদের দেখতে পাও বলে দাবি করছ, তাই তোমাদের অপরাধ রয়ে গেল।”
