Luke 17
1 Then said He to the disciples, It is impossible that offences should not come: but wo to him by whom they come.
১যীশু তার শিষ্যদের আরও বললেন, “পাপের প্রলোভন আসবে না, এমন হতে পারে না; কিন্তু ধিক তাকে, যার মাধ্যমে তা আসে!
2 It were better for him that a milstone were hung about his neck, and he were thrown into the sea, than that he should cause one of these little ones to offend.
২এই ছোটদের মধ্যে এক জনকে যদি কেউ পাপের পথে নিয়ে যায়, তবে তার গলায় ভারী পাথর বেঁধে তাকে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া বরং তার পক্ষে ভালো।
3 Take heed to yourselves: if thy brother trespass against thee, rebuke him; and if he repent, forgive him.
৩তোমরা নিজেদের বিষয়ে সাবধান থাক। তোমার ভাই যদি পাপ করে, তাকে ধমক দাও; আর সে যদি সেই অন্যায় থেকে মন ফেরায় তবে তাকে ক্ষমা কর।
4 And if he trespass against thee seven times a day, and seven times in a day return to thee, saying, I repent; thou shalt forgive him.
৪আর যদি সে এক দিনের র মধ্যে সাতবার তোমার বিরুদ্ধে পাপ করে, আর সাতবার তোমার কাছে ফিরে এসে বলে, আমি এই অন্যায় থেকে মন ফেরালাম, তবে তাকে ক্ষমা কর।”
5 And the apostles said unto the Lord, Increase our faith.
৫আর প্রেরিতরা প্রভুকে বললেন, “আমাদের বিশ্বাস বাড়িয়ে দিন।”
6 And the Lord said, If ye had faith but as a grain of mustard-seed, ye might say to this sycamine-tree, Be thou rooted up and planted in the sea; and it would obey you.
৬প্রভু বললেন, “একটি সরষে দানার মত বিশ্বাস যদি তোমাদের থাকে, তবে, তুমি শিকড়শুদ্ধ উঠে গিয়ে নিজে সমুদ্রে পুঁতে যাও একথা তুঁত গাছটিকে বললে ও তোমাদের কথা মানবে।”
7 But which of you having a servant plowing, or feeding cattle, will say to him, as soon as he comes in from the field, Come hither and sit down at table?
৭আর তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে, যার দাস হাল বয়ে কিংবা ভেড়া চরিয়ে মাঠ থেকে এলে সে তাকে বলবে, “তুমি এখনই এসে খেতে বস?
8 But will he not rather say to him, Get ready my supper, and gird thyself, and wait upon me, till I have done, and afterwards thou shalt eat and drink.
৮বরং তাকে কি বলবে না, আমি কি খাব, তার আয়োজন কর এবং আমি যতক্ষণ খাওয়া দাওয়া করি, ততক্ষণ কোমর বেঁধে আমার সেবাযত্ন কর, তারপর তুমি খাওয়া দাওয়া করবে?
9 Is he obliged to that servant for doing what he was ordered?
৯সেই দাস আদেশ পালন করল বলে সে কি তার ধন্যবাদ করে?
10 I think not. So likewise ye, when ye have done all things that were commanded you, say we are unprofitable servants, for we have done only what we ought to do.
১০সেইভাবে সব আদেশ পালন করলে পর তোমারও বোলো আমার অযোগ্য দাস, যা করতে বাধ্য ছিলাম, তাই করলাম।”
11 And as He was going to Jerusalem, He passed through the midst of Samaria and Galilee;
১১যিরুশালেমে যাবার দিনের তিনি শমরিয়া ও গালীল দেশের মধ্যে দিয়ে গেলেন।
12 and as He entered into a certain village, there met Him ten men that were lepers:
১২তিনি কোনো এক গ্রামে ঢুকছেন, এমন দিনের দশ জন কুষ্ঠরোগী তাঁর সামনে পড়ল, তারা দূরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে লাগল,
13 who stood at a distance, and lifted up their voice, saying, Jesus master, have pity on us.
১৩“যীশু, নাথ, আমাদের দয়া করুন!”
14 And when He saw them, He said unto them, Go and shew yourselves to the priests. And it came to pass as they were going, they were cleansed.
১৪তাহাদের দেখে তিনি বললেন, “যাও, যাজকদের কাছে গিয়ে নিজেদের দেখাও। যেতে যেতে তারা শুদ্ধ হল।”
15 And one of them, perceiving that he was healed, returned, with a loud voice glorifying God:
১৫তখন তাদের একজন নিজেকে সুস্থ দেখে চিৎকার করে ঈশ্বরের গৌরব করতে করতে ফিরে এলো,
16 and fell prostrate at his feet, giving Him thanks; and He was a Samaritan.
১৬এবং যীশুর পায়ের উপর উপুড় হয়ে তাঁর ধন্যবাদ করতে লাগল; সেই ব্যক্তি শমরীয়।
17 And Jesus answered and said, Were not all the ten cleansed? and where are the other nine?
১৭যীশু উত্তর করে বললেন, “দশ জন কি শুদ্ধ সুস্থ হয়নি? তবে সেই নয় জন কোথায়?
18 Are there none returning to give glory to God, but this stranger?
১৮ঈশ্বরের গৌরব করবার জন্য ফিরে এসেছে, এই অন্য জাতির লোকটি ছাড়া এমন কাউকেও কি পাওয়া গেল না?”
19 And He said to him, Arise, go thy way; thy faith hath saved thee.
১৯পরে তিনি তাকে বললেন, “উঠ এবং যাও, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করেছে।”
20 And being asked by the pharisees, when the kingdom of God should come, He answered and said, the kingdom of God cometh not with observation.
২০ফরীশীরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, “ঈশ্বরের রাজ্য কখন আসবে?” তিনি উত্তর করে তাদের বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্য চিহ্নের সাথে আসে না;
21 Neither shall they say, Behold it is here, or behold it is there; for the kingdom of God is within you.
২১আর লোকে বলবে না, দেখ, এই জায়গায়! ঐ জায়গায়! কারণ দেখ, ঈশ্বরের রাজ্য তোমাদের মধ্যেই আছে।”
22 And He said to the disciples, the time will come, when ye shall desire to see one of the days of the Son of man, and shall not see it.
২২আর তিনি শিষ্যদের বললেন, “এমন দিন আসবে, যখন তোমরা মনুষ্যপুত্রের রাজত্বের দিনের র এক দিন দেখতে ইচ্ছা করবে, কিন্তু দেখতে পাবে না।
23 And they will say to you, Behold, He is here, or behold He is there: but go not after them, nor follow them.
২৩তখন লোকেরা তোমাদের বলবে, দেখ, ঐ জায়গায়! দেখ, এই জায়গায়! যেও না, তাদের পিছনে পিছনে যেও না।
24 For as the lightning which lightneth from the one part of heaven shineth to the other: so also shall the Son of man be in his day.
২৪কারণ বিদ্যুৎ যেমন আকাশের নীচে এক দিক থেকে চমকালে, আকাশের নীচে অন্য দিক পর্যন্ত আলোকিত হয়, মনুষ্যপুত্র নিজের দিনের সেরূপ হবেন।
25 But He must suffer many things first, and be rejected by this generation.
২৫কিন্তু প্রথমে তাঁকে অনেক দুঃখভোগ করতে এবং এই দিনের র লোকরা তাঁকে অগ্রাহ্য করবে।
26 And as it was in the days of Noah, so shall it be also in the days of the Son of man.
২৬আর নোহের দিনের যেমন হয়েছিল, মনুষ্যপুত্রের দিনের ও তেমনি হবে।
27 They were eating, drinking, marrying, and being married, till the day that Noah went into the ark: and the flood came and destroyed them all.
২৭লোকে খাওয়া দাওয়া করত, বিবাহ করত, বিবাহিতা হত, যে পর্যন্ত না নোহ জাহাজে প্রবেশ করলেন, আর জলপ্লাবন এসে সবাইকে ধ্বংস করল।
28 And as it was likewise in the days of Lot; they were eating, drinking, buying, selling, planting, and building:
২৮সেইভাবে লোটের দিনের যেমন হয়েছিল লোকে খাওয়া দাওয়া, কেনাবেচা, গাছ লাগানো ও বাড়ি তৈরী করত;
29 but the very day that Lot went out from Sodom, it rained fire and brimstone from heaven and destroyed them all.
২৯কিন্তু যেদিন লোট সদোম থেকে বাইরে গেলেন, সেই দিন আকাশ থেকে আগুনও গন্ধকের বৃষ্টি পড়ে সবাইকে ধ্বংস করল
30 Thus shall it be in the day that the Son of man is revealed.
৩০মনুষ্যপুত্র যেদিন প্রকাশিত হবেন, সে দিনের ও এই রকমই হবে।
31 In that day, whoever shall be on the house-top, and his goods in the house, let him not come down into it to take them away: and he that is in the field, let him likewise not return back.
৩১সেই দিন যে কেউ ছাদের উপরে থাকবে, আর তার জিনিসপত্র ঘরে থাকবে, সে তা নেবার জন্য নীচে না নামুক; আর তেমনি যে কেউ মাঠে থাকবে, সেও ফিরে না আসুক।
32 Remember Lot's wife. Whosoever shall seek to save his life, shall lose it;
৩২লোটের স্ত্রীর কথা মনে কর।
33 and whosoever will venture his life, shall preserve it.
৩৩যে কেউ নিজের প্রাণ লাভ করতে চেষ্টা করে, সে তা হারাবে; আর যে কেউ প্রাণ হারায়, সে তা বাঁচাবে।
34 In that night there shall be two in one bed; the one shall be taken and the other left:
৩৪আমি তোমাদের বলছি, সেই রাত্রিতে দুজন এক বিছানায় থাকবে, তাদের মধ্যে থেকে এক জনকে নেওয়া হবে এবং অন্য জনকে ফেলে যাওয়া হবে।
35 two women shall be grinding together; the one shall be taken and the other left:
৩৫দুটি স্ত্রীলোক একসাথে যাঁতা পিষবে; তাদের মধ্যে থেকে এক জনকে নেওয়া হবে এবং অন্য জনকে ফেলে যাওয়া হবে।”
36 two men shall be in the field; the one shall be taken and the other left.
৩৬তখন তারা উত্তর করে তাঁকে বললেন,
37 And they answered and said unto Him, Where, Lord? And He said to them, where the carcase is, there will the eagles be gathered together.
৩৭“হে প্রভু, কোথায়?” তিনি তাদের বললেন, “যেখানে মৃতদেহ, সেখানেই শকুন জড়ো হয়।”
