Luke 24
1 Now upon the first day of the week, very early in the morning, they came unto the tomb, bringing the spices which they had prepared, and certain others with them.
১সপ্তাহের প্রথম দিন তারা খুব ভোরে উঠে ঐ কবরের কাছে এলেন, যে সুগন্ধি দ্রব্য প্রস্তুত করেছিলেন তা নিয়ে আসলেন;
2 And they found the stone rolled away from the tomb.
২আর দেখলেন, কবর থেকে পাথরটা সরানো রয়েছে,
3 And they entered in, and found not the body of the Lord Jesus.
৩কিন্তু ভিতরে গিয়ে প্রভু যীশুর মৃতদেহ দেখতে পেলেন না।
4 And it came to pass, as they were much perplexed thereabout, behold, two men stood by them in shining garments:
৪তারা এই বিষয়ে ভাবছেন, এমন দিনের, দেখ, উজ্জ্বল পোষাক পরা দুজন পুরুষ তাদের কাছে দাঁড়ালেন।
5 And as they were afraid, and bowed down their faces to the earth, they said unto them, Why seek all of you the living among the dead?
৫তখন তারা ভয় পেয়ে মাটির দিকে মুখ নীচু করলে সেই দুই ব্যক্তি তাদের বললেন, মৃতদের মধ্যে জীবিতের খোঁজ করছ কেন?
6 He is not here, but has risen: remember how he spoke unto you when he was yet in Galilee,
৬তিনি এখানে নেই, কিন্তু উঠেছেন। গালীলে থাকতে তিনি তোমাদের যা বলেছিলেন, তা মনে কর;
7 Saying, The Son of man must be delivered into the hands of sinful men, and be crucified, and the third day rise again.
৭তিনি তো বলেছিলেন, মনুষ্যপুত্রকে পাপী মানুষদের হাতে সমর্পিত হতে হবে, ক্রুশারোপিত হতে এবং তৃতীয় দিনের উঠতে হবে।
8 And they remembered his words, (rhema)
৮তখন তাঁর সেই কথা গুলি তাদের মনে পড়ল;
9 And returned from the tomb, and told all these things unto the eleven, and to all the rest.
৯আর তারা কবর থেকে ফিরে গিয়ে সেই এগারো জন শিষ্যকে ও অন্য সবাইকে এই সব খবর দিলেন।
10 It was Mary Magdalene and Joanna, and Mary the mother of James, and other women that were with them, which told these things unto the apostles.
১০এরা মগ্দলীনী মরিয়ম, যোহানা ও যাকোবের মা মরিয়ম; আর এদের সঙ্গে অন্য স্ত্রীলোকরাও প্রেরিতদের এই সব কথা বললেন।
11 And their words (rhema) seemed to them as idle tales, and they believed them not.
১১কিন্তু এই সব কথা তাদের দৃষ্টিতে গল্পের মত মনে হল; তারা তাদের কথায় বিশ্বাস করলেন না।
12 Then arose Peter, and ran unto the tomb; and stooping down, he beheld the linen clothes laid by themselves, and departed, wondering in himself at that which was come to pass.
১২তা সত্বেও পিতর উঠে গিয়ে কবরের কাছে দৌড়ে গেলেন এবং নীচু হয়ে ভালো করে দেখলেন, শুধু কাপড় পরে রয়েছে; আর যা ঘটেছে, তাতে অবাক হয়ে নিজের জায়গায় ফিরে গেলেন।
13 And, behold, two of them went that same day to a village called Emmaus, which was from Jerusalem about threescore furlongs.
১৩আর দেখ, সেই দিন তাদের দুজন যিরুশালেম থেকে সাত মাইল দূরে ইম্মায়ূ নামে গ্রামে যাচ্ছিলেন,
14 And they talked together of all these things which had happened.
১৪এবং তারা ঐ সব ঘটনার বিষয়ে একে অপরে কথাবার্তা বলছিলেন।
15 And it came to pass, that, while they communed together and reasoned, Jesus himself drew near, and went with them.
১৫তারা কথাবার্তা ও একে অপরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, এমন দিনের যীশু নিজে এসে তাদের সঙ্গে সঙ্গে যেতে লাগলেন;
16 But their eyes were held that they should not know him.
১৬কিন্তু তাদের চোখ বন্ধ হয়েছিল, তাই তাঁকে চিনতে পারলেন না।
17 And he said unto them, What manner of communications (logos) are these that all of you have one to another, as all of you walk, and are sad?
১৭তিনি তাদের বললেন, তোমরা চলতে চলতে একে অপরে যে সব কথা বলাবলি করছ, সে সব কি? তারা বিষন্ন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেন।
18 And the one of them, whose name was Cleopas, answering said unto him, Are you only a stranger in Jerusalem, and have not known the things which are come to pass there in these days?
১৮পরে ক্লিয়পা নামে তাদের একজন উত্তর করে তাঁকে বললেন, আপনি কি একা যিরুশালেমে বাস করছেন, আর এই কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা জানেন না?
19 And he said unto them, What things? And they said unto him, Concerning Jesus of Nazareth, which was a prophet mighty in deed and word (logos) before God and all the people:
১৯তিনি তাদেরকে বললেন, কি কি ঘটনা? তারা তাঁকে বললেন, নাসরতীয় যীশুর বিষয়ে ঘটনা, যিনি ঈশ্বরের ও সব লোকের সামনে ও কাজে ও কথায় মহান ভাববাদী ছিলেন;
20 And how the chief priests and our rulers delivered him to be condemned to death, and have crucified him.
২০আর কীভাবে প্রধান যাজকেরা ও আমাদের শাসকেরা প্রাণদণ্ডের জন্য দোষী করে তাকে সমর্পণ করলেন, ও ক্রুশে দিলেন।
21 But we trusted that it had been he which should have redeemed Israel: and beside all this, to day is the third day since these things were done.
২১কিন্তু আমরা আশা করছিলাম যে, তিনি সেই ব্যক্তি, যিনি ইস্রায়েলকে মুক্ত করবেন। আর এসব ছাড়া আজ তিনদিন হচ্ছে, এসব ঘটেছে।
22 Yea, and certain women also of our company made us astonished, which were early at the tomb;
২২আবার আমাদের কয়েক জন স্ত্রীলোক আমাদের অবাক করলেন; তারা ভোরে তাঁর কবরের কাছে গিয়েছিলেন,
23 And when they found not his body, they came, saying, that they had also seen a vision of angels, which said that he was alive.
২৩আর তাঁর মৃতদেহ দেখতে না পেয়ে এসে বললেন, স্বর্গ দূতদের ও দেখা পেয়েছি এবং তাঁরা বলেন, তিনি জীবিত আছেন।
24 And certain of them which were with us went to the tomb, and found it even so as the women had said: but him they saw not.
২৪আর আমাদের সঙ্গীদের যারা কবরের কাছে গিয়েছিল, তারাও সেই স্ত্রীলোকেরা যেমন বলেছিলেন, তেমনি দেখতে পেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁকে দেখতে পাননি।
25 Then he said unto them, O fools, and slow of heart to believe all that the prophets have spoken:
২৫তখন তিনি তাদের বললেন, হে অবুঝরা এবং ধীর হৃদয়ের লোকেরা, ভাববাদীরা যে সব কথা বলেছেন, সেই সবে বিশ্বাস করতে পার না
26 Ought not Christ to have suffered these things, and to enter into his glory?
২৬খ্রীষ্টের কি প্রয়োজন ছিল না যে, এই সব দুঃখভোগ করেন ও নিজের মহিমায় প্রবেশ করেন?
27 And beginning at Moses and all the prophets, he expounded unto them in all the scriptures the things concerning himself.
২৭পরে তিনি মোশি থেকে ও সমস্ত ভাববাদী থেকে শুরু করে সব শাস্ত্রে তাঁর নিজের বিষয়ে যে সব কথা আছে, তা তাদের বুঝিয়ে দিলেন।
28 And they drew nigh unto the village, where they went: and he made as though he would have gone further.
২৮পরে তারা যেখানে যাচ্ছিলেন, সেখানে সেই গ্রামের কাছে আসলেন; আর তিনি দূরে যাবার ভাব দেখালেন।
29 But they constrained him, saying, Abide with us: for it is toward evening, and the day is far spent. And he went in to tarry with them.
২৯কিন্তু তারা অনুরোধ করে বললেন, আমাদের সঙ্গে থাকুন, কারণ সন্ধ্যা হয়ে আসল, বেলা প্রায় চলে গেছে। তাতে তিনি তাদের সঙ্গে থাকার জন্য গৃহে ঢুকলেন।
30 And it came to pass, as he sat at food with them, he took bread, and blessed it, and brake, and gave to them.
৩০পরে যখন তিনি তাদের সঙ্গে খাবার খেতে বসলেন, তখন রুটি নিয়ে ধন্যবাদ করলেন এবং ভেঙে তাদের দিতে লাগলেন।
31 And their eyes were opened, and they knew him; and he vanished out of their sight.
৩১অমনি তাদের চোখ খুলে গেল, তারা তাঁকে চিনতে পারলেন, আর তিনি তাদের থেকে অদৃশ্য হলেন।
32 And they said one to another, Did not our heart burn within us, while he talked with us by the way, and while he opened to us the scriptures?
৩২তখন তারা পরস্পরকে বললেন, পথের মধ্যে যখন তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, আমাদের কাছে শাস্ত্রের অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন আমাদের ভিতরে আমাদের হৃদয় কি উদ্দীপ্ত হয়ে উঠছিল না?
33 And they rose up the same hour, and returned to Jerusalem, and found the eleven gathered together, and them that were with them,
৩৩আর তারা সেই দিনের ই উঠে যিরুশালেমে ফিরে গেলেন; এবং সেই এগারো জনকে ও তাদের সঙ্গীদের একসঙ্গে দেখতে পেলেন;
34 Saying, The Lord has risen indeed, and has appeared to Simon.
৩৪তারা বললেন, প্রভু নিশ্চয় উঠেছেন এবং শিমোনকে দেখা দিয়েছেন।
35 And they told what things were done in the way, and how he was known of them in breaking of bread.
৩৫পরে সেই দুজন পথের ঘটনার বিষয়ে এবং রুটি ভাঙার দিন তারা কীভাবে তাঁকে চিনতে পেরেছিলেন, এই সব বিষয়েও বললেন।
36 And as they thus spoke, Jesus himself stood in the midst of them, and says unto them, Peace be unto you.
৩৬তারা একে অপর এই কথাবার্তা বলছেন, ইতিমধ্যে তিনি নিজে তাদের মাঝে দাঁড়ালেন, ও তাদের বললেন, তোমাদের শান্তি হোক।
37 But they were terrified and affrighted, and supposed that they had seen a spirit. (pneuma)
৩৭এতে তারা খুব ভয় পেয়ে মনে করলেন, ভূত দেখছি।
38 And he said unto them, Why are all of you troubled? and why do thoughts arise in your hearts?
৩৮তিনি তাদের বললেন, কেন উদ্বিগ্ন হচ্ছ? তোমাদের মনে সন্দেহ জাগছে কেন?
39 Behold my hands and my feet, that it is I myself: handle me, and see; for a spirit (pneuma) has not flesh and bones, as all of you see me have.
৩৯আমার হাত ও আমার পা দেখ, এ আমি নিজে; আমাকে স্পর্শ কর, আর দেখ; কারণ আমায় যেমন দেখছ, ভূতের এই রকম হাড় মাংস নেই।
40 And when he had thus spoken, he showed them his hands and his feet.
৪০এই বলে তিনি তাদের হাত ও পা দেখালেন।
41 And while they yet believed not for joy, and wondered, he said unto them, Have all of you here any food?
৪১তখনও তারা এত আনন্দিত হয়েছিল যে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ও অবাক হচ্ছিল, তাই তিনি তাদের বললেন, তোমাদের কাছে এখানে কি কিছু খাবার আছে?
42 And they gave him a piece of a broiled fish, and of an honeycomb.
৪২তখন তারা তাঁকে একটি ভাজা মাছ দিলেন।
43 And he took it, and did eat before them.
৪৩তিনি তা নিয়ে তাদের সামনে খেলেন।
44 And he said unto them, These are the words (logos) which I spoke unto you, while I was yet with you, that all things must be fulfilled, which were written in the law of Moses, and in the prophets, and in the psalms, concerning me.
৪৪পরে তিনি তাদের বললেন, তোমাদের সঙ্গে থাকতে থাকতে আমি তোমাদের যা বলেছিলাম, আমার সেই কথা এই, মোশির ব্যবস্থায় এবং ভাববাদীদের পুস্তকে এবং গীতসংহিতায় আমার বিষয়ে যা যা লেখা আছে, সে সব অবশ্য পূর্ণ হবে।
45 Then opened he their understanding, that they might understand the scriptures,
৪৫তখন তিনি তাদের মন খুলে দিলেন, যেন তারা শাস্ত্র বুঝতে পারে,
46 And said unto them, Thus it is written, and thus it was essential for Christ to suffer, and to rise from the dead the third day:
৪৬আর তিনি তাদের বললেন, এই কথা লেখা আছে যে, খ্রীষ্ট দুঃখভোগ করবেন এবং তৃতীয় দিনের মৃতদের মধ্যে থেকে উঠবেন;
47 And that repentance and remission of sins should be preached in his name among all nations, beginning at Jerusalem.
৪৭আর তাঁর নামে পাপ ক্ষমার জন্য মন ফেরানোর কথা সব জাতির কাছে প্রচারিত হবে যিরুশালেম থেকে শুরু করা হবে।
48 And all of you are witnesses of these things.
৪৮তোমরাই এসবের সাক্ষী।
49 And, behold, I send the promise of my Father upon you: but tarry all of you in the city of Jerusalem, until all of you be imbued with power from on high.
৪৯আর দেখ আমার পিতা যা প্রতিজ্ঞা করেছেন, তা আমি তোমাদের কাছে পাঠাচ্ছি; কিন্তু যে পর্যন্ত স্বর্গ থেকে আসা শক্তি না পাও, সেই পর্যন্ত তোমরা ঐ শহরে থাক।
50 And he led them out as far as to Bethany, and he lifted up his hands, and blessed them.
৫০পরে তিনি তাদের বৈথনিয়া পর্যন্ত নিয়ে গেলেন; এবং হাত তুলে তাদের আশীর্বাদ করলেন।
51 And it came to pass, while he blessed them, he was parted from them, and carried up into heaven.
৫১পরে এই রকম হল, তিনি আশীর্বাদ করতে করতে তাদের থেকে আলাদা হলেন এবং স্বর্গে যেতে লাগলেন।
52 And they worshipped him, and returned to Jerusalem with great joy:
৫২আর তারা তাঁকে প্রণাম করে মহানন্দে যিরুশালেমে ফিরে গেলেন;
53 And were continually in the temple, praising and blessing God. Amen.
৫৩এবং সর্বক্ষণ ধর্মগৃহে থেকে ঈশ্বরের ধন্যবাদ করতে লাগলেন।
