Mark 14
1 Now the feast of Passover and of Unleavened Bread was two days away. And the leaders of the priests, and the scribes, were seeking a means by which they might deceitfully seize him and kill him.
নিস্তারপর্ব ও খামিরবিহীন রুটির পর্ব শুরু হতে আর মাত্র দু-দিন বাকি ছিল। প্রধান যাজকেরা ও শাস্ত্রবিদরা সুকৌশলে যীশুকে গ্রেপ্তার ও হত্যা করার জন্য সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছিল।
2 But they said, “Not on the feast day, lest perhaps there may be a tumult among the people.”
তারা বলল, “কিন্তু পর্বের সময়ে নয়, তাতে লোকদের মধ্যে দাঙ্গা বেধে যেতে পারে।”
3 And when he was in Bethania, in the house of Simon the leper, and was reclining to eat, a woman arrived having an alabaster container of ointment, of precious spikenard. And breaking open the alabaster container, she poured it over his head.
যীশু যখন বেথানিতে কুষ্ঠরোগী শিমোন নামে পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে আসনে হেলান দিয়ে বসেছিলেন, তখন একজন নারী, একটি শ্বেতস্ফটিকের পাত্রে বিশুদ্ধ জটামাংসীর নির্যাসে তৈরি বহুমূল্য সুগন্ধি তেল নিয়ে এল। সে পাত্রটি ভেঙে তাঁর মাথায় সেই সুগন্ধি তেল ঢেলে দিল।
4 But there were some who became indignant within themselves and who were saying: “What is the reason for this waste of the ointment?
উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ বিরক্তির স্বরে বলল, “সুগন্ধিদ্রব্যের এই অপচয় কেন?
5 For this ointment could have been sold for more than three hundred denarii and been given to the poor.” And they murmured against her.
এটি বিক্রি করে তো তিনশো দিনারেরও বেশি অর্থ পাওয়া যেত ও দরিদ্রদের দান করা যেত।” তারা রূঢ়ভাবে তাকে তিরস্কার করল।
6 But Jesus said: “Permit her. What is the reason that you trouble her? She has done a good deed for me.
যীশু বললেন, “ওকে ছেড়ে দাও। তোমরা কেন ওকে উত্যক্ত করছ? ও আমার প্রতি এক অপূর্ব কাজ করেছে।
7 For the poor, you have with you always. And whenever you wish, you are able to do good to them. But you do not have me always.
দরিদ্রদের তোমরা সবসময়ই সঙ্গে পাবে, আর তোমরা চাইলে যে কোনো সময় তাদের সাহায্য করতে পারো। কিন্তু আমাকে তোমরা সবসময় পাবে না।
8 But she has done what she could. She has arrived in advance to anoint my body for burial.
সে তার সাধ্যমতোই কাজ করেছে। সে আগে থেকেই আমার শরীরে সুগন্ধিদ্রব্য ঢেলে দিয়ে আমার দেহকে সমাধির জন্য প্রস্তুত করেছে।
9 Amen I say to you, wherever this Gospel shall be preached throughout the entire world, the things she has done also shall be told, in memory of her.”
আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সমস্ত জগতে, যেখানেই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সে যা করেছে, স্মৃতির উদ্দেশে তার সেই কাজের কথাও বলা হবে।”
10 And Judas Iscariot, one of the twelve, went away, to the leaders of the priests, in order to betray him to them.
তখন সেই বারোজনের একজন, যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ যীশুকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধান যাজকদের কাছে গেল।
11 And they, upon hearing it, were gladdened. And they promised him that they would give him money. And he sought an opportune means by which he might betray him.
তারা একথা শুনে আনন্দিত হয়ে তাকে টাকা দিতে প্রতিশ্রুতি দিল। তাই সে তাঁকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগল।
12 And on the first day of Unleavened Bread, when they immolate the Passover, the disciples said to him, “Where do you want us to go and prepare for you to eat the Passover?”
খামিরবিহীন রুটির পর্বের প্রথম দিনে, যখন নিস্তারপর্বের মেষশাবক বলিদান করার প্রথা ছিল, যীশুর শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা কোথায় গিয়ে আপনার জন্য নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করব? আপনার ইচ্ছা কী?”
13 And he sent two of his disciples, and he said to them: “Go into the city. And you will meet a man carrying a pitcher of water; follow him.
তাই তিনি তাঁর দুজন শিষ্যকে এই বলে পাঠালেন, “তোমরা ওই নগরে যাও। সেখানে দেখবে, এক ব্যক্তি জলের একটি কলশি নিয়ে যাচ্ছে। তোমরা তাকে অনুসরণ কোরো।
14 And wherever he will have entered, say to the owner of the house, ‘The Teacher says: Where is my dining room, where I may eat the Passover with my disciples?’
যে বাড়িতে সে প্রবেশ করবে, সেই গৃহকর্তাকে তোমরা বোলো, ‘গুরুমহাশয় জানতে চান, অতিথিদের জন্য আমার সেই নির্দিষ্ট ঘরটি কোথায়, যেখানে আমি আমার শিষ্যদের নিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করতে পারি?’
15 And he will show you a large cenacle, fully furnished. And there, you shall prepare it for us.”
সে তোমাদের উপরতলায় একটি বড়ো ঘর দেখাবে। তা সুসজ্জিত ও প্রস্তুত অবস্থায় আছে। আমাদের জন্য সেখানেই সব আয়োজন কোরো।”
16 And his disciples departed and went into the city. And they found it just as he had told them. And they prepared the Passover.
সেই শিষ্যেরা বেরিয়ে পড়লেন। নগরে প্রবেশ করে যীশু তাঁদের যেমন বলেছিলেন, ঠিক তেমনই তাঁরা সবকিছু দেখতে পেলেন। তাই তাঁরা সেখানেই নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।
17 Then, when evening came, he arrived with the twelve.
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে, যীশু সেই বারোজনের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হলেন।
18 And while reclining and eating with them at table, Jesus said, “Amen I say to you, that one of you, who eats with me, will betray me.”
আসনে হেলান দিয়ে তাঁরা যখন আহার করছিলেন, তিনি বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে—সে আমারই সঙ্গে আহার করছে।”
19 But they began to be sorrowful and to say to him, one at a time: “Is it I?”
তাঁরা দুঃখিত হলেন এবং এক এক করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সে নিশ্চয়ই আমি নই?”
20 And he said to them: “It is one of the twelve, who dips his hand with me in the dish.
তিনি উত্তর দিলেন, “সে এই বারোজনের মধ্যেই একজন, যে আমার সঙ্গে খাবারের পাত্রে রুটি ডুবালো।
21 And indeed, the Son of man goes, just as it has been written of him. But woe to that man by whom the Son of man will be betrayed. It would be better for that man if he had never been born.”
মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যে রকম লেখা আছে, তেমনই তিনি চলে যাবেন, কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে, যে মনুষ্যপুত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে! তার জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভালো হত।”
22 And while eating with them, Jesus took bread. And blessing it, he broke it and gave it to them, and he said: “Take. This is my body.”
তাঁরা যখন আহার করছিলেন, যীশু রুটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও তা ভাঙলেন। আর তিনি তাঁর শিষ্যদের দিলেন ও বললেন, “তোমরা নাও; এ আমার শরীর।”
23 And having taken the chalice, giving thanks, he gave it to them. And they all drank from it.
তারপর তিনি পানপাত্রটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও তাঁদের সেটি দিলেন। তাঁরা সবাই তা থেকে পান করলেন।
24 And he said to them: “This is my blood of the new covenant, which shall be shed for many.
তিনি তাঁদের বললেন, “এ আমার রক্ত, নতুন নিয়মের রক্ত, যা অনেকের জন্য পাতিত হয়েছে।
25 Amen I say to you, that I will no longer drink from this fruit of the vine, until that day when I will drink it new in the kingdom of God.”
আমি তোমাদের সত্যি বলছি, ঈশ্বরের রাজ্যে আমি নতুন করে পান না করা পর্যন্ত দ্রাক্ষারস আর কখনও পান করব না।”
26 And having sung a hymn, they went out to the Mount of Olives.
পরে তাঁরা একটি গান করে সেখান থেকে বের হয়ে জলপাই পর্বতে গেলেন।
27 And Jesus said to them: “You will all fall away from me in this night. For it has been written: ‘I will strike the shepherd, and the sheep will be scattered.’
যীশু তাদের বললেন, “তোমরা সবাই আমাকে ছেড়ে যাবে, কারণ এরকম লেখা আছে: “‘আমি মেষপালককে আঘাত করব, এতে মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়বে।’
28 But after I have risen again, I will go before you to Galilee.”
কিন্তু আমি উত্থিত হলে পর, আমি তোমাদের আগেই গালীলে পৌঁছাব।”
29 Then Peter said to him, “Even if all will have fallen away from you, yet I will not.”
পিতর তাঁকে বললেন, “সবাই আপনাকে ছেড়ে গেলেও, আমি যাব না।”
30 And Jesus said to him, “Amen I say to you, that this day, in this night, before the rooster has uttered its voice twice, you will deny me three times.”
যীশু উত্তরে বললেন, “আমি তোমাকে সত্যিই বলছি, আজই—হ্যাঁ, আজ রাত্রিবেলায়—দু-বার মোরগ ডাকার আগেই, তুমি আমাকে তিনবার অস্বীকার করবে।”
31 But he spoke further, “Even if I must die along with you, I will not deny you.” And they all spoke similarly also.
কিন্তু পিতর আরও জোরের সঙ্গে বললেন, “আপনার সঙ্গে যদি আমাকে মৃত্যুবরণও করতে হয়, তাহলেও আমি আপনাকে কখনোই অস্বীকার করব না।” আর বাকি সকলেও একই কথা বললেন।
32 And they went to a country estate, by the name of Gethsemani. And he said to his disciples, “Sit here, while I pray.”
পরে তাঁরা গেৎশিমানি নামে পরিচিত একটি স্থানে গেলেন। আর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “আমি যখন প্রার্থনা করি, তোমরা এখানে বসে থাকো।”
33 And he took Peter, and James, and John with him. And he began to be afraid and wearied.
তিনি পিতর, যাকোব ও যোহনকে তাঁর সঙ্গে নিলেন এবং গভীর মর্মবেদনাগ্রস্ত ও উৎকণ্ঠিত হয়ে উঠলেন।
34 And he said to them: “My soul is sorrowful, even unto death. Remain here and be vigilant.”
তিনি তাঁদের বললেন, “আমার প্রাণ মৃত্যু পর্যন্ত দুঃখার্ত হয়েছে। তোমরা এখানে থাকো, এবং জেগে থাকো।”
35 And when he had proceeded on a little ways, he fell prostrate on the ground. And he prayed that, if it were possible, the hour might pass away from him.
আরও কিছু দূর এগিয়ে গিয়ে, তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রার্থনা করলেন, যেন সম্ভব হলে সেই লগ্ন তাঁর কাছ থেকে দূর করা হয়।
36 And he said: “Abba, Father, all things are possible to you. Take this chalice from me. But let it be, not as I will, but as you will.”
তিনি বললেন, “আব্বা, পিতা, তোমার পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব। এই পানপাত্র আমার কাছ থেকে সরিয়ে নাও। তবুও আমার ইচ্ছা অনুযায়ী নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছা অনুযায়ী হোক।”
37 And he went and found them sleeping. And he said to Peter: “Simon, are you sleeping? Were you not able to be vigilant for one hour?
তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে এসে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি পিতরকে বললেন, “শিমোন, তুমি কি ঘুমিয়ে পড়েছ? তুমি এক ঘণ্টাও জেগে থাকতে পারলে না?
38 Watch and pray, so that you may not enter into temptation. The spirit indeed is willing, but the flesh is weak.”
জেগে থাকো ও প্রার্থনা করো, যেন প্রলোভনে না পড়ো। আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল।”
39 And going away again, he prayed, saying the same words.
আর একবার তিনি দূরে গিয়ে সেই একই প্রার্থনা করলেন।
40 And upon returning, he found them sleeping yet again, (for their eyes were heavy) and they did not know how to respond to him.
যখন তিনি ফিরে এলেন, তিনি আবার তাঁদের ঘুমাতে দেখলেন, কারণ তাঁদের চোখের পাতা ভারী হয়ে উঠেছিল। তাঁরা তাঁকে কী বলবেন, বুঝতে পারলেন না।
41 And he arrived for the third time, and he said to them: “Sleep now, and take rest. It is enough. The hour has arrived. Behold, the Son of man will be betrayed into the hands of sinners.
তৃতীয়বার তিনি ফিরে এসে তাঁদের বললেন, “তোমরা কি এখনও ঘুমিয়ে আছ ও বিশ্রাম করছ? যথেষ্ট হয়েছে! সময় হয়েছে। দেখো, মনুষ্যপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
42 Rise up, let us go. Behold, he who will betray me is near.”
ওঠো! চলো আমরা যাই! দেখো, আমার বিশ্বাসঘাতক এসে পড়েছে।”
43 And while he was still speaking, Judas Iscariot, one of the twelve, arrived, and with him was a large crowd with swords and clubs, sent from the leaders of the priests, and the scribes, and the elders.
তিনি তখনও কথা বলছেন, সেই সময় বারোজনের অন্যতম যিহূদা এসে উপস্থিত হল। তার সঙ্গে ছিল একদল সশস্ত্র লোক, তাদের হাতে ছিল তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা। প্রধান যাজকেরা, শাস্ত্রবিদরা ও লোকসমূহের প্রাচীনবর্গ তাদের পাঠিয়েছিল।
44 Now his betrayer had given them a sign, saying: “He whom I shall kiss, it is he. Take hold of him, and lead him away cautiously.”
সেই বিশ্বাসঘাতক তাদের এই সংকেত দিয়ে রেখেছিল, “যাকে আমি চুম্বন করব, সেই ওই ব্যক্তি; তাকে গ্রেপ্তার কোরো ও সতর্ক পাহারা দিয়ে নিয়ে যেয়ো।”
45 And when he had arrived, immediately drawing near to him, he said: “Hail, Master!” And he kissed him.
সেই মুহূর্তেই যীশুর কাছে গিয়ে যিহূদা বলল, “রব্বি!” আর তাঁকে চুম্বন করল।
46 But they laid hands on him and held him.
সেই লোকেরা যীশুকে ধরল ও তাঁকে গ্রেপ্তার করল।
47 Then a certain one of those standing near, drawing a sword, struck a servant of the high priest and cut off his ear.
যারা আশেপাশে দাঁড়িয়েছিল তাঁদের মধ্যে একজন তার তরোয়াল বের করে মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার একটি কান কেটে ফেলল।
48 And in response, Jesus said to them: “Have you set out to apprehend me, just as if to a robber, with swords and clubs?
যীশু বললেন, “আমি কি কোনও বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছি যে, তোমরা তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছ?
49 Daily, I was with you in the temple teaching, and you did not take hold of me. But in this way, the scriptures are fulfilled.”
প্রতিদিন আমি তোমাদের সঙ্গে থেকে মন্দির চত্বরে বসে শিক্ষা দিয়েছি, তখন তো তোমরা আমাকে গ্রেপ্তার করোনি। কিন্তু শাস্ত্রবাণী অবশ্যই পূর্ণ হতে হবে।”
50 Then his disciples, leaving him behind, all fled away.
তখন সকলে তাঁকে ত্যাগ করে পালিয়ে গেলেন।
51 Now a certain young man followed him, having nothing but a fine linen cloth over himself. And they took hold of him.
আর একজন যুবক, কোনো কিছু না-পরে, কেবলমাত্র একটি মসিনার কাপড় গায়ে জড়িয়ে যীশুকে অনুসরণ করছিল।
52 But he, rejecting the fine linen cloth, escaped from them naked.
তারা তাকে ধরলে, সে তার পোশাক ফেলে নগ্ন অবস্থাতেই পালিয়ে গেল।
53 And they led Jesus to the high priest. And all the priests and the scribes and the elders came together.
তারা যীশুকে মহাযাজকের কাছে নিয়ে গেল। আর সব প্রধান যাজকেরা, লোকদের প্রাচীনবর্গ ও শাস্ত্রবিদরা সমবেত হয়েছিল।
54 But Peter followed him from a distance, even into the court of the high priest. And he sat with the servants at the fire and warmed himself.
পিতর দূর থেকে তাঁকে অনুসরণ করে মহাযাজকের উঠান পর্যন্ত চলে গেলেন। সেখানে তিনি প্রহরীদের সঙ্গে বসে আগুন পোহাতে লাগলেন।
55 Yet truly, the leaders of the priests and the entire council sought testimony against Jesus, so that they might deliver him to death, and they found none.
প্রধান যাজকেরা ও সমস্ত মহাসভা যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজছিল, কিন্তু তারা সেরকম কিছুই পেল না।
56 For many spoke false testimony against him, but their testimony did not agree.
অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিল ঠিকই, কিন্তু তাদের সাক্ষ্যের মধ্যে কোনও মিল ছিল না।
57 And certain ones, rising up, bore false witness against him, saying:
তখন কয়েকজন উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা সাক্ষ্য দিল:
58 “For we heard him say, ‘I will destroy this temple, made with hands, and within three days I will build another, not made with hands.’”
“আমরা একে বলতে শুনেছি, ‘মানুষের তৈরি এই মন্দির আমি ধ্বংস করতে ও তিনদিনের মধ্যে আর একটি মন্দির নির্মাণ করতে পারি, যা মানুষের তৈরি নয়।’”
59 And their testimony did not agree.
তবুও, এই সাক্ষ্যের মধ্যেও কোনো মিল খুঁজে পাওয়া গেল না।
60 And the high priest, rising up in their midst, questioned Jesus, saying, “Do you have nothing to say in answer to the things that are brought against you by these ones?”
তখন মহাযাজক তাদের সামনে উঠে দাঁড়ালেন ও যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি উত্তর দেবে না? তোমার বিরুদ্ধে এরা যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ এনেছে, সেগুলি কী?”
61 But he was silent and gave no answer. Again, the high priest questioned him, and he said to him, “Are you the Christ, the Son of the Blessed God?”
যীশু তবুও নীরব রইলেন, কোনও উত্তর দিলেন না। মহাযাজক তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমিই কি সেই খ্রীষ্ট, পরমধন্য ঈশ্বরের পুত্র?”
62 Then Jesus said to him: “I am. And you shall see the Son of man sitting at the right hand of the power of God and arriving with the clouds of heaven.”
যীশু বললেন, “আমিই তিনি। আর তোমরা মনুষ্যপুত্রকে সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ডানদিকে বসে থাকতে ও স্বর্গের মেঘে করে আসতে দেখবে।”
63 Then the high priest, rending his garments, said: “Why do we still require witnesses?
তখন মহাযাজক তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেললেন। তিনি বললেন, “আমাদের আর সাক্ষ্য-প্রমাণের কী প্রয়োজন?
64 You have heard the blasphemy. How does it seem to you?” And they all condemned him, as guilty unto death.
তোমরা তো ঈশ্বরনিন্দা শুনলে। তোমাদের অভিমত কী?” তারা সবাই যীশুকে অপরাধী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার যোগ্য বলে রায় দিল।
65 And some began to spit on him, and to cover his face and to strike him with fists, and to say to him, “Prophesy.” And the servants struck him with the palms their hands.
তখন কেউ কেউ তাঁর গায়ে থুতু দিল, তারা তাঁর চোখ বেঁধে তাঁকে ঘুসি মারল ও বলল, “ভাববাণী বল!” আর প্রহরীরা তাঁকে নিয়ে গিয়ে প্রহার করতে লাগল।
66 And while Peter was in the court below, one of the maidservants of the high priest arrived.
পিতর যখন নিচে উঠানে ছিলেন, মহাযাজকের একজন দাসী তাঁর কাছে এল।
67 And when she had seen Peter warming himself, she stared at him, and she said: “You also were with Jesus of Nazareth.”
পিতরকে আগুন পোহাতে দেখে সে তাঁকে মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগল। সে বলল, “তুমিও ওই নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে।”
68 But he denied it, saying, “I neither know nor understand what you saying.” And he went outside, in front of the court; and a rooster crowed.
কিন্তু তিনি সেই কথা অস্বীকার করলেন। তিনি বললেন, “তুমি কী বলছ, তা আমি জানি না, বুঝতেও পারছি না।” এরপর তিনি প্রবেশদ্বারের দিকে চলে গেলেন, আর তক্ষুনি মোরগ ডেকে উঠল।
69 Then again, when a maidservant had seen him, she began to say to the bystanders, “For this is one of them.”
সেই দাসী তাঁকে সেখানে দেখে তাঁর চারপাশের লোকদের আবার বলল, “এই লোকটিও ওদেরই একজন!”
70 But he denied it again. And after a little while, again those standing near said to Peter: “In truth, you are one of them. For you, too, are a Galilean.”
তিনি আবার তা অস্বীকার করলেন। এর কিছুক্ষণ পরে, যারা পিতরের কাছে দাঁড়িয়েছিল, তারা বলল, “তুমি নিশ্চয় ওদেরই একজন, কারণ তুমি একজন গালীলীয়।”
71 Then he began to curse and to swear, saying, “For I do not know this man, about whom you are speaking.”
তিনি নিজেকে অভিশাপ দিতে লাগলেন ও তাদের কাছে শপথ করে বললেন, “যাঁর সম্পর্কে আপনারা বলছেন, তাঁকে আমি চিনি না।”
72 And immediately the rooster crowed again. And Peter remembered the word that Jesus had said to him, “Before the rooster crows twice, you will deny me three times.” And he began to weep.
সঙ্গে সঙ্গে মোরগ দ্বিতীয়বার ডেকে উঠল। তখন যীশু পিতরকে যে কথা বলেছিলেন, তাঁর তা মনে পড়ল: “মোরগ দু-বার ডাকার পূর্বে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।” তখন তিনি অত্যন্ত কান্নায় ভেঙে পড়লেন।
