< রূতের বিবরণ 3 >

1 একদিন রূতের শাশুড়ি নয়মী তাকে বলল, “বাছা আমার, আমি কি তোমার জন্য এমন একটি ঘর দেখব না যেখানে তোমার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুই তুমি পেতে পারবে?
εἶπεν δὲ αὐτῇ Νωεμιν ἡ πενθερὰ αὐτῆς θύγατερ οὐ μὴ ζητήσω σοι ἀνάπαυσιν ἵνα εὖ γένηταί σοι
2 বোয়স আমাদেরই পরিবারের লোক যাঁর দাসীদের সঙ্গে তুমি সারাদিন ছিলে। আজ রাতে তিনি খামারে যব ঝাড়াই করবেন।
καὶ νῦν οὐχὶ Βοος γνώριμος ἡμῶν οὗ ἦς μετὰ τῶν κορασίων αὐτοῦ ἰδοὺ αὐτὸς λικμᾷ τὸν ἅλωνα τῶν κριθῶν ταύτῃ τῇ νυκτί
3 তাই তেল মেখে চান করো ও গায়ে আতর লাগাও এবং তোমার সব থেকে সুন্দর কাপড়টি পরে নাও। তারপর খামারে নেমে যাও, কিন্তু সাবধান, যতক্ষণ না বোয়স খাবার খেয়ে জলপান করছেন, ততক্ষণ তিনি যেন জানতে না পারেন যে তুমি সেখানে আছ।
σὺ δὲ λούσῃ καὶ ἀλείψῃ καὶ περιθήσεις τὸν ἱματισμόν σου ἐπὶ σεαυτῇ καὶ ἀναβήσῃ ἐπὶ τὸν ἅλω μὴ γνωρισθῇς τῷ ἀνδρὶ ἕως οὗ συντελέσαι αὐτὸν πιεῖν καὶ φαγεῖν
4 যখন তিনি শুতে যাবেন, ভালো করে দেখবে তিনি কোথায় শুয়েছেন। ভিতরে গিয়ে তাঁর পায়ের চাদর সরিয়ে, তুমি তাঁর পায়ের তলায় শোবে। তখন তিনি তোমাকে কী করতে হবে তা বলে দেবেন।”
καὶ ἔσται ἐν τῷ κοιμηθῆναι αὐτόν καὶ γνώσῃ τὸν τόπον ὅπου κοιμᾶται ἐκεῖ καὶ ἐλεύσῃ καὶ ἀποκαλύψεις τὰ πρὸς ποδῶν αὐτοῦ καὶ κοιμηθήσῃ καὶ αὐτὸς ἀπαγγελεῖ σοι ἃ ποιήσεις
5 রূত তার শাশুড়িকে উত্তর দিল, “আপনি আমাকে যা কিছু বললেন আমি তাই করব।”
εἶπεν δὲ Ρουθ πρὸς αὐτήν πάντα ὅσα ἐὰν εἴπῃς ποιήσω
6 তাই রূত খামারে নেমে গেল এবং তার শাশুড়ির কথামতো সবকিছু করল।
καὶ κατέβη εἰς τὸν ἅλω καὶ ἐποίησεν κατὰ πάντα ὅσα ἐνετείλατο αὐτῇ ἡ πενθερὰ αὐτῆς
7 যখন বোয়স খাওয়াদাওয়া শেষ করে খামারের এক পাশে কোনাতে শুতে গেলেন, তাঁর মন খুব খুশি ছিল। পরে রূত চুপিচুপি খামারের ভিতরে এল। তারপর বোয়সের পায়ের চাদর সরিয়ে, তাঁর পায়ের তলায় শুয়ে পড়ল।
καὶ ἔφαγεν Βοος καὶ ἠγαθύνθη ἡ καρδία αὐτοῦ καὶ ἦλθεν κοιμηθῆναι ἐν μερίδι τῆς στοιβῆς ἡ δὲ ἦλθεν κρυφῇ καὶ ἀπεκάλυψεν τὰ πρὸς ποδῶν αὐτοῦ
8 গভীর রাতে যখন বোয়স পাশ ফিরলেন তিনি ভয়ে চমকে উঠলেন, তিনি দেখলেন যে একজন মহিলা তাঁর পায়ের তলায় শুয়ে আছে।
ἐγένετο δὲ ἐν τῷ μεσονυκτίῳ καὶ ἐξέστη ὁ ἀνὴρ καὶ ἐταράχθη καὶ ἰδοὺ γυνὴ κοιμᾶται πρὸς ποδῶν αὐτοῦ
9 বোয়স তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “কে তুমি?” সে উত্তর দিল, “আমি আপনার দাসী রূত, আপনার দাসীর উপর আপনার চাদর ঢেকে দিন। কারণ আপনি আমাদের পরিবারের একজন মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি।”
εἶπεν δέ τίς εἶ σύ ἡ δὲ εἶπεν ἐγώ εἰμι Ρουθ ἡ δούλη σου καὶ περιβαλεῖς τὸ πτερύγιόν σου ἐπὶ τὴν δούλην σου ὅτι ἀγχιστεὺς εἶ σύ
10 বোয়স বললেন, “বাছা আমার, সদাপ্রভু তোমাকে আশীর্বাদ করুন। ধনী বা দরিদ্র কোনও যুবকের পিছনে না গিয়ে তুমি প্রথমে যে দয়া দেখিয়েছিলে তার থেকে এই দয়াটি মহৎ।
καὶ εἶπεν Βοος εὐλογημένη σὺ τῷ κυρίῳ θεῷ θύγατερ ὅτι ἠγάθυνας τὸ ἔλεός σου τὸ ἔσχατον ὑπὲρ τὸ πρῶτον τὸ μὴ πορευθῆναί σε ὀπίσω νεανιῶν εἴτοι πτωχὸς εἴτοι πλούσιος
11 এখন বাছা আমার, ভয় কোরো না। তুমি যা বলবে আমি তোমার জন্য তাই করব। কারণ এই নগরের সবাই জানে যে তুমি আদর্শ চরিত্রবিশিষ্ট এক মহিলা।
καὶ νῦν θύγατερ μὴ φοβοῦ πάντα ὅσα ἐὰν εἴπῃς ποιήσω σοι οἶδεν γὰρ πᾶσα φυλὴ λαοῦ μου ὅτι γυνὴ δυνάμεως εἶ σύ
12 একথা সত্যি যে আমি তোমার মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি কিন্তু আমার থেকেও একজন আরও খুব কাছের মুক্তিকর্তা জ্ঞাতি এই নগরে আছেন।
καὶ ὅτι ἀληθῶς ἀγχιστεὺς ἐγώ εἰμι καί γε ἔστιν ἀγχιστεὺς ἐγγίων ὑπὲρ ἐμέ
13 আজ রাতটি এখানে কাটাও। সকালে আমি তাঁকে বলবো, যদি তিনি তোমাকে তাঁর নিজের করে গ্রহণ করেন তবে ভালো, কিন্তু তিনি যদি গ্রহণ না করেন তবে জীবিত সদাপ্রভুর নামে আমি তোমাকে আমার নিজের করে গ্রহণ করব! তাই সকাল পর্যন্ত এখানে শুয়ে থাকো।”
αὐλίσθητι τὴν νύκτα καὶ ἔσται τὸ πρωί ἐὰν ἀγχιστεύσῃ σε ἀγαθόν ἀγχιστευέτω ἐὰν δὲ μὴ βούληται ἀγχιστεῦσαί σε ἀγχιστεύσω σε ἐγώ ζῇ κύριος κοιμήθητι ἕως πρωί
14 তাই রূত সকাল পর্যন্ত বোয়সের পায়ের তলায় শুয়ে থাকল, কিন্তু যখন লোকে একে অপরকে চিনতে পারে সেই সময় খুব অন্ধকার থাকতে সে উঠল; কারণ বোয়স তাকে বলেছিলেন, “দেখো কেউ যেন জানতে না পারে যে একজন মহিলা খামারে এসেছিল।”
καὶ ἐκοιμήθη πρὸς ποδῶν αὐτοῦ ἕως πρωί ἡ δὲ ἀνέστη πρὸ τοῦ ἐπιγνῶναι ἄνδρα τὸν πλησίον αὐτοῦ καὶ εἶπεν Βοος μὴ γνωσθήτω ὅτι ἦλθεν γυνὴ εἰς τὸν ἅλωνα
15 তিনি আরও বললেন, “তোমার গায়ের শালটি আমার কাছে এনে মেলে ধরো।” সে তাই করল, বোয়স তাকে ছয় মান যব দিলেন। এরপর সে নগরে চলে গেল।
καὶ εἶπεν αὐτῇ φέρε τὸ περίζωμα τὸ ἐπάνω σου καὶ ἐκράτησεν αὐτό καὶ ἐμέτρησεν ἓξ κριθῶν καὶ ἐπέθηκεν ἐπ’ αὐτήν καὶ εἰσῆλθεν εἰς τὴν πόλιν
16 যখন রূত তার শাশুড়ির কাছে ফিরে এল, নয়মী তাকে জিজ্ঞাসা করল, “বাছা আমার, তোমার কী হল?” তখন রূত তার প্রতি যা কিছু ঘটেছিল, সব তার শাশুড়িকে বলল।
καὶ Ρουθ εἰσῆλθεν πρὸς τὴν πενθερὰν αὐτῆς ἡ δὲ εἶπεν τίς εἶ θύγατερ καὶ εἶπεν αὐτῇ πάντα ὅσα ἐποίησεν αὐτῇ ὁ ἀνήρ
17 রূত আরও বলল, “তিনি এই ছয় মান যব আমাকে দিয়ে বললেন, ‘তোমার শাশুড়ির কাছে খালি হাতে যেয়ো না।’”
καὶ εἶπεν αὐτῇ τὰ ἓξ τῶν κριθῶν ταῦτα ἔδωκέν μοι ὅτι εἶπεν πρός με μὴ εἰσέλθῃς κενὴ πρὸς τὴν πενθεράν σου
18 এরপর নয়মী তাকে বলল, “বাছা আমার, এবার তুমি অপেক্ষা করো আর দেখো কী হয়। কারণ যতক্ষণ না আজ কিছু স্থির হয়, তিনি আরাম করবেন না।”
ἡ δὲ εἶπεν κάθου θύγατερ ἕως τοῦ ἐπιγνῶναί σε πῶς οὐ πεσεῖται ῥῆμα οὐ γὰρ μὴ ἡσυχάσῃ ὁ ἀνήρ ἕως ἂν τελέσῃ τὸ ῥῆμα σήμερον

< রূতের বিবরণ 3 >