< হিতোপদেশ 17 >

1 যে ভোজবাড়িতে শত্রুতার পরিবেশ আছে সেখানকার চেয়ে শান্তি ও নিরূপদ্রব পরিবেশে এক মুঠি শুকনো খাবার ও ভালো। 2 বিচক্ষণ দাস মর্যাদাহানিকর ছেলের উপরে কর্তৃত্ব করবে ও পরিবারভুক্ত একজনের মতো সেও উত্তরাধিকারের অংশীদার হবে। 3 রুপোর জন্য গলনপাত্র ও সোনার জন্য হাপর, কিন্তু সদাপ্রভুই অন্তরের পরীক্ষা করেন। 4 দুষ্টলোক প্রতারণাপূর্ণ ঠোঁটের কথাই শোনে; মিথ্যাবাদী মানুষ ধ্বংসাত্মক জিভের কথায় মনোযোগ দেয়। 5 যে দরিদ্রদের উপহাস করে সে তাদের নির্মাতার প্রতিই অসম্মান দেখায়; যে বিপর্যয় দেখে আনন্দ পায় সে অদণ্ডিত থাকবে না। 6 নাতিপুতিরা বয়স্ক মানুষদের মুকুট, ও মা-বাবারা তাদের সন্তানদের গৌরব। 7 বাক্‌পটু ঠোঁট যদি মূর্খের পক্ষে অনুপযোগী— তবে একজন শাসকের পক্ষে মিথ্যাবাদী ঠোঁট কতই না বেশি মন্দ! 8 যারা ঘুস দেয় তাদের দৃষ্টিতে তা এক দামি মণিবিশেষ; তারা মনে করে প্রত্যেকটি বাঁক ধরেই সাফল্য আসবে। 9 যে ভালোবাসা লালনপালন করে সে অপরাধ ঢেকে রাখে, কিন্তু যে বারবার সেকথার পুনরাবৃত্তি করে সে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়। 10 একশো কশাঘাত মূর্খকে যত না প্রভাবিত করে ভর্ৎসনা বিচক্ষণ মানুষকে তার চেয়েও অনেক বেশি প্রভাবিত করে। 11 অনিষ্টকারীরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ লালনপালন করে; তাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদূত পাঠানো হবে। 12 মূর্খতার ভারে ন্যুব্জ মূর্খের সাথে দেখা হওয়ার চেয়ে বরং শাবক হারানো মাদি ভালুকের সম্মুখীন হওয়া ভালো। 13 যে মঙ্গলের প্রতিদানে অমঙ্গল ফিরিয়ে দেয় অমঙ্গল কখনোই তার বাড়িছাড়া হবে না। 14 বিবাদের সূত্রপাত হল বাঁধে ফাটল ধরার মতো বিষয়; অতএব বিতর্ক দানা বাঁধার আগেই বিষয়টিতে ইতি টানো। 15 দোষীকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া ও নির্দোষকে দোষী সাব্যস্ত করা— দুটি বিষয়কেই সদাপ্রভু ঘৃণা করেন। 16 প্রজ্ঞা কেনার জন্য মূর্খদের হাতে অর্থ থাকবে কেন, যখন তা বোঝার ক্ষমতাই তাদের নেই? 17 বন্ধু সবসময় ভালোবেসে যায়, ও দুর্দশা কালের জন্যই ভাই জন্ম নেয়। 18 বুদ্ধি-বিবেচনাহীন মানুষ জামিনদার হয়ে হাতে হাত মিলায় ও প্রতিবেশীর হয়ে বন্ধক রাখে। 19 যে বিবাদ ভালোবাসে সে পাপও ভালোবাসে; যে উঁচু দরজা নির্মাণ করে সে সর্বনাশ ডেকে আনে। 20 যার অন্তর দুর্নীতিগ্রস্ত সে উন্নতি লাভ করে না; যার জিভ কলুষিত সে বিপদে পড়ে। 21 মূর্খকে সন্তানরূপে লাভ করার অর্থ জীবনে বিষাদ নেমে আসা; মূর্খের মা-বাবার মনে আনন্দ থাকে না। 22 আনন্দিত হৃদয় ভালো ওষুধ, কিন্তু ভগ্নচূর্ণ আত্মা অস্থি শুকনো করে দেয়। 23 বিচারের গতিপথ বিকৃত করার জন্য দুষ্টেরা গোপনে ঘুস নেয়। 24 বিচক্ষণ মানুষ প্রজ্ঞাকে সামনে রেখে চলে, কিন্তু মূর্খের দৃষ্টি পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ায়। 25 মূর্খ ছেলে তার বাবার জীবনে বিষাদ ও যে মা তাকে জন্ম দিয়েছে তার জীবনে তিক্ততা উৎপন্ন করে। 26 নির্দোষ লোকের জরিমানা করা যদি ভালো কাজ না হয়, তবে সৎ কর্মকর্তাদের কশাঘাত করাও নিশ্চয় ঠিক নয়। 27 যার জ্ঞান আছে সে সংযমী হয়ে শব্দ ব্যবহার করে, ও যার বুদ্ধি-বিবেচনা আছে সে মেজাজের রাশ নিয়ন্ত্রণে রাখে। 28 মূর্খরাও যদি নীরবতা বজায় রাখে তবে তাদের জ্ঞানবান বলে মনে করা হয়, ও যদি তারা তাদের জিভ নিয়ন্ত্রণে রাখে তবে তাদের বিচক্ষণ বলে মনে করা হয়।

< হিতোপদেশ 17 >