< হিতোপদেশ 16 >

1 মানুষ মনে মনে অনেক পরিকল্পনা করে, কিন্তু জিভের সঠিক উত্তর সদাপ্রভুর কাছ থেকেই আসে। 2 মানুষের সব পথ তাদের দৃষ্টিতে বিশুদ্ধ বলেই মনে হয়, কিন্তু অভিসন্ধি সদাপ্রভুই মেপে রাখেন। 3 তোমার কাজের ভার সদাপ্রভুর হাতে সমর্পণ করো, ও তিনি তোমার পরিকল্পনাগুলি সফল করবেন। 4 সদাপ্রভু সবকিছু সঠিক লক্ষ্য সামনে রেখেই করেন— দুষ্টদের জন্যও বিপর্যয়ের দিন স্থির করে রাখেন। 5 গর্বিতমনা সব লোককে সদাপ্রভু ঘৃণা করেন। নিশ্চিত জেনে রাখো: তারা অদণ্ডিত থাকবে না। 6 ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততার মাধ্যমেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়; সদাপ্রভুর ভয়ের মাধ্যমেই অমঙ্গল এড়ানো যায়। 7 সদাপ্রভু যখন কোনও মানুষের জীবনযাত্রার ধরন দেখে খুশি হন, তখন তিনি তাদের শত্রুদেরও তাদের সঙ্গে সন্ধি করতে বাধ্য করেন। 8 অন্যায় পথে প্রচুর লাভ করার চেয়ে ধার্মিকতার সঙ্গে সামান্য কিছু পাওয়া ভালো। 9 মানুষ মনে মনে তাদের গতিপথের বিষয়ে পরিকল্পনা করে, কিন্তু সদাপ্রভুই তাদের পদক্ষেপ স্থির করেন। 10 রাজা ঠোঁট দিয়ে যা বলেন তা এক ঐশ্বরিক বাণীর সমতুল্য, ও তাঁর মুখ সুবিচারের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে না। 11 খাঁটি দাঁড়িপাল্লা ও নিক্তি সদাপ্রভুরই অধীনে থাকে; থলির সব বাটখারা তাঁর দ্বারাই নির্মিত। 12 রাজারা অন্যায়াচরণ ঘৃণা করেন, কারণ ধার্মিকতা দ্বারাই সিংহাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। 13 সততাপরায়ণ ঠোঁট রাজাদের পক্ষে আনন্দজনক; যে সঠিক কথাবার্তা বলে তারা তার কদর করেন। 14 রাজার ক্রোধ এক মৃত্যুদূত, কিন্তু জ্ঞানবান তা শান্ত করবে। 15 যখন রাজার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হয়, তখন তার অর্থ জীবন; তাঁর অনুগ্রহ বসন্তকালের সজল মেঘের মতো। 16 সোনার চেয়ে প্রজ্ঞা লাভ করা কতই না ভালো, রুপোর পরিবর্তে দূরদর্শিতা অর্জন করা শ্রেয়! 17 ন্যায়পরায়ণদের রাজপথ অমঙ্গল এড়িয়ে যায়; যারা তাদের জীবনযাত্রার ধরন সুরক্ষিত রাখে তারা তাদের প্রাণ বাঁচায়। 18 অহংকার বিনাশের আগে আগে যায়, পতনের সামনেই থাকে উদ্ধত মনোভাব। 19 অহংকারীদের সঙ্গে লুন্ঠিত সামগ্রীর অংশীদার হওয়ার চেয়ে নিপীড়িতদের সঙ্গে নম্র মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকা ভালো। 20 যে শিক্ষায় মনোযোগ দেয় সে উন্নতি লাভ করে, ও ধন্য সে, যে সদাপ্রভুতে নির্ভর করে। 21 যারা অন্তরে জ্ঞানবান তারা বিচক্ষণ বলে পরিচিত হয়, ও সহৃদয় কথাবার্তা শিক্ষাবর্ধন করে। 22 বিচক্ষণদের কাছে বিচক্ষণতাই জীবনের উৎস, কিন্তু মূর্খতা মূর্খদের কাছে দণ্ড এনে উপস্থিত করে। 23 জ্ঞানবানদের অন্তর তাদের মুখগুলিকে বিচক্ষণ করে তোলে, ও তাদের ঠোঁটগুলি শিক্ষাবর্ধন করে। 24 সহৃদয় কথাবার্তা মৌচাকের মতো, তা প্রাণের পক্ষে মিষ্টিমধুর ও অস্থির পক্ষে আরোগ্যদায়ক। 25 একটি পথ আছে যা সঠিক বলে মনে হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। 26 শ্রমিকদের খোরাক তাদের হয়ে কাজ করে; তাদের খিদেই তাদের চালিয়ে নিয়ে যায়। 27 নীচমনা লোকেরা অনিষ্টের চক্রান্ত করে, ও তাদের মুখে যেন জ্বলন্ত আগুন থাকে। 28 বিকৃতমনা লোক বিবাদ বাধায়, ও পরনিন্দা পরচর্চা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদেরও বিচ্ছিন্ন করে দেয়। 29 হিংসাত্মক লোকেরা তাদের প্রতিবেশীদের প্রলুব্ধ করে, ও তাদের এমন এক পথে নিয়ে যায় যা ভালো নয়। 30 যারা চোখ দিয়ে ইশারা করে তারা নষ্টামির চক্রান্ত করছে; যারা তাদের ঠোঁট বাঁকায় তাদের মধ্যে ক্ষতিসাধনের প্রবণতা আছে। 31 পাকা চুল প্রভার মুকুট; ধার্মিকতার পথে চলেই তা অর্জন করা যায়। 32 যোদ্ধার চেয়ে একজন ধৈর্যশীল মানুষ হওয়া ভালো, যে নগর জয় করে তার চেয়ে আত্মসংযমী মানুষ হওয়া ভালো। 33 গুটিকাপাতের দান কোলেই চালা হয়, কিন্তু তার প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত আসে সদাপ্রভুর কাছ থেকেই।

< হিতোপদেশ 16 >