লুক 8
1 এরপর যীশু ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার ঘোষণা করতে করতে বিভিন্ন গ্রাম ও নগর পরিক্রমা করতে লাগলেন। সেই বারোজন প্রেরিতশিষ্যও তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
| و بعد از آن واقع شد که او در هر شهری ودهی گشته، موعظه می‌نمود و به ملکوت خدا بشارت می‌داد و آن دوازده با وی می‌بودند. | ۱ |
2 মন্দ-আত্মা ও বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থতা লাভ করেছিলেন, এমন আরও কয়েকজন মহিলা তাদের সহযাত্রী হয়েছিলেন। তারা হলেন সেই মরিয়ম (মাগ্দালাবাসী নামে আখ্যাত), যার মধ্যে থেকে যীশু সাতটি ভূত তাড়িয়ে ছিলেন,
| و زنان چند که از ارواح پلید و مرضها شفا یافته بودند، یعنی مریم معروف به مجدلیه که از اوهفت دیو بیرون رفته بودند، | ۲ |
3 হেরোদের গৃহস্থালীর প্রধান ব্যবস্থাপক কূষের স্ত্রী যোহান্না, শোশন্না এবং আরও অনেকে। এই মহিলারা আপন আপন সম্পত্তি থেকে তাঁদের পরিচর্যা করতেন।
| و یونا زوجه خوزا، ناظر هیرودیس و سوسن و بسیاری از زنان دیگرکه از اموال خود او را خدمت می‌کردند. | ۳ |
4 যখন অনেক লোক সমবেত হচ্ছিল এবং বিভিন্ন নগর থেকে লোকেরা যীশুর কাছে আসছিল, তিনি তাদের এই রূপক কাহিনিটি বললেন:
| و چون گروهی بسیار فراهم می‌شدند و از هرشهر نزد او می‌آمدند مثلی آورده، گفت | ۴ |
5 “একজন কৃষক তার বীজবপন করতে গেল। সে যখন বীজ ছড়াচ্ছিল, কিছু বীজ পথের ধারে পড়ল; সেগুলি পায়ের তলায় মাড়িয়ে গেল, আর পাখিরা এসে তা খেয়ে ফেলল।
| که «برزگری بجهت تخم کاشتن بیرون رفت. و وقتی که تخم می‌کاشت بعضی بر کناره راه ریخته شد وپایمال شده، مرغان هوا آن را خوردند. | ۵ |
6 কতগুলি বীজ পড়ল পাথুরে জমিতে। সেগুলির অঙ্কুরোদ্গম হল, কিন্তু রস না থাকায় চারাগুলি শুকিয়ে গেল।
| وپاره‌ای بر سنگلاخ افتاده چون رویید از آنجهت که رطوبتی نداشت خشک گردید. | ۶ |
7 কিছু বীজ পড়ল কাঁটাঝোপের মধ্যে। কাঁটাঝোপ চারাগাছের সঙ্গেই বেড়ে উঠে তাদের ঢেকে ফেলল।
| و قدری درمیان خارها افکنده شد که خارها با آن نمو کرده آن را خفه نمود. | ۷ |
8 আবার কিছু বীজ পড়ল উৎকৃষ্ট জমিতে, সেখানে গাছগুলি বেড়ে উঠে যা বপন করা হয়েছিল, তার শতগুণ ফসল উৎপন্ন করল।” একথা বলার পর তিনি উচ্চকণ্ঠে বললেন, “যার শোনবার কান আছে, সে শুনুক।”
| و بعضی در زمین نیکو پاشیده شده رویید و صد چندان ثمر آورد.» چون این بگفت ندا در‌داد «هر‌که گوش شنوا دارد بشنود.» | ۸ |
9 তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে এই রূপকের অর্থ জিজ্ঞাসা করলেন।
| پس شاگردانش از او سوال نموده، گفتند که «معنی‌این مثل چیست؟» | ۹ |
10 তিনি বললেন, “ঈশ্বরের রাজ্যের নিগূঢ়তত্ত্ব তোমাদেরই কাছে ব্যক্ত হয়েছে, কিন্তু অন্যদের কাছে আমি রূপকের আশ্রয়ে কথা বলি যেন, “‘দেখেও তারা দেখতে না পায়, আর শুনেও তারা বুঝতে না পায়।’
| گفت: «شما رادانستن اسرار ملکوت خدا عطا شده است و لیکن دیگران را به واسطه مثلها، تا نگریسته نبینند وشنیده درک نکنند. | ۱۰ |
11 “এই রূপকের অর্থ হল এরকম: সেই বীজ ঈশ্বরের বাক্য।
| اما مثل این است که تخم کلام خداست. | ۱۱ |
12 পথের উপর পতিত বীজ হল এমন কিছু লোক, যারা বাক্য শোনে, আর পরে দিয়াবল এসে তাদের অন্তর থেকে বাক্য হরণ করে, যেন তারা বিশ্বাস করতে না পারে ও পরিত্রাণ না পায়।
| و آنانی که در کنار راه هستندکسانی می‌باشند که چون می‌شنوند، فور ابلیس آمده کلام را از دلهای ایشان می‌رباید، مبادا ایمان آورده نجات یابند. | ۱۲ |
13 পাথুরে জমির উপরে পতিত বীজ হল তারাই, যারা ঈশ্বরের বাক্য শোনামাত্র সানন্দে গ্রহণ করে, কিন্তু মূল না থাকায় তাদের বিশ্বাস ক্ষণস্থায়ী হয়, কিন্তু পরীক্ষার সময় তারা বিপথগামী হয়।
| و آنانی که بر سنگلاخ هستند کسانی می‌باشند که چون کلام رامی شنوند آن را به شادی می‌پذیرند و اینها ریشه ندارند پس تا مدتی ایمان می‌دارند و در وقت آزمایش، مرتد می‌شوند. | ۱۳ |
14 কাঁটাঝোপের মধ্যে পতিত বীজ তারা, যারা বাক্য শোনে, কিন্তু জীবনে চলার পথে বিভিন্ন দুশ্চিন্তা, ধনসম্পত্তি ও বিলাসিতায় ব্যাহত হয়ে পরিপক্ব হতে পারে না।
| اما آنچه در خارهاافتاد اشخاصی می‌باشند که چون شنوند می‌روند و اندیشه های روزگار و دولت و لذات آن ایشان راخفه می‌کند و هیچ میوه به‌کمال نمی رسانند. | ۱۴ |
15 কিন্তু উৎকৃষ্ট জমিতে পতিত বীজ তারাই, যারা উদার ও শুদ্ধচিত্ত, তারা বাক্য শুনে তা আঁকড়ে থাকে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে প্রচুর শস্য উৎপন্ন করে।
| اما آنچه در زمین نیکو واقع گشت کسانی می‌باشند که کلام را به دل راست و نیکو شنیده، آن را نگاه می‌دارند و با صبر، ثمر می‌آورند. | ۱۵ |
16 “প্রদীপ জ্বেলে কেউ পাত্রের মধ্যে লুকিয়ে রাখে না, বা খাটের নিচেও রেখে দেয় না। বরং প্রদীপটিকে সে একটি বাতিদানের উপরেই রেখে দেয়, যেন যারা ভিতরে প্রবেশ করে, তারা আলো দেখতে পায়।
| «و هیچ‌کس چراغ را افروخته، آن را زیرظرفی یا تختی پنهان نمی کند بلکه بر چراغدان می‌گذارد تا هر‌که داخل شود روشنی را ببیند. | ۱۶ |
17 কারণ গুপ্ত এমন কিছুই নেই, যা জানা যাবে না, বা প্রকাশ্যে উদ্ঘাটিত হবে না।
| زیرا چیزی نهان نیست که ظاهر نگردد و نه مستور که معلوم و هویدا نشود. | ۱۷ |
18 কাজেই কীভাবে শুনছ, সে বিষয়ে সতর্ক থেকো। যার আছে, তাকে আরও দেওয়া হবে; যার নেই, এমনকি, কিছু আছে বলে যদি সে মনে করে, তাও তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে।”
| پس احتیاطنمایید که به چه طور می‌شنوید، زیرا هر‌که داردبدو داده خواهد شد و از آنکه ندارد آنچه گمان هم می‌برد که دارد، از او گرفته خواهد شد.» | ۱۸ |
19 এরপর যীশুর মা ও ভাইয়েরা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন, কিন্তু ভিড়ের জন্য তাঁরা তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারলেন না।
| و مادر وبرادران او نزد وی آمده به‌سبب ازدحام خلق نتوانستند او را ملاقات کنند. | ۱۹ |
20 এক ব্যক্তি তাঁকে বলল, “আপনার মা ও ভাইয়েরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন, আপনার সঙ্গে দেখা করতে চান।”
| پس او را خبر داده گفتند: «مادر و برادرانت بیرون ایستاده می‌خواهند تو را ببینند.» | ۲۰ |
21 তিনি উত্তর দিলেন, “যারা ঈশ্বরের বাক্য শুনে সেইমতো কাজ করে, তারাই আমার মা ও ভাই।”
| در جواب ایشان گفت: «مادر و برادران من اینانند که کلام خدا را شنیده آن را به‌جا می‌آورند.» | ۲۱ |
22 একদিন যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, “চলো আমরা সাগরের ওপারে যাই।” এতে তারা একটি নৌকায় উঠে বসে যাত্রা করলেন।
| روزی از روزها او با شاگردان خود به کشتی سوار شده، به ایشان گفت: «به سوی آن کناردریاچه عبور بکنیم.» پس کشتی را حرکت دادند. | ۲۲ |
23 তাঁরা নৌকা চালানো শুরু করলে তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। এমন সময় সাগরে প্রচণ্ড ঝড় উঠল, নৌকা জলে ভর্তি হতে লাগল। তাঁরা এক ভয়ংকর বিপদের সম্মুখীন হলেন।
| و چون می‌رفتند، خواب او را در ربود که ناگاه طوفان باد بر دریاچه فرود آمد، بحدی که کشتی از آب پر می‌شد و ایشان در خطر افتادند. | ۲۳ |
24 শিষ্যেরা কাছে গিয়ে তাঁকে জাগালেন, “প্রভু, প্রভু, আমরা যে ডুবতে বসেছি!” তিনি উঠে বাতাস ও উত্তাল জলরাশিকে ধমক দিলেন, ঝড় থেমে গেল। সবকিছু শান্ত হল।
| پس نزد او آمده او را بیدار کرده، گفتند: «استادا، استادا، هلاک می‌شویم.» پس برخاسته باد وتلاطم آب را نهیب داد تا ساکن گشت و آرامی پدید آمد. | ۲۴ |
25 তিনি তাঁর শিষ্যদের বললেন, “তোমাদের বিশ্বাস কোথায় গেল?” ভয়ে ও বিস্ময়ে তাঁরা পরস্পর বলাবলি করলেন, “ইনি তাহলে কে, যিনি বাতাস ও জলকে আদেশ দেন, ও তারা তাঁর কথা মেনে চলে?”
| پس به ایشان گفت: «ایمان شما کجااست؟» ایشان ترسان و متعجب شده با یکدیگرمی گفتند که «این چطور آدمی است که بادها وآب را هم امر می‌فرماید و اطاعت او می‌کنند.» | ۲۵ |
26 পরে তাঁরা গেরাসেনী অঞ্চলে পৌঁছালেন। সেই স্থানটি গালীল সাগরের অপর পারে অবস্থিত।
| و به زمین جدریان که مقابل جلیل است، رسیدند. | ۲۶ |
27 যীশু তীরে নামবার সঙ্গে সঙ্গেই নগরের এক মন্দ-আত্মাগ্রস্ত ব্যক্তির সাক্ষাৎ পেলেন। বহুদিন ধরে এই লোকটি বিনা কাপড়ে উলঙ্গ হয়ে থাকত, বাড়িতে বসবাস করত না। সে থাকত কবরস্থানে।
| چون به خشکی فرود آمد، ناگاه شخصی از آن شهر‌که از مدت مدیدی دیوهاداشتی و رخت نپوشیدی و در خانه نماندی بلکه در قبرها منزل داشتی دچار وی گردید. | ۲۷ |
28 সে যীশুকে দেখে চিৎকার করে উঠল এবং তাঁর পায়ে লুটিয়ে পড়ে উচ্চস্বরে বলল, “পরাৎপর ঈশ্বরের পুত্র যীশু, আপনি আমাকে নিয়ে কী করতে চান? আমি আপনার কাছে মিনতি করি, আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না!”
| چون عیسی را دید، نعره زد و پیش او افتاده به آواز بلندگفت: «ای عیسی پسر خدای تعالی، مرا با تو چه‌کار است؟ از تو التماس دارم که مرا عذاب ندهی.» | ۲۸ |
29 কারণ লোকটির মধ্য থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যীশু সেই অশুচি আত্মাকে আদেশ দিয়েছিলেন। বারবার সে তার উপর ভর করত। লোকটির হাতে-পায়ে শিকল দিয়ে সতর্ক পাহারা রাখা হলেও, সে তার শিকল ছিঁড়ে ফেলত, আর ভূত তাকে তাড়িয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যেত।
| زیرا که روح خبیث را امر فرموده بودکه از آن شخص بیرون آید. چونکه بارها او راگرفته بود، چنانکه هر‌چند او را به زنجیرها وکنده‌ها بسته نگاه می‌داشتند، بندها را می‌گسیخت و دیو او را به صحرا می‌راند. | ۲۹ |
30 যীশু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার নাম কী?” “বাহিনী,” সে উত্তর দিল, কারণ বহু ভূত তার মধ্যে প্রবেশ করেছিল।
| عیسی از اوپرسیده، گفت: «نام تو چیست؟» گفت: «لجئون.» زیرا که دیوهای بسیار داخل او شده بودند. | ۳۰ |
| واز او استدعا کردند که ایشان را نفرماید که به هاویه روند. (Abyssos g12) | ۳۱ |
32 সেখানে পাহাড়ের গায়ে বিশাল একপাল শূকর চরে বেড়াচ্ছিল। ভূতেরা শূকরদের মধ্যে প্রবেশ করার অনুমতি প্রার্থনা করে যীশুকে অনুনয় করল। তিনি তাদের অনুমতি দিলেন।
| و در آن نزدیکی گله گراز بسیاری بودند که در کوه می‌چریدند. پس از او خواهش نمودند که بدیشان اجازت دهد تا در آنها داخل شوند. پس ایشان را اجازت داد. | ۳۲ |
33 ভূতেরা লোকটির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে সেই শূকরপালের মধ্যে প্রবেশ করল। শূকরের পাল পাহাড়ের খাড়া ঢাল বেয়ে ছুটে গিয়ে হ্রদে পড়ে ডুবে গেল।
| ناگاه دیوها از آن آدم بیرون شده، داخل گرازان گشتند که آن گله ازبلندی به دریاچه جسته، خفه شدند. | ۳۳ |
34 যারা শূকর চরাচ্ছিল, তারা এই ঘটনাটি দেখে দৌড়ে পালিয়ে গেল ও নগরে ও গ্রামাঞ্চলে গিয়ে এই সংবাদ দিল।
| چون گرازبانان ماجرا را دیدند فرار کردند و در شهر واراضی آن شهرت دادند. | ۳۴ |
35 কী ঘটেছে দেখবার জন্য লোকেরা বাইরে এল। যীশুর কাছে উপস্থিত হয়ে তারা দেখতে পেল, সেই লোকটি ভূতের কবলমুক্ত হয়ে পোশাক পরে সুস্থ মনে যীশুর পায়ের কাছে বসে আছে। এই দেখে তারা ভয় পেয়ে গেল।
| پس مردم بیرون آمده تا آن واقعه را ببینندنزد عیسی رسیدند و چون آدمی را که از او دیوهابیرون رفته بودند، دیدند که نزد پایهای عیسی رخت پوشیده و عاقل گشته نشسته است ترسیدند. | ۳۵ |
36 প্রত্যক্ষদর্শীরা সেই ভূতগ্রস্ত ব্যক্তিটি কীভাবে সুস্থ হয়েছে, তা সকলকে বলতে লাগল।
| و آنانی که این را دیده بودند ایشان راخبر دادند که آن دیوانه چطور شفا یافته بود. | ۳۶ |
37 তখন গেরাসেনী অঞ্চলের লোকেরা ভয় পেয়ে তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য যীশুকে অনুরোধ করল। যীশু তখন নৌকায় উঠে চলে গেলেন।
| پس تمام خلق مرزوبوم جدریان از او خواهش نمودند که از نزد ایشان روانه شود، زیرا خوفی شدید بر ایشان مستولی شده بود. پس او به کشتی سوار شده مراجعت نمود. | ۳۷ |
38 যে লোকটির মধ্য থেকে ভূতেরা বেরিয়ে এসেছিল, সে তাঁর সঙ্গী হওয়ার জন্য যীশুকে অনুনয় করতে লাগল। কিন্তু যীশু তাকে ফিরিয়ে দিলেন,
| اما آن شخصی که دیوها از وی بیرون رفته بودند از او درخواست کرد که با وی باشد. لیکن عیسی او را روانه فرموده، گفت: | ۳۸ |
39 বললেন, “তুমি বাড়ি ফিরে যাও, আর লোকদের গিয়ে বলো, ঈশ্বর তোমার জন্য কী করেছেন।” তাই লোকটি চলে গেল, আর যীশু তার জন্য যা করেছেন, সেকথা নগরের সর্বত্র বলে বেড়াতে লাগল।
| «به خانه خود برگرد و آنچه خدا با تو کرده است حکایت کن.» پس رفته درتمام شهر از آنچه عیسی بدو نموده بود موعظه کرد. | ۳۹ |
40 যীশু ফিরে আসার পর লোকেরা তাঁকে স্বাগত জানাল, কারণ তারা তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল।
| و چون عیسی مراجعت کرد خلق او راپذیرفتند زیرا جمیع مردم چشم به راه اومی داشتند. | ۴۰ |
41 সেই সময়, যায়ীর নামে এক ব্যক্তি এসে যীশুর পায়ে লুটিয়ে পড়লেন; তিনি ছিলেন সমাজভবনের একজন অধ্যক্ষ। তাঁর বাড়িতে আসার জন্য তিনি তাঁকে মিনতি করলেন।
| که ناگاه مردی، یایرس نام که رئیس کنیسه بود به پایهای عیسی افتاده، به اوالتماس نمود که به خانه او بیاید. | ۴۱ |
42 কারণ তাঁর একমাত্র মেয়ে তখন ছিল মৃত্যুশয্যায়, যার বয়স ছিল প্রায় বারো বছর। যীশু যখন পথ চলছিলেন, মানুষের ভিড়ে তাঁর চাপা পড়ার উপক্রম হল।
| زیرا که او رادختر یگانه‌ای قریب به دوازده ساله بود که مشرف بر موت بود. و چون می‌رفت خلق بر اوازدحام می‌نمودند. | ۴۲ |
43 সেখানে এক নারী ছিল, যে বারো বছর ধরে রক্তস্রাবের ব্যাধিতে ভুগছিল। সে চিকিৎসকদের পিছনে তার সর্বস্ব ব্যয় করেছিল, কিন্তু কেউ তাকে সুস্থ করতে পারেনি।
| ناگاه زنی که مدت دوازده سال به استحاضه مبتلا بود و تمام مایملک خود را صرف اطبانموده و هیچ‌کس نمی توانست او را شفا دهد، | ۴۳ |
44 নারী ভিড়ের মধ্যে যীশুর পিছনে এসে তাঁর পোশাকের আঁচল স্পর্শ করল এবং সঙ্গে সঙ্গে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে গেল।
| از پشت سر وی آمده، دامن ردای او را لمس نمود که در ساعت جریان خونش ایستاد. | ۴۴ |
45 যীশু জিজ্ঞাসা করলেন, “কে আমাকে স্পর্শ করল?” তারা সবাই অস্বীকার করলে, পিতর বললেন, “প্রভু, লোকেরা ভিড় করে যে আপনার উপরে চেপে পড়ছে!”
| پس عیسی گفت: «کیست که مرا لمس نمود.» چون همه انکار کردند، پطرس و رفقایش گفتند: «ای استاد مردم هجوم آورده بر تو ازدحام می‌کنند ومی گویی کیست که مرا لمس نمود؟» | ۴۵ |
46 কিন্তু যীশু বললেন, “কেউ একজন আমাকে স্পর্শ করেছে, কারণ আমি বুঝতে পেরেছি যে, আমার ভিতর থেকে শক্তি নির্গত হয়েছে।”
| عیسی گفت: «البته کسی مرا لمس نموده است، زیرا که من درک کردم که قوتی از من بیرون شد.» | ۴۶ |
47 সেই নারী যখন দেখল যে এই বিষয়টি গোপন রাখা সম্ভব নয়, তখন সে কাঁপতে কাঁপতে এগিয়ে এসে যীশুর পায়ে লুটিয়ে পড়ল। সে সমস্ত লোকের সাক্ষাতে বলল, কেন সে তাঁকে স্পর্শ করেছিল এবং কীভাবে, সেই মুহূর্তেই সে সুস্থ হয়েছিল।
| چون آن زن دید که نمی تواند پنهان ماند، لرزان شده، آمد و نزد وی افتاده پیش همه مردم گفت که به چه سبب او را لمس نمود و چگونه فور شفا یافت. | ۴۷ |
48 তখন তিনি তাকে বললেন, “কন্যা, তোমার বিশ্বাসই তোমাকে সুস্থ করেছে। শান্তিতে ফিরে যাও।”
| وی را گفت: «ای دختر خاطرجمع دار، ایمانت تو را شفا داده است، به سلامتی برو.» | ۴۸ |
49 যীশু তখনও কথা বলছেন, এমন সময় সমাজভবনের অধ্যক্ষ যায়ীরের বাড়ি থেকে একজন এসে উপস্থিত হল। সে বলল, “আপনার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আর গুরুমহাশয়কে বিব্রত করবেন না।”
| و این سخن هنوز بر زبان او بود که یکی ازخانه رئیس کنیسه آمده به وی گفت: «دخترت مرد. دیگر استاد را زحمت مده.» | ۴۹ |
50 একথা শুনে যীশু যায়ীরকে বললেন, “ভয় পেয়ো না, শুধু বিশ্বাস করো, সে সুস্থ হয়ে যাবে।”
| چون عیسی این را شنید توجه نموده به وی گفت: «ترسان مباش، ایمان آور و بس که شفا خواهد یافت.» | ۵۰ |
51 তিনি যায়ীরের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পিতর, যোহন ও যাকোব এবং মেয়েটির বাবা-মা ছাড়া আর কাউকে তাঁর সঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করতে দিলেন না।
| و چون داخل خانه شد، جز پطرس و یوحنا ویعقوب و پدر و مادر دختر هیچ‌کس را نگذاشت که به اندرون آید. | ۵۱ |
52 সেই সময়, সমস্ত লোক মেয়েটির জন্য শোক ও বিলাপ করছিল। যীশু বললেন, “তোমাদের বিলাপ বন্ধ করো। সে মারা যায়নি, ঘুমিয়ে আছে মাত্র।”
| و چون همه برای او گریه وزاری می‌کردند او گفت: «گریان مباشید نمرده بلکه خفته است.» | ۵۲ |
53 তারা জানত, মেয়েটি মারা গেছে, তাই তারা যীশুকে উপহাস করল।
| پس به او استهزا کردندچونکه می‌دانستند که مرده است. | ۵۳ |
54 কিন্তু যীশু মেয়েটির হাত ধরে বললেন, “খুকুমণি, ওঠো!”
| پس او همه را بیرون کرد و دست دختر را گرفته صدا زد وگفت: «ای دختر برخیز.» | ۵۴ |
55 তখন তার আত্মা ফিরে এল এবং সে তখনই উঠে দাঁড়াল। তখন যীশু তাদের বললেন মেয়েটিকে কিছু খেতে দিতে।
| و روح او برگشت وفور برخاست. پس عیسی فرمود تا به وی خوراک دهند. | ۵۵ |
56 তার বাবা-মা ভীষণ অবাক হয়ে গেল। কিন্তু তিনি এই ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে তাদের নিষেধ করে দিলেন।
| و پدر و مادر او حیران شدند. پس ایشان را فرمود که هیچ‌کس را از این ماجراخبر ندهند. | ۵۶ |
