< যিরমিয়ের বই 49 >

1 অম্মোনীয়দের সম্পর্কে: সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “ইস্রায়েলের কি কোনো পুত্র নেই? তার কি কোনো উত্তরাধিকারী নেই? তাহলে মোলক-দেবতা কেন গাদের এলাকা হস্তগত করেছে? কেন তার লোকেরা এর নগরগুলিতে বসবাস করে?
καὶ προσῆλθον πάντες οἱ ἡγεμόνες τῆς δυνάμεως καὶ Ιωαναν καὶ Αζαριας υἱὸς Μαασαιου καὶ πᾶς ὁ λαὸς ἀπὸ μικροῦ ἕως μεγάλου
2 কিন্তু সেই দিনগুলি আসছে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যখন অম্মোনীয়দের রব্বা নগরের বিরুদ্ধে আমি রণহুঙ্কার শোনাব; তা তখন এক ধ্বংসস্তূপ হবে, আর চারপাশের গ্রামগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে। তখন ইস্রায়েল তাদের তাড়িয়ে দেবে, একদিন যারা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
πρὸς Ιερεμιαν τὸν προφήτην καὶ εἶπαν αὐτῷ πεσέτω δὴ τὸ ἔλεος ἡμῶν κατὰ πρόσωπόν σου καὶ πρόσευξαι πρὸς κύριον τὸν θεόν σου περὶ τῶν καταλοίπων τούτων ὅτι κατελείφθημεν ὀλίγοι ἀπὸ πολλῶν καθὼς οἱ ὀφθαλμοί σου βλέπουσιν
3 “হে হিষ্‌বোন, বিলাপ করো, কারণ অয় নগর ধ্বংস হল! ওহে রব্বার অধিবাসীরা, তোমরা হাহাকার করো! শোকবস্ত্র পরে তোমরা শোকপ্রকাশ করো; প্রাচীরগুলির ভিতরে এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করো, কারণ মোলক-দেবতা তার যাজক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাসনে যাবে।
καὶ ἀναγγειλάτω ἡμῖν κύριος ὁ θεός σου τὴν ὁδόν ᾗ πορευσόμεθα ἐν αὐτῇ καὶ λόγον ὃν ποιήσομεν
4 কেন তোমরা তোমাদের উপত্যকাগুলির জন্য, তোমাদের উর্বর উপত্যকাগুলির জন্য গর্ব করো? হে অবিশ্বস্ত অম্মোন কন্যা, তুমি তোমার ঐশ্বর্যে নির্ভর করে বলো, ‘কে আমাকে আক্রমণ করবে?’
καὶ εἶπεν αὐτοῖς Ιερεμιας ἤκουσα ἰδοὺ ἐγὼ προσεύξομαι πρὸς κύριον τὸν θεὸν ἡμῶν κατὰ τοὺς λόγους ὑμῶν καὶ ἔσται ὁ λόγος ὃν ἂν ἀποκριθήσεται κύριος ἀναγγελῶ ὑμῖν οὐ μὴ κρύψω ἀφ’ ὑμῶν ῥῆμα
5 তোমার চারপাশে যারা আছে, তাদের কাছ থেকে আমি তোমার উপরে আতঙ্ক সৃষ্টি করব,” প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “তোমাদের সবাইকেই তাড়িয়ে দেওয়া হবে, কেউই আর পলাতকদের সংগ্রহ করবে না।
καὶ αὐτοὶ εἶπαν τῷ Ιερεμια ἔστω κύριος ἐν ἡμῖν εἰς μάρτυρα δίκαιον καὶ πιστόν εἰ μὴ κατὰ πάντα τὸν λόγον ὃν ἂν ἀποστείλῃ σε κύριος πρὸς ἡμᾶς οὕτως ποιήσομεν
6 “তবুও পরবর্তী সময়ে, আমি অম্মোনীয়দের দুর্দশার পরিবর্তন করব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
καὶ ἐὰν ἀγαθὸν καὶ ἐὰν κακόν τὴν φωνὴν κυρίου τοῦ θεοῦ ἡμῶν οὗ ἡμεῖς ἀποστέλλομέν σε πρὸς αὐτόν ἀκουσόμεθα ἵνα βέλτιον ἡμῖν γένηται ὅτι ἀκουσόμεθα τῆς φωνῆς κυρίου τοῦ θεοῦ ἡμῶν
7 ইদোম সম্পর্কে: বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “তৈমনে কি আর প্রজ্ঞা নেই? বিচক্ষণেরা কি পরামর্শ দেওয়া শেষ করেছেন? তাদের প্রজ্ঞা কি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে?
καὶ ἐγενήθη μετὰ δέκα ἡμέρας ἐγενήθη λόγος κυρίου πρὸς Ιερεμιαν
8 তোমরা যারা দদানে বসবাস করো, পিছন ফিরে পালাও, গভীর গুহায় গিয়ে লুকাও, কারণ আমি এষৌকে শাস্তি দেওয়ার সময়, তার কুলে বিপর্যয় নিয়ে আসব।
καὶ ἐκάλεσεν τὸν Ιωαναν καὶ τοὺς ἡγεμόνας τῆς δυνάμεως καὶ πάντα τὸν λαὸν ἀπὸ μικροῦ ἕως μεγάλου
9 যদি আঙুর চয়নকারীরা তোমার কাছে আসত, তারা কি কয়েকটি আঙুর রেখে যেত না? যদি চোরেরা রাত্রিবেলা আসত, তাদের যতটা প্রয়োজন, তারা ততটাই কি চুরি করত না?
καὶ εἶπεν αὐτοῖς οὕτως εἶπεν κύριος
10 আমি কিন্তু এষৌর এলাকা জনমানবহীন করব; আমি তার লুকানোর জায়গাগুলি প্রকাশ করে দেব, যেন সে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে না পারে। তার সহযোগীরা ও প্রতিবেশীরা এবং তার সশস্ত্র পুরুষেরা বিনষ্ট হবে, আর তার বিষয় বলার আর কেউ থাকবে না।
ἐὰν καθίσαντες καθίσητε ἐν τῇ γῇ ταύτῃ οἰκοδομήσω ὑμᾶς καὶ οὐ μὴ καθέλω καὶ φυτεύσω ὑμᾶς καὶ οὐ μὴ ἐκτίλω ὅτι ἀναπέπαυμαι ἐπὶ τοῖς κακοῖς οἷς ἐποίησα ὑμῖν
11 ‘তোমার অনাথ ছেলেমেয়েদের ছেড়ে যাও; আমি তাদের প্রাণরক্ষা করব। তোমার বিধবারাও আমার উপরে নির্ভর করতে পারে।’”
μὴ φοβηθῆτε ἀπὸ προσώπου βασιλέως Βαβυλῶνος οὗ ὑμεῖς φοβεῖσθε ἀπὸ προσώπου αὐτοῦ μὴ φοβηθῆτε φησὶν κύριος ὅτι μεθ’ ὑμῶν ἐγώ εἰμι τοῦ ἐξαιρεῖσθαι ὑμᾶς καὶ σῴζειν ὑμᾶς ἐκ χειρὸς αὐτοῦ
12 সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “যদি নির্দোষ মানুষরা কষ্টভোগ করে, তাহলে তোমরা অবশ্যই আরও কত না কষ্টভোগ করবে? বিচারদণ্ডের এই পেয়ালা তোমাদের নিশ্চয়ই পান করতে হবে।”
καὶ δώσω ὑμῖν ἔλεος καὶ ἐλεήσω ὑμᾶς καὶ ἐπιστρέψω ὑμᾶς εἰς τὴν γῆν ὑμῶν
13 সদাপ্রভু বলেন, “আমি নিজের নামেই শপথ করে বলছি, বস্রা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। তা হবে বিভীষিকার, দুর্নামের ও অভিশাপের আস্পদ। এর সব নগর চিরকালের জন্য ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকবে।”
καὶ εἰ λέγετε ὑμεῖς οὐ μὴ καθίσωμεν ἐν τῇ γῇ ταύτῃ πρὸς τὸ μὴ ἀκοῦσαι φωνῆς κυρίου
14 আমি সদাপ্রভুর কাছ থেকে এক বাক্য শুনেছি: জাতিগুলির কাছে এক দূত একথা বলার জন্য প্রেরিত হয়েছে, “ইদোমের বিরুদ্ধে এক মিত্রবাহিনী গড়ে তোলো! তোমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও!”
ὅτι εἰς γῆν Αἰγύπτου εἰσελευσόμεθα καὶ οὐ μὴ ἴδωμεν πόλεμον καὶ φωνὴν σάλπιγγος οὐ μὴ ἀκούσωμεν καὶ ἐν ἄρτοις οὐ μὴ πεινάσωμεν καὶ ἐκεῖ οἰκήσομεν
15 “এবার আমি তোমাকে সব জাতির মধ্যে ক্ষুদ্র করব, তুমি মানবসমাজে অবজ্ঞাত হবে।
διὰ τοῦτο ἀκούσατε λόγον κυρίου οὕτως εἶπεν κύριος ἐὰν ὑμεῖς δῶτε τὸ πρόσωπον ὑμῶν εἰς Αἴγυπτον καὶ εἰσέλθητε ἐκεῖ κατοικεῖν
16 তুমি যে বড়ো বড়ো পাথরের ফাটলে বসবাস করো, তোমরা যারা পাহাড়ের উঁচু উঁচু স্থানের অধিকারী, তোমরা অন্যদের মধ্যে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে থাকো সেই কারণে ও তোমার অহংকারের জন্য, তুমি নিজেই প্রতারিত হয়েছ। যদিও তুমি ঈগলের মতো অনেক উঁচুতে তোমার বাসস্থান নির্মাণ করো, সেখান থেকে আমি তোমাকে নামিয়ে আনব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
καὶ ἔσται ἡ ῥομφαία ἣν ὑμεῖς φοβεῖσθε ἀπὸ προσώπου αὐτῆς εὑρήσει ὑμᾶς ἐν γῇ Αἰγύπτου καὶ ὁ λιμός οὗ ὑμεῖς λόγον ἔχετε ἀπὸ προσώπου αὐτοῦ καταλήμψεται ὑμᾶς ὀπίσω ὑμῶν ἐν Αἰγύπτῳ καὶ ἐκεῖ ἀποθανεῖσθε
17 “ইদোম হবে এক বিভীষিকার পাত্র; যারাই তার পাশ দিয়ে যাবে, তারা তার ক্ষতসকলের জন্য বিস্মিত হয়ে তার নিন্দা করবে।
καὶ ἔσονται πάντες οἱ ἄνθρωποι καὶ πάντες οἱ ἀλλογενεῖς οἱ θέντες τὸ πρόσωπον αὐτῶν εἰς γῆν Αἰγύπτου ἐνοικεῖν ἐκεῖ ἐκλείψουσιν ἐν τῇ ῥομφαίᾳ καὶ ἐν τῷ λιμῷ καὶ οὐκ ἔσται αὐτῶν οὐθεὶς σῳζόμενος ἀπὸ τῶν κακῶν ὧν ἐγὼ ἐπάγω ἐπ’ αὐτούς
18 যেমন সদোম ও ঘমোরা তাদের চারপাশের নগরগুলি সমেত উৎপাটিত হয়েছিল,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “সেইরকম, ইদোমেও কেউ বেঁচে থাকবে না, কোনো মানুষই সেখানে বসবাস করবে না।
ὅτι οὕτως εἶπεν κύριος καθὼς ἔσταξεν ὁ θυμός μου ἐπὶ τοὺς κατοικοῦντας Ιερουσαλημ οὕτως στάξει ὁ θυμός μου ἐφ’ ὑμᾶς εἰσελθόντων ὑμῶν εἰς Αἴγυπτον καὶ ἔσεσθε εἰς ἄβατον καὶ ὑποχείριοι καὶ εἰς ἀρὰν καὶ εἰς ὀνειδισμὸν καὶ οὐ μὴ ἴδητε οὐκέτι τὸν τόπον τοῦτον
19 “জর্ডনের জঙ্গলের মধ্য থেকে সিংহের মতো সে সমৃদ্ধ চারণভূমির উপরে আসবে। আমি ইদোমকে এক নিমেষে তারই দেশে তাড়া করব, কে সেই মনোনীত জন যাকে আমি তার উপরে নিযুক্ত করব? আমার মতো আর কে আছে? কে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে? কোনো মেষপালক আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে?”
ἃ ἐλάλησεν κύριος ἐφ’ ὑμᾶς τοὺς καταλοίπους Ιουδα μὴ εἰσέλθητε εἰς Αἴγυπτον καὶ νῦν γνόντες γνώσεσθε
20 সেই কারণে শোনো, সদাপ্রভু ইদোমের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা করেছেন, যারা তৈমনে বসবাস করে, তাদের জন্য তাঁর অভিপ্রায় কী: পালের শাবকদের টেনে নিয়ে যাওয়া হবে; তাদের কারণেই তিনি তাদের চারণভূমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে।
ὅτι ἐπονηρεύσασθε ἐν ψυχαῖς ὑμῶν ἀποστείλαντές με λέγοντες πρόσευξαι περὶ ἡμῶν πρὸς κύριον καὶ κατὰ πάντα ἃ ἐὰν λαλήσῃ σοι κύριος ποιήσομεν
21 তাদের পতনের কারণে সমস্ত পৃথিবী কম্পিত হবে; তাদের কান্না লোহিত সাগর পর্যন্ত প্রতিধ্বনিত হবে।
καὶ οὐκ ἠκούσατε τῆς φωνῆς κυρίου ἧς ἀπέστειλέν με πρὸς ὑμᾶς
22 দেখো! একটি ঈগল উঁচুতে উড়বে ও চকিতে আক্রমণ হানবে, সে তার ডানা বস্রার উপরে মেলে ধরবে। সেদিন, ইদোমের যোদ্ধাদের হৃদয়, প্রসববেদনাগ্রস্ত স্ত্রীর হৃদয়ের মতো হবে।
καὶ νῦν ἐν ῥομφαίᾳ καὶ ἐν λιμῷ ἐκλείψετε ἐν τῷ τόπῳ οὗ ὑμεῖς βούλεσθε εἰσελθεῖν κατοικεῖν ἐκεῖ
23 দামাস্কাস সম্পর্কে: “হমাৎ ও অর্পদ ভয়ে ব্যাকুল হয়েছে, কারণ তারা মন্দ সংবাদ শুনেছে। তারা হতাশ হয়েছে, অশান্ত সমুদ্রের মতো তারা অধীর হয়েছে।
24 দামাস্কাস অক্ষম হয়েছে, সে পিছন ফিরে পালিয়েছে কারণ আতঙ্ক তাকে ঘিরে ধরেছে; মনস্তাপ ও মর্মবেদনায় সে আচ্ছন্ন হয়েছে যেমন কোনো প্রসববেদনাগ্রস্ত নারী হয়।
25 সুখ্যাতিপূর্ণ এই নগর, যে আমার আনন্দের কারণস্বরূপ, কেন এ পরিত্যক্ত হয়নি?
26 নিশ্চয়ই, তার যুবকেরা পথে পথে পড়ে থাকবে, সেদিন তার সব সৈন্য নিথর পড়ে থাকবে,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
27 “আমি দামাস্কাসের সব প্রাচীরে আগুন লাগাব; তা বিন্‌হদদের দুর্গগুলিকে গ্রাস করবে।”
28 ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার যাদের আক্রমণ করেছিলেন, সেই কেদর ও হাৎসোরের রাজ্যগুলি সম্পর্কে: সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “ওঠো, ও কেদরকে আক্রমণ করো এবং পূর্বদিকের সব লোককে ধ্বংস করো।
29 তাদের তাঁবুগুলি ও তাদের পশুপাল হরণ করা হবে; তাদের সব জিনিসপত্র ও উটগুলি সমেত তারা তাদের সঙ্গে নিয়ে যাবে। লোকেরা চিৎকার করে তাদের বলবে, ‘চারদিকেই ভয়ের পরিবেশ!’
30 “তাড়াতাড়ি পালিয়ে যাও! হাৎসোরে বসবাসকারী তোমরা দুর্গম গুহাগুলিতে গিয়ে থাকো,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে; সে তোমার বিরুদ্ধে এক পরিকল্পনা রচনা করেছে।
31 “ওঠো ও সেই নিশ্চিন্ত জাতিকে আক্রমণ করো, যে নির্ভয়ে বসবাস করে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “সেই জাতির নগরে কোনো ফটক নেই, অর্গলও নেই, তার লোকেরা নিরিবিলিতে বসবাস করে।
32 তাদের উটগুলি হবে লুটের বস্তু, তাদের বিশাল পশুপাল লুট করা হবে। দূরবর্তী স্থানে থাকা লোকেদের আমি চারপাশে ছড়িয়ে দেব, সবদিক থেকে আমি তাদের উপরে বিপর্যয় নিয়ে আসব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
33 “হাৎসোর হবে শিয়ালদের বাসস্থান, চিরকালের জন্য পরিত্যক্ত এক স্থান। কেউ সেখানে থাকবে না; কোনো মানুষই সেখানে বসবাস করবে না।”
34 যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের প্রথমদিকে, এলম সম্পর্কে সদাপ্রভুর এই বাক্য ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে উপস্থিত হল।
35 সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “দেখো, আমি এলমের শক্তির মুখ্য অবলম্বন, তাদের ধনুক ভেঙে ফেলব।
36 আমি আকাশমণ্ডলের চার প্রান্ত থেকে এলমের বিরুদ্ধে চার বায়ু প্রেরণ করব; আমি চার বায়ুর উদ্দেশে তাদের ছড়িয়ে ফেলব, এমন কোনো জাতি থাকবে না, যেখানে এলমের নির্বাসিত কেউ যাবে না।
37 আমি এলমের শত্রুদের সামনে, যারা তাদের প্রাণনাশ করতে চায়, তাদের সামনে আমি তাদের চূর্ণ করব; আমি তাদের উপরে বিপর্যয়, এমনকি, আমার ভয়ংকর ক্রোধ বর্ষণ করব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “আমি তরোয়াল নিয়ে তাদের পিছনে তাড়া করে যাব, যতক্ষণ না আমি তাদের শেষ করে দিই।
38 আমি এলমে আমার সিংহাসন স্থাপন করব, তাদের রাজা ও সব কর্মচারীকে ধ্বংস করব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
39 “তবুও, ভবিষ্যৎকালে আমি এলমের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।

< যিরমিয়ের বই 49 >