< ইষ্টের বিবরণ 5 >

1 তৃতীয় দিনে ইষ্টের রাজকীয় পোশাক পরে রাজার ঘরের সামনে রাজবাড়ির ভিতরের দরবারে গিয়ে দাঁড়ালেন। রাজা দরজার দিকে মুখ করে সিংহাসনে বসেছিলেন।
καὶ ἐγενήθη ἐν τῇ ἡμέρᾳ τῇ τρίτῃ ὡς ἐπαύσατο προσευχομένη ἐξεδύσατο τὰ ἱμάτια τῆς θεραπείας καὶ περιεβάλετο τὴν δόξαν αὐτῆς καὶ εἰσελθοῦσα πάσας τὰς θύρας κατέστη ἐνώπιον τοῦ βασιλέως καὶ αὐτὸς ἐκάθητο ἐπὶ τοῦ θρόνου τῆς βασιλείας αὐτοῦ
2 তিনি রানি ইষ্টেরকে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাঁর উপর খুশি হয়ে তাঁর হাতের সোনার রাজদণ্ডটি তাঁর দিকে বাড়িয়ে দিলেন। তখন ইষ্টের এগিয়ে গিয়ে সেই রাজদণ্ডটির আগাটি ছুঁলেন।
καὶ ἄρας τὴν χρυσῆν ῥάβδον ἐπέθηκεν ἐπὶ τὸν τράχηλον αὐτῆς καὶ ἠσπάσατο αὐτὴν καὶ εἶπεν λάλησόν μοι
3 রাজা জিজ্ঞাসা করলেন, “রানি ইষ্টের কি ব্যাপার? তুমি কি চাও? সাম্রাজ্যের অর্ধেকটা হলেও তোমাকে দেওয়া হবে।”
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεύς τί θέλεις Εσθηρ καὶ τί σού ἐστιν τὸ ἀξίωμα ἕως τοῦ ἡμίσους τῆς βασιλείας μου καὶ ἔσται σοι
4 উত্তরে ইষ্টের বললেন, “মহারাজ যদি ভালো মনে করেন তবে আপনার জন্য আজ আমি যে ভোজ প্রস্তুত করেছি তাতে মহারাজ ও হামন যেন উপস্থিত হন।”
εἶπεν δὲ Εσθηρ ἡμέρα μου ἐπίσημος σήμερόν ἐστιν εἰ οὖν δοκεῖ τῷ βασιλεῖ ἐλθάτω καὶ αὐτὸς καὶ Αμαν εἰς τὴν δοχήν ἣν ποιήσω σήμερον
5 তখন রাজা বললেন, “ইষ্টেরের কথামতো যেন কাজ হয়, সেইজন্য হামনকে নিয়ে এসো।” পরে ইষ্টের যে ভোজ প্রস্তুত করেছিলেন তাতে রাজা ও হামন যোগ দিলেন।
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεύς κατασπεύσατε Αμαν ὅπως ποιήσωμεν τὸν λόγον Εσθηρ καὶ παραγίνονται ἀμφότεροι εἰς τὴν δοχήν ἣν εἶπεν Εσθηρ
6 তারা যখন দ্রাক্ষারস পান করছিলেন তখন রাজা আবার ইষ্টেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি চাও? তোমাকে তা দেওয়া হবে। যদি সাম্রাজ্যের অর্ধেকও হয় তোমাকে দেওয়া হবে।”
ἐν δὲ τῷ πότῳ εἶπεν ὁ βασιλεὺς πρὸς Εσθηρ τί ἐστιν βασίλισσα Εσθηρ καὶ ἔσται σοι ὅσα ἀξιοῖς
7 উত্তরে ইষ্টের বললেন, “আমার অনুরোধ ও ইচ্ছা এই;
καὶ εἶπεν τὸ αἴτημά μου καὶ τὸ ἀξίωμά μου
8 মহারাজ যদি আমাকে দয়ার চোখে দেখেন ও আমার অনুরোধ রাখতে চান এবং আমার ইচ্ছা পূরণ করতে চান তবে আগামীকাল আমি যে ভোজ প্রস্তুত করব তাতে মহারাজা ও হামন যেন আসেন। তখন আমি মহারাজের প্রশ্নের উত্তর দেব।”
εἰ εὗρον χάριν ἐνώπιον τοῦ βασιλέως ἐλθάτω ὁ βασιλεὺς καὶ Αμαν ἐπὶ τὴν αὔριον εἰς τὴν δοχήν ἣν ποιήσω αὐτοῖς καὶ αὔριον ποιήσω τὰ αὐτά
9 সেদিন হামন খুশি হয়ে আনন্দিত মনে বাইরে গেল। কিন্তু সে যখন মর্দখয়কে রাজবাড়ির দ্বারে দেখল আর লক্ষ করল যে মর্দখয় তাকে দেখে উঠে দাঁড়ালেন না কিংবা আর কোনও সম্মানও দেখালেন না তখন মর্দখয়ের উপর তার রাগ হল।
καὶ ἐξῆλθεν ὁ Αμαν ἀπὸ τοῦ βασιλέως ὑπερχαρὴς εὐφραινόμενος ἐν δὲ τῷ ἰδεῖν Αμαν Μαρδοχαῖον τὸν Ιουδαῖον ἐν τῇ αὐλῇ ἐθυμώθη σφόδρα
10 তবুও হামন রাগ সংযত করে বাড়ি চলে গেল। বাড়িতে গিয়ে সে তার বন্ধুদের ও তার স্ত্রী সেরশকে ডেকে আনল।
καὶ εἰσελθὼν εἰς τὰ ἴδια ἐκάλεσεν τοὺς φίλους καὶ Ζωσαραν τὴν γυναῖκα αὐτοῦ
11 তারপর সে তাদের কাছে তার বিশাল ধনসম্পদের, তার ছেলেদের সংখ্যার কথা, এবং রাজা কেমন সব বিষয়ে তাকে উঁচু পদের লোকদের ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপরে বসিয়েছেন সেইসব কথা গর্ব করে বলতে লাগল।
καὶ ὑπέδειξεν αὐτοῖς τὸν πλοῦτον αὐτοῦ καὶ τὴν δόξαν ἣν ὁ βασιλεὺς αὐτῷ περιέθηκεν καὶ ὡς ἐποίησεν αὐτὸν πρωτεύειν καὶ ἡγεῖσθαι τῆς βασιλείας
12 হামন আরও বলল, “কেবল তাই নয়,” রানি ইষ্টের যে ভোজ প্রস্তুত করেছিলেন তাতে আমি ছাড়া আর কাউকে রাজার সঙ্গে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। আবার তিনি কালকেও রাজার সঙ্গে আমাকে নিমন্ত্রণ করেছেন।
καὶ εἶπεν Αμαν οὐ κέκληκεν ἡ βασίλισσα μετὰ τοῦ βασιλέως οὐδένα εἰς τὴν δοχὴν ἀλλ’ ἢ ἐμέ καὶ εἰς τὴν αὔριον κέκλημαι
13 কিন্তু যখনই ওই ইহুদি মর্দখয়কে রাজবাড়ির দ্বারে বসে থাকতে দেখি তখন এই সবেতেও আমাকে কোনও শান্তি দেয় না।
καὶ ταῦτά μοι οὐκ ἀρέσκει ὅταν ἴδω Μαρδοχαῖον τὸν Ιουδαῖον ἐν τῇ αὐλῇ
14 তখন তার স্ত্রী সেরশ ও সমস্ত বন্ধুরা তাকে বলল, “তুমি পচাত্তর ফুট উঁচু একটি ফাঁসিকাঠ তৈরি করাও এবং সকালে রাজার অনুমতি নিয়ে মর্দখয়কে তার উপর ফাঁসি দেবার ব্যবস্থা করো। তারপর খুশি হয়ে রাজার সঙ্গে ভোজে যাও।” এই পরামর্শ হামনকে খুশি করল এবং সে ফাঁসিকাঠ তৈরি করাল।
καὶ εἶπεν πρὸς αὐτὸν Ζωσαρα ἡ γυνὴ αὐτοῦ καὶ οἱ φίλοι κοπήτω σοι ξύλον πηχῶν πεντήκοντα ὄρθρου δὲ εἰπὸν τῷ βασιλεῖ καὶ κρεμασθήτω Μαρδοχαῖος ἐπὶ τοῦ ξύλου σὺ δὲ εἴσελθε εἰς τὴν δοχὴν σὺν τῷ βασιλεῖ καὶ εὐφραίνου καὶ ἤρεσεν τὸ ῥῆμα τῷ Αμαν καὶ ἡτοιμάσθη τὸ ξύλον

< ইষ্টের বিবরণ 5 >