উপদেশক 4

1 পরে আমি তাকালাম আর দেখলাম সূর্যের নিচে যেসব অত্যাচার হয় আমি নিপীড়িতদের চোখের জল দেখলাম— আর তাদের কোনো সান্ত্বনাকারী নেই; সমস্ত ক্ষমতা তাদের নিপীড়নকারীদের পক্ষে— আর তাদের কোনো সান্ত্বনাকারী নেই।

καὶ ἐπέστρεψα ἐγὼ καὶ εἶδον σὺν πάσας τὰς συκοφαντίας τὰς γινομένας ὑπὸ τὸν ἥλιον καὶ ἰδοὺ δάκρυον τῶν συκοφαντουμένων καὶ οὐκ ἔστιν αὐτοῖς παρακαλῶν καὶ ἀπὸ χειρὸς συκοφαντούντων αὐτοὺς ἰσχύς καὶ οὐκ ἔστιν αὐτοῖς παρακαλῶν

2 এবং আমি ঘোষণা করলাম যে মৃতেরা, যারা আগেই মারা গেছে, তারা জীবিতদের থেকে আনন্দে আছে, যারা এখনও জীবিত।

καὶ ἐπῄνεσα ἐγὼ σὺν τοὺς τεθνηκότας τοὺς ἤδη ἀποθανόντας ὑπὲρ τοὺς ζῶντας ὅσοι αὐτοὶ ζῶσιν ἕως τοῦ νῦν

3 কিন্তু উভয়ের চেয়েও ভালো হল যার এখনও জন্ম হয়নি, যে কখনও মন্দ দেখেনি যা কিছু সূর্যের নিচে করা হয়।

καὶ ἀγαθὸς ὑπὲρ τοὺς δύο τούτους ὅστις οὔπω ἐγένετο ὃς οὐκ εἶδεν σὺν τὸ ποίημα τὸ πονηρὸν τὸ πεποιημένον ὑπὸ τὸν ἥλιον

4 আর আমি দেখলাম একজনের প্রতি হিংসার দরুনই মানুষ সব পরিশ্রম করে এবং সফলতা লাভ করে। এটাও অসার, কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো।

καὶ εἶδον ἐγὼ σὺν πάντα τὸν μόχθον καὶ σὺν πᾶσαν ἀνδρείαν τοῦ ποιήματος ὅτι αὐτὸ ζῆλος ἀνδρὸς ἀπὸ τοῦ ἑταίρου αὐτοῦ καί γε τοῦτο ματαιότης καὶ προαίρεσις πνεύματος

5 বোকারা হাত গুটিয়ে রাখে এবং নিজেদের ধ্বংস করে।

ὁ ἄφρων περιέλαβεν τὰς χεῖρας αὐτοῦ καὶ ἔφαγεν τὰς σάρκας αὐτοῦ

6 দুই মুঠো পরিশ্রম পাওয়া এবং কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানোর চেয়ে এক হাত শান্তি পাওয়া ভালো।

ἀγαθὸν πλήρωμα δρακὸς ἀναπαύσεως ὑπὲρ πλήρωμα δύο δρακῶν μόχθου καὶ προαιρέσεως πνεύματος

7 আবার আমি সূর্যের নিচে অসারতা দেখতে পেলাম

καὶ ἐπέστρεψα ἐγὼ καὶ εἶδον ματαιότητα ὑπὸ τὸν ἥλιον

8 কোনো একজন লোক একেবারে একা; তার ছেলেও নেই কিংবা ভাইও নেই, তার পরিশ্রমের শেষ নেই, তবুও তার ধনসম্পদে তার চোখ তৃপ্ত নয়। সে জিজ্ঞাসা করল, “আমি কার জন্য পরিশ্রম করছি, আর আমি কেন নিজেকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করছি?” এটাও অসার— ভারী কষ্টজনক!

ἔστιν εἷς καὶ οὐκ ἔστιν δεύτερος καί γε υἱὸς καὶ ἀδελφὸς οὐκ ἔστιν αὐτῷ καὶ οὐκ ἔστιν περασμὸς τῷ παντὶ μόχθῳ αὐτοῦ καί γε ὀφθαλμὸς αὐτοῦ οὐκ ἐμπίπλαται πλούτου καὶ τίνι ἐγὼ μοχθῶ καὶ στερίσκω τὴν ψυχήν μου ἀπὸ ἀγαθωσύνης καί γε τοῦτο ματαιότης καὶ περισπασμὸς πονηρός ἐστιν

9 একজনের চেয়ে দুজন ভালো, কারণ তাদের কাজে অনেক ভালো ফল হয়

ἀγαθοὶ οἱ δύο ὑπὲρ τὸν ἕνα οἷς ἔστιν αὐτοῖς μισθὸς ἀγαθὸς ἐν μόχθῳ αὐτῶν

10 যদি একজন পড়ে যায়, তবে তার সঙ্গী তাকে উঠাতে পারে। কিন্তু হায় সেই লোক যে পড়ে যায় আর কেউ তাকে উঠাবার জন্য নেই।

ὅτι ἐὰν πέσωσιν ὁ εἷς ἐγερεῖ τὸν μέτοχον αὐτοῦ καὶ οὐαὶ αὐτῷ τῷ ἑνί ὅταν πέσῃ καὶ μὴ ᾖ δεύτερος τοῦ ἐγεῖραι αὐτόν

11 আরও, যদি দুজন শুয়ে থাকে, তারা উষ্ণ থাকে। কিন্তু একজন কী করে নিজেকে একা উষ্ণ রাখতে পারবে?

καί γε ἐὰν κοιμηθῶσιν δύο καὶ θέρμη αὐτοῖς καὶ ὁ εἷς πῶς θερμανθῇ

12 যদিও একা ব্যক্তি হেরে যেতে পারে, দুজন নিজেদের প্রতিরোধ করতে পারে। তিনটে দড়ি একসঙ্গে পাকানো হলে তাড়াতাড়ি ছেঁড়ে না।

καὶ ἐὰν ἐπικραταιωθῇ ὁ εἷς οἱ δύο στήσονται κατέναντι αὐτοῦ καὶ τὸ σπαρτίον τὸ ἔντριτον οὐ ταχέως ἀπορραγήσεται

13 একজন বুড়ো বোকা রাজা, যিনি আর পরামর্শ গ্রহণ করতে চান না তাঁর চেয়ে গরিব অথচ বুদ্ধিমান যুবক ভালো।

ἀγαθὸς παῖς πένης καὶ σοφὸς ὑπὲρ βασιλέα πρεσβύτερον καὶ ἄφρονα ὃς οὐκ ἔγνω τοῦ προσέχειν ἔτι

14 সেই যুবক হয়তো কারাগার থেকে এসে রাজা হয়েছে, কিংবা সে হয়তো সেই রাজ্যে অভাবের মধ্যে জন্মেছে।

ὅτι ἐξ οἴκου τῶν δεσμίων ἐξελεύσεται τοῦ βασιλεῦσαι ὅτι καί γε ἐν βασιλείᾳ αὐτοῦ ἐγεννήθη πένης

15 আমি দেখলাম যারা সূর্যের নিচে বসবাস করত ও চলাফেরা করত তারা সেই যুবককে অনুসরণ করল, সেই রাজার উত্তরাধিকারী।

εἶδον σὺν πάντας τοὺς ζῶντας τοὺς περιπατοῦντας ὑπὸ τὸν ἥλιον μετὰ τοῦ νεανίσκου τοῦ δευτέρου ὃς στήσεται ἀντ’ αὐτοῦ

16 সেই লোকদের কোনো সীমা ছিল না যারা তাদের আগে ছিল। কিন্তু যারা পরে এসেছিল তারা সেই উত্তরাধিকারীর উপরে সন্তুষ্ট হল না। এটাও অসার, কেবল বাতাসের পিছনে দৌড়ানো।

οὐκ ἔστιν περασμὸς τῷ παντὶ λαῷ τοῖς πᾶσιν ὅσοι ἐγένοντο ἔμπροσθεν αὐτῶν καί γε οἱ ἔσχατοι οὐκ εὐφρανθήσονται ἐν αὐτῷ ὅτι καί γε τοῦτο ματαιότης καὶ προαίρεσις πνεύματος