বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 20
1 পরে, মোয়াবীয় ও অম্মোনীয়রা কয়েকজন মায়োনীয়কে সাথে নিয়ে যিহোশাফটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছিল।
καὶ μετὰ ταῦτα ἦλθον οἱ υἱοὶ Μωαβ καὶ οἱ υἱοὶ Αμμων καὶ μετ’ αὐτῶν ἐκ τῶν Μιναίων πρὸς Ιωσαφατ εἰς πόλεμον
2 কিছু লোকজন এসে যিহোশাফটকে বলল, “ইদোম থেকে, মরুসাগরের ওপার থেকে বিশাল এক সৈন্যদল আপনার দিকে এগিয়ে আসছে। তারা ইতিমধ্যেই হৎসসোন-তামরে (অর্থাৎ ঐন-গদীতে) পৌঁছে গিয়েছে।”
καὶ ἦλθον καὶ ὑπέδειξαν τῷ Ιωσαφατ λέγοντες ἥκει ἐπὶ σὲ πλῆθος πολὺ ἐκ πέραν τῆς θαλάσσης ἀπὸ Συρίας καὶ ἰδού εἰσιν ἐν Ασασανθαμαρ αὕτη ἐστὶν Ενγαδδι
3 এই সতর্কবার্তা পেয়ে যিহোশাফট সদাপ্রভুর অন্বেষণ করার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছিলেন, এবং তিনি সমগ্র যিহূদা দেশে উপবাস ঘোষণা করে দিলেন।
καὶ ἐφοβήθη καὶ ἔδωκεν Ιωσαφατ τὸ πρόσωπον αὐτοῦ ἐκζητῆσαι τὸν κύριον καὶ ἐκήρυξεν νηστείαν ἐν παντὶ Ιουδα
4 যিহূদার প্রজারা সদাপ্রভুর কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য এক স্থানে একত্রিত হল; বাস্তবিকই তাঁর খোঁজে তারা যিহূদার প্রত্যেকটি নগর থেকে চলে এসেছিল।
καὶ συνήχθη Ιουδας ἐκζητῆσαι τὸν κύριον καὶ ἀπὸ πασῶν τῶν πόλεων Ιουδα ἦλθον ζητῆσαι τὸν κύριον
5 তখন যিহোশাফট সদাপ্রভুর মন্দিরে, নতুন উঠোনের সামনে যিহূদা ও জেরুশালেমের সমবেত জনতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে
καὶ ἀνέστη Ιωσαφατ ἐν ἐκκλησίᾳ Ιουδα ἐν Ιερουσαλημ ἐν οἴκῳ κυρίου κατὰ πρόσωπον τῆς αὐλῆς τῆς καινῆς
6 বললেন: “হে আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি কি স্বর্গে বিরাজমান ঈশ্বর নও? তুমিই তো জাতিদের সব রাজ্য শাসন করে থাকো। বল ও শক্তি তো তোমারই হাতে আছে, আর কেউ তোমাকে বাধাও দিতে পারে না।
καὶ εἶπεν κύριε ὁ θεὸς τῶν πατέρων ἡμῶν οὐχὶ σὺ εἶ θεὸς ἐν οὐρανῷ καὶ σὺ κυριεύεις πασῶν τῶν βασιλειῶν τῶν ἐθνῶν καὶ ἐν τῇ χειρί σου ἰσχὺς δυναστείας καὶ οὐκ ἔστιν πρὸς σὲ ἀντιστῆναι
7 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমিই কি তোমার প্রজা ইস্রায়েলের সামনে থেকে এই দেশের অধিবাসীদের দূর করে দাওনি এবং এই দেশটি তোমার বন্ধু অব্রাহামের বংশধরদের হাতে চিরকালের জন্য তুলে দাওনি?
οὐχὶ σὺ εἶ ὁ κύριος ὁ ἐξολεθρεύσας τοὺς κατοικοῦντας τὴν γῆν ταύτην ἀπὸ προσώπου τοῦ λαοῦ σου Ισραηλ καὶ ἔδωκας αὐτὴν σπέρματι Αβρααμ τῷ ἠγαπημένῳ σου εἰς τὸν αἰῶνα
8 তারা এখানে বসবাস করেছে এবং এই বলে এখানে এক পবিত্র পীঠস্থান তৈরি করেছে,
καὶ κατῴκησαν ἐν αὐτῇ καὶ ᾠκοδόμησαν ἐν αὐτῇ ἁγίασμα τῷ ὀνόματί σου λέγοντες
9 ‘যদি বিপর্যয় আমাদের উপর এসেও পড়ে, তা সে বিচারের তরোয়াল, বা মহামারি বা দুর্ভিক্ষ, যাই হোক না কেন, আমরা তোমার উপস্থিতিতে এই মন্দিরটির সামনে এসে দাঁড়াব, যা তোমার নাম বহন করে চলেছে এবং আমাদের দুর্দশায় আমরা তোমারই কাছে কাঁদব, ও তুমি আমাদের কান্না শুনে আমাদের বাঁচাবে।’
ἐὰν ἐπέλθῃ ἐφ’ ἡμᾶς κακά ῥομφαία κρίσις θάνατος λιμός στησόμεθα ἐναντίον τοῦ οἴκου τούτου καὶ ἐναντίον σου ὅτι τὸ ὄνομά σου ἐπὶ τῷ οἴκῳ τούτῳ καὶ βοησόμεθα πρὸς σὲ ἀπὸ τῆς θλίψεως καὶ ἀκούσῃ καὶ σώσεις
10 “কিন্তু এখন এখানে অম্মোন, মোয়াব ও সেয়ীর পর্বত থেকে সেইসব লোকজন এসে পড়েছে, যাদের এলাকায় তুমি ইস্রায়েলকে তখন সশস্ত্র আক্রমণ চালাতে দাওনি, যখন তারা মিশর থেকে বের হয়ে এসেছিল; তাই ইস্রায়েলীরা তাদের কাছ থেকে ফিরে গেল ও তাদের ধ্বংসও করেননি।
καὶ νῦν ἰδοὺ υἱοὶ Αμμων καὶ Μωαβ καὶ ὄρος Σηιρ εἰς οὓς οὐκ ἔδωκας τῷ Ισραηλ διελθεῖν δῑ αὐτῶν ἐξελθόντων αὐτῶν ἐκ γῆς Αἰγύπτου ὅτι ἐξέκλιναν ἀπ’ αὐτῶν καὶ οὐκ ἐξωλέθρευσαν αὐτούς
11 তুমি দেখো, এক উত্তরাধিকাররূপে তুমি আমাদের যে স্বত্ত্বাধিকার দিয়েছ, তা থেকে আমাদের তাড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কীভাবে তারা আমাদের প্রতিদান দিচ্ছে।
καὶ νῦν ἰδοὺ αὐτοὶ ἐπιχειροῦσιν ἐφ’ ἡμᾶς ἐξελθεῖν ἐκβαλεῖν ἡμᾶς ἀπὸ τῆς κληρονομίας ἡμῶν ἧς ἔδωκας ἡμῖν
12 হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি কি তাদের বিচার করবে না? কারণ এই যে বিশাল সৈন্যদল আমাদের আক্রমণ করতে আসছে, তাদের সম্মুখীন হওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। কী করব, তা আমরা জানি না, কিন্তু আমাদের চোখ তোমার উপরেই আছে।”
κύριε ὁ θεὸς ἡμῶν οὐ κρινεῖς ἐν αὐτοῖς ὅτι οὐκ ἔστιν ἡμῖν ἰσχὺς τοῦ ἀντιστῆναι πρὸς τὸ πλῆθος τὸ πολὺ τοῦτο τὸ ἐλθὸν ἐφ’ ἡμᾶς καὶ οὐκ οἴδαμεν τί ποιήσωμεν αὐτοῖς ἀλλ’ ἢ ἐπὶ σοὶ οἱ ὀφθαλμοὶ ἡμῶν
13 যিহূদার সব লোকজন তাদের স্ত্রী, সন্তান ও ছোটো ছোটো শিশুদের সাথে নিয়ে সদাপ্রভুর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
καὶ πᾶς Ιουδας ἑστηκὼς ἔναντι κυρίου καὶ τὰ παιδία αὐτῶν καὶ αἱ γυναῖκες
14 সখরিয়ের ছেলে যহসীয়েল যখন জনতার মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন সদাপ্রভুর আত্মা তাঁর উপর নেমে এলেন। তিনি একজন লেবীয় ও আসফের এক বংশধর ছিলেন। সখরিয় বনায়ের ছেলে, বনায় যিয়েলের ছেলে, যিয়েল মত্তনিয়ের ছেলে ছিলেন।
καὶ τῷ Οζιηλ τῷ τοῦ Ζαχαριου τῶν υἱῶν Βαναιου τῶν υἱῶν Ελεηλ τοῦ Μανθανιου τοῦ Λευίτου ἀπὸ τῶν υἱῶν Ασαφ ἐγένετο ἐπ’ αὐτὸν πνεῦμα κυρίου ἐν τῇ ἐκκλησίᾳ
15 তিনি বললেন: “হে রাজা যিহোশাফট এবং যিহূদা ও জেরুশালেমে বসবাসকারী সব লোকজন, আপনারা শুনুন! সদাপ্রভু আপনাদের একথা বলছেন: ‘এই বিশাল সৈন্যদল দেখে ভয় পেয়ো না বা নিরাশ হোয়ো না।
καὶ εἶπεν ἀκούσατε πᾶς Ιουδα καὶ οἱ κατοικοῦντες Ιερουσαλημ καὶ ὁ βασιλεὺς Ιωσαφατ τάδε λέγει κύριος ὑμῖν αὐτοῖς μὴ φοβεῖσθε μηδὲ πτοηθῆτε ἀπὸ προσώπου τοῦ ὄχλου τοῦ πολλοῦ τούτου ὅτι οὐχ ὑμῖν ἐστιν ἡ παράταξις ἀλλ’ ἢ τῷ θεῷ
16 আগামীকাল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করো। তারা সীস গিরিখাতের পথ বেয়ে উপরে উঠতে থাকবে, এবং তোমরা যিরূয়েল মরুভূমিতে গিরিখাতের শেষ প্রান্তে তাদের খুঁজে পাবে।
αὔριον κατάβητε ἐπ’ αὐτούς ἰδοὺ ἀναβαίνουσιν κατὰ τὴν ἀνάβασιν Ασας καὶ εὑρήσετε αὐτοὺς ἐπ’ ἄκρου ποταμοῦ τῆς ἐρήμου Ιεριηλ
17 এই যুদ্ধটি তোমাদের করতে হবে না। তোমরা শুধু শক্ত ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকো; হে যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকজন, শক্ত হয়ে দাঁড়াও ও দেখো, সদাপ্রভু কেমনভাবে তোমাদের উদ্ধার করছেন। তোমরা ভয় পোয়ো না; নিরাশও হোয়ো না। আগামীকাল তাদের সম্মুখীন হতে যেয়ো, এবং সদাপ্রভু তোমাদের সাথে থাকবেন।’”
οὐχ ὑμῖν ἐστιν πολεμῆσαι ταῦτα σύνετε καὶ ἴδετε τὴν σωτηρίαν κυρίου μεθ’ ὑμῶν Ιουδα καὶ Ιερουσαλημ μὴ φοβεῖσθε μηδὲ πτοηθῆτε αὔριον ἐξελθεῖν εἰς ἀπάντησιν αὐτοῖς καὶ κύριος μεθ’ ὑμῶν
18 যিহোশাফট মাটিতে উবুড় হয়ে প্রণাম করলেন, এবং যিহূদা ও জেরুশালেমের সব লোকজনও সদাপ্রভুর আরাধনা করার জন্য মাটিতে উবুড় হয়ে পড়েছিল।
καὶ κύψας Ιωσαφατ ἐπὶ πρόσωπον αὐτοῦ καὶ πᾶς Ιουδα καὶ οἱ κατοικοῦντες Ιερουσαλημ ἔπεσαν ἔναντι κυρίου προσκυνῆσαι κυρίῳ
19 পরে কহাতীয় ও কোরহীয়দের মধ্যে কয়েকজন লেবীয় উঠে দাঁড়িয়েছিল ও জোর গলায় ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করল।
καὶ ἀνέστησαν οἱ Λευῖται ἀπὸ τῶν υἱῶν Κααθ καὶ ἀπὸ τῶν υἱῶν Κορε αἰνεῖν κυρίῳ θεῷ Ισραηλ ἐν φωνῇ μεγάλῃ εἰς ὕψος
20 ভোরবেলায় তারা তকোয় মরুভূমির দিকে রওনা হয়ে গেল। তারা রওনা হতে যাচ্ছিল, এমন সময় যিহোশাফট উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “হে যিহূদা ও জেরুশালেমের লোকেরা, তোমরা আমার কথা শোনো! তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উপর বিশ্বাস রাখো আর তিনি তোমাদের তুলে ধরবেন; তাঁর ভাববাদীদের উপর বিশ্বাস রাখো আর তোমরা সফল হবে।”
καὶ ὤρθρισαν πρωὶ καὶ ἐξῆλθον εἰς τὴν ἔρημον Θεκωε καὶ ἐν τῷ ἐξελθεῖν ἔστη Ιωσαφατ καὶ ἐβόησεν καὶ εἶπεν ἀκούσατέ μου Ιουδα καὶ οἱ κατοικοῦντες ἐν Ιερουσαλημ ἐμπιστεύσατε ἐν κυρίῳ θεῷ ὑμῶν καὶ ἐμπιστευθήσεσθε ἐμπιστεύσατε ἐν προφήτῃ αὐτοῦ καὶ εὐοδωθήσεσθε
21 প্রজাদের সাথে পরামর্শ করে সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান গাওয়ার ও তাঁর পবিত্রতার সমারোহের জন্য প্রশংসা করার লক্ষ্যে যিহোশাফট সেই সময়, বিশেষ করে যখন তারা সৈন্যদলের আগে আগে যাচ্ছিল, তখন কয়েকজন লোক নিযুক্ত করলেন। তারা বলছিল: “সদাপ্রভুর ধন্যবাদ করো, কারণ তাঁর প্রেম চিরস্থায়ী।”
καὶ ἐβουλεύσατο μετὰ τοῦ λαοῦ καὶ ἔστησεν ψαλτῳδοὺς καὶ αἰνοῦντας ἐξομολογεῖσθαι καὶ αἰνεῖν τὰ ἅγια ἐν τῷ ἐξελθεῖν ἔμπροσθεν τῆς δυνάμεως καὶ ἔλεγον ἐξομολογεῖσθε τῷ κυρίῳ ὅτι εἰς τὸν αἰῶνα τὸ ἔλεος αὐτοῦ
22 যেই তারা গান গাইতে ও প্রশংসা করতে শুরু করল, অম্মোন, মোয়াব ও সেয়ীর পাহাড়ের সেই লোকজনের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে দিলেন, যারা যিহূদা দেশে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছিল, এবং তারা পরাজিত হল।
καὶ ἐν τῷ ἄρξασθαι τῆς αἰνέσεως αὐτοῦ τῆς ἐξομολογήσεως ἔδωκεν κύριος πολεμεῖν τοὺς υἱοὺς Αμμων ἐπὶ Μωαβ καὶ ὄρος Σηιρ τοὺς ἐξελθόντας ἐπὶ Ιουδαν καὶ ἐτροπώθησαν
23 অম্মোনীয় ও মোয়াবীয়েরা সেয়ীর পাহাড়ের লোকজনের বিরুদ্ধে খাড়া হয়ে তাদের ধ্বংস ও নির্মূল করে দিতে চেয়েছিল। সেয়ীরের লোকজনকে কচুকাটা করার পর, তারা একে অপরকেও ধ্বংস করে ফেলেছিল।
καὶ ἀνέστησαν οἱ υἱοὶ Αμμων καὶ Μωαβ ἐπὶ τοὺς κατοικοῦντας ὄρος Σηιρ ἐξολεθρεῦσαι καὶ ἐκτρῖψαι καὶ ὡς συνετέλεσαν τοὺς κατοικοῦντας Σηιρ ἀνέστησαν εἰς ἀλλήλους τοῦ ἐξολεθρευθῆναι
24 যিহূদার লোকজন যখন সেই উঁচু স্থানটিতে এসেছিল, যেখান থেকে নিচে মরুভূমির দৃশ্য দেখা যায়, এবং তারা যখন বিশাল সেই সৈন্যদলের দিকে তাকিয়েছিল, তারা দেখতে পেয়েছিল, মাটিতে শুধু মৃতদেহই পড়ে আছে; কেউ পালাতে পারেনি।
καὶ Ιουδας ἦλθεν ἐπὶ τὴν σκοπιὰν τῆς ἐρήμου καὶ ἐπέβλεψεν καὶ εἶδεν τὸ πλῆθος καὶ ἰδοὺ πάντες νεκροὶ πεπτωκότες ἐπὶ τῆς γῆς οὐκ ἦν σῳζόμενος
25 তাই যিহোশাফট ও তাঁর লোকজন লুটসামগ্রী সংগ্রহ করার জন্য সেখানে গেলেন, সেগুলির মাঝখানে তারা প্রচুর সাজসরঞ্জাম ও পোশাক-পরিচ্ছদ এবং মূল্যবান জিনিসপত্রও খুঁজে পেয়েছিলেন—সেগুলির পরিমাণ এত বেশি ছিল যে তারা সেগুলি বয়ে আনতে পারেননি। সেখানে এত লুটসামগ্রী ছিল যে সেগুলি সংগ্রহ করতে তাদের তিন দিন লেগে গেল।
καὶ ἦλθεν Ιωσαφατ καὶ ὁ λαὸς αὐτοῦ σκυλεῦσαι τὰ σκῦλα αὐτῶν καὶ εὗρον κτήνη πολλὰ καὶ ἀποσκευὴν καὶ σκῦλα καὶ σκεύη ἐπιθυμητὰ καὶ ἐσκύλευσαν ἑαυτοῖς καὶ ἐγένοντο ἡμέραι τρεῖς σκυλευόντων αὐτῶν τὰ σκῦλα ὅτι πολλὰ ἦν
26 চতুর্থ দিনে তারা সেই বরাখা উপত্যকায় একত্রিত হলেন, যেখানে তারা সদাপ্রভুর প্রশংসা করলেন। সেইজন্য আজও পর্যন্ত সেই স্থানটিকে বরাখা উপত্যকা বলে ডাকা হয়।
καὶ τῇ ἡμέρᾳ τῇ τετάρτῃ ἐπισυνήχθησαν εἰς τὸν αὐλῶνα τῆς εὐλογίας ἐκεῖ γὰρ ηὐλόγησαν τὸν κύριον διὰ τοῦτο ἐκάλεσαν τὸ ὄνομα τοῦ τόπου ἐκείνου Κοιλὰς εὐλογίας ἕως τῆς ἡμέρας ταύτης
27 পরে, যিহোশাফটের নেতৃত্বে, যিহূদা ও জেরুশালেমের সব লোকজন আনন্দ করতে করতে জেরুশালেমে ফিরে গেল, যেহেতু তাদের শত্রুদের বিষয়ে আনন্দিত হওয়ার সংগত কারণ সদাপ্রভু তাদের জোগালেন।
καὶ ἐπέστρεψεν πᾶς ἀνὴρ Ιουδα εἰς Ιερουσαλημ καὶ Ιωσαφατ ἡγούμενος αὐτῶν ἐν εὐφροσύνῃ μεγάλῃ ὅτι εὔφρανεν αὐτοὺς κύριος ἀπὸ τῶν ἐχθρῶν αὐτῶν
28 তারা জেরুশালেমে প্রবেশ করলেন এবং বীণা, খঞ্জনি ও শিঙা নিয়ে সদাপ্রভুর মন্দিরে গেলেন।
καὶ εἰσῆλθον εἰς Ιερουσαλημ ἐν νάβλαις καὶ ἐν κινύραις καὶ ἐν σάλπιγξιν εἰς οἶκον κυρίου
29 সদাপ্রভু কীভাবে ইস্রায়েলের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, ইস্রায়েলের চারপাশে অবস্থিত অন্যান্য রাজ্যের সব লোকজন যখন তা শুনতে পেয়েছিল, তখন তাদের উপর ঈশ্বরভয় নেমে এসেছিল।
καὶ ἐγένετο ἔκστασις κυρίου ἐπὶ πάσας τὰς βασιλείας τῆς γῆς ἐν τῷ ἀκοῦσαι αὐτοὺς ὅτι ἐπολέμησεν κύριος πρὸς τοὺς ὑπεναντίους Ισραηλ
30 যিহোশাফটের রাজ্যে অবশ্য শান্তি বিরাজ করছিল, কারণ সবদিক থেকেই তাঁর ঈশ্বর তাঁকে বিশ্রাম দিলেন।
καὶ εἰρήνευσεν ἡ βασιλεία Ιωσαφατ καὶ κατέπαυσεν αὐτῷ ὁ θεὸς αὐτοῦ κυκλόθεν
31 এইভাবে যিহোশাফট যিহূদা দেশে রাজত্ব করে গেলেন। তিনি পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে যিহূদার রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি পঁচিশ বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর মায়ের নাম অসূবা, যিনি শিলহির মেয়ে ছিলেন।
καὶ ἐβασίλευσεν Ιωσαφατ ἐπὶ τὸν Ιουδαν ἐτῶν τριάκοντα πέντε ἐν τῷ βασιλεῦσαι αὐτὸν καὶ εἴκοσι πέντε ἔτη ἐβασίλευσεν ἐν Ιερουσαλημ καὶ ὄνομα τῇ μητρὶ αὐτοῦ Αζουβα θυγάτηρ Σαλι
32 যিহোশাফট তাঁর বাবা আসার পথেই চলতেন এবং সেখান থেকে কখনও সরে যাননি; সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা ন্যায্য, তিনি তাই করতেন।
καὶ ἐπορεύθη ἐν ταῖς ὁδοῖς τοῦ πατρὸς αὐτοῦ Ασα καὶ οὐκ ἐξέκλινεν τοῦ ποιῆσαι τὸ εὐθὲς ἐνώπιον κυρίου
33 পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলি অবশ্য দূর করা হয়নি, এবং প্রজারা তখনও তাদের অন্তর, তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরে পুরোপুরি স্থির করেননি।
ἀλλὰ τὰ ὑψηλὰ ἔτι ὑπῆρχεν καὶ ἔτι ὁ λαὸς οὐ κατεύθυνεν τὴν καρδίαν πρὸς κύριον θεὸν τῶν πατέρων αὐτῶν
34 শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, যিহোশাফটের রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা ইস্রায়েলের রাজাদের গ্রন্থের অন্তর্গত হনানির ছেলে যেহূর ইতিহাস-গ্রন্থে লেখা আছে।
καὶ οἱ λοιποὶ λόγοι Ιωσαφατ οἱ πρῶτοι καὶ οἱ ἔσχατοι ἰδοὺ γεγραμμένοι ἐν λόγοις Ιου τοῦ Ανανι ὃς κατέγραψεν βιβλίον βασιλέων Ισραηλ
35 পরে, যিহূদার রাজা যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজা সেই অহসিয়ের সাথে জোট গড়ে তুলেছিলেন, যিনি অন্যায় পথে চলতেন।
καὶ μετὰ ταῦτα ἐκοινώνησεν Ιωσαφατ βασιλεὺς Ιουδα πρὸς Οχοζιαν βασιλέα Ισραηλ καὶ οὗτος ἠνόμησεν
36 তর্শীশে বাণিজ্যতরির নৌবহর গড়ে তোলার বিষয়ে যিহোশাফট তাঁর কথায় রাজি হলেন। ইৎসিয়োন-গেবরে সেগুলি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর,
ἐν τῷ ποιῆσαι καὶ πορευθῆναι πρὸς αὐτὸν τοῦ ποιῆσαι πλοῖα τοῦ πορευθῆναι εἰς Θαρσις καὶ ἐποίησεν πλοῖα ἐν Γασιωνγαβερ
37 মারেশার অধিবাসী দোদাবাহূর ছেলে ইলীয়েষর যিহোশাফটের বিরুদ্ধে ভাববাণী করলেন। তিনি বললেন, “যেহেতু আপনি অহসিয়ের সাথে জোট গড়ে তুলেছেন, তাই আপনি যা তৈরি করেছেন, সদাপ্রভু তা ধ্বংস করে দেবেন।” সামুদ্রিক ঝড়ে জাহাজগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হল এবং ব্যবসাবাণিজ্য করার জন্য তর্শীশের উদ্দেশে রওনা হতেও পারেনি।
καὶ ἐπροφήτευσεν Ελιεζερ ὁ τοῦ Δωδια ἀπὸ Μαρισης ἐπὶ Ιωσαφατ λέγων ὡς ἐφιλίασας τῷ Οχοζια ἔθραυσεν κύριος τὸ ἔργον σου καὶ συνετρίβη τὰ πλοῖά σου καὶ οὐκ ἐδυνάσθη τοῦ πορευθῆναι εἰς Θαρσις
