প্রথম রাজাবলি 1
1 রাজা দাউদ যখন খুব বৃদ্ধ হয়ে গেলেন, তখন এমনকি তাঁর শরীর প্রচুর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখলেও গরম থাকত না।
καὶ ὁ βασιλεὺς Δαυιδ πρεσβύτερος προβεβηκὼς ἡμέραις καὶ περιέβαλλον αὐτὸν ἱματίοις καὶ οὐκ ἐθερμαίνετο
2 তাই তাঁর পরিচারকেরা তাঁকে বলল, “মহারাজের সেবা করার ও তাঁর যত্ন নেওয়ার জন্য আমরা একজন অল্পবয়স্ক কুমারী মেয়েকে খুঁজে আনি। সে আপনার পাশে শুয়ে থাকবে, যেন আমাদের প্রভু মহারাজের শরীর গরম থাকে।”
καὶ εἶπον οἱ παῖδες αὐτοῦ ζητησάτωσαν τῷ κυρίῳ ἡμῶν τῷ βασιλεῖ παρθένον νεάνιδα καὶ παραστήσεται τῷ βασιλεῖ καὶ ἔσται αὐτὸν θάλπουσα καὶ κοιμηθήσεται μετ’ αὐτοῦ καὶ θερμανθήσεται ὁ κύριος ἡμῶν ὁ βασιλεύς
3 পরে তারা ইস্রায়েলের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্ত পর্যন্ত সুন্দরী এক যুবতীর খোঁজ করল এবং শূনেমীয়া অবীশগকে পেয়ে তাকে রাজার কাছে নিয়ে এসেছিল।
καὶ ἐζήτησαν νεάνιδα καλὴν ἐκ παντὸς ὁρίου Ισραηλ καὶ εὗρον τὴν Αβισακ τὴν Σωμανῖτιν καὶ ἤνεγκαν αὐτὴν πρὸς τὸν βασιλέα
4 মেয়েটি অপরূপ সুন্দরী ছিল; সে মহারাজের দায়িত্ব নিয়েছিল ও খুব যত্নআত্তি করল, কিন্তু রাজা তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেননি।
καὶ ἡ νεᾶνις καλὴ ἕως σφόδρα καὶ ἦν θάλπουσα τὸν βασιλέα καὶ ἐλειτούργει αὐτῷ καὶ ὁ βασιλεὺς οὐκ ἔγνω αὐτήν
5 এদিকে হগীতের ছেলে আদোনিয় আগ বাড়িয়ে বলে বেড়াচ্ছিল, “আমিই রাজা হব।” তাই সে রথ ও ঘোড়া সাজিয়েছিল, ও তার আগে আগে দৌড়ানোর জন্য 50 জন লোক জোগাড় করল।
καὶ Αδωνιας υἱὸς Αγγιθ ἐπῄρετο λέγων ἐγὼ βασιλεύσω καὶ ἐποίησεν ἑαυτῷ ἅρματα καὶ ἱππεῖς καὶ πεντήκοντα ἄνδρας παρατρέχειν ἔμπροσθεν αὐτοῦ
6 (তার বাবা কখনও এই বলে তাকে তিরস্কার করেননি, “তুমি কেন এরকম আচরণ করছ?” সেও দেখতে খুব সুন্দর ছিল ও অবশালোমের পরেই তার জন্ম হল।)
καὶ οὐκ ἀπεκώλυσεν αὐτὸν ὁ πατὴρ αὐτοῦ οὐδέποτε λέγων διὰ τί σὺ ἐποίησας καί γε αὐτὸς ὡραῖος τῇ ὄψει σφόδρα καὶ αὐτὸν ἔτεκεν ὀπίσω Αβεσσαλωμ
7 আদোনিয় সরূয়ার ছেলে যোয়াব ও যাজক অবিয়াথরের সঙ্গে আলোচনা করল, এবং তারা তাকে তাদের সমর্থন জানিয়েছিলেন।
καὶ ἐγένοντο οἱ λόγοι αὐτοῦ μετὰ Ιωαβ τοῦ υἱοῦ Σαρουιας καὶ μετὰ Αβιαθαρ τοῦ ἱερέως καὶ ἐβοήθουν ὀπίσω Αδωνιου
8 কিন্তু যাজক সাদোক, যিহোয়াদার ছেলে বনায়, ভাববাদী নাথন, শিমিয়ি ও রেয়ি এবং দাউদের বিশেষ রক্ষীদল আদোনিয়ের সঙ্গে যোগ দেননি।
καὶ Σαδωκ ὁ ἱερεὺς καὶ Βαναιας υἱὸς Ιωδαε καὶ Ναθαν ὁ προφήτης καὶ Σεμεϊ καὶ Ρηι καὶ οἱ δυνατοὶ τοῦ Δαυιδ οὐκ ἦσαν ὀπίσω Αδωνιου
9 আদোনিয় পরে ঐন-রোগেলের কাছে অবস্থিত সোহেলৎ পাথরে কয়েকটি মেষ, গবাদি পশু ও হৃষ্টপুষ্ট বাছুর বলি দিয়েছিল। সে তার সব ভাইকে, অর্থাৎ রাজার ছেলেদের, ও যিহূদার সব কর্মকর্তাকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল,
καὶ ἐθυσίασεν Αδωνιας πρόβατα καὶ μόσχους καὶ ἄρνας μετὰ λίθου τοῦ Ζωελεθ ὃς ἦν ἐχόμενα τῆς πηγῆς Ρωγηλ καὶ ἐκάλεσεν πάντας τοὺς ἀδελφοὺς αὐτοῦ καὶ πάντας τοὺς ἁδροὺς Ιουδα παῖδας τοῦ βασιλέως
10 কিন্তু সে ভাববাদী নাথনকে বা বনায়কে বা বিশেষ রক্ষীদলকে অথবা তার ভাই শলোমনকে নিমন্ত্রণ জানায়নি।
καὶ τὸν Ναθαν τὸν προφήτην καὶ Βαναιαν καὶ τοὺς δυνατοὺς καὶ τὸν Σαλωμων ἀδελφὸν αὐτοῦ οὐκ ἐκάλεσεν
11 তখন শলোমনের মা বৎশেবাকে নাথন জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনি কি শোনেননি যে হগীতের ছেলে আদোনিয় রাজা হয়েছে, এবং আমাদের মনিব দাউদ এ বিষয়ে কিছুই জানেন না?
καὶ εἶπεν Ναθαν πρὸς Βηρσαβεε μητέρα Σαλωμων λέγων οὐκ ἤκουσας ὅτι ἐβασίλευσεν Αδωνιας υἱὸς Αγγιθ καὶ ὁ κύριος ἡμῶν Δαυιδ οὐκ ἔγνω
12 তবে এখন, কীভাবে আপনি নিজের ও আপনার ছেলে শলোমনের প্রাণরক্ষা করবেন, সে বিষয়ে আমি আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি।
καὶ νῦν δεῦρο συμβουλεύσω σοι δὴ συμβουλίαν καὶ ἐξελοῦ τὴν ψυχήν σου καὶ τὴν ψυχὴν τοῦ υἱοῦ σου Σαλωμων
13 রাজা দাউদের কাছে যান ও তাঁকে গিয়ে বলুন, ‘হে আমার প্রভু মহারাজ, আপনি কি আপনার দাসীর কাছে এই প্রতিজ্ঞা করেননি: “তোমার ছেলে শলোমন অবশ্যই আমার পরে রাজা হবে, ও সেই আমার সিংহাসনে বসবে”? তবে আদোনিয় কেন রাজা হল?’
δεῦρο εἴσελθε πρὸς τὸν βασιλέα Δαυιδ καὶ ἐρεῖς πρὸς αὐτὸν λέγουσα οὐχὶ σύ κύριέ μου βασιλεῦ ὤμοσας τῇ δούλῃ σου λέγων ὅτι Σαλωμων ὁ υἱός σου βασιλεύσει μετ’ ἐμὲ καὶ αὐτὸς καθιεῖται ἐπὶ τοῦ θρόνου μου καὶ τί ὅτι ἐβασίλευσεν Αδωνιας
14 মহারাজের সঙ্গে আপনার কথাবার্তা শেষ হওয়ার আগেই আমি সেখানে পৌঁছে যাব ও আপনার বলা কথার সঙ্গে আমার নিজের কথাও যোগ করব।”
καὶ ἰδοὺ ἔτι λαλούσης σου ἐκεῖ μετὰ τοῦ βασιλέως καὶ ἐγὼ εἰσελεύσομαι ὀπίσω σου καὶ πληρώσω τοὺς λόγους σου
15 অতএব বৎশেবা বৃদ্ধ রাজামশাইকে দেখতে তাঁর ঘরে গেলেন। সেখানে তখন শূনেমীয়া অবীশগ তাঁর যত্নআত্তি করছিল।
καὶ εἰσῆλθεν Βηρσαβεε πρὸς τὸν βασιλέα εἰς τὸ ταμίειον καὶ ὁ βασιλεὺς πρεσβύτης σφόδρα καὶ Αβισακ ἡ Σωμανῖτις ἦν λειτουργοῦσα τῷ βασιλεῖ
16 বৎশেবা মহারাজের সামনে উবুড় হয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন। “তুমি কী চাও?” রাজামশাই জিজ্ঞাসা করলেন।
καὶ ἔκυψεν Βηρσαβεε καὶ προσεκύνησεν τῷ βασιλεῖ καὶ εἶπεν ὁ βασιλεύς τί ἐστίν σοι
17 বৎশেবা তাঁকে বললেন, “হে আমার প্রভু, আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে আপনি নিজেই আপনার এই দাসী—আমার কাছে প্রতিজ্ঞা করলেন: ‘তোমার ছেলে শলোমন আমার পরে রাজা হবে, ও সে আমার সিংহাসনে বসবে।’
ἡ δὲ εἶπεν κύριέ μου βασιλεῦ σὺ ὤμοσας ἐν κυρίῳ τῷ θεῷ σου τῇ δούλῃ σου λέγων ὅτι Σαλωμων ὁ υἱός σου βασιλεύσει μετ’ ἐμὲ καὶ αὐτὸς καθήσεται ἐπὶ τοῦ θρόνου μου
18 কিন্তু এখন আদোনিয় রাজা হয়ে গিয়েছে, এবং আপনি, আমার প্রভু মহারাজ এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
καὶ νῦν ἰδοὺ Αδωνιας ἐβασίλευσεν καὶ σύ κύριέ μου βασιλεῦ οὐκ ἔγνως
19 সে প্রচুর পরিমাণে গবাদি পশু, হৃষ্টপুষ্ট বাছুর ও মেষ বলি দিয়েছে, এবং রাজার ছেলেদের সবাইকে, যাজক অবিয়াথরকে ও সেনাপতি যোয়াবকে নিমন্ত্রণ করেছে, অথচ আপনার দাস শলোমনকে নিমন্ত্রণ করেননি।
καὶ ἐθυσίασεν μόσχους καὶ ἄρνας καὶ πρόβατα εἰς πλῆθος καὶ ἐκάλεσεν πάντας τοὺς υἱοὺς τοῦ βασιλέως καὶ Αβιαθαρ τὸν ἱερέα καὶ Ιωαβ τὸν ἄρχοντα τῆς δυνάμεως καὶ τὸν Σαλωμων τὸν δοῦλόν σου οὐκ ἐκάλεσεν
20 হে আমার প্রভু মহারাজ, আপনার পরে আমার প্রভু মহারাজের সিংহাসনে কে বসবে তা জানার জন্য ইস্রায়েলে সবার চোখের দৃষ্টি আপনার উপর স্থির হয়ে আছে।
καὶ σύ κύριέ μου βασιλεῦ οἱ ὀφθαλμοὶ παντὸς Ισραηλ πρὸς σὲ ἀπαγγεῖλαι αὐτοῖς τίς καθήσεται ἐπὶ τοῦ θρόνου τοῦ κυρίου μου τοῦ βασιλέως μετ’ αὐτόν
21 তা না হলে, আমার প্রভু মহারাজ যেই না তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হবেন, আমার সঙ্গে ও আমার ছেলে শলোমনের সঙ্গে তখন অপরাধীর মতো ব্যবহার করা হবে।”
καὶ ἔσται ὡς ἂν κοιμηθῇ ὁ κύριός μου ὁ βασιλεὺς μετὰ τῶν πατέρων αὐτοῦ καὶ ἔσομαι ἐγὼ καὶ ὁ υἱός μου Σαλωμων ἁμαρτωλοί
22 তিনি তখনও রাজার সঙ্গে কথা বলছিলেন, এমন সময় ভাববাদী নাথন সেখানে পৌঁছেছিলেন।
καὶ ἰδοὺ ἔτι αὐτῆς λαλούσης μετὰ τοῦ βασιλέως καὶ Ναθαν ὁ προφήτης ἦλθεν
23 রাজামশাইকে বলা হল, “ভাববাদী নাথন এখানে এসেছেন।” অতএব তিনি রাজার সামনে গিয়ে উবুড় হয়ে তাঁকে প্রণাম করলেন।
καὶ ἀνηγγέλη τῷ βασιλεῖ ἰδοὺ Ναθαν ὁ προφήτης καὶ εἰσῆλθεν κατὰ πρόσωπον τοῦ βασιλέως καὶ προσεκύνησεν τῷ βασιλεῖ κατὰ πρόσωπον αὐτοῦ ἐπὶ τὴν γῆν
24 নাথন বললেন, “হে আমার প্রভু মহারাজ, আপনি কি ঘোষণা করেছেন যে আপনার পরে আদোনিয়ই রাজা হবে ও সেই আপনার সিংহাসনে বসবে?
καὶ εἶπεν Ναθαν κύριέ μου βασιλεῦ σὺ εἶπας Αδωνιας βασιλεύσει ὀπίσω μου καὶ αὐτὸς καθήσεται ἐπὶ τοῦ θρόνου μου
25 আজই সে নিচে নেমে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে গবাদি পশু, হৃষ্টপুষ্ট বাছুর ও মেষ বলি দিয়েছে। সে রাজার ছেলেদের সবাইকে, সৈন্যদলের সেনাপতিদের ও যাজক অবিয়াথরকে নিমন্ত্রণ করল। ঠিক এই মুহূর্তে তারা তার সঙ্গে বসে ভোজনপান করছে ও বলছে, ‘রাজা আদোনিয় চিরজীবী হোন!’
ὅτι κατέβη σήμερον καὶ ἐθυσίασεν μόσχους καὶ ἄρνας καὶ πρόβατα εἰς πλῆθος καὶ ἐκάλεσεν πάντας τοὺς υἱοὺς τοῦ βασιλέως καὶ τοὺς ἄρχοντας τῆς δυνάμεως καὶ Αβιαθαρ τὸν ἱερέα καὶ ἰδού εἰσιν ἐσθίοντες καὶ πίνοντες ἐνώπιον αὐτοῦ καὶ εἶπαν ζήτω ὁ βασιλεὺς Αδωνιας
26 কিন্তু আপনার এই দাস আমাকে, যাজক সাদোককে, ও যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে এবং আপনার দাস শলোমনকে সে নিমন্ত্রণ করেননি।
καὶ ἐμὲ αὐτὸν τὸν δοῦλόν σου καὶ Σαδωκ τὸν ἱερέα καὶ Βαναιαν υἱὸν Ιωδαε καὶ Σαλωμων τὸν δοῦλόν σου οὐκ ἐκάλεσεν
27 আমার প্রভু মহারাজের পরে তাঁর সিংহাসনে কে বসবে সে বিষয়ে তাঁর দাসদের কিছু না জানিয়ে কি আমার প্রভু মহারাজ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?”
εἰ διὰ τοῦ κυρίου μου τοῦ βασιλέως γέγονεν τὸ ῥῆμα τοῦτο καὶ οὐκ ἐγνώρισας τῷ δούλῳ σου τίς καθήσεται ἐπὶ τὸν θρόνον τοῦ κυρίου μου τοῦ βασιλέως μετ’ αὐτόν
28 তখন রাজা দাউদ বললেন, “বৎশেবাকে ডেকে আনো।” অতএব তিনি রাজার কাছে এসে তাঁর সামনে দাঁড়িয়েছিলেন।
καὶ ἀπεκρίθη Δαυιδ καὶ εἶπεν καλέσατέ μοι τὴν Βηρσαβεε καὶ εἰσῆλθεν ἐνώπιον τοῦ βασιλέως καὶ ἔστη ἐνώπιον αὐτοῦ
29 রাজামশাই তখন একটি শপথ নিয়েছিলেন: “যিনি আমাকে সব বিপত্তি থেকে রক্ষা করেছেন, সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি,
καὶ ὤμοσεν ὁ βασιλεὺς καὶ εἶπεν ζῇ κύριος ὃς ἐλυτρώσατο τὴν ψυχήν μου ἐκ πάσης θλίψεως
30 আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামে তোমার কাছে যে প্রতিজ্ঞাটি করলাম, সেটি আমি অবশ্যই পালন করব: তোমার ছেলে শলোমনই আমার পরে রাজা হবে, আর আমার স্থানে আমার সিংহাসনে সেই বসবে।”
ὅτι καθὼς ὤμοσά σοι ἐν κυρίῳ τῷ θεῷ Ισραηλ λέγων ὅτι Σαλωμων ὁ υἱός σου βασιλεύσει μετ’ ἐμὲ καὶ αὐτὸς καθήσεται ἐπὶ τοῦ θρόνου μου ἀντ’ ἐμοῦ ὅτι οὕτως ποιήσω τῇ ἡμέρᾳ ταύτῃ
31 তখন বৎশেবা মাটিতে উবুড় হয়ে রাজামশাইকে প্রণাম করে বললেন, “আমার প্রভু মহারাজ দাউদ, চিরজীবী হোন!”
καὶ ἔκυψεν Βηρσαβεε ἐπὶ πρόσωπον ἐπὶ τὴν γῆν καὶ προσεκύνησεν τῷ βασιλεῖ καὶ εἶπεν ζήτω ὁ κύριός μου ὁ βασιλεὺς Δαυιδ εἰς τὸν αἰῶνα
32 রাজা দাউদ বললেন, “যাজক সাদোক, ভাববাদী নাথন ও যিহোয়াদার ছেলে বনায়কে ডেকে আনো।” তারা রাজার সামনে আসার পর
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς Δαυιδ καλέσατέ μοι Σαδωκ τὸν ἱερέα καὶ Ναθαν τὸν προφήτην καὶ Βαναιαν υἱὸν Ιωδαε καὶ εἰσῆλθον ἐνώπιον τοῦ βασιλέως
33 তিনি তাদের বললেন: “তোমরা তোমাদের মনিবের দাসদের সঙ্গে নাও ও আমার ছেলে শলোমনকে আমার নিজস্ব খচ্চরের পিঠে চাপিয়ে তাকে নিয়ে গীহোন জলের উৎসে নেমে যাও।
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς αὐτοῖς λάβετε τοὺς δούλους τοῦ κυρίου ὑμῶν μεθ’ ὑμῶν καὶ ἐπιβιβάσατε τὸν υἱόν μου Σαλωμων ἐπὶ τὴν ἡμίονον τὴν ἐμὴν καὶ καταγάγετε αὐτὸν εἰς τὸν Γιων
34 সেখানে গিয়ে যাজক সাদোক ও ভাববাদী নাথন তাকে ইস্রায়েলের উপর রাজপদে অভিষিক্ত করুক। তোমরা শিঙা বাজিয়ে চিৎকার করে বোলো, ‘রাজা শলোমন দীর্ঘজীবী হোন!’
καὶ χρισάτω αὐτὸν ἐκεῖ Σαδωκ ὁ ἱερεὺς καὶ Ναθαν ὁ προφήτης εἰς βασιλέα ἐπὶ Ισραηλ καὶ σαλπίσατε κερατίνῃ καὶ ἐρεῖτε ζήτω ὁ βασιλεὺς Σαλωμων
35 পরে তোমরা তার সঙ্গে থেকে উপরে উঠে যেয়ো ও সে এসে আমার সিংহাসনে বসে আমার স্থানে রাজত্ব করুক। আমি তাকে ইস্রায়েল ও যিহূদার উপর শাসক নিযুক্ত করলাম।”
καὶ καθήσεται ἐπὶ τοῦ θρόνου μου καὶ αὐτὸς βασιλεύσει ἀντ’ ἐμοῦ καὶ ἐγὼ ἐνετειλάμην τοῦ εἶναι εἰς ἡγούμενον ἐπὶ Ισραηλ καὶ Ιουδα
36 যিহোয়াদার ছেলে বনায় রাজামশাইকে উত্তর দিলেন, “আমেন! আমার প্রভু মহারাজের ঈশ্বর সদাপ্রভুও এরকমই ঘোষণা করুন।
καὶ ἀπεκρίθη Βαναιας υἱὸς Ιωδαε τῷ βασιλεῖ καὶ εἶπεν γένοιτο οὕτως πιστώσαι κύριος ὁ θεὸς τοῦ κυρίου μου τοῦ βασιλέως
37 সদাপ্রভু যেমন আমার প্রভু মহারাজের সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন, তিনি যেন সেভাবেই শলোমনেরও সঙ্গে সঙ্গে থাকেন ও তাঁর সিংহাসন আমার প্রভু মহারাজ দাউদের সিংহাসনের চেয়েও বড়ো করলেন!”
καθὼς ἦν κύριος μετὰ τοῦ κυρίου μου τοῦ βασιλέως οὕτως εἴη μετὰ Σαλωμων καὶ μεγαλύναι τὸν θρόνον αὐτοῦ ὑπὲρ τὸν θρόνον τοῦ κυρίου μου τοῦ βασιλέως Δαυιδ
38 অতএব যাজক সাদোক, ভাববাদী নাথন, যিহোয়াদার ছেলে বনায়, করেথীয়রা ও পলেথীয়রা শলোমনকে রাজা দাউদের খচ্চরের পিঠে চাপিয়ে, তাঁর সমগামী হয়ে তাঁকে গীহোনে নিয়ে গেলেন।
καὶ κατέβη Σαδωκ ὁ ἱερεὺς καὶ Ναθαν ὁ προφήτης καὶ Βαναιας υἱὸς Ιωδαε καὶ ὁ χερεθθι καὶ ὁ φελεθθι καὶ ἐπεκάθισαν τὸν Σαλωμων ἐπὶ τὴν ἡμίονον τοῦ βασιλέως Δαυιδ καὶ ἀπήγαγον αὐτὸν εἰς τὸν Γιων
39 যাজক সাদোক পবিত্র তাঁবু থেকে তেলের সেই শিং নিয়ে এসে শলোমনকে অভিষিক্ত করলেন। পরে তারা শিঙা বাজিয়েছিলেন ও সব লোকজন চিৎকার করে উঠেছিল, “রাজা শলোমন দীর্ঘজীবী হোন!”
καὶ ἔλαβεν Σαδωκ ὁ ἱερεὺς τὸ κέρας τοῦ ἐλαίου ἐκ τῆς σκηνῆς καὶ ἔχρισεν τὸν Σαλωμων καὶ ἐσάλπισεν τῇ κερατίνῃ καὶ εἶπεν πᾶς ὁ λαός ζήτω ὁ βασιλεὺς Σαλωμων
40 সব লোকজন তাঁর পিছু পিছু বাঁশি বাজিয়ে ও মহানন্দে এমনভাবে ছুটতে শুরু করল, যে সেই শব্দে মাটি কেঁপে উঠেছিল।
καὶ ἀνέβη πᾶς ὁ λαὸς ὀπίσω αὐτοῦ καὶ ἐχόρευον ἐν χοροῖς καὶ εὐφραινόμενοι εὐφροσύνην μεγάλην καὶ ἐρράγη ἡ γῆ ἐν τῇ φωνῇ αὐτῶν
41 আদোনিয় ও তার সঙ্গে থাকা সব অতিথি ভোজসভার ভোজনপান প্রায় শেষ করে এসেছে, এমন সময় তারা সেই শব্দ শুনতে পেয়েছিল। শিঙার শব্দ শুনতে পেয়ে যোয়াব জিজ্ঞাসা করলেন, “নগরে কী এত চিৎকার-চেঁচামেচি হচ্ছে?”
καὶ ἤκουσεν Αδωνιας καὶ πάντες οἱ κλητοὶ αὐτοῦ καὶ αὐτοὶ συνετέλεσαν φαγεῖν καὶ ἤκουσεν Ιωαβ τὴν φωνὴν τῆς κερατίνης καὶ εἶπεν τίς ἡ φωνὴ τῆς πόλεως ἠχούσης
42 তিনি একথা বলতে না বলতেই যাজক অবিয়াথরের ছেলে যোনাথন সেখানে পৌঁছে গেলেন। আদোনিয় বলল, “আসুন, আসুন। আপনার মতো গুণীজন নিশ্চয় ভালো খবরই নিয়ে এসেছেন।”
ἔτι αὐτοῦ λαλοῦντος καὶ ἰδοὺ Ιωναθαν υἱὸς Αβιαθαρ τοῦ ἱερέως ἦλθεν καὶ εἶπεν Αδωνιας εἴσελθε ὅτι ἀνὴρ δυνάμεως εἶ σύ καὶ ἀγαθὰ εὐαγγέλισαι
43 “একেবারেই না!” যোনাথন আদোনিয়কে উত্তর দিলেন। “আমাদের প্রভু মহারাজ দাউদ শলোমনকে রাজা করেছেন।
καὶ ἀπεκρίθη Ιωναθαν καὶ εἶπεν καὶ μάλα ὁ κύριος ἡμῶν ὁ βασιλεὺς Δαυιδ ἐβασίλευσεν τὸν Σαλωμων
44 মহারাজ তাঁর সঙ্গে যাজক সাদোক, ভাববাদী নাথন, যিহোয়াদার ছেলে বনায়, করেথীয় ও পলেথীয়দেরও পাঠালেন, এবং তারা শলোমনকে মহারাজের খচ্চরের পিঠে চাপিয়ে দিলেন,
καὶ ἀπέστειλεν ὁ βασιλεὺς μετ’ αὐτοῦ τὸν Σαδωκ τὸν ἱερέα καὶ Ναθαν τὸν προφήτην καὶ Βαναιαν υἱὸν Ιωδαε καὶ τὸν χερεθθι καὶ τὸν φελεθθι καὶ ἐπεκάθισαν αὐτὸν ἐπὶ τὴν ἡμίονον τοῦ βασιλέως
45 এবং যাজক সাদোক ও ভাববাদী নাথন গীহোনে তাঁকে রাজপদে অভিষিক্ত করেছেন। সেখান থেকে তারা হর্ষধ্বনি করতে করতে চলে গিয়েছেন, এবং নগরেও তার প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছে। তোমরা এই চিৎকারই শুনেছ।
καὶ ἔχρισαν αὐτὸν Σαδωκ ὁ ἱερεὺς καὶ Ναθαν ὁ προφήτης εἰς βασιλέα ἐν τῷ Γιων καὶ ἀνέβησαν ἐκεῖθεν εὐφραινόμενοι καὶ ἤχησεν ἡ πόλις αὕτη ἡ φωνή ἣν ἠκούσατε
46 এছাড়াও, শলোমন রাজসিংহাসনে বসে পড়েছেন।
καὶ ἐκάθισεν Σαλωμων ἐπὶ θρόνον τῆς βασιλείας
47 আবার, রাজকর্মচারীরা এই বলে আমাদের প্রভু মহারাজ দাউদকে অভিনন্দন জানাতে এসেছে যে, ‘আপনার ঈশ্বর, শলোমনের নাম আপনার নামের চেয়েও বিখ্যাত করে তুলুন এবং তাঁর সিংহাসন আপনার সিংহাসনের চেয়েও বড়ো করে তুলুন!’ মহারাজ নিজের বিছানাতেই আরাধনা করে
καὶ εἰσῆλθον οἱ δοῦλοι τοῦ βασιλέως εὐλογῆσαι τὸν κύριον ἡμῶν τὸν βασιλέα Δαυιδ λέγοντες ἀγαθύναι ὁ θεὸς τὸ ὄνομα Σαλωμων τοῦ υἱοῦ σου ὑπὲρ τὸ ὄνομά σου καὶ μεγαλύναι τὸν θρόνον αὐτοῦ ὑπὲρ τὸν θρόνον σου καὶ προσεκύνησεν ὁ βασιλεὺς ἐπὶ τὴν κοίτην αὐτοῦ
48 বলেছেন, ‘ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা হোক, যিনি আজ আমাকে নিজের চোখেই আমার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী দেখে যাওয়ার সুযোগ দিলেন।’”
καί γε οὕτως εἶπεν ὁ βασιλεύς εὐλογητὸς κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ ὃς ἔδωκεν σήμερον ἐκ τοῦ σπέρματός μου καθήμενον ἐπὶ τοῦ θρόνου μου καὶ οἱ ὀφθαλμοί μου βλέπουσιν
49 একথা শুনে আদোনিয়ের অতিথিরা সবাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে উঠে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল।
καὶ ἐξέστησαν καὶ ἐξανέστησαν πάντες οἱ κλητοὶ τοῦ Αδωνιου καὶ ἀπῆλθον ἀνὴρ εἰς τὴν ὁδὸν αὐτοῦ
50 কিন্তু আদোনিয় শলোমনের ভয়ে গিয়ে যজ্ঞবেদির শিংগুলি আঁকড়ে জড়িয়ে ধরেছিল।
καὶ Αδωνιας ἐφοβήθη ἀπὸ προσώπου Σαλωμων καὶ ἀνέστη καὶ ἀπῆλθεν καὶ ἐπελάβετο τῶν κεράτων τοῦ θυσιαστηρίου
51 তখন শলোমনকে বলা হল, “আদোনিয় রাজা শলোমনের ভয়ে যজ্ঞবেদির শিংগুলি আঁকড়ে ধরে আছে। সে বলছে, ‘রাজা শলোমন আজ আমার কাছে শপথ করে বলুন যে তিনি তাঁর দাসকে তরোয়ালের আঘাতে হত্যা করবেন না।’”
καὶ ἀνηγγέλη τῷ Σαλωμων λέγοντες ἰδοὺ Αδωνιας ἐφοβήθη τὸν βασιλέα Σαλωμων καὶ κατέχει τῶν κεράτων τοῦ θυσιαστηρίου λέγων ὀμοσάτω μοι σήμερον ὁ βασιλεὺς Σαλωμων εἰ οὐ θανατώσει τὸν δοῦλον αὐτοῦ ἐν ῥομφαίᾳ
52 শলোমন উত্তর দিলেন, “সে যদি নিজেকে অনুগত প্রমাণিত করতে পারে, তবে তার মাথার একটি চুলও মাটিতে পড়বে না; কিন্তু যদি তার মধ্যে দুষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়, তবে তাকে মরতেই হবে।”
καὶ εἶπεν Σαλωμων ἐὰν γένηται εἰς υἱὸν δυνάμεως εἰ πεσεῖται τῶν τριχῶν αὐτοῦ ἐπὶ τὴν γῆν καὶ ἐὰν κακία εὑρεθῇ ἐν αὐτῷ θανατωθήσεται
53 পরে রাজা শলোমন লোক পাঠালেন, ও তারা তাকে যজ্ঞবেদি থেকে নামিয়ে এনেছিল। আদোনিয় এসে রাজা শলোমনের কাছে নতজানু হল, ও শলোমন বললেন, “তোমার ঘরে ফিরে যাও।”
καὶ ἀπέστειλεν ὁ βασιλεὺς Σαλωμων καὶ κατήνεγκεν αὐτὸν ἀπάνωθεν τοῦ θυσιαστηρίου καὶ εἰσῆλθεν καὶ προσεκύνησεν τῷ βασιλεῖ Σαλωμων καὶ εἶπεν αὐτῷ Σαλωμων δεῦρο εἰς τὸν οἶκόν σου
