< সখরিয় ভাববাদীর বই 11 >

1 হে লিবানোন, তোমার দরজাগুলো খুলে দাও, যাতে আগুন তোমার এরস গাছগুলিকে গ্রাস করতে পারে।
হে লেবানন, তোমার দরজাগুলি খুলে দাও, যাতে আগুন তোমার দেবদারু গাছগুলি গ্রাস করতে পারে!
2 হে দেবদারু গাছ, বিলাপ কর, কারণ এরস গাছ পড়ে গেছে! সমস্ত মহান গাছগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাশনের এলোন গাছেরা, তোমরা বিলাপ কর, কারণ গভীর বন ধ্বংস হয়েছে।
হে সবুজ-সতেজ দেবদারু গাছ, বিলাপ করো, কেননা সিডার গাছ পড়ে গেছে; সেরা গাছগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে! হে বাশনের ওক গাছ, বিলাপ করো, কারণ গভীর বনের সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে!
3 মেষপালকদের আর্তনাদের শব্দ; কারণ তাদের মহিমা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যুবসিংহদের গর্জনের আওয়াজ; কারণ যর্দ্দন নদীর গর্ব ধ্বংস হয়ে গিয়েছে!
মেষপালকদের বিলাপ শোনো; তাদের ভালো ভালো চারণভূমি নষ্ট হয়ে গেছে! সিংহদের গর্জন শোনো; জর্ডনের গভীর জঙ্গল নষ্ট হয়ে গেছে!
4 সদাপ্রভু আমার ঈশ্বর বলছেন, “হত্যা করবার জন্য যে ভেড়ার পাল ঠিক হয়েছে সেই পাল চরাও।
আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু এই কথা বলেন যে মেষপাল বধ করার জন্য ঠিক হয়ে আছে তুমি সেই পাল চরাও।
5 যারা তাদের কিনে নেয়, হত্যা করে তারা কোনো শাস্তি পায় না এবং যারা তাদের বিক্রি করে তারা বলে, ‘সদাপ্রভু ধন্য, আমি ধনী হয়েছি!’ কারণ তাদের নিজদের পালকেরা তাদের উপর দয়া করে না।
“তাদের ক্রেতারা তাদের বধ করে কিন্তু তাদের শাস্তি হয় না। যারা তাদের বিক্রি করে তারা বলে, ‘সদাপ্রভুর গৌরব হোক, আমি ধনী হয়েছি!’ তাদের নিজেদের মেষপালক তাদের উপর দয়া করে না।”
6 কারণ, সদাপ্রভু বলেন আমি সেই দেশের লোকদের উপর আর দয়া করব না!” “আমি নিজে তাদেরকে লোকেদের সম্মুখীন করব, যেন প্রত্যেকে তার ভেড়ার পালকদের হাতে ও তার রাজার হাতে পড়ে। এবং তারা দেশটাকে চূর্ণবিচূর্ণ করবে, কিন্তু তাদের হাত থেকে আমি যিহূদাকে উদ্ধার করব না।”
কারণ, সদাপ্রভু বলেন, “দেশের লোকদের প্রতি আমি আর দয়া করব না। আমি প্রত্যেকজনকে তার প্রতিবেশী ও রাজার হাতে তুলে দেব। তারা দেশ নষ্ট করবে, আর আমি তাদের হাত থেকে কাউকে উদ্ধার করব না।”
7 তাই আমি সেই হত্যা করবার জন্য যে ভেড়ার পাল ঠিক হয়েছিল তাদের পালক হলাম, বিশেষ করে সেই পালের দুঃখীদের। তারপর আমি দুইটি লাঠি নিলাম এবং তার একটির নাম দিলাম “দয়া” ও অন্যটির নাম দিলাম “একতা।” এবং আমি সেই ভেড়ার পাল চরালাম।
বধ করার জন্য যে মেষপাল ঠিক হয়ে আছে, বিশেষ করে সেই পালের দুঃখীদের আমি মেষপালক হিসেবে চরাতে লাগলাম। তারপর আমি দুটো লাঠি নিলাম এবং একটির নাম দিলাম দয়া ও অন্যটির নাম দিলাম মিলন, আর আমি সেই মেষপাল চরালাম।
8 এক মাসের মধ্যে আমি তিনজন ভেড়ার পালককে ধ্বংস করলাম। আমি সেই সমস্ত ভেড়ার ব্যবসায়ীদের, যারা আমাকে ভাড়া করেছিল তাদের নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম, কারণ তাদের প্রাণও আমাকে ঘৃণা করেছিল।
এক মাসের মধ্যে আমি তিনজন মেষপালককে দূর করে দিলাম। পরে মেষপাল আমাকে ঘৃণা করতে লাগল, আর আমি তাদের নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম
9 তখন আমি বললাম, “আমিও আর তোমাদের সঙ্গে ভেড়া চরাব না। যেগুলি মারা যাচ্ছে সেগুলি মারা যাক; যেগুলি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সেগুলো ধ্বংস হোক। যারা বাকি আছে তারা প্রত্যেকে তার প্রতিবেশির মাংস খাক।”
এবং বললাম, “আমি তোমাদের মেষপালক হব না। যে মরে সে মরুক, যে উচ্ছিন্ন হয় সে উচ্ছিন্ন হোক। বাকিরা একে অন্যের মাংস খাক।”
10 ১০ তাই আমি “দয়া” নামে সেই লাঠিটা নিয়ে ভেঙে ফেলে সমস্ত জাতির সঙ্গে আমার যে চুক্তি ছিল তা ভঙ্গ করলাম।
তারপর আমি দয়া নামে সেই লাঠিটা নিয়ে ভেঙে ফেলে সমস্ত জাতির সঙ্গে আমার যে চুক্তি ছিল তা বাতিল করলাম।
11 ১১ সেই দিনের ই সেই নিয়ম ভঙ্গ হয়েছিল এবং পালের দুঃখী ভেড়া যারা আমাকে লক্ষ্য করছিল তারা জানত যে, সদাপ্রভু কথা বলেছেন!
সেই দিনই তা বাতিল হল, তাই পালের মধ্যে যে সকল দুঃখী আমাকে লক্ষ্য করছিল তারা জানতে পারল যে, এটি সদাপ্রভুর বাক্য।
12 ১২ আমি তাদের বললাম, “যদি এটা তোমাদের ভাল মনে হয় তবে আমার বেতন দাও; কিন্তু যদি ভাল মনে না হয় তবে তা করো না।” তাই তারা আমার বেতন ত্রিশটি রূপার টুকরো পরিমাপ করে দিল।
আমি তাদের বললাম, “আপনারা যদি ভালো মনে করেন, তবে আমার বেতন দিন; কিন্তু যদি ভালো মনে না করেন, তবে তা রেখে দিন।” তখন তারা আমাকে ত্রিশটি রুপোর টুকরো দিল।
13 ১৩ তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “সেই রূপা কুমারের কাছে ফেলে দাও, যা দিয়ে তারা তোমার মূল্য ঠিক করেছে!” তাই আমি সেই ত্রিশটি সেকেল রূপার টুকরো নিয়ে সদাপ্রভুর ঘরে কুমারের কাছে ফেলে দিলাম।
পরে সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ওটি কুম্ভকারের কাছে ফেলে দাও,” তাদের চোখে আমি এইরকমই মূল্যবান ছিলাম! সুতরাং আমি সেই ত্রিশটি রুপোর টুকরো নিয়ে সদাপ্রভুর গৃহে কুমোরের কাছে ফেলে দিলাম।
14 ১৪ পরে আমি “একতা” নামে সেই দ্বিতীয় লাঠিটা ভেঙে যিহূদা ও ইস্রায়েলের মধ্যে ভাইয়ের যে সম্বন্ধ ছিল তা ভঙ্গ করলাম।
তারপর আমি মিলন নামে দ্বিতীয় লাঠিটা ভেঙে যিহূদা ও ইস্রায়েলের মধ্যে ভাইয়ের যে সম্বন্ধ ছিল তা নষ্ট করলাম।
15 ১৫ সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এবার, তুমি একজন মূর্খ পালকের বাদ্যযন্ত্র তোমার জন্য নাও,
পরে সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “এবার তুমি একজন নির্বোধ মেষপালকের জিনিস নাও।
16 ১৬ কারণ দেখ! সেই দেশে আমি একজন পালককে তুলব! সে ধ্বংসপ্রাপ্ত ভেড়াদের দেখাশোনা করবে না! যে সমস্ত ভেড়া বিপথে চলে গিয়েছে সে তাদের খোঁজ করবে না, না পঙ্গু ভেড়াদের সুস্থ করবে। সে সেই সমস্ত ভেড়াদের খাওয়াবে না যারা শক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে; কিন্তু সে স্বাস্থ্যবান ভেড়াগুলোর মাংস খাবে এবং তাদের খুর ছিন্নভিন্ন করবে।
কেননা আমি দেশের মধ্যে এমন একজন মেষপালককে তুলব যে হারিয়ে যাওয়াদের যত্ন নেবে না, বা যুবাদের খুঁজবে না, বা যারা আঘাত পেয়েছে তাদের সুস্থ করবে না, বা স্বাস্থ্যবানদের খাওয়াবে না, কিন্তু সে বাছাই করা মেষগুলির মাংস খাবে, তাদের খুর থেকে মাংস ছিড়ে খাবে।
17 ১৭ “ধিক, সেই অপদার্থ পালককে, যে ভেড়ার পালকে ত্যাগ করে! তলোয়ার যেন তার হাত ও ডান চোখের বিরুদ্ধে উপস্থিত হয়! যেন তার ডান হাত শুকিয়ে যায় এবং তার ডান চোখ অন্ধ হয়ে যায়!”
“ধিক্ সেই অপদার্থ মেষপালক, যে সেই পাল ছেড়ে চলে যায়! তরোয়াল যেন তার হাত ও ডান চোখ আঘাত করে! তার হাত যেন সম্পূর্ণ শুকিয়ে যায়, তার ডান চোখ সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যায়!”

< সখরিয় ভাববাদীর বই 11 >