রূতের বিবরণ 2
καὶ τῇ Νωεμιν ἀνὴρ γνώριμος τῷ ἀνδρὶ αὐτῆς ὁ δὲ ἀνὴρ δυνατὸς ἰσχύι ἐκ τῆς συγγενείας Αβιμελεχ καὶ ὄνομα αὐτῷ Βοος
2 ২ পরে মোয়াবীয়া রূত নয়মীকে বলল, “অনুরোধ করি, আমি ক্ষেত্রে গিয়ে যার দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পাই, তার পিছনে পিছনে শস্যের পড়ে থাকা শীষ কুড়াই।” নয়মী বলল, “বৎসে, যাও।”
καὶ εἶπεν Ρουθ ἡ Μωαβῖτις πρὸς Νωεμιν πορευθῶ δὴ εἰς ἀγρὸν καὶ συνάξω ἐν τοῖς στάχυσιν κατόπισθεν οὗ ἐὰν εὕρω χάριν ἐν ὀφθαλμοῖς αὐτοῦ εἶπεν δὲ αὐτῇ πορεύου θύγατερ
3 ৩ পরে সে গিয়ে এক ক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে ছেদকদের পিছনে পিছনে পড়ে থাকা শীষ কুড়াতে লাগল; আর ঘটনাক্রমে সে ইলীমেলকের গোষ্ঠীর ঐ বোয়সের ভূমিতেই গিয়ে পড়ল।
καὶ ἐπορεύθη καὶ συνέλεξεν ἐν τῷ ἀγρῷ κατόπισθεν τῶν θεριζόντων καὶ περιέπεσεν περιπτώματι τῇ μερίδι τοῦ ἀγροῦ Βοος τοῦ ἐκ συγγενείας Αβιμελεχ
4 ৪ আর দেখ, বোয়স বৈৎলেহম থেকে এসে ছেদকদেরকে বললেন, “সদাপ্রভু তোমাদের সহবর্ত্তী হোন।” তারা উত্তর করল, “সদাপ্রভু আপনাকে আশীর্বাদ করুন।”
καὶ ἰδοὺ Βοος ἦλθεν ἐκ Βαιθλεεμ καὶ εἶπεν τοῖς θερίζουσιν κύριος μεθ’ ὑμῶν καὶ εἶπον αὐτῷ εὐλογήσαι σε κύριος
καὶ εἶπεν Βοος τῷ παιδαρίῳ αὐτοῦ τῷ ἐφεστῶτι ἐπὶ τοὺς θερίζοντας τίνος ἡ νεᾶνις αὕτη
6 ৬ তখন ছেদকদের উপর নিযুক্ত চাকর বলল, “এ সেই মোয়াবীয়া যুবতী, যে নয়মীর সঙ্গে মোয়াব দেশ থেকে এসেছে;”
καὶ ἀπεκρίθη τὸ παιδάριον τὸ ἐφεστὸς ἐπὶ τοὺς θερίζοντας καὶ εἶπεν ἡ παῖς ἡ Μωαβῖτίς ἐστιν ἡ ἀποστραφεῖσα μετὰ Νωεμιν ἐξ ἀγροῦ Μωαβ
7 ৭ সে বলল, “অনুগ্রহ করে আমাকে ছেদকদের পিছনে পিছনে আঁটির মধ্যে শীষ কুড়াতে দাও;” অতএব সে এসে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত রয়েছে; কেবল বিশ্রামের ঘরে (বিশ্রাম নিতে) অল্পক্ষণ ছিল।
καὶ εἶπεν συλλέξω δὴ καὶ συνάξω ἐν τοῖς δράγμασιν ὄπισθεν τῶν θεριζόντων καὶ ἦλθεν καὶ ἔστη ἀπὸ πρωίθεν καὶ ἕως ἑσπέρας οὐ κατέπαυσεν ἐν τῷ ἀγρῷ μικρόν
8 ৮ পরে বোয়স রূতকে বললেন, “বৎসে, বলি শুন; তুমি কুড়াতে অন্য ক্ষেত্রে যেও না, এখান থেকে চলে যেও না, এখানে আমার যুবতী দাসীদের সঙ্গে সঙ্গে থাক।
καὶ εἶπεν Βοος πρὸς Ρουθ οὐκ ἤκουσας θύγατερ μὴ πορευθῇς ἐν ἀγρῷ συλλέξαι ἑτέρῳ καὶ σὺ οὐ πορεύσῃ ἐντεῦθεν ὧδε κολλήθητι μετὰ τῶν κορασίων μου
9 ৯ ছেদকেরা যে ক্ষেত্রের শস্য কাটবে, তার প্রতি চোখ রেখে তুমি দাসীদের পিছনে যেও; তোমাকে স্পর্শ করতে আমি কি যুবকদেরকে নিষেধ করিনি? আর পিপাসা পেলে তুমি পাত্রের কাছে গিয়ে, যুবকরা যে জল তুলেছে, তা থেকে পান কোরো।”
οἱ ὀφθαλμοί σου εἰς τὸν ἀγρόν οὗ ἐὰν θερίζωσιν καὶ πορεύσῃ κατόπισθεν αὐτῶν ἰδοὺ ἐνετειλάμην τοῖς παιδαρίοις τοῦ μὴ ἅψασθαί σου καὶ ὅ τι διψήσεις καὶ πορευθήσῃ εἰς τὰ σκεύη καὶ πίεσαι ὅθεν ἂν ὑδρεύωνται τὰ παιδάρια
10 ১০ তাতে সে উপুর হয়ে মাটিতে নত হয়ে তাঁকে বলল, “আমি তো বিদেশিনী, তবুও আপনি আমার বিষয় জানতে চাইছেন, আপনার দৃষ্টিতে এ অনুগ্রহ আমি কিসের জন্য পেলাম?”
καὶ ἔπεσεν ἐπὶ πρόσωπον αὐτῆς καὶ προσεκύνησεν ἐπὶ τὴν γῆν καὶ εἶπεν πρὸς αὐτόν τί ὅτι εὗρον χάριν ἐν ὀφθαλμοῖς σου τοῦ ἐπιγνῶναί με καὶ ἐγώ εἰμι ξένη
11 ১১ বোয়স উত্তর করলেন, “তোমার স্বামীর মৃত্যুর পরে তুমি তোমার শাশুড়ীর সঙ্গে যেমন ব্যবহার করেছ এবং নিজের বাবা মা ও জন্মদেশ ছেড়ে, আগে যাদেরকে জানতে না, এমন লোকদের কাছে এসেছ, এ সব কথা আমার শোনা আছে।
καὶ ἀπεκρίθη Βοος καὶ εἶπεν αὐτῇ ἀπαγγελίᾳ ἀπηγγέλη μοι ὅσα πεποίηκας μετὰ τῆς πενθερᾶς σου μετὰ τὸ ἀποθανεῖν τὸν ἄνδρα σου καὶ πῶς κατέλιπες τὸν πατέρα σου καὶ τὴν μητέρα σου καὶ τὴν γῆν γενέσεώς σου καὶ ἐπορεύθης πρὸς λαὸν ὃν οὐκ ᾔδεις ἐχθὲς καὶ τρίτης
12 ১২ সদাপ্রভু তোমার কাজের উপযোগী ফল দিন; তুমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর যে সদাপ্রভুর পক্ষের নীচে শরণ নিতে এসেছ, তিনি তোমাকে সম্পূর্ণ পুরষ্কার দিন।”
ἀποτείσαι κύριος τὴν ἐργασίαν σου καὶ γένοιτο ὁ μισθός σου πλήρης παρὰ κυρίου θεοῦ Ισραηλ πρὸς ὃν ἦλθες πεποιθέναι ὑπὸ τὰς πτέρυγας αὐτοῦ
13 ১৩ সে বলল, “হে আমার প্রভু, আপনার দৃষ্টিতে যেন আমি অনুগ্রহ পাই; আপনি আমাকে সান্ত্বনা করলেন এবং আপনার এই দাসীর কাছে মঙ্গলকাঙ্খী কথা বললেন; আমি তো আপনার একটি দাসীর মতোও নই।”
ἡ δὲ εἶπεν εὕροιμι χάριν ἐν ὀφθαλμοῖς σου κύριε ὅτι παρεκάλεσάς με καὶ ὅτι ἐλάλησας ἐπὶ καρδίαν τῆς δούλης σου καὶ ἰδοὺ ἐγὼ ἔσομαι ὡς μία τῶν παιδισκῶν σου
14 ১৪ পরে ভোজন দিনের বোয়স তাকে বললেন, “তুমি এই জায়গায় এসে রুটি খাও এবং তোমার রুটির খন্ড সিরকায় ডুবিয়ে নাও।” তখন সে ছেদককের পাশে বসলে তারা তাকে ভাজা শস্য দিল; তাতে সে খেয়ে তৃপ্ত হল এবং কিছু রেখে দিল।
καὶ εἶπεν αὐτῇ Βοος ἤδη ὥρᾳ τοῦ φαγεῖν πρόσελθε ὧδε καὶ φάγεσαι τῶν ἄρτων καὶ βάψεις τὸν ψωμόν σου ἐν τῷ ὄξει καὶ ἐκάθισεν Ρουθ ἐκ πλαγίων τῶν θεριζόντων καὶ ἐβούνισεν αὐτῇ Βοος ἄλφιτον καὶ ἔφαγεν καὶ ἐνεπλήσθη καὶ κατέλιπεν
15 ১৫ পরে সে কুড়াতে উঠলে বোয়স নিজের চাকরদেরকে আজ্ঞা করলেন, “ওকে আঁটির মধ্যেও কুড়াতে দাও এবং ওকে তিরস্কার করও না;
καὶ ἀνέστη τοῦ συλλέγειν καὶ ἐνετείλατο Βοος τοῖς παιδαρίοις αὐτοῦ λέγων καί γε ἀνὰ μέσον τῶν δραγμάτων συλλεγέτω καὶ μὴ καταισχύνητε αὐτήν
καὶ βαστάζοντες βαστάξατε αὐτῇ καί γε παραβάλλοντες παραβαλεῖτε αὐτῇ ἐκ τῶν βεβουνισμένων καὶ ἄφετε καὶ συλλέξει καὶ οὐκ ἐπιτιμήσετε αὐτῇ
17 ১৭ আর সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই ক্ষেত্রে কুড়াল; পরে সে নিজের কুড়ান শস্য মাড়াই করলে প্রায় এক ঐফা যব হল।
καὶ συνέλεξεν ἐν τῷ ἀγρῷ ἕως ἑσπέρας καὶ ἐρράβδισεν ἃ συνέλεξεν καὶ ἐγενήθη ὡς οιφι κριθῶν
18 ১৮ পরে সে তা তুলে নিয়ে নগরে গেল এবং তার শাশুড়ী তার কুড়ান শস্য দেখল; আর সে আহার করে তৃপ্ত হলে পর যা রেখেছিল, তা বের করে তাকে দিল।
καὶ ἦρεν καὶ εἰσῆλθεν εἰς τὴν πόλιν καὶ εἶδεν ἡ πενθερὰ αὐτῆς ἃ συνέλεξεν καὶ ἐξενέγκασα Ρουθ ἔδωκεν αὐτῇ ἃ κατέλιπεν ἐξ ὧν ἐνεπλήσθη
19 ১৯ তখন তার শাশুড়ী তাকে বলল, “তুমি আজ কোথায় কুড়িয়েছ? কোথায় কাজ করেছ? যে ব্যক্তি তোমার সাহায্য করেছেন, তিনি ধন্য হোন।” তখন সে কার কাছে কাজ করেছিলে, তা শাশুড়িকে জানিয়ে বলল, “যে ব্যক্তির কাছে আজ কাজ করেছি, তাঁর নাম বোয়স।”
καὶ εἶπεν αὐτῇ ἡ πενθερὰ αὐτῆς ποῦ συνέλεξας σήμερον καὶ ποῦ ἐποίησας εἴη ὁ ἐπιγνούς σε εὐλογημένος καὶ ἀπήγγειλεν Ρουθ τῇ πενθερᾷ αὐτῆς ποῦ ἐποίησεν καὶ εἶπεν τὸ ὄνομα τοῦ ἀνδρός μεθ’ οὗ ἐποίησα σήμερον Βοος
20 ২০ তাতে নয়মী নিজের ছেলের স্ত্রীকে বলল, “তিনি সেই সদাপ্রভুর আশীর্বাদ লাভ করুন, যিনি জীবিত ও মৃতদের প্রতি দয়া নিবৃত্ত করেননি।” নয়মী আরও বলল, “সেই ব্যক্তি আমাদের কাছের আত্মীয়, তিনি আমাদের মুক্তিকর্তা জ্ঞাতিদের মধ্যে এক জন।”
καὶ εἶπεν Νωεμιν τῇ νύμφῃ αὐτῆς εὐλογητός ἐστιν τῷ κυρίῳ ὅτι οὐκ ἐγκατέλιπεν τὸ ἔλεος αὐτοῦ μετὰ τῶν ζώντων καὶ μετὰ τῶν τεθνηκότων καὶ εἶπεν αὐτῇ Νωεμιν ἐγγίζει ἡμῖν ὁ ἀνὴρ ἐκ τῶν ἀγχιστευόντων ἡμᾶς ἐστιν
21 ২১ আর মোয়াবীয়া রূত বলল, “তিনি আমাকে এটাও বললেন, আমার সমস্ত ফসল কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুমি আমার চাকরদের সঙ্গে সঙ্গে থাক।”
καὶ εἶπεν Ρουθ πρὸς τὴν πενθερὰν αὐτῆς καί γε ὅτι εἶπεν πρός με μετὰ τῶν παιδαρίων μου προσκολλήθητι ἕως ἂν τελέσωσιν ὅλον τὸν ἀμητόν ὃς ὑπάρχει μοι
22 ২২ তাতে নয়মী নিজের ছেলের স্ত্রী রূতকে বলল, “বৎসে, তুমি যে তার দাসীদের সঙ্গে যাও এবং অন্য কোনো জায়গায় কেউ যে তোমার দেখা না পায়, সে ভাল।”
καὶ εἶπεν Νωεμιν πρὸς Ρουθ τὴν νύμφην αὐτῆς ἀγαθόν θύγατερ ὅτι ἐπορεύθης μετὰ τῶν κορασίων αὐτοῦ καὶ οὐκ ἀπαντήσονταί σοι ἐν ἀγρῷ ἑτέρῳ
23 ২৩ অতএব যব ও গম কাটা শেষ হওয়া পর্যন্ত সে কুড়াবার জন্য বোয়সের দাসীদের সঙ্গে থাকল এবং নিজের শাশুড়ীর সঙ্গে বাস করল।
καὶ προσεκολλήθη Ρουθ τοῖς κορασίοις Βοος συλλέγειν ἕως οὗ συνετέλεσεν τὸν θερισμὸν τῶν κριθῶν καὶ τῶν πυρῶν καὶ ἐκάθισεν μετὰ τῆς πενθερᾶς αὐτῆς
