< রোমীয় 9 >

1 আমি খ্রীষ্টে সত্যি কথা বলছি, আমি মিথ্যা কথা বলছি না, পবিত্র আত্মাতে আমার বিবেক এই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে,
অহং কাঞ্চিদ্ কল্পিতাং কথাং ন কথযামি, খ্রীষ্টস্য সাক্ষাৎ সত্যমেৱ ব্রৱীমি পৱিত্রস্যাত্মনঃ সাক্ষান্ মদীযং মন এতৎ সাক্ষ্যং দদাতি|
2 আমার হৃদয়ে আমি গভীর দুঃখ এবং অশেষ কষ্ট পাচ্ছি।
মমান্তরতিশযদুঃখং নিরন্তরং খেদশ্চ
3 আমার ভাইদের জন্য, যারা আমার জাতীর লোক তাদের জন্য, যদি সম্ভব হত আমি নিজেই দেহ অনুযায়ী খ্রীষ্টের কাছ থেকে দূর হয়ে যাবার অভিশাপ গ্রহণ করতাম।
তস্মাদ্ অহং স্ৱজাতীযভ্রাতৃণাং নিমিত্তাৎ স্ৱযং খ্রীষ্টাচ্ছাপাক্রান্তো ভৱিতুম্ ঐচ্ছম্|
4 কারণ যারা ইস্রায়েলীয়। তাঁরই সন্তান হওয়ার অধিকার, মহিমা, নানারকম নিয়ম, আইনের উপহার, ঈশ্বরের আরাধনা এবং অনেক প্রতিজ্ঞা করেছেন,
যতস্ত ইস্রাযেলস্য ৱংশা অপি চ দত্তকপুত্রৎৱং তেজো নিযমো ৱ্যৱস্থাদানং মন্দিরে ভজনং প্রতিজ্ঞাঃ পিতৃপুরুষগণশ্চৈতেষু সর্ৱ্ৱেষু তেষাম্ অধিকারোঽস্তি|
5 পূর্বপুরুষরা যাঁদের কাছ থেকে খ্রীষ্ট এসেছেন দেহের সম্মানে যিনি সব কিছুর উপরে, ঈশ্বর, যুগে যুগে ধন্য, আমেন। (aiōn g165)
তৎ কেৱলং নহি কিন্তু সর্ৱ্ৱাধ্যক্ষঃ সর্ৱ্ৱদা সচ্চিদানন্দ ঈশ্ৱরো যঃ খ্রীষ্টঃ সোঽপি শারীরিকসম্বন্ধেন তেষাং ৱংশসম্ভৱঃ| (aiōn g165)
6 কিন্তু এটা এমন নয় যে ঈশ্বরের বাক্য বিফল হয়ে পড়েছে। কারণ যারা ইস্রায়েলের বংশধর তারা সকলে যে ইস্রায়েল থেকে তা নয়।
ঈশ্ৱরস্য ৱাক্যং ৱিফলং জাতম্ ইতি নহি যৎকারণাদ্ ইস্রাযেলো ৱংশে যে জাতাস্তে সর্ৱ্ৱে ৱস্তুত ইস্রাযেলীযা ন ভৱন্তি|
7 এটা ঠিক নয় সবাই অব্রাহামের বংশধর সত্যি তাঁর সন্তান কিন্তু, “ইসহাকের বংশকেই তোমার বংশ বলা হবে।”
অপরম্ ইব্রাহীমো ৱংশে জাতা অপি সর্ৱ্ৱে তস্যৈৱ সন্তানা ন ভৱন্তি কিন্তু ইস্হাকো নাম্না তৱ ৱংশো ৱিখ্যাতো ভৱিষ্যতি|
8 এর অর্থ এই শারীরিকভাবে জন্মান সন্তান হলেই যে তারা ঈশ্বরের সন্তান, এমন নয়। কিন্তু প্রতিজ্ঞার সন্তানদের বংশধর বলে গোনা হবে।
অর্থাৎ শারীরিকসংসর্গাৎ জাতাঃ সন্তানা যাৱন্তস্তাৱন্ত এৱেশ্ৱরস্য সন্তানা ন ভৱন্তি কিন্তু প্রতিশ্রৱণাদ্ যে জাযন্তে তএৱেশ্ৱরৱংশো গণ্যতে|
9 কারণ এটা প্রতিজ্ঞার কথা “এই দিন ই আমি আসব এবং সারার একটি ছেলে হবে,”।
যতস্তৎপ্রতিশ্রুতে র্ৱাক্যমেতৎ, এতাদৃশে সমযে ঽহং পুনরাগমিষ্যামি তৎপূর্ৱ্ৱং সারাযাঃ পুত্র একো জনিষ্যতে|
10 ১০ কিন্তু কেবল এই নয়, কিন্তু পরে রিবিকাও একজন লোক আমাদের পিতা ইসহাক দ্বারা গর্ভবতী হয়েছিলেন
১০অপরমপি ৱদামি স্ৱমনোঽভিলাষত ঈশ্ৱরেণ যন্নিরূপিতং তৎ কর্ম্মতো নহি কিন্ত্ৱাহ্ৱযিতু র্জাতমেতদ্ যথা সিদ্ধ্যতি
11 ১১ যখন সন্তানেরা জন্মায়নি, ভাল এবং খারাপ কোন কিছুই করে নি, তখন সুতরাং ঈশ্বরের পরিকল্পনানুসারে কাজের জন্য তাদের মনোনীত করলেন এবং কাজের জন্য নয়, যিনি ডেকেছেন তাঁর ইচ্ছার জন্যই
১১তদর্থং রিব্কানামিকযা যোষিতা জনৈকস্মাদ্ অর্থাদ্ অস্মাকম্ ইস্হাকঃ পূর্ৱ্ৱপুরুষাদ্ গর্ভে ধৃতে তস্যাঃ সন্তানযোঃ প্রসৱাৎ পূর্ৱ্ৱং কিঞ্চ তযোঃ শুভাশুভকর্ম্মণঃ করণাৎ পূর্ৱ্ৱং
12 ১২ এটা তাকে বলা হয়েছিল, “বড়জন ছোট জনের দাস হবে।”
১২তাং প্রতীদং ৱাক্যম্ উক্তং, জ্যেষ্ঠঃ কনিষ্ঠং সেৱিষ্যতে,
13 ১৩ ঠিক যেমন লেখা আছে: “আমি যাকোবকে ভালবেসেছি, কিন্তু এষৌকে ঘৃণা করেছি।”
১৩যথা লিখিতম্ আস্তে, তথাপ্যেষাৱি ন প্রীৎৱা যাকূবি প্রীতৱান্ অহং|
14 ১৪ তবে আমরা কি বলব? সেখানে ঈশ্বর অধার্মিকতা করেছেন? এটা কখন না।
১৪তর্হি ৱযং কিং ব্রূমঃ? ঈশ্ৱরঃ কিম্ অন্যাযকারী? তথা ন ভৱতু|
15 ১৫ কারণ তিনি মোশিকে বললেন, “আমি যাকে দয়া করি, তাকে দয়া করব এবং যার উপর করুণা করি, তার উপর করুণা করব।”
১৫যতঃ স স্ৱযং মূসাম্ অৱদৎ; অহং যস্মিন্ অনুগ্রহং চিকীর্ষামি তমেৱানুগৃহ্লামি, যঞ্চ দযিতুম্ ইচ্ছামি তমেৱ দযে|
16 ১৬ সুতরাং যে ইচ্ছা করে তার কারণে নয়, যে দৌড়ায় তার জন্য নয়, কিন্তু ঈশ্বর যিনি দয়া করেন।
১৬অতএৱেচ্ছতা যতমানেন ৱা মানৱেন তন্ন সাধ্যতে দযাকারিণেশ্ৱরেণৈৱ সাধ্যতে|
17 ১৭ কারণ ঈশ্বর শাস্ত্রের মাধ্যমে ফরৌণকে বলেন, “আমি এই জন্যই তোমাকে উঠিয়েছি, যেন তোমার উপর আমার ক্ষমতা দেখাতে পারি এবং যেন সারা পৃথিবীতে আমার নাম প্রচার হয়।”
১৭ফিরৌণি শাস্ত্রে লিখতি, অহং ৎৱদ্দ্ৱারা মৎপরাক্রমং দর্শযিতুং সর্ৱ্ৱপৃথিৱ্যাং নিজনাম প্রকাশযিতুঞ্চ ৎৱাং স্থাপিতৱান্|
18 ১৮ সুতরাং তিনি যাকে ইচ্ছা, তাকে দয়া করেন এবং যাকে ইচ্ছা, তাকে কঠিন করেন।
১৮অতঃ স যম্ অনুগ্রহীতুম্ ইচ্ছতি তমেৱানুগৃহ্লাতি, যঞ্চ নিগ্রহীতুম্ ইচ্ছতি তং নিগৃহ্লাতি|
19 ১৯ তারপর তুমি আমাকে বলবে, “তিনি আবার দোষ ধরেন কেন? কারণ তাঁর ইচ্ছার প্রতিরোধ কে করবে?”
১৯যদি ৱদসি তর্হি স দোষং কুতো গৃহ্লাতি? তদীযেচ্ছাযাঃ প্রতিবন্ধকৎৱং কর্ত্তং কস্য সামর্থ্যং ৱিদ্যতে?
20 ২০ হে মানুষ, বরং, তুমি কে যে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে উত্তর দিচ্ছ? তৈরী করা জিনিস কি যিনি তৈরী করছেন তাকে কি বলতে পারে, “আমাকে কেন তুমি এই রকম করলে?”
২০হে ঈশ্ৱরস্য প্রতিপক্ষ মর্ত্য ৎৱং কঃ? এতাদৃশং মাং কুতঃ সৃষ্টৱান্? ইতি কথাং সৃষ্টৱস্তু স্রষ্ট্রে কিং কথযিষ্যতি?
21 ২১ কাদার ওপরে কুম্ভকারের কি এমন অধিকার নেই যে, একই মাটির তাল থেকে একটা পাত্র বিশেষভাবে ব্যবহারের জন্য এবং অন্য পাত্রটা রোজ ব্যবহারের জন্য বানাতে পারে?
২১একস্মান্ মৃৎপিণ্ডাদ্ উৎকৃষ্টাপকৃষ্টৌ দ্ৱিৱিধৌ কলশৌ কর্ত্তুং কিং কুলালস্য সামর্থ্যং নাস্তি?
22 ২২ যদি ঈশ্বর, নিজের রাগ দেখাবার এবং নিজের ক্ষমতা জানাবার ইচ্ছা করেন, বিনাশের জন্য পরিপক্ক রাগের পাত্রগুলির ওপর ধৈর্য্য ধরে থাকেন,
২২ঈশ্ৱরঃ কোপং প্রকাশযিতুং নিজশক্তিং জ্ঞাপযিতুঞ্চেচ্ছন্ যদি ৱিনাশস্য যোগ্যানি ক্রোধভাজনানি প্রতি বহুকালং দীর্ঘসহিষ্ণুতাম্ আশ্রযতি;
23 ২৩ এই জন্য তিনি করে থাকেন, যেন সেই দয়ার পাত্রদের ওপরে নিজের প্রতাপ-ধন জানাতে পারেন, যা তিনি মহিমার জন্য আগে থেকে তৈরী করেছিলেন
২৩অপরঞ্চ ৱিভৱপ্রাপ্ত্যর্থং পূর্ৱ্ৱং নিযুক্তান্যনুগ্রহপাত্রাণি প্রতি নিজৱিভৱস্য বাহুল্যং প্রকাশযিতুং কেৱলযিহূদিনাং নহি ভিন্নদেশিনামপি মধ্যাদ্
24 ২৪ যাদের তিনি ডেকেছিলেন, কেবল ইহূদিদের মধ্য থেকে নয়, কিন্তু আরও অযিহুদিদের মধ্য থেকেও আমাদেরকেও।
২৪অস্মানিৱ তান্যাহ্ৱযতি তত্র তৱ কিং?
25 ২৫ যেমন তিনি হোশেয় গ্রন্থে বলেন: “যারা আমার লোক নয়, তাদেরকেও আমি নিজের লোক বলব এবং যে প্রিয়তমা ছিল না, তাকে প্রিয়তমা বলব।
২৫হোশেযগ্রন্থে যথা লিখিতম্ আস্তে, যো লোকো মম নাসীৎ তং ৱদিষ্যামি মদীযকং| যা জাতি র্মেঽপ্রিযা চাসীৎ তাং ৱদিষ্যাম্যহং প্রিযাং|
26 ২৬ এবং যে জায়গায় তাদের বলা হয়েছিল, ‘তোমরা আমার লোক নও,’ সেই জায়গায় তাদের বলা হবে ‘জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র’।”
২৬যূযং মদীযলোকা ন যত্রেতি ৱাক্যমৌচ্যত| অমরেশস্য সন্তানা ইতি খ্যাস্যন্তি তত্র তে|
27 ২৭ যিশাইয় ইস্রায়েলের বিষয়ে খুব জোরে চিত্কার করে বলেন, “ইস্রায়েল সন্তানদের সংখ্যা যদি সমুদ্রের বালির মতও হয়, এটার বাকি অংশই রক্ষা পাবে।
২৭ইস্রাযেলীযলোকেষু যিশাযিযোঽপি ৱাচমেতাং প্রাচারযৎ, ইস্রাযেলীযৱংশানাং যা সংখ্যা সা তু নিশ্চিতং| সমুদ্রসিকতাসংখ্যাসমানা যদি জাযতে| তথাপি কেৱলং লোকৈরল্পৈস্ত্রাণং ৱ্রজিষ্যতে|
28 ২৮ প্রভু এই ভূমিতে নিজ বাক্য পালন করবেন, খুব তাড়াতাড়ি এবং সম্পূর্ণভাবে।”
২৮যতো ন্যাযেন স্ৱং কর্ম্ম পরেশঃ সাধযিষ্যতি| দেশে সএৱ সংক্ষেপান্নিজং কর্ম্ম করিষ্যতি|
29 ২৯ এবং যিশাইয় এটা আগেই বলেছিলেন, বাহিনীগণের প্রভু যদি আমাদের জন্য একটিও বংশধর না রাখতেন, তবে আমরা সদোমের মত হতাম এবং ঘমোরার মত হতাম। ইস্রায়েলের পতনের ফল কি?
২৯যিশাযিযোঽপরমপি কথযামাস, সৈন্যাধ্যক্ষপরেশেন চেৎ কিঞ্চিন্নোদশিষ্যত| তদা ৱযং সিদোমেৱাভৱিষ্যাম ৱিনিশ্চিতং| যদ্ৱা ৱযম্ অমোরাযা অগমিষ্যাম তুল্যতাং|
30 ৩০ তারপর আমরা কি বলব? অযিহূদীয়রা, যারা ধার্মিকতার অনুশীলন করত না, তারা ধার্ম্মিকতা পেয়েছে, বিশ্বাস সমন্ধ ধার্ম্মিকতা পেয়েছে;
৩০তর্হি ৱযং কিং ৱক্ষ্যামঃ? ইতরদেশীযা লোকা অপি পুণ্যার্থম্ অযতমানা ৱিশ্ৱাসেন পুণ্যম্ অলভন্ত;
31 ৩১ কিন্তু ইস্রায়েল, ধার্মিকতার আইনের অনুশীলন করেও, সেই ব্যবস্থা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে নি।
৩১কিন্ত্ৱিস্রাযেল্লোকা ৱ্যৱস্থাপালনেন পুণ্যার্থং যতমানাস্তন্ নালভন্ত|
32 ৩২ কারণ কি? কারণ বিশ্বাস দিয়ে নয়, কিন্তু কাজ দিয়ে।
৩২তস্য কিং কারণং? তে ৱিশ্ৱাসেন নহি কিন্তু ৱ্যৱস্থাযাঃ ক্রিযযা চেষ্টিৎৱা তস্মিন্ স্খলনজনকে পাষাণে পাদস্খলনং প্রাপ্তাঃ|
33 ৩৩ তারা সেই পাথরে বাধা পেয়েছিল যে পাথরে হোঁচট পায়, যেমন লেখা আছে, “দেখ, আমি সিয়োনে একটা বাধার পাথর রাখছি এবং একটি বাধার পাথর স্থাপন করেছি; যে তাঁর উপরে বিশ্বাস করে সে লজ্জিত হবে না।”
৩৩লিখিতং যাদৃশম্ আস্তে, পশ্য পাদস্খলার্থং হি সীযোনি প্রস্তরন্তথা| বাধাকারঞ্চ পাষাণং পরিস্থাপিতৱানহম্| ৱিশ্ৱসিষ্যতি যস্তত্র স জনো ন ত্রপিষ্যতে|

< রোমীয় 9 >