< রোমীয় 4 >

1 তবে আমাদের আদিপিতা অব্রাহাম এর সম্পর্কে আমরা কি বলব? দেহ অনুসারে তিনি কি পেয়েছিলেন?
আমরা তাহলে কী বলব যে, আমাদের পূর্বপুরুষ অব্রাহাম এই বিষয়ে কী লাভ করেছিলেন?
2 কারণ অব্রাহাম যদি কাজের জন্য ধার্মিক বলে গ্রহণ হয়ে থাকেন, তবে তার গর্ব করার বিষয় আছে; কিন্তু ঈশ্বরের সামনে নয়।
যদি, অব্রাহাম কাজের দ্বারা নির্দোষ গণিত হয়ে থাকতেন তবে তাঁর পক্ষে গর্ব করার কিছু থাকত, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে নয়।
3 কারণ পবিত্র শাস্ত্রে কি বলে? “অব্রাহাম ঈশ্বরকে বিশ্বাস করলেন এবং সেইজন্যই তাঁকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করা হলো।”
শাস্ত্র কী কথা বলে? “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেন, এবং তা তাঁর পক্ষে ধার্মিকতা বলে গণ্য হল।”
4 আর যে কাজ করে তার বেতন অনুগ্রহ করে দেওয়া হয় না, এটা তার পাওনা বলেই দেওয়া হয়।
এখন, কোনো ব্যক্তি যখন কাজ করে, তার পারিশ্রমিক কিন্তু উপহার বলে গণ্য করা হয় না, কিন্তু তার প্রাপ্য বলেই গণ্য হয়।
5 আর যে কাজ করে না কিন্তু তাঁরই উপরে বিশ্বাস করে, যিনি ভক্তিহীনকে ধার্মিক বলে গ্রহণ করেন, তার বিশ্বাসই ধার্ম্মিকতা বলে ধরা হয়।
কিন্তু, যে ব্যক্তি কাজ করে না—অথচ ঈশ্বরের উপরে আস্থা রাখে যিনি ভক্তিহীনকে নির্দোষ ঘোষণা করে থাকেন—তার বিশ্বাসই তার পক্ষে ধার্মিকতা বলে গণ্য হয়।
6 দায়ূদও সেই মানুষকে ধন্য বলেছেন, যার জন্য ঈশ্বর কাজ ছাড়াই ধার্মিক বলে গণনা করেন,
দাউদও এই একই কথা বলেন, যখন তিনি সেই ব্যক্তির ধন্য হওয়া সম্পর্কে বলেছেন, যাকে ঈশ্বর কোনো কাজ ছাড়াই ধার্মিক গণ্য করেন:
7 বলেছেন, “ধন্য তারা, যাদের অধর্ম্ম গুলি ক্ষমা করা হয়েছে যাদের পাপ ঢাকা দেওয়া হয়েছে;
“ধন্য তারা, যাদের অপরাধ ক্ষমা করা হয়েছে, যাদের পাপ আচ্ছাদিত হয়েছে।
8 ধন্য সেই মানুষটি যার পাপ প্রভু ক্ষমা করে দিয়েছেন।”
ধন্য সেই ব্যক্তি, যার পাপ প্রভু কখনও তার বিরুদ্ধে গণ্য করবেন না।”
9 এই ধন্য শব্দ কি ছিন্নত্বক লোকের জন্যই বলা হয়েছে, না অচ্ছিন্নত্বক লোকের জন্যও বলা হয়েছে? কারণ আমরা বলি, “অব্রাহামের জন্য তাঁর বিশ্বাসকে ধার্ম্মিকতা বলে ধরা হয়েছিল।”
এই আশীর্বাদ কি কেবলমাত্র সুন্নত হওয়া লোকদের জন্য, না যারা সুন্নতবিহীন, তাদেরও জন্য? আমরা বলে আসছি যে, অব্রাহামের বিশ্বাস তাঁর পক্ষে ধার্মিকতা বলে গণ্য হয়েছিল।
10 ১০ সুতরাং কেমন করে তা গণ্য করা হয়েছিল? ত্বকছেদ অবস্থায়, না অত্বকছেদ অবস্থায়? ত্বকছেদ অবস্থায় নয়, কিন্তু অত্বকছেদ অবস্থায়।
কোন অবস্থায় তা গণ্য হয়েছিল? তা কি তাঁর সুন্নতের পরে, না আগেই? তা পরে নয়, কিন্তু আগে।
11 ১১ তিনি ত্বকছেদ চিহ্ন পেয়েছিলেন; এটি ছিল সেই বিশ্বাসের ধার্মিকতার মুদ্রাঙ্ক, যখন অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় ছিল তখনও তাঁর এই বিশ্বাস ছিল; কারণটা ছিল যে, যেন অচ্ছিন্নত্বক অবস্থায় যারা বিশ্বাস করে, তিনি তাদের সবার পিতা হন, যেন তাদের জন্য সেই ধার্ম্মিকতা গণ্য হয়;
আর তিনি সুন্নতের চিহ্ন লাভ করলেন যা ধার্মিকতার এক সিলমোহর, যা তিনি সুন্নতহীন অবস্থায় থাকার সময়ই বিশ্বাসের দ্বারা পেয়েছিলেন। সেই কারণে, যারা বিশ্বাস করে, অথচ সুন্নতপ্রাপ্ত হয়নি, তিনি তাদের সকলের পিতা, যেন তাদের পক্ষে ধার্মিকতা বলে গণ্য করা হয়।
12 ১২ আর যেন তিনি ত্বকছেদ মানুষদেরও পিতা হন; অর্থাৎ যারা ত্বকছেদ কেবল তাদের নয়, কিন্তু ছিন্নত্বক অবস্থায় পিতা অব্রাহামের উপর বিশ্বাস রেখে যে নিজ পায়ে চলে, তিনি তাহাদেরও পিতা।
একইসঙ্গে, তিনি সুন্নতপ্রাপ্তদেরও পিতা, যারা কেবলমাত্র সুন্নতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে নয় কিন্তু আমাদের পিতা অব্রাহামের সুন্নত হওয়ার আগে যে বিশ্বাস ছিল সেই বিশ্বাসের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলে বলে।
13 ১৩ কারণ আইন কানুনের জন্য যে এই প্রতিজ্ঞা অব্রাহাম এবং তাঁর বংশধরকে করেছিল তা নয়, কিন্তু বিশ্বাসের ধার্মিকতার মাধ্যমে তারা এই পৃথিবীর অধিকারী হবার প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিল।
অব্রাহাম ও তাঁর বংশ প্রতিশ্রুতি লাভ করেছিলেন, যে তিনি জগতের উত্তরাধিকারী হবেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বিধানের মাধ্যমে নয় বরং ধার্মিকতার মাধ্যমে আসে যা বিশ্বাস থেকে উৎপন্ন হয়।
14 ১৪ কারণ যারা আইন কানুন মেনে চলে এবং তারা যদি উত্তরাধিকারী হয় তবে বিশ্বাসকে অকেজো করা হলো এবং সেই প্রতিজ্ঞাকে বন্ধ করা হলো।
কারণ যারা বিধান অনুযায়ী জীবনযাপন করে, তারা যদি উত্তরাধিকারী হয় তাহলে বিশ্বাসের কোনো মূল্যই থাকে না এবং সেই প্রতিশ্রুতিও অর্থহীন হয়,
15 ১৫ কারণ আইন কানুন ক্রোধ নিয়ে আসে কিন্তু যেখানে আইন কানুন নেই সেখানে অবাধ্যতাও নেই।
কারণ বিধান নিয়ে আসে ক্রোধ। আর যেখানে বিধান নেই, সেখানে বিধান অমান্য করার অপরাধও নেই।
16 ১৬ এই জন্য এটা বিশ্বাসের মাধ্যমে হয়, সুতরাং যেন অনুগ্রহ অনুসারে হয়; এর উদ্দেশ্যে হলো, যেন সেই প্রতিজ্ঞা সমস্ত বংশের জন্য হয়। শুধুমাত্র যারা আইন কানুন মেনে চলে তারা নয়, কিন্তু যারা অব্রাহামের বিশ্বাসী বংশের জন্য অটল থাকে; (যিনি আমাদের সবার পিতা,
অতএব, সেই প্রতিশ্রুতি আসে বিশ্বাসের দ্বারা, যেন তা অনুগ্রহ অনুসারে সম্ভব হয় এবং অব্রাহামের সকল বংশধরের জন্য নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়—কেবলমাত্র যারা বিধান মান্য করে তাদের প্রতি নয়, কিন্তু তাদেরও প্রতি যারা অব্রাহামের বিশ্বাস অবলম্বন করে। তিনি আমাদের সকলের পিতা।
17 ১৭ যেমন লিখিত আছে, “আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করলাম,”) সেই ঈশ্বরের সাক্ষাৎেই অব্রাহাম ছিলেন যাকে তিনি বিশ্বাস করলেন, উনি হলেন ঈশ্বর যিনি মৃতদের জীবন দেন এবং যা নেই তাহা আছেন বলেন;
যেমন লেখা আছে, “আমি তোমাকে বহু জাতির পিতা করেছি।” যে ঈশ্বরে তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, তাঁর দৃষ্টিতে তিনি আমাদের পিতা—সেই ঈশ্বর, যিনি মৃতদের জীবন দান করেন ও যা নেই, তা আছে বলেন।
18 ১৮ অব্রাহামের আশা না থাকা সত্বেও তিনি বিশ্বাস করলেন, যেন ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে তিনি বহু জাতির পিতা হন। আর সেই বাক্য অনুযায়ী অব্রাহাম অনেক জাতির পিতা হয়েছিলেন।
সব আশার প্রতিকূলে, অব্রাহাম প্রত্যাশাতেই বিশ্বাস করলেন এবং এভাবে বহু জাতির পিতা হয়ে উঠলেন, যেমন তাঁকে বলা হয়েছিল, “তোমার বংশ এরকমই হবে।”
19 ১৯ আর বিশ্বাসে দুর্বল হলেন না যদিও তাঁর বয়স প্রায় একশো বছর ও তার নিজের শরীর মৃত প্রায় এবং সারার গর্ভ ধারন ক্ষমতা শেষ হয়ে গিয়েছিল।
তাঁর বিশ্বাসে দুর্বল না হয়েও, তিনি এই সত্যের সম্মুখীন হয়েছিলেন যে, তাঁর শরীর মৃত মানুষেরই সদৃশ ছিল—কারণ তাঁর বয়স হয়েছিল প্রায় একশো বছর—আবার সারার গর্ভও অসাড় হয়েছিল।
20 ২০ কিন্তু ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার কারণে অব্রাহাম অবিশ্বাস বশতঃ সন্দেহ করলেন না; কিন্তু বিশ্বাসে শক্তি প্রাপ্ত হয়ে ঈশ্বরের গৌরব করলেন,
তবুও তিনি অবিশ্বাস করে ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে দ্বিধাগ্রস্ত হলেন না, কিন্তু তাঁর বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে ঈশ্বরকে গৌরবান্বিত করলেন।
21 ২১ এবং তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, ঈশ্বর যা প্রতিজ্ঞা করেছেন তা সফল করতে সমর্থও আছেন।
তিনি পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেছিলেন যে, ঈশ্বর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা সফল করার ক্ষমতা তাঁর আছে।
22 ২২ অতএব এই কারণে ওটা তাঁর বিশ্বাসের ধার্ম্মিকতা বলে গণ্য হলো।
এই কারণেই “এটি তাঁর পক্ষে ধার্মিকতা বলে গণ্য হয়েছিল।”
23 ২৩ এখন তাঁর জন্য গণ্য হলো বলে এটা যে কেবল তাঁর জন্য লেখা হয়েছে তা নয় কিন্তু আমাদেরও জন্য;
“তাঁর পক্ষে গণ্য হয়েছিল,” এই কথাগুলি কেবলমাত্র তাঁরই জন্য লেখা হয়নি,
24 ২৪ আমাদের জন্যও তা গণ্য হবে, কারণ যিনি আমাদের প্রভু যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন আমরা তাঁর উপরে বিশ্বাস করছি।
কিন্তু আমাদের জন্য, যারা তাঁকে বিশ্বাস করি, যিনি আমাদের প্রভু যীশুকে মৃতলোক থেকে উত্থাপিত করেছেন।
25 ২৫ সেই যীশু আমাদের পাপের জন্য সমর্পিত হলেন এবং আমাদের নির্দোষ করার জন্য পুনরায় জীবিত হলেন।
আমাদের পাপের জন্য তাঁকে মৃত্যুর কাছে সমর্পণ করা হয়েছিল এবং আমাদের নির্দোষ গণ্য করার জন্য তাঁকে জীবনে উত্থাপিত করা হয়েছে।

< রোমীয় 4 >