< রোমীয় 2 >

1 অতএব, মানুষেরা তোমাদের উত্তর দেবার কোনো অজুহাত নেই, তোমরা যে বিচার করেছ, কারণ যে বিষয়ে তোমরা পরের বিচার করে থাক, সেই বিষয়ে নিজেকেই দোষী করে থাক; কারণ তোমরা যে বিচার করছ, তোমরা সেই মত আচরণ করে থাক।
لهذا‌ای آدمی که حکم می‌کنی، هر‌که باشی عذری نداری زیرا که به آنچه بردیگری حکم می‌کنی، فتوا بر خود می‌دهی، زیراتو که حکم می‌کنی، همان کارها را به عمل می‌آوری.۱
2 আর আমরা জানি যে, যারা এই সব কাজ করে, সত্য অনুসারে ঈশ্বর তাদের বিচার করেন।
و می‌دانیم که حکم خدا بر کنندگان چنین اعمال بر‌حق است.۲
3 হে ভাইগণ, যারা এই সব কাজ করে তুমি তাদের বিচার কর আবার তুমিও সেই একই কাজ কর। তবে তুমি কি ঈশ্বরের বিচার থেকে রেহাই পাবে?
پس‌ای آدمی که برکنندگان چنین اعمال حکم می‌کنی و خود همان را می‌کنی، آیا گمان می‌بری که تو از حکم خداخواهی رست؟۳
4 অথবা তুমি কি জানো তাঁর মধুর ভাব ও ধৈর্য্য ও চিরসহিষ্ণুতা অবহেলা করছ? তুমি কি জানো না ঈশ্বরের মধুর ভাব তোমাকে মন পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যায়?
یا آنکه دولت مهربانی و صبر وحلم او را ناچیز می‌شماری و نمی دانی که مهربانی خدا تو را به توبه می‌کشد؟۴
5 কিন্তু তোমার এই শক্ত মনোভাবের জন্য তুমি পাপ থেকে মন পরিবর্তন করতে চাও না, সেজন্য তুমি নিজে নিজের জন্য এমন ঈশ্বরের ক্রোধ সঞ্চয় করছ, যা ক্রোধের ও ঈশ্বরের ধার্মিকতার প্রকাশ হবে।
و به‌سبب قساوت و دل ناتوبه‌کار خود، غضب را ذخیره می‌کنی برای خود در روز غضب و ظهور داوری عادله خدا۵
6 তিনি প্রত্যেক মানুষকে তার কাজ অনুযায়ী ফল দেবেন,
که به هر کس برحسب اعمالش جزاخواهد داد:۶
7 যারা ধৈর্য্যের সঙ্গে ভালো কাজ করে গৌরব, সম্মান এবং সততায় অটল তারা অনন্ত জীবন পাবে। (aiōnios g166)
اما به آنانی که با صبر در اعمال نیکوطالب جلال و اکرام و بقایند، حیات جاودانی را؛ (aiōnios g166)۷
8 কিন্তু যারা নিজেদের ইচ্ছায় চলে, যারা সত্যকে অবাধ্য করে এবং অধার্মিকতার বাধ্য হয়, তাদের উপর ক্রোধ ও রোষ, ক্লেশ ও সঙ্কট আসবে;
و اما به اهل تعصب که اطاعت راستی نمی کنندبلکه مطیع ناراستی می‌باشند، خشم و غضب۸
9 এবং দুঃখ কষ্ট ও দুর্দশা প্রতিটি মানুষ যারা মন্দ কাজ করেছে প্রথমে ইহূদি এবং পরে গ্রীকের লোকের উপরে আসবে।
وعذاب و ضیق بر هر نفس بشری که مرتکب بدی می‌شود، اول بر یهود و پس بر یونانی؛۹
10 ১০ কিন্তু যারা ভালো কাজ করেছে প্রতিটি মানুষের উপর প্রথমে ইহূদির উপর পরে গ্রীকেরও উপর গৌরব, সম্মান ও শান্তি আসবে।
لکن جلال و اکرام و سلامتی بر هر نیکوکار، نخست بریهود و بر یونانی نیز.۱۰
11 ১১ কারণ ঈশ্বর পক্ষপাতিত্ব করেন না।
زیرا نزد خدا طرفداری نیست،۱۱
12 ১২ কারণ যত লোক আইন কানুন ছাড়া পাপ করেছে, আইন কানুন ছাড়াই তারা ধ্বংস হবে; এবং যারা আইন কানুনের ভিতরে থেকে পাপ করেছে তাদের আইন কানুনের মাধ্যমেই বিচার করা হবে।
زیراآنانی که بدون شریعت گناه کنند، بی‌شریعت نیزهلاک شوند و آنانی که با شریعت گناه کنند، ازشریعت بر ایشان حکم خواهد شد.۱۲
13 ১৩ কারণ যারা নিয়ম কানুন শোনে তারা যে ঈশ্বরের কাছে ধার্ম্মিকতা নয়, কিন্তু যারা নিয়ম কানুন মেনে চলে তারাই ধার্মিক বলে ধরা হবে।
از آن جهت که شنوندگان شریعت در حضور خدا عادل نیستند بلکه کنندگان شریعت عادل شمرده خواهند شد.۱۳
14 ১৪ কারণ যখন অযিহূদীর কোনো নিয়ম কানুন থাকে না, আবার তারা যখন সাধারণত নিয়ম কানুন অনুযায়ী আচার ব্যবহার করে, তখন কোন নিয়ম কানুন না থাকলেও নিজেরাই নিজেদের নিয়ম কানুন হয়;
زیرا هرگاه امت هایی که شریعت ندارند کارهای شریعت را به طبیعت به‌جا آرند، اینان هرچند شریعت ندارند، برای خود شریعت هستند،۱۴
15 ১৫ এই সবের মাধ্যমে তারা দেখায় নিয়ম কানুন মতে যা করা উচিত তা তাদের হৃদয়ে লেখা আছে, তাদের বিবেকও তাদের সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষ্য দেয় এবং তাদের নানা চিন্তাধারা পরস্পর হয় তাদেরকে দোষী করে, নয়ত তাদের পক্ষে সমর্থন করে
چونکه از ایشان ظاهر می‌شود که عمل شریعت بر دل ایشان مکتوب است و ضمیرایشان نیز گواهی می‌دهد و افکار ایشان با یکدیگریا مذمت می‌کنند یا عذر می‌آورند،۱۵
16 ১৬ যে দিন ঈশ্বর আমার প্রচারিত সুসমাচার অনুযায়ী খ্রীষ্ট যীশুর মাধ্যমে মানুষদের গোপন বিষয়গুলি বিচার করবেন।
در روزی که خدا رازهای مردم را داوری خواهد نمود به وساطت عیسی مسیح برحسب بشارت من.۱۶
17 ১৭ যদি তুমি নিজেকে ইহূদি নামে পরিচিত থাক তবে আইন কানুনের উপর নির্ভর কর এবং ঈশ্বরেতে গর্বিত হও।
پس اگر تو مسمی به یهود هستی و برشریعت تکیه می‌کنی و به خدا فخر می‌نمایی،۱۷
18 ১৮ তাঁর ইচ্ছা জানো এবং যেগুলি ভিন্ন এবং যা আইন কানুনে নির্দেশ দেওয়া আছে সেই সব পরীক্ষা করে দেখো।
و اراده او را می‌دانی و از شریعت تربیت یافته، چیزهای افضل را می‌گزینی،۱۸
19 ১৯ যদি তুমি নিশ্চিত মনে কর যে তুমিই অন্ধদের পথ-দর্শক এবং আলো যারা অন্ধকারে বাস করছে,
و یقین داری که خود هادی کوران و نور ظلمتیان۱۹
20 ২০ বোকাদের সংশোধক, শিশুদের শিক্ষক এবং তোমার আইন কানুনের ও সত্যের জ্ঞান আছে।
و مودب جاهلان و معلم اطفال هستی و در شریعت صورت معرفت و راستی را داری،۲۰
21 ২১ যদি তুমি অন্যকে শিক্ষা দাও, তুমি কি নিজেকে শিক্ষা দাও না? তুমি যখন চুরি করতে নেই বলে প্রচার কর, তুমি কি চুরি করো?
پس‌ای کسی‌که دیگران را تعلیم می‌دهی، چرا خود رانمی آموزی؟ و وعظ می‌کنی که دزدی نباید کرد، آیا خود دزدی می‌کنی؟۲۱
22 ২২ তুমি যে ব্যভিচার করতে নাই বলছ, তুমি কি ব্যভিচার করছ? তুমি যে মুর্ত্তিপূজা ঘৃণা করছ, তখন কি তুমি মন্দির থেকে ডাকাতি করছ?
و از زنا کردن نهی می‌کنی، آیا خود زانی نیستی؟ و از بتها نفرت داری، آیا خود معبدها را غارت نمی کنی؟۲۲
23 ২৩ তুমি যে নিয়ম কানুনে আনন্দ ও গর্ব করছ, তুমি কি নিয়ম কানুন অমান্য করে ঈশ্বরের অসম্মান করছ?
و به شریعت فخر می‌کنی، آیا به تجاوز از شریعت خدا را اهانت نمی کنی؟۲۳
24 ২৪ কারণ ঠিক যেমন শাস্ত্রে লেখা আছে, সেই রকম তোমাদের মাধ্যমে অযিহুদিদের মধ্যে ঈশ্বরের নামের নিন্দা হচ্ছে।
زیرا که به‌سبب شمادر میان امت‌ها اسم خدا را کفر می‌گویند، چنانکه مکتوب است.۲۴
25 ২৫ যদি তুমি আইন কানুন মেনে চল তবে ত্বকছেদ করে লাভ আছে; কিন্তু যদি তুমি নিয়ম কানুন অমান্য কর তবে তোমার ত্বকছেদ অত্বকছেদ হয়ে পড়ল।
زیرا ختنه سودمند است هرگاه به شریعت عمل نمایی. اما اگر از شریعت تجاوزنمایی، ختنه تو نامختونی گشته است.۲۵
26 ২৬ অতএব যদি অত্বকছেদ লোক ব্যবস্থার নিয়ম কানুন সব পালন করে, তবে তার অত্বকছেদ কি ত্বকছেদ বলে ধরা হবে না?
پس اگرنامختونی، احکام شریعت را نگاه دارد، آیانامختونی او ختنه شمرده نمی شود؟۲۶
27 ২৭ যার ত্বকছেদ করা হয়নি এমন লোক যদি নিয়ম কানুন মেনে চলে, তবে তোমার কাছে লিখিত আইন কানুন থাকা ও ত্বকচ্ছেদ সত্বেও যদি তুমি নিয়ম কানুন অমান্য কর, সে লোকটি কি তোমার বিচার করবে না?
ونامختونی طبیعی هرگاه شریعت را به‌جا آرد، حکم خواهد کرد بر تو که با وجود کتب و ختنه ازشریعت تجاوز می‌کنی.۲۷
28 ২৮ কারণ বাইরে থেকে যে ইহূদি সে ইহূদি নয় এবং দেহের বাইরে যে ত্বকছেদ তাহা প্রকৃত ত্বকছেদ নয়।
زیرا آنکه در ظاهراست، یهودی نیست و آنچه در ظاهر در جسم است، ختنه نی.۲۸
29 ২৯ কিন্তু অন্তরে যে ইহূদি সেই প্রকৃত ইহূদি এবং হৃদয়ের যে ত্বকছেদ যা অক্ষরে নয় কিন্তু আত্মায় সেটাই হলো ত্বকছেদ। সেই মানুষের প্রশংসা মানুষ থেকে হয় না কিন্তু ঈশ্বর থেকেই হয়।
بلکه یهود آن است که در باطن باشد و ختنه آنکه قلبی باشد، در روح نه در حرف که مدح آن نه از انسان بلکه از خداست.۲۹

< রোমীয় 2 >