< প্রকাশিত বাক্য 9 >

1 তারপর পঞ্চম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজালেন, আর আমি একটা তারা দেখতে পেলাম। তারাটা আকাশ থেকে পৃথিবীতে পড়েছিল। তারাটাকে অতল গর্তের চাবি দেওয়া হয়েছিল। (Abyssos g12)
ততঃ পৰং সপ্তমদূতেন তূৰ্য্যাং ৱাদিতাযাং গগনাৎ পৃথিৱ্যাং নিপতিত একস্তাৰকো মযা দৃষ্টঃ, তস্মৈ ৰসাতলকূপস্য কুঞ্জিকাদাযি| (Abyssos g12)
2 তারাটা সেই অতল গর্তটা খুলল, আর বিরাট চুলা থেকে যেমন ধোঁয়া বের হয় ঠিক সেইভাবে সেই গর্তটা থেকে ধোঁয়া বের হতে লাগল। সেই গর্তের ধোঁয়ায় সূর্য্য ও আকাশ অন্ধকার হয়ে গেল। (Abyssos g12)
তেন ৰসাতলকূপে মুক্তে মহাগ্নিকুণ্ডস্য ধূম ইৱ ধূমস্তস্মাৎ কূপাদ্ উদ্গতঃ| তস্মাৎ কূপধূমাৎ সূৰ্য্যাকাশৌ তিমিৰাৱৃতৌ| (Abyssos g12)
3 পরে সেই ধোঁয়ার ভেতর থেকে অনেক পঙ্গপাল পৃথিবীতে বের হয়ে এল আর পঙ্গপাল গুলোকে পৃথিবীর কাঁকড়াবিছার মত ক্ষমতা দেওয়া হল।
তস্মাদ্ ধূমাৎ পতঙ্গেষু পৃথিৱ্যাং নিৰ্গতেষু নৰলোকস্থৱৃশ্চিকৱৎ বলং তেভ্যোঽদাযি|
4 তাদের বলা হল তারা যেন পৃথিবীর কোনো ঘাস অথবা সবুজ কোন কিছু অথবা কোনো গাছের ক্ষতি না করে, যে লোকদের কপালে ঈশ্বরের সীলমোহর নেই কেবল সেই মানুষদের ক্ষতি করবে।
অপৰং পৃথিৱ্যাস্তৃণানি হৰিদ্ৱৰ্ণশাকাদযো ৱৃক্ষাশ্চ তৈ ৰ্ন সিংহিতৱ্যাঃ কিন্তু যেষাং ভালেষ্ৱীশ্ৱৰস্য মুদ্ৰাযা অঙ্কো নাস্তি কেৱলং তে মানৱাস্তৈ ৰ্হিংসিতৱ্যা ইদং ত আদিষ্টাঃ|
5 ঐ সব লোকদের মেরে ফেলবার কোনো অনুমতি তাদের দেওয়া হল না, কিন্তু পাঁচ মাস ধরে কষ্ট দেবার অনুমতি তাদেরকে দেওয়া হল। কাঁকড়া বিছে যখন কোন মানুষকে হুল ফুটিয়ে দেয় তখন যেমন কষ্ট হয় তাদের দেওয়া কষ্টও সেই রকম।
পৰন্তু তেষাং বধায নহি কেৱলং পঞ্চ মাসান্ যাৱৎ যাতনাদানায তেভ্যঃ সামৰ্থ্যমদাযি| ৱৃশ্চিকেন দষ্টস্য মানৱস্য যাদৃশী যাতনা জাযতে তৈৰপি তাদৃশী যাতনা প্ৰদীযতে|
6 সেই দিন লোকে মৃত্যুর খোঁজ করবে কিন্তু কোন মতেই তা পাবে না। তারা মরতে চাইবে কিন্তু মৃত্যু তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে।
তস্মিন্ সমযে মানৱা মৃত্যুং মৃগযিষ্যন্তে কিন্তু প্ৰাপ্তুং ন শক্ষ্যন্তি, তে প্ৰাণান্ ত্যক্তুম্ অভিলষিষ্যন্তি কিন্তু মৃত্যুস্তেভ্যো দূৰং পলাযিষ্যতে|
7 ঐ পঙ্গপালগুলো দেখতে যুদ্ধের জন্য তৈরী করা ঘোড়ার মত। তাদের মাথায় সোনার মুকুটের মত একরকম জিনিস ছিল এবং তাদের মুখের চেহারা ছিল মানুষের মত।
তেষাং পতঙ্গানাম্ আকাৰো যুদ্ধাৰ্থং সুসজ্জিতানাম্ অশ্ৱানাম্ আকাৰস্য তুল্যঃ, তেষাং শিৰঃসু সুৱৰ্ণকিৰীটানীৱ কিৰীটানি ৱিদ্যন্তে, মুখমণ্ডলানি চ মানুষিকমুখতুল্যানি,
8 তাদের চুল ছিল মেয়েদের চুলের মত এবং তাদের দাঁত ছিল সিংহের দাঁতের মত।
কেশাশ্চ যোষিতাং কেশানাং সদৃশাঃ, দন্তাশ্চ সিংহদন্ততুল্যাঃ,
9 তাদের বুকে লোহার বুক রক্ষার পোষাকের মত পোষাক ছিল এবং অনেকগুলো ঘোড়া একসঙ্গে যুদ্ধের রথ টেনে নিয়ে ছুটে গেলে যেমন আওয়াজ হয় তাদের ডানার আওয়াজ ঠিক সেই রকমই ছিল।
লৌহকৱচৱৎ তেষাং কৱচানি সন্তি, তেষাং পক্ষাণাং শব্দো ৰণায ধাৱতামশ্ৱৰথানাং সমূহস্য শব্দতুল্যঃ|
10 ১০ তাদের লেজ ও হুল কাঁকড়াবিছার লেজ ও হুলের মত ছিল; তাদের লেজে এমন ক্ষমতা ছিল যা দিয়ে পাঁচ মাস ধরে তারা লোকেদের ক্ষতি করতে পারত।
১০ৱৃশ্চিকানামিৱ তেষাং লাঙ্গূলানি সন্তি, তেষু লাঙ্গূলেষু কণ্টকানি ৱিদ্যন্তে, অপৰং পঞ্চ মাসান্ যাৱৎ মানৱানাং হিংসনায তে সামৰ্থ্যপ্ৰাপ্তাঃ|
11 ১১ অতল গর্তের দূতই ছিল ঐ পঙ্গপালদের রাজা। ইব্রীয় ভাষায় সেই দূতের নাম ছিল “আবদ্দোন,” [বিনাশক] ও গ্রীক ভাষায় তার নাম ছিল “আপল্লুয়োন” [বিনাশীত]। (Abyssos g12)
১১তেষাং ৰাজা চ ৰসাতলস্য দূতস্তস্য নাম ইব্ৰীযভাষযা অবদ্দোন্ যূনানীযভাষযা চ অপল্লুযোন্ অৰ্থতো ৱিনাশক ইতি| (Abyssos g12)
12 ১২ প্রথম বিপদ শেষ হল; দেখ! এর পরে আরও দুটি বিপদ আসছে।
১২প্ৰথমঃ সন্তাপো গতৱান্ পশ্য ইতঃ পৰমপি দ্ৱাভ্যাং সন্তাপাভ্যাম্ উপস্থাতৱ্যং|
13 ১৩ ষষ্ঠ স্বর্গদূত তূরী বাজালে এবং আমি স্বর্গের ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে যে সোনার বেদি যে চার কোন আছে সেখান থেকে শিঙায় এক জনের গলার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
১৩ততঃ পৰং ষষ্ঠদূতেন তূৰ্য্যাং ৱাদিতাযাম্ ঈশ্ৱৰস্যান্তিকে স্থিতাযাঃ সুৱৰ্ণৱেদ্যাশ্চতুশ্চূডাতঃ কস্যচিদ্ ৰৱো মযাশ্ৰাৱি|
14 ১৪ যাঁর কাছে তূরী ছিল সেই ষষ্ঠ স্বর্গদূতকে বললেন, “যে চারজন দূত মহা নদী ইউফ্রেটীসের কাছে বাঁধা আছে, তাদের ছেড়ে দাও।”
১৪স তূৰীধাৰিণং ষষ্ঠদূতম্ অৱদৎ, ফৰাতাখ্যে মহানদে যে চৎৱাৰো দূতা বদ্ধাঃ সন্তি তান্ মোচয|
15 ১৫ সেই চারজন দূতকে ছেড়ে দেওয়া হল। ঐ বছরের, ঐ মাসের, ঐ দিনের র এবং ঐ ঘন্টার জন্য সেই দূতদের তৈরী রাখা হয়েছিল, যেন তারা তিন ভাগের একভাগ মানুষকে মেরে ফেলে।
১৫ততস্তদ্দণ্ডস্য তদ্দিনস্য তন্মাসস্য তদ্ৱৎসৰস্য চ কৃতে নিৰূপিতাস্তে চৎৱাৰো দূতা মানৱানাং তৃতীযাংশস্য বধাৰ্থং মোচিতাঃ|
16 ১৬ আমি শুনতে পেয়েছিলাম, ঐ ঘোড়ায় চড়া সৈন্যের সংখ্যা ছিল কুড়ি কোটি।
১৬অপৰম্ অশ্ৱাৰোহিসৈন্যানাং সংখ্যা মযাশ্ৰাৱি, তে ৱিংশতিকোটয আসন্|
17 ১৭ দর্শনে আমি যে ঘোড়াগুলো দেখলাম এবং যারা তাদের ওপর চড়েছিল: তাদের চেহারা এই রকম ছিল তাদের বুক রক্ষার পোষাক ছিল আগুনের মত লাল, ঘননীল ও গন্ধকের মত হলুদ রঙের। ঘোড়াগুলোর মাথা ছিল সিংহের মাথার মত এবং তাদের মুখ থেকে আগুন, ধোঁয়া ও গন্ধক বের হচ্ছিল।
১৭মযা যে ঽশ্ৱা অশ্ৱাৰোহিণশ্চ দৃষ্টাস্ত এতাদৃশাঃ, তেষাং ৱহ্নিস্ৱৰূপাণি নীলপ্ৰস্তৰস্ৱৰূপাণি গন্ধকস্ৱৰূপাণি চ ৱৰ্ম্মাণ্যাসন্, ৱাজিনাঞ্চ সিংহমূৰ্দ্ধসদৃশা মূৰ্দ্ধানঃ, তেষাং মুখেভ্যো ৱহ্নিধূমগন্ধকা নিৰ্গচ্ছন্তি|
18 ১৮ তাদের মুখ থেকে যে আগুন, ধোঁয়া ও গন্ধক বের হচ্ছিল সেই তিনটি জিনিসের আঘাতে তিন ভাগের একভাগ মানুষকে মেরে ফেলা হল।
১৮এতৈস্ত্ৰিভি ৰ্দণ্ডৈৰৰ্থতস্তেষাং মুখেভ্যো নিৰ্গচ্ছদ্ভি ৰ্ৱহ্নিধূমগন্ধকৈ ৰ্মানুষাণাং তুতীযাংশো ঽঘানি|
19 ১৯ সেই ঘোড়াগুলোর মুখ ও লেজের মধ্যেই তাদের ক্ষমতা ছিল কারণ তাদের লেজগুলো ছিল সাপের মত এবং সেই লেজগুলোর মাথা দিয়ে তারা মানুষের ক্ষতি করছিল।
১৯তেষাং ৱাজিনাং বলং মুখেষু লাঙ্গূলেষু চ স্থিতং, যতস্তেষাং লাঙ্গূলানি সৰ্পাকাৰাণি মস্তকৱিশিষ্টানি চ তৈৰেৱ তে হিংসন্তি|
20 ২০ এই সব আঘাতের পরেও যে সব মানুষ বেঁচে রইল, তারা নিজের হাতে তৈরী মুর্ত্তিগুলো থেকে মন ফেরালো না, ভূতদের এবং যারা দেখতে, শুনতে অথবা হাঁটতে পারে না, সেই সব সোনা, রূপা, পিতল, পাথর ও কাঠ দিয়ে তৈরী মুর্ত্তিগুলোকে পূজা করতেই থাকল।
২০অপৰম্ অৱশিষ্টা যে মানৱা তৈ ৰ্দণ্ডৈ ৰ্ন হতাস্তে যথা দৃষ্টিশ্ৰৱণগমনশক্তিহীনান্ স্ৱৰ্ণৰৌপ্যপিত্তলপ্ৰস্তৰকাষ্ঠমযান্ ৱিগ্ৰহান্ ভূতাংশ্চ ন পূজযিষ্যন্তি তথা স্ৱহস্তানাং ক্ৰিযাভ্যঃ স্ৱমনাংসি ন পৰাৱৰ্ত্তিতৱন্তঃ
21 ২১ এছাড়া খুন, যাদুবিদ্যা, ব্যভিচার ও চুরি এসব থেকেও তারা মন ফেরালো না।
২১স্ৱবধকুহকৱ্যভিচাৰচৌৰ্য্যোভ্যো ঽপি মনাংসি ন পৰাৱৰ্ত্তিতৱন্তঃ|

< প্রকাশিত বাক্য 9 >