< প্রকাশিত বাক্য 17 >

1 যাঁদের হাতে সাতটি বাটি ছিল ঐ সাতজন দূতের মধ্যে থেকে একজন দূত এসে আমাকে বললেন, এসো, “যে মহাবেশ্যা অনেক জলের ওপরে বসে আছে” আমি তোমাকে তার শাস্তি দেখাবো,
সেই সাতটি বাটি যাদের হাতে ছিল, সেই সাতজন স্বর্গদূতের মধ্যে একজন এসে আমাকে বললেন, “এসো, বহু জলরাশির উপরে বসে থাকে যে মহাবেশ্যা, তার কী শাস্তি হয়, আমি তোমাকে দেখাব।
2 “পৃথিবীর রাজারা যার সঙ্গে ব্যভিচার করেছে এবং যারা এই পৃথিবীতে বাস করে তারা তার ব্যাভিচারের আঙ্গুর রসে মাতাল হয়েছিল”।
তার সঙ্গে পৃথিবীর রাজারা ব্যভিচার করেছে। আর পৃথিবীর অধিবাসীরা তার ব্যভিচারের সুরায় মত্ত হয়েছে।”
3 সেই স্বর্গদূত আমাকে মরূপ্রান্তে নিয়ে গেলেন তখন আমি পবিত্র আত্মায় পূর্ণ ছিলাম; এবং একটি লাল রঙের জন্তুটির ওপর এক স্ত্রীলোককে বসে থাকতে দেখলাম; সেই জন্তুটার গায়ে ঈশ্বরনিন্দা করার জন্য অনেক নাম লেখা ছিল এবং তার সাতটি মাথা ও দশটি শিং ছিল।
তারপর সেই স্বর্গদূত পবিত্র আত্মায় আমাকে এক মরুপ্রান্তরে নিয়ে গেলেন। সেখানে আমি এক নারীকে একটি গাঢ় লাল রংয়ের পশুর উপরে বসে থাকতে দেখলাম। পশুটি ছিল ঈশ্বরনিন্দার নামে আবৃত এবং তার ছিল সাতটি মাথা ও দশটি শিং।
4 আর সেই স্ত্রীলোকটী বেগুনী ও লাল রঙের পোশাক পরেছিল এবং সোনার, দামী পাথর, মণি ও মুক্তা পরেছিল এবং তার হাতে অপবিত্র জিনিস ও ব্যভিচারের ময়লা ভরা একটা সোনার বাটি ছিল।
সেই নারীর পোশাক ছিল বেগুনি ও লাল রংয়ের এবং সে ছিল সোনা, মণিমাণিক্য ও মুক্তায় ভূষিত। সে তার হাতে একটি সোনার পানপাত্র ধরেছিল, যা ছিল ঘৃণ্য সব দ্রব্য ও তার ব্যভিচারের মলিনতায় পূর্ণ।
5 আর তার কপালে এক গুপ্ত সত্যের নাম লেখা ছিল, “হে মহান ব্যাবিলন, পৃথিবীর বেশ্যাদের ও ঘৃণার জিনিসের মা।”
তার কপালে লিখিত ছিল এই শিরোনাম: রহস্যময়ী মহানগরী ব্যাবিলন পৃথিবীর বেশ্যাদের এবং ঘৃণ্য বস্তুসকলের মা।
6 আর আমি দেখলাম যে, সেই স্ত্রীলোকটী ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের রক্ত এবং যীশুর সম্বন্ধে সাক্ষী দিয়েছে যারা তাদের রক্ত খেয়ে মাতাল হয়ে আছে। আমি যখন তাকে দেখলাম খুব আশ্চর্য্য হলাম।
আমি দেখলাম, সেই নারী পবিত্রগণের রক্তে ও যারা যীশুর সাক্ষ্য বহন করেছে, তাদের রক্তে মত্ত। তাকে দেখে আমি ভীষণ আশ্চর্য হলাম।
7 আর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, তুমি কেন অত্যন্ত বিষ্মিত হোচ্ছ? আমি ওই স্ত্রীলোকটীর এবং সেই জন্তুটি যে তাকে বয়ে নিয়ে যায়, যার সাতটি মাথা ও দশটি শিং আছে তাদের গোপন মানে বুঝিয়ে বলব।
তখন সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “তুমি আশ্চর্য বোধ করলে কেন? আমি ওই নারীর ও তার বাহনের, অর্থাৎ যার সাতটি মাথা ও দশটি শিং, সেই পশুর রহস্য তোমার কাছে ব্যাখ্যা করব।
8 তুমি যে জন্তুকে দেখেছিলে, সে বর্তমানে নেই; কিন্তু সে অতল গর্ত থেকে উঠে এসে চিরকাল শাস্তি ভোগ করবে। আর পৃথিবীতে যত লোক বাস করে, যাদের নাম জগত সৃষ্টির প্রথম থেকে জীবন পুস্তকে লেখা নেই, তারা যখন সেই জন্তুটিকে দেখবে যে আগে ছিল কিন্তু এখন নেই অথচ আবার দেখা যাবে, তখন সবাই অবাক হয়ে যাবে। (Abyssos g12)
যে পশুকে তুমি দেখলে, যে এক সময়ে ছিল, কিন্তু এখন নেই, সে অতল-গহ্বর থেকে আবার উঠে আসবে ও তার ধ্বংসের পথে যাবে। আর পৃথিবীর অধিবাসী যতজনের নাম জগৎ সৃষ্টির সময় থেকে জীবনপুস্তকে লেখা নেই, তারা যখন সেই পশুটিকে দেখবে, যা ছিল কিন্তু এখন নেই কিন্তু পরে আসবে, তখন তারাও আশ্চর্য বোধ করবে। (Abyssos g12)
9 এটাকে বলে মন যার মধ্যে ঈশ্বরীয় জ্ঞান আছে। ওই সাতটি মাথা হলো সাতটি পাহাড় যার ওপর স্ত্রীলোকটী বসে আছে; আবার সেই সাতটা মাথা হলো সাতটি রাজা;
“এখানে বিচক্ষণ মানসিকতার প্রয়োজন হয়। ওই সাতটি মাথা হল সাতটি পর্বত, যার উপরে সেই নারী বসে আছে।
10 ১০ তাদের মধ্যে পাঁচ জন আগেই শেষ হয়ে গেছে, এখনও একজন আছে, আর অন্যজন এখনো আসেনি; যখন সে আসবে সে অল্প দিনের র জন্য থাকবে।
সেগুলি আবার সাতজন রাজাও। পাঁচজনের পতন হয়েছে, একজন আছে, অন্যজনের আগমন এখনও হয়নি; কিন্তু সে এলে পরে, তাকে অবশ্য অল্প সময়ের জন্য থাকতে হবে।
11 ১১ আর যে জন্তুটি ছিল, এখন সে নেই, সে নিজে হলো অষ্টত্বম রাজা কিন্তু সে সেই সাতজন রাজার মধ্যে একজন এবং সে চিরকালের জন্য ধ্বংস হবে।
আর যে পশুটি এক সময় ছিল, কিন্তু এখন নেই, সে অষ্টম রাজা। সেও সেই সাতজনের অন্যতম এবং সে তার বিনাশের অভিমুখী হবে।
12 ১২ আর তুমি যে দশটি শিং দেখেছিলে সেগুলি হলো দশ জন রাজা যারা এখনো পর্যন্ত কোনো রাজ্য পায়নি, কিন্তু সেই জন্তুটির সঙ্গে এক ঘন্টার জন্য রাজাদের মত রাজত্ব করার কর্তৃত্ব পাবে।
“যে দশটি শিং তুমি দেখলে, তারা দশজন রাজা। তারা এখনও তাদের রাজ্য লাভ করেনি, কিন্তু তারা সেই পশুর সঙ্গে এক ঘণ্টার জন্য রাজাদের মতো কর্তৃত্ব প্রাপ্ত হবে।
13 ১৩ এদের সবার মন এক এবং তাদের নিজেদের শক্তি ও কর্তৃত্ব সেই জন্তুটিকে দেবে।
তাদের অভিপ্রায় একই, তাই তারা তাদের পরাক্রম ও কর্তৃত্ব সেই পশুকে দান করবে।
14 ১৪ তারা মেষশিশুর সঙ্গে যুদ্ধ করবে, কিন্তু মেষ শিশু তাদেরকে জয় করবেন, কারণ “তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা;” এবং যাঁরা মনোনীত হয়েছে যাদের বেছে নেওয়া হয়েছে ও বিশ্বস্ত, তারাই তাঁর সঙ্গে থাকবেন।
তারা মেষশাবকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, কিন্তু মেষশাবক তাদের পরাস্ত করবেন, কারণ তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা। আর যারা আহূত, মনোনীত ও বিশ্বস্ত অনুসারী, তারাও তাঁর সঙ্গে বিজয়ী হবেন।”
15 ১৫ আর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, তুমি যে জল দেখলে যেখানে ওই বেশ্যা বসে আছে, সেই জল হলো মানুষ, জনসাধারণ, জাতিবৃন্দ ও অনেক ভাষা।
তারপর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, “যে জলরাশি তুমি দেখলে, যার উপরে সেই বেশ্যা বসে আছে, তা হল বিভিন্ন প্রজাবৃন্দ, বিপুল জনসমষ্টি, বিভিন্ন জাতি ও ভাষাভাষী মানুষ।
16 ১৬ আর যে দশটি শিং এবং জন্তুটি তুমি দেখলে তারা সবাই সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করবে এবং তাকে জনশূন্য ও উলঙ্গ করবে তার মাংস খাবে এবং তাকে সম্পূর্ণভাবে আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে ফেলবে।
আর তুমি যে সেই পশু ও দশটা শিং দেখলে তারা সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করবে। তারা তার সর্বনাশ করে তাকে উলঙ্গ করে ছেড়ে দেবে; তারা তার মাংস খাবে ও তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারবে।
17 ১৭ এর কারণ হলো ঈশ্বর তাদের মনে এমন ইচ্ছা দিলেন, যেন তাঁরই বাক্য সফল হয় এবং একমনা হয়; আর যতক্ষণ না ঈশ্বরের বাক্য সম্পূর্ণ হয়, সেই পর্যন্ত নিজ নিজ রাজ্যের কর্তৃত্ব সেই জন্তুটিকে দেয়।
কারণ ঈশ্বর তাদের হৃদয়ে এই প্রবৃত্তি দিয়েছিলেন যেন তারা তাঁর অভিপ্রায় পূর্ণ করে এবং যতদিন পর্যন্ত ঈশ্বরের সমস্ত বাক্য পূর্ণ না হয়, ততদিন তারা শাসন করার জন্য সেই পশুকে রাজকীয় কর্তৃত্ব দান করতে একমত হয়।
18 ১৮ আর তুমি যে স্ত্রীলোককে দেখেছিলে সে হলো সেই নাম করা শহর যে পৃথিবীর রাজাদের ওপরে কর্তৃত্ব করছে।
যে নারীকে তুমি দেখলে, সে হল সেই মহানগরী, যা পৃথিবীর রাজাদের উপরে শাসন করে।”

< প্রকাশিত বাক্য 17 >