< গীতসংহিতা 78 >

1 আসফের মস্কীল। হে আমার লোকেরা, আমার উপদেশ শোন, আমার মুখের কথা শোন।
আসফের মস্কীল। হে আমার লোকসকল, আমার উপদেশ শোনো; আমার মুখের বাক্যে কর্ণপাত করো।
2 আমি একটা জ্ঞানের গান গাব, আমি অতীতের গোপন বিষয়ে বলব,
আমি দৃষ্টান্তের মাধ্যমে আমার মুখ খুলব; আমি পূর্বকালের গুপ্ত শিক্ষার কথা উচ্চারণ করব—
3 যা আমরা শুনেছি এবং জেনেছি তা আমাদের পিতৃপুরুষেরা আমাদেরকে বলেছিলেন।
যা আমরা শুনেছি আর জেনেছি, সেসব আমাদের পূর্বপুরুষরা আমাদের বলেছেন।
4 আমরা সে সকল তাদের সন্তানদের কাছে গোপন করব না, আমরা সদাপ্রভুুর গৌরব যোগ্য কাজের বিষয় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বলব,
তাঁদের বংশধরদের কাছে আমরা সেসব লুকিয়ে রাখব না; আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে সদাপ্রভুর প্রশংসনীয় কাজের কথা বলব, তাঁর পরাক্রম, আর তাঁর আশ্চর্য কাজ।
5 কারণ তিনি যাকোবের মধ্যে নিয়মের আদেশ স্থাপন করিয়েছিলেন এবং ইস্রায়েলের মধ্যে ব্যবস্থা স্থাপন করিয়েছেন। তিনি আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে আদেশ দিয়েছিলেন যে তারা নিজেদের সন্তানদের তা শেখাবে।
তিনি যাকোবের জন্য বিধি দিয়েছিলেন আর তিনি তাঁর আইন ইস্রায়েলে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা তিনি আমাদের পূর্বপুরুষদের আদেশ দিয়েছিলেন তাঁদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য,
6 তিনি তা আদেশ করেছিলেন যেন পরবর্তী প্রজন্ম এই আদেশ জানতে পারে, যে সকল সন্তান এখনও জন্মায় নি, তারা তা জানতে পারে এবং তারা যেন আবার নিজের নিজের সন্তানদের কাছে বর্ণনা করতে পারে।
যেন পরবর্তী প্রজন্ম সেগুলি জানতে পারে, এমনকি তারাও পারে যাদের জন্ম হয়নি, এবং তারা যেন পরে নিজের নিজের ছেলেমেয়েদের বলতে পারে।
7 তখন তারা তাদের আশা ঈশ্বরে স্থাপন করবে এবং তাঁর কাজ ভুলবে না কিন্তু তাঁর আদেশ সকল পালন করবে।
তখন তারা ঈশ্বরে আস্থা রাখবে আর তাঁর কার্যাবলি ভুলে যাবে না কিন্তু তাঁর আজ্ঞাসকল পালন করবে।
8 তখন তারা আর তাদের পিতৃপুরুষদের মত হবে না, যারা জেদী ও বিদ্রোহী বংশ ছিল; সেই বংশ যাদের হৃদয় যথাযথ ছিল না এবং যাদের আত্মা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না।
তারা তাদের পূর্বপুরুষদের মতো হবে না— একগুঁয়ে এবং বিদ্রোহী এক প্রজন্ম, যাদের হৃদয় ঈশ্বরের প্রতি অনুগত ছিল না, যাদের আত্মা তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত ছিল না।
9 ইফ্রয়িমরা ধনুক দ্বারা যুদ্ধের সাজে সেজে ছিল, কিন্তু যুদ্ধের দিনের তারা যুদ্ধ থেকে ফিরে গেল।
ইফ্রয়িম বংশের যোদ্ধারা, যদিও ধনুকে সজ্জিত, যুদ্ধের দিনে পিছু ফিরল;
10 ১০ তারা ঈশ্বরের নিয়ম পালন করল না এবং তারা তাঁর ব্যবস্থার বাধ্য হতে অস্বীকার করল।
তারা ঈশ্বরের নিয়ম রক্ষা করল না আর তাঁর আইন অনুসারে বাঁচতে অস্বীকার করল।
11 ১১ তারা তাঁর কাজ ভুলে গেল, সেই সকল আশ্চর্য্য কার্য্য, যা তিনি তাদেরকে দেখিয়ে ছিলেন।
তারা ভুলে গেল যে তিনি কী করেছিলেন, যে আশ্চর্য কাজগুলি তিনি তাদের দেখিয়েছিলেন।
12 ১২ তিনি তাদের পিতৃপুরুষদের চোখের সামনে নানা আশ্চর্য্য কার্য্য করেছিলেন। মিশর দেশে, সোয়নের দেশে করেছিলেন।
মিশর দেশে, আর সোয়নের অঞ্চলে, তাদের পূর্বপুরুষদের দৃষ্টিতে তিনি অলৌকিক কাজ করেছিলেন।
13 ১৩ তিনি সমুদ্রকে ভাগ করে তাদেরকে পার করিয়ে ছিলেন, তিনি জলকে দেওয়ালের মত দাঁড় করিয়েছিলেন।
তিনি সমুদ্র ভাগ করেছিলেন আর তাদেরকে মাঝখান দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেলেন; প্রাচীরের মতো তিনি জলকে দাঁড় করালেন।
14 ১৪ তিনি দিনের তাদের মেঘ হয়ে পরিচালনা দিতেন এবং সমস্ত রাত্রি আগুনের আলো হয়ে পরিচালনা দিতেন।
তিনি দিনে তাদের মেঘ আর রাতে আগুনের আলো দ্বারা পথ দেখালেন।
15 ১৫ তিনি মরুপ্রান্তে শৈল ভেদ করলেন এবং তিনি তাদেরকে প্রচুর জল দিলেন, যথেষ্ট পরিমাণে সমুদ্রের মত দিলেন।
তিনি মরুপ্রান্তরে শৈল বিভক্ত করলেন আর সমুদ্রের মতো অফুরন্ত জল দিলেন;
16 ১৬ তিনি শৈল থেকে ঝর্না বার করলেন এবং নদীর জলের মত বওয়ালেন।
শৈল থেকে তিনি জলস্রোত নির্গত করলেন আর নদীর মতো জল প্রবাহিত করলেন।
17 ১৭ তবুও তারা বার বার তার বিরুদ্ধে পাপ করল, মরুপ্রান্তে মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল;
কিন্তু তারা তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করেই গেল, মরুপ্রান্তরে পরাৎপরের প্রতি বিদ্রোহ করল।
18 ১৮ তারা খাবার চাওয়ার মধ্যে দিয়ে, স্ব-ইচ্ছায় ঈশ্বরের পরীক্ষা করল।
তাদের আকাঙ্ক্ষিত খাদ্য দাবি করে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঈশ্বরের পরীক্ষা করল।
19 ১৯ তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কথা বলল; তার বলল, “ঈশ্বর কি সত্যি মরুপ্রান্তে আমাদের জন্য মেজ সাজাতে পারেন?
তারা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে কথা বলল; তারা বলল, “ঈশ্বর কি সত্যিই মরুপ্রান্তরে মেজ সাজাতে পারেন?
20 ২০ দেখ, তিনি যখন শৈলকে আঘাত করলেন, জলের ধারা বেরিয়ে এসেছিল এবং ঝর্নার ধারা প্রবাহিত হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি কি খাবার দিতে পারেন? তিনি কি নিজের প্রজাদের জন্য মাংস যোগাতে পারেন?”
সত্যিই, তিনি শৈলকে আঘাত করলেন, আর জল বেরিয়ে এল, বিপুল জলস্রোত প্রবাহিত হল, কিন্তু তিনি কি আমাদের রুটি দিতে পারেন? তিনি কি তাঁর লোকেদের খাবার জন্য মাংস দিতে পারেন?”
21 ২১ যখন সদাপ্রভুু তা শুনলেন, তিনি রেগে গেলেন; তাই আগুন যাকোবের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছিল এবং তাঁর রাগ ইস্রায়েলকে আক্রমণ করেছিল,
যখন সদাপ্রভু তাদের কথা শুনলেন তিনি রাগে অগ্নিশর্মা হলেন; যাকোবের বিরুদ্ধে তাঁর আগুন জ্বলে উঠল, আর তাঁর ক্রোধ ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে প্রজ্জ্বলিত হল,
22 ২২ কারণ তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করত না এবং তাঁর পরিত্রাণে নির্ভর করত না।
কেননা তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেনি এবং তাঁর উদ্ধারে আস্থা রাখেনি।
23 ২৩ তবু তিনি উপরের আকাশকে আদেশ দিলেন এবং আকাশের দ্বারগুলি খুলে দিলেন।
তবুও তিনি উপরের আকাশকে আজ্ঞা দিলেন এবং স্বর্গের দরজা খুলে দিলেন;
24 ২৪ তিনি তাদের খাবারের জন্য মান্না বর্ষালেন এবং তাদেরকে স্বর্গের শস্য দিলেন।
লোকেদের খাদ্যের জন্য তিনি বৃষ্টির মতো মান্না নিয়ে এলেন, তিনি তাদের স্বর্গের শস্য দিলেন।
25 ২৫ মানুষেরা দূতেদের খাবার খেল; তিনি তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার পাঠালেন।
মানুষ দূতদের রুটি খেল; তারা যত খেতে পারে সেইমতো তিনি তাদের খাদ্য পাঠালেন।
26 ২৬ তিনি আকাশে পূর্বীয় বায়ু বয়ালেন এবং নিজের পরাক্রমে দক্ষিণে বায়ুকে পরিচালনা দিলেন।
তিনি পূবের বাতাস স্বর্গ থেকে পাঠালেন আর তাঁর পরাক্রমে দক্ষিণের বাতাস প্রবাহিত করলেন।
27 ২৭ তিনি তাদের উপরে মাংসকে ধূলোর মত, অগুন্তি পাখি সমুদ্রের বালির মত বর্ষালেন।
তিনি ধুলোর মতো মাংস বৃষ্টি করলেন, আর সমুদ্রতীরে বালির মতো পাখি দিলেন।
28 ২৮ সেগুলি তাদের শিবিরের মধ্যে পড়ল, তাদের তাঁবুর চারিপাশে পড়ল।
তাদের শিবিরের মধ্যে, আর তাদের তাঁবুর চারপাশে নামিয়ে আনলেন।
29 ২৯ তখন তারা খেল এবং পরিতৃপ্ত হল; তিনি তাদের দিলেন যা তারা আকাঙ্খা করেছিল;
তারা গলা পর্যন্ত খাবার খেয়ে তৃপ্ত হল— তাদের আকাঙ্ক্ষা তিনি পূর্ণ করলেন।
30 ৩০ কিন্তু তারা তবুও পরিতৃপ্ত হল না; তাদের খাবার তাদের মুখেই ছিল,
কিন্তু তারা আকাঙ্ক্ষিত খাদ্য খেয়ে শেষ করার আগেই, এমনকি যখন খাবার তাদের মুখেই ছিল,
31 ৩১ ঠিক সেই দিনের, ঈশ্বরের ক্রোধ তাদের আক্রমণ করল এবং তাদের শক্তিশালীদের মেরে ফেলল; তিনি ইস্রায়েলের যুবকদেরও মেরে ফেললেন।
ঈশ্বরের ক্রোধ তাদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠল; তাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তপোক্ত লোকদেরও তিনি হত্যা করলেন, ইস্রায়েলের যুবকদের আঘাত করলেন।
32 ৩২ এ সত্বেও, তারা পাপ করে চলল এবং তাঁর আশ্চর্য্য কাজে বিশ্বাস করল না।
এসব কিছু দেখেও, তারা পাপ করতেই থাকল; তাঁর আশ্চর্য কাজ সত্ত্বেও, তারা বিশ্বাস করল না।
33 ৩৩ অতএব তিনি তাদের আয়ুর সংখ্যা কমিয়ে দিলেন, তাদের বছরগুলি আতঙ্কে পূর্ণ হল।
তাই তিনি তাদের আয়ু ব্যর্থতায় আর তাদের বছর আতঙ্কে শেষ করলেন।
34 ৩৪ যখনি ঈশ্বর তাদের দুঃখ দিতেন, তারা তাঁর খোঁজ করত এবং তারা ফিরে সযত্নে ঈশ্বরের অন্বেষণ করত;
যখনই ঈশ্বর তাদের নাশ করতেন, তারা তাঁর অন্বেষণ করত; তারা অনুতাপ করল আর পুনরায় ঈশ্বরের দিকে ফিরল।
35 ৩৫ তারা স্মরণ করল যে ঈশ্বর তাদের শৈল ছিলেন এবং সর্বশক্তিমান মহান ঈশ্বরই তাদের মুক্তিদাতা।
তারা মনে রাখল যে ঈশ্বর তাদের শৈল, যে পরাৎপর ঈশ্বর তাদের মুক্তিদাতা।
36 ৩৬ কিন্তু তারা মুখে তাঁর গৌরব করল এবং জিভে তাঁর কাছে মিথ্যা বলল;
কিন্তু তারা তাদের মুখ দিয়ে তাঁকে তোষামোদ করল, তাদের জিভ দিয়ে তাঁর প্রতি মিথ্যা কথা বলল;
37 ৩৭ কারণ তাদের হৃদয় তাঁর প্রতি স্থির ছিল না, তারা তাঁর নিয়মেও বিশ্বস্ত ছিল না।
তাদের হৃদয় তাঁর প্রতি অনুগত ছিল না, তাঁর নিয়মের প্রতি তারা বিশ্বস্ত ছিল না।
38 ৩৮ তবুও তিনি করুণাময়, তাদের অপরাধ ক্ষমা করলেন এবং তাদের ধ্বংস করলেন না। হ্যাঁ, অনেকবার তিনি তাঁর রাগ সম্বরণ করলেন এবং নিজের সব ক্রোধ উত্তেজিত করলেন না।
তবুও তিনি কৃপাময় ছিলেন; তিনি তাদের অপরাধ ক্ষমা করলেন এবং তাদের ধ্বংস করলেন না। অনেকবার তিনি তাঁর রাগ সংযত করলেন তাঁর সম্পূর্ণ ক্রোধ জাগিয়ে তুললেন না।
39 ৩৯ তিনি মনে করলেন যে, তারা মাংস দিয়ে তৈরী, বায়ুর মতো যা বয়ে যায় এবং আর ফিরে আসে না।
তিনি মনে রাখলেন যে তারা মাংসমাত্র, বায়ুর মতো, যা বয়ে গেলে আর ফিরে আসে না।
40 ৪০ তারা মরুপ্রান্তে কতবার তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল এবং অনুর্বর জায়গায় কতবার তাকে দুঃখ দিল।
তারা মরুপ্রান্তরে কতবার তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল আর পতিত জমিতে তাঁকে শোকাহত করল!
41 ৪১ তারা বারবার ঈশ্বরের পরীক্ষা করল এবং ইস্রায়েলের পবিত্রতমকে অসন্তুষ্ট করল।
বারবার তারা ঈশ্বরকে পরীক্ষায় ফেলল; তারা ইস্রায়েলের পবিত্রজনকে উত্ত্যক্ত করল।
42 ৪২ তারা তাঁর ক্ষমতার বিষয়ে স্মরণ করল না, কিভাবে তিনি তাদেরকে শত্রুদের থেকে উদ্ধার করলেন।
তারা তাঁর পরাক্রম মনে রাখল না— যেদিন তিনি তাদের অত্যাচারীদের হাত থেকে মুক্ত করলেন,
43 ৪৩ যখন তিনি মিশরে নিজের ভয়ঙ্কর চিহ্নগুলি এবং সোয়নের এলাকায় নিজের আশ্চর্য্য কাজগুলি সম্পন্ন করলেন।
যেদিন মিশরে তিনি তাঁর চিহ্নগুলি, সোয়নের অঞ্চলে তাঁর আশ্চর্য কাজগুলি দেখালেন।
44 ৪৪ তিনি মিশরীয়দের নদীগুলি রক্তে পরিণত করলেন, যাতে তারা তাদের নদী থেকে পান করতে না পারে।
তিনি তাদের নদীগুলি রক্তে পরিণত করলেন; তাদের জলস্রোত থেকে তারা পান করতে পারল না।
45 ৪৫ তিনি তাদের মধ্যে মাছির ঝাঁক পাঠালেন যা তাদের গ্রাস করল ও ব্যাঙ যা তাদের জায়গায় আক্রমণ করল।
তিনি ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি পাঠালেন যা তাদের গ্রাস করল, আর ব্যাঙদের পাঠালেন যা তাদের বিধ্বস্ত করল।
46 ৪৬ তিনি ফড়িংকে তাদের ফসল এবং পঙ্গপালকে তাদের শ্রমফল দিলেন।
তিনি তাদের শস্য ফড়িংদের দিলেন, তাদের ফসল পঙ্গপালদের দিলেন।
47 ৪৭ তিনি শিলা দিয়ে তাদের আঙ্গুরের ক্ষেত এবং অনেক শিলা দিয়ে তাদের ডুমুর গাছ নষ্ট করে ফেললেন।
তিনি তাদের দ্রাক্ষালতা শিলা দিয়ে নষ্ট করলেন আর তাদের ডুমুর গাছ শিলাবৃষ্টি দিয়ে ধ্বংস করলেন।
48 ৪৮ তিনি তাদের গবাদি পশুর ওপরে শিলাবৃষ্টি এবং তাদের পশুপালের মধ্যে বজ্রপাত করলেন।
তিনি তাদের গবাদি পশুদের শিলার কাছে, আর তাদের গৃহপালিত পশুপালকে বজ্রবিদ্যুতের কাছে সমর্পণ করলেন।
49 ৪৯ তিনি তাদের বিরুদ্ধে নিজের রাগের প্রচণ্ডতা, ক্রোধ, কোপ ও বিপদ পাঠালেন দূতের মত যে বিপর্যয় বয়ে আনে।
তিনি তাদের বিরুদ্ধে তাঁর প্রচণ্ড রাগ পাঠালেন, তাঁর ক্রোধ, উন্মাদনা এবং শত্রুতা— ধ্বংসকারী দূতের একদল।
50 ৫০ তিনি নিজের রাগের জন্য পথ করলেন, তিনি মৃত্যু থেকে তাদের রক্ষা করেননি; কিন্তু তাদেরকে মহামারীর হাতে দিলেন।
তিনি তাঁর ক্রোধ তাদের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করলেন; মৃত্যু থেকে তিনি তাদের বাঁচালেন না কিন্তু মহামারির হাতে তুলে দিলেন।
51 ৫১ তিনি আঘাত করলেন মিশরের সব প্রথম জন্মানো সন্তানকে, হামের তাঁবুগুলির মধ্যে তাদের শক্তির প্রথমজাতদেরকে মেরে ফেললেন
তিনি মিশরের সব প্রথমজাতকে আঘাত করলেন, হামের তাঁবুতে পুরুষত্বের প্রথম ফলকে।
52 ৫২ তিনি নিজের লোকদেরকে মেষের মত চালালেন, পশুপালের মত মরুপ্রান্তের মধ্যে দিয়ে তাদের পরিচালনা করলেন।
কিন্তু তিনি মেষপালের মতো তাঁর প্রজাদের বের করে আনলেন; মরুপ্রান্তরে মেষের মতো তিনি তাদের পরিচালনা করলেন।
53 ৫৩ তিনি তাদেরকে নিরাপদে ও নির্ভীকভাবে নিয়ে আসলেন, কিন্তু সমুদ্র তাদের শত্রুদেরকে গ্রাস করল।
তিনি তাদের সুরক্ষিতভাবে পথ দেখালেন, তাই তারা ভীত হল না; কিন্তু সমুদ্র তাদের শত্রুদের ঘিরে ফেলল।
54 ৫৪ এবং তিনি তাদেরকে তাঁর পবিত্র জায়গার সীমায় আনলেন, নিজের হাত দিয়ে অর্জিত এই পর্বতে।
আর তিনি তাঁর নিজের পবিত্র সীমায় নিয়ে এলেন, পাহাড়ের সেই দেশে যেখানে তাঁর ডান হাত তাদের নিয়ে গিয়েছিল।
55 ৫৫ তিনি তাদের সামনে থেকে জাতিদেরকে তাড়িয়ে দিলেন এবং তাদের অধিকার স্থির করলেন; তিনি ইস্রায়েলের বংশদেরকে তাদের তাঁবুতে বাস করালেন।
তিনি তাদের সামনে সমস্ত জাতিকে তাড়িয়ে দিলেন আর তাদের জমি ইস্রায়েলীদের মধ্যে অধিকারস্বরূপ ভাগ করে দিলেন; ইস্রায়েলের গোষ্ঠীদের তাদের গৃহে বসবাস করতে দিলেন।
56 ৫৬ তবু তারা সর্বশক্তিমান মহান ঈশ্বরের পরীক্ষা করল, তারা বিদ্রোহী হল এবং তার গুরুত্বপূর্ণ আদেশগুলি পালন করল না।
কিন্তু তারা ঈশ্বরকে পরীক্ষা করেই চলল আর পরাৎপরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল; তাঁর বিধিবিধান তারা পালন করল না।
57 ৫৭ তারা অবিশ্বস্ত হল এবং বিশ্বাসঘাতকতা করল তাদের পূর্বপুরুষদের মত; তারা ত্রুটিপূর্ণ ধনুকের মত অনির্ভরযোগ্য হল।
তাদের পূর্বপুরুষদের মতো তারা ছিল বিশ্বাসঘাতক আর বিশ্বাসহীন, ত্রুটিযুক্ত ধনুকের মতো অনির্ভরযোগ্য।
58 ৫৮ কারণ তারা তাদের পৌত্তলিক মন্দিরের দ্বারা তাকে অসন্তুষ্ট করল এবং তাদের প্রতিমাদের দ্বারা তারা তাঁকে ঈর্ষান্বিত রাগে প্ররোচিত করল।
তাদের উঁচু পীঠস্থানগুলি দিয়ে তারা তাঁকে রাগিয়ে তুলল; তাদের প্রতিমা দিয়ে তাঁর ঈর্ষা জাগ্রত করল।
59 ৫৯ যখন ঈশ্বর তা শুনলেন তিনি রেগে গেলেন, ইস্রায়েলকে সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ করলেন।
ঈশ্বর সেসব শুনে অগ্নিশর্মা হলেন; তিনি ইস্রায়েলকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করলেন।
60 ৬০ তিনি শীলোহ শহর আশ্রয়স্থল ত্যাগ করলেন, সেই বাসস্থান, যেখানে তিনি লোকদের মধ্যে ছিলেন।
তিনি শীলোতে সমাগম তাঁবু পরিত্যাগ করলেন, সেই তাঁবু যা তিনি মানুষদের মধ্যে স্থাপন করেছিলেন।
61 ৬১ তিনি তাঁর শক্তির সিন্দুক বন্দী করার অনুমতি দিলেন এবং তার মহিমা শত্রুদের হাতে দিলেন।
তিনি তাঁর পরাক্রমের সিন্দুক বন্দিদশায় পাঠালেন, তাঁর শত্রুদের হাতে তাঁর প্রভা।
62 ৬২ তিনি নিজের লোকদেরকে তরোয়ালের হস্তগত করলেন এবং তিনি তার অধিকারের প্রতি রেগে গেলেন।
তিনি তাঁর প্রজাদের তরোয়ালের কোপে তুলে দিলেন; তিনি তাঁর অধিকারের প্রতি ক্রুদ্ধ হলেন।
63 ৬৩ আগুন তাদের যুবকদেরকে গ্রাস করল, তাদের যুবতী মেয়েদের বিয়ের গান হল না।
আগুন তাদের যুবকদের গ্রাস করল, এবং তাদের যুবতীদের বিয়েতে কোনো গান হল না;
64 ৬৪ তাদের যাজকরা তরোয়ালের দ্বারা পড়ে গেল এবং তাদের বিধবারা কাঁদল না।
তাদের যাজকদের তরোয়ালে নাশ করা হোলো আর তাদের বিধবারা কাঁদতে পারল না।
65 ৬৫ তখন প্রভু জাগলেন যেমন একজন ঘুম থেকে জেগে ওঠে, একজন যোদ্ধার মত যে আঙ্গুর রসের কারণে চিত্কার করে।
তারপর সদাপ্রভু, ঘুম থেকে জেগে ওঠার মতো, জেগে উঠলেন, যেমন এক যোদ্ধা সুরার অসাড়তা থেকে জেগে ওঠে।
66 ৬৬ তিনি নিজের বিপক্ষদেরকে মেরে ফিরিয়ে দিলেন, তাদেরকে চিরকালীন লজ্জার পাত্র করলেন।
তিনি তাঁর শত্রুদের প্রহার করলেন; তাদের চিরস্থায়ী লজ্জার পাত্র করলেন।
67 ৬৭ আর তিনি যোষেফের তাঁবু প্রত্যাখ্যান করলেন এবং ইফ্রয়িমের বংশকে মনোনীত করলেন না;
তারপর তিনি যোষেফের তাঁবুগুলি পরিত্যাগ করলেন, তিনি ইফ্রয়িম গোষ্ঠীকে মনোনীত করলেন না;
68 ৬৮ তিনি যিহূদার বংশকে ও সিয়োন পর্বতকে যা তিনি ভালবাসেন সেগুলিকে মনোনীত করলেন।
কিন্তু যিহূদার গোষ্ঠীকে মনোনীত করলেন, সিয়োন পর্বত, যা তিনি ভালোবাসতেন।
69 ৬৯ তিনি নিজের পবিত্র জায়গা নির্মাণ করলেন, স্বর্গের মত, পৃথিবীর মত, যা তিনি চিরকালের জন্য স্থাপন করেছেন।
উচ্চ শিখরের মতো তাঁর পবিত্রস্থান তিনি নির্মাণ করলেন, জগতের মতো যা তিনি চিরকালের জন্য স্থাপন করেছেন।
70 ৭০ তিনি নিজের দাস দায়ূদকে মনোনীত করলেন এবং তাকে মেষের খোয়াড় থেকে গ্রহণ করলেন;
তিনি তাঁর দাস দাউদকে মনোনীত করলেন আর তাকে মেষের খোঁয়াড় থেকে ডেকে নিলেন;
71 ৭১ তিনি ভেড়াদের পিছন থেকে তাকে আনলেন। নিজের লোক যাকোবকে ও নিজের অধিকার ইস্রায়েলকে চরাতে দিলেন।
মেষের পরিচর্যা থেকে তিনি তাকে নিয়ে এলেন আর যাকোব গোষ্ঠীর লোকেদের এবং আপন অধিকার ইস্রায়েলের উপর তাকে পালক করলেন।
72 ৭২ দায়ূদ তার হৃদয়ের সততানুসারে তাদেরকে চরালেন এবং নিজের হাতের দক্ষতায় তাদেরকে পরিচালনা করলেন।
এবং হৃদয়ের সততায় দাউদ পালকরূপে তাদের যত্ন নিলেন; এবং দক্ষ হাতের সাহায্যে তাদের পরিচালনা করলেন।

< গীতসংহিতা 78 >