< গীতসংহিতা 42 >

1 গীতসংহিতা 42 দ্বিতীয় বই প্রধান সঙ্গীতজ্ঞ জন্য। কোরহের পুত্রদের একটি মস্কীল। হরিণ যেমন জলস্রোতের জন্য আকাঙ্খা করে, ঈশ্বর, আমার প্রাণ তোমার জন্য আকাঙ্খা করে।
সংগীত পরিচালকের জন্য। কোরহ বংশের সন্তানদের মস্কীল। হরিণী যেমন জলস্রোতের আকাঙ্ক্ষা করে, হে ঈশ্বর, তেমনি আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষা করে।
2 ঈশ্বরেরই জন্য আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত, জীবিত ঈশ্বরের জন্য; আমি কখন আসব এবং ঈশ্বরের সামনে দাঁড়াব?
ঈশ্বরের জন্য, জীবিত ঈশ্বরের জন্য, আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত। কখন আমি গিয়ে ঈশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি?
3 আমার চোখের জল দিন রাত্র আমার খাবার হয়েছে, যখন আমার শত্রুরা সবদিন আমাকে বলছে, “কোথায় তোমার ঈশ্বর?”
দিনে ও রাতে আমার চোখের জল আমার খাবার হয়েছে কারণ লোকেরা সারাদিন আমাকে বলে, “তোমার ঈশ্বর কোথায়?”
4 যখন আমি এই জিনিস মনে রাখব এবং আমার প্রাণ আমার ভিতরে দেব, কিভাবে আমি তাদের সাথে গিয়েছিলাম এবং ঈশ্বরের ঘরে তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলাম, প্রশংসা এবং আনন্দ কণ্ঠস্বরের সাথে বহুলোক এটি পালন করত।
যখন আমি আমার প্রাণ ঢেলে দিই তখন আমি এইসব স্মরণ করি: আমি উপাসকদের ভিড়ের মধ্যে হাঁটতাম, আনন্দের গানে ও ধন্যবাদ দিয়ে, মহা গুণকীর্তনের আনন্দধ্বনিতে এক শোভাযাত্রাকে ঈশ্বরের গৃহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতাম।
5 আমার প্রাণ, কেন তুমি নিরুত্সাহিত হও? কেন তুমি আমার মধ্যে চিন্তিত? ঈশ্বরে আশা রাখো, আমি এখনও তাঁর প্রশংসা করবো, তাঁর উপস্হিতি সাহায্যের জন্য।
হে আমার প্রাণ, কেন তুমি অবসন্ন? কেন তুমি অন্তরে এত হতাশ? ঈশ্বরে তুমি আশা রাখো, কারণ আমি আবার তাঁর প্রশংসা করব যিনি আমার পরিত্রাতা ও আমার ঈশ্বর।
6 আমার ঈশ্বর, আমার প্রাণ আমার মধ্যে নিরুত্সাহিত হয়; সেইজন্য আমি তোমাকে ডাকছি যর্দ্দন দেশ থেকে, আর হর্মোনের তিনটি শিখর এবং মিৎসিয়র পর্বত থেকে।
আমার প্রাণ আমার অন্তরে অবসন্ন; কিন্তু জর্ডনের দেশ থেকে, হর্মোণের উচ্চতা—মিৎসিয়র পর্বত থেকে, আমি তোমাকে স্মরণ করব।
7 তোমার নির্ঝর সমূহের শব্দ জল প্রবাহকে ডাকছে; তোমার সকল ঢেউ এবং তোমার সকল তরঙ্গ আমার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
তোমার জলপ্রপাতের গর্জনে অতল অতলকে ডাকে; তোমার সমস্ত ঢেউ ও তরঙ্গ আমার উপর দিয়ে বয়ে গেছে।
8 কিন্তু সদাপ্রভুু দিবসের দিনের তাঁর চুক্তি বিশ্বস্তভাবে পালন করবেন, রাতে তাঁর গান আমার সাথে থাকবে, আমার জীবনের প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে বলবে।
কিন্তু সদাপ্রভু প্রতিদিন তাঁর অবিচল প্রেম আমার উপর ঢেলে দেন, এবং প্রত্যেক রাত্রে আমি তাঁর গান করি, ও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যিনি আমাকে জীবন দেন।
9 আমি ঈশ্বরকে বলব, আমার শিলা, “কেন তুমি আমাকে ভুলে গেছ? কেন শত্রুদের অত্যাচারের কারণে আমি শোক করি?”
আমার শৈল ঈশ্বরকে আমি বলি, “কেন তুমি আমায় ভুলে গিয়েছ? কেন আমি আমার শত্রুর অত্যাচারে বিষণ্ণ মনে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াব?”
10 ১০ আমাকে বিপক্ষরা আমার তিরস্কার করে, যেন আমার হাড় ভেঙে দেয়, তারা সবদিন আমাকে বলে, তোমার ঈশ্বর কোথায়?
যখন আমার বিপক্ষ আমাকে ব্যঙ্গ করে আমার হাড়গোড় সব চূর্ণ হয় তারা সারাদিন আমাকে অবজ্ঞা করে বলে, “তোমার ঈশ্বর কোথায়?”
11 ১১ কেন তুমি আমার প্রাণকে নিরুত্সাহিত করছ? কেন আমার মধ্যে চিন্তিত হচ্ছ? ঈশ্বরে আশা রাখো, আমি এখনও তাঁর প্রশংসা করবো, কারণ তিনি আমার পরিত্রান এবং আমার ঈশ্বর।
হে আমার প্রাণ, কেন তুমি অবসন্ন? কেন তুমি অন্তরে এত হতাশ? ঈশ্বরে তুমি আশা রাখো, কারণ আমি আবার তাঁর প্রশংসা করব যিনি আমার পরিত্রাতা ও আমার ঈশ্বর।

< গীতসংহিতা 42 >