< গীতসংহিতা 39 >

1 প্রধান বাদ্যকরের জন্য, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, “আমি যা বলব তা সাবধানে বলব; যেন আমি আমার জিভ দিয়ে পাপ না করি, যখন দুষ্টেরা আমার সামনে থাকে, তখন আমি মুখে একটি জাল বেঁধে রাখব।”
যিদূথূন, সংগীত পরিচালকের জন্য। দাউদের গীত। আমি নিজেকে বললাম, “আমি আমার চলার পথে সতর্ক হব আর নিজের জিভকে পাপ থেকে সংযত রাখব; দুষ্টদের উপস্থিতিতে নিজের মুখ সংবরণ করে রাখব।”
2 আমি নীরব থাকলাম; এমনকি আমি ভালো কথা বলা থেকেও বিরত থাকলাম এবং আমার ব্যথা আরও বেড়ে উঠল।
তাই আমি সম্পূর্ণ নীরব রইলাম, এমনকি সৎকথাও উচ্চারণ করলাম না। কিন্তু আমার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেল;
3 আমার হৃদয় গরম হয়ে উঠলো; যখন আমি এই সমস্ত জিনিস সম্পর্কে চিন্তা করি, সেগুলো আগুনের মত জ্বলে, আমি অবশেষে কথা বললাম।
আমার হৃদয় উত্তপ্ত হয়ে উঠল। আমি যত এই বিষয় নিয়ে ভাবলাম আমার মনের আগুন ততই জ্বলে উঠল; তখন আমি জিভ দিয়ে বললাম:
4 “সদাপ্রভুু, আমাকে জানাও কখন আমার জীবন শেষ হবে এবং আমার আয়ু কত দিন পর্যন্ত তা জানাও। দেখাও আমি কেমন ক্ষণিক।
“হে সদাপ্রভু, আমার জীবনের সমাপ্তি আমাকে দেখাও আমাকে মনে করিয়ে দাও যে আমার জীবনের দিনগুলি সীমিত; আমাকে বোঝাও আমার জীবন কত ক্ষণস্থায়ী।
5 দেখ, তুমি আমার জীবনের দিন গুলো করেছ মুষ্টিমেয় এবং আমার জীবনকাল তোমার আগে কিছুই না। নিশ্চয়ই প্রত্যেক মানুষই বাষ্পের মত ক্ষণস্হায়ী।
তুমি আমার জীবনের আয়ু আমার হাতের মুঠোর মতো ছোটো করেছ; আমার সম্পূর্ণ জীবনকাল তোমার কাছে কিছুই নয়। সবাই তোমার কাছে নিঃশ্বাসের সমান, এমনকি তারাও যাদের সুরক্ষিত মনে হয়।
6 সত্যিই প্রত্যেক মানুষ ছায়ার মত চলাফেরা করে। নিশ্চয়ই তারা ধন সঞ্চয় করার জন্য ব্যস্ত, যদিও তারা জানে না কে তাদের গ্রহণ করবে।
“সবাই সামান্য চলমান ছায়ার মতো; বৃথাই তারা ব্যস্ত, সম্পদ সঞ্চয়ে ব্যতিব্যস্ত কিন্তু জানে না, কে এই সম্পদ ভোগ করবে।
7 এখন, প্রভু, আমি কি জন্য অপেক্ষা করছি? তুমি আমার একমাত্র আশা।
“কিন্তু এখন, হে সদাপ্রভু, আমি কীসের আশায় থাকব? আমার আশা একমাত্র তোমাতেই।
8 আমার সমস্ত পাপের উপর আমাকে বিজয় দান কর; আমাকে মূর্খ লোকদের দ্বারা অপমানে পূর্ণ কর না।
আমার সব অপরাধ থেকে আমায় মুক্ত করো, আমাকে মূর্খদের উপহাসের পাত্র কোরো না।
9 আমি নিঃশব্দ ছিলাম আমি আমার মুখ খুলিনি, কারণ তুমিই এটি করেছ।
আমি তোমার সামনে নীরব রইলাম; মুখ খুললাম না, কারণ আমার শাস্তি তোমার কাছ থেকেই আসে।
10 ১০ আমার থেকে তোমার যন্ত্রণা সরাও, তোমার হাত আমাকে আঘাত করেছে।
আমার প্রতি তোমার আঘাত ক্ষান্ত করো; তোমার হাতের আঘাতে আমি জর্জরিত।
11 ১১ যখন তুমি পাপের জন্য লোকেদের শাসন কর, তুমি কীটের মত ধীরে ধীরে তাদের শক্তি গ্রাস করো; নিশ্চয়ই সব মানুষই বাষ্প ছাড়া আর কিছুই নয়। (সেলা)
যখন তুমি কাউকে তার পাপের জন্য তিরস্কার ও শাসন করো, কীটের মতো তাদের সম্পত্তি তুমি গ্রাস করো, সত্যি সকলে নিঃশ্বাসের মতোই ক্ষণস্থায়ী।
12 ১২ সদাপ্রভুু, আমার প্রার্থনা শোন এবং আমার কথা শোন, আমার কান্না শুনে নীরব থেকো না, আমি তোমার কাছে বিদেশী লোকের মত, আমার সমস্ত পূর্বপুরুষদের মত একজন প্রবাসী।
“হে সদাপ্রভু, আমার প্রার্থনা শোনো, আমার সাহায্যের প্রার্থনায় কর্ণপাত করো; আমার চোখের জলে বধির হয়ে থেকো না। কারণ আমি তোমার কাছে বিদেশির মতো, আমার পিতৃপুরুষদের মতোই আমি প্রবাসী।
13 ১৩ আমার থেকে তোমার দৃষ্টি ফেরাও যাতে আমি মরার আগে আবার হাঁসতে পারি।”
আমার জীবন শেষ হওয়ার আগে আমার উপর থেকে তোমার ক্রোধের দৃষ্টি সরাও, যেন আমি আবার জীবন উপভোগ করতে পারি।”

< গীতসংহিতা 39 >