< গীতসংহিতা 109 >

1 প্রধান বাদ্যকরের জন্য। দায়ূদের সঙ্গীত। ঈশ্বর আমি যার প্রশংসা করি, নীরব থেকো না।
সংগীত পরিচালকের জন্য। দাউদের গীত। আমার ঈশ্বর, আমার প্রশংসার পাত্র, নীরব থেকো না,
2 কারণ দুষ্ট এবং প্রতারক আমাকে আক্রমণ করে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে।
দেখো, যারা দুষ্ট ও প্রতারক তারা আমার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে; ওদের মিথ্যাবাদী জিভ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কথা বলেছে।
3 তারা আমাকে ঘিরে ধরে এবং ঘৃণাজনক কথা বলে এবং অকারণে আমাকে আক্রমণ করে।
ঘৃণার বাক্য দিয়ে তারা আমাকে ঘিরে ফেলেছে; অকারণে তারা আমাকে আক্রমণ করে।
4 আমার ভালবাসার পরিবর্তে তারা আমার নিন্দা করে কিন্তু আমি তাদের জন্য প্রার্থনা করি।
আমার বন্ধুত্বের বিনিময়ে তারা আমাকে অভিযুক্ত করেছে, কিন্তু আমি প্রার্থনায় রত থেকেছি।
5 তারা আমার ভালোর পরিবর্তে খারাপ করে এবং আমার ভালোবাসাকে ঘৃণা করে।
তারা আমার উপকারের পরিবর্তে অপকার, এবং আমার বন্ধুত্বের বিনিময়ে ঘৃণা করেছে।
6 তুমি সেই লোকের ওপরে দুষ্টলোককে নিযুক্ত কর; বিপক্ষ তার ডান দিকে দাঁড়িয়ে থাকুক।
আমার শত্রুর বিরুদ্ধে একজন দুষ্টকে নিয়োগ করো; একজন অভিযোগকারী তার ডানদিকে দাঁড়িয়ে থাকুক।
7 যখন তার বিচার হবে, সে দোষী হোক, তার প্রার্থনা পাপ হিসাবে মানা হোক।
বিচারে সে যেন দোষী সাব্যস্ত হয়, আর তার প্রার্থনা পাপের তুল্য গণ্য হোক।
8 তার আয়ু অল্পদিনের র হোক; অন্য লোক তার অধ্যক্ষপদ নিয়ে নিক।
তার জীবনের আয়ু যেন স্বল্প হয়; অন্য কেউ যেন তার নেতৃত্বের পদে নিযুক্ত হয়।
9 তার সন্তানেরা পিতৃহীন হোক, তার স্ত্রী বিধবা হোক।
তার সন্তানেরা পিতৃহীন হোক আর তার স্ত্রী বিধবা হোক।
10 ১০ তার সন্তানেরা ঘুরে বেড়াক এবং ভিক্ষা করুক, তাদের ধ্বংস স্থান থেকে দূরে [খাদ্য] খোঁজ করুক।
তার সন্তানেরা ঘুরে বেড়ানো ভিখারি হোক; তাদের ভাঙা ঘর থেকে তারা বিতাড়িত হোক।
11 ১১ মহাজন তার সবকিছু নিয়ে নিক; অন্য লোকেরা লুট করুক যা তার উপার্জন।
এক পাওনাদার তার সর্বস্ব কেড়ে নিক, অচেনা লোকেরা তার শ্রমের ফল লুট করে নিক।
12 ১২ তার ওপর কেউ দয়ার হাত না বাড়াক, তার অনাথ সন্তানদের ওপর কেউ করুণা না করুক।
কেউ যেন তার প্রতি দয়া না করে, অথবা তার পিতৃহীন ছেলেমেয়েদের প্রতি কৃপা না করে।
13 ১৩ তার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচ্ছিন্ন হোক, পরের বংশধরের নাম মুছে যাক।
তার উত্তরপুরুষদের যেন মৃত্যু হয়, আগামী প্রজন্ম থেকে যেন তাদের নাম মুছে যায়।
14 ১৪ তার পূর্ব পুরুষদের পাপ সদাপ্রভুুর কাছে উল্লেখ থাকুক, তার মায়ের পাপ ভুলে না যাক।
সদাপ্রভু যেন তার পূর্বপুরুষদের অপরাধ স্মরণে রাখেন; তার মায়ের পাপ যেন কখনও মুছে না যায়।
15 ১৫ তার দোষ সবদিন সদাপ্রভুুর সামনে থাকুক, যেন সদাপ্রভুু পৃথিবী থেকে তার স্মৃতি মুছে দেন।
সদাপ্রভু যেন তাদের সব পাপ সর্বদা স্মরণে রাখেন, যেন তিনি তাদের নাম পৃথিবী থেকে মুঝে দেন।
16 ১৬ যেহেতু এইলোক কাউকে দয়া দেখানোর বিষয় মাথা ঘামাননি, কিন্তু তার বদলে নিপীড়িতদের তাড়না করত এবং অত্যন্ত গরিব লোককে এবং নিরুত্সাহ লোককে হত্যা করত।
কেননা সে অপরের প্রতি দয়া দেখাতে অস্বীকার করেছিল, এবং দরিদ্র, অভাবী এবং ভগ্নহৃদয়কে মৃত্যুর দিকে চালিত করেছিল।
17 ১৭ সে অভিশাপ দিতে ভালবাসত, সেটাই তারই ওপর আসল। সে আশীর্বাদ করতে ঘৃণা করত; তার ওপর যেন আশীর্বাদ না আসুক।
সে অভিশাপ দিতে ভালোবাসত— তা যেন তার দিকেই ফিরে আসে। আশীর্বাদ দানে তার ইচ্ছা ছিল না— তা যেন তার কাছ থেকে দূরে থাকে।
18 ১৮ সে অভিশাপকে কাপড়ের মতো পরত এবং তার অভিশাপ তার অন্তর থেকে জলের মতো, তার হাড়ের মধ্যে থেকে তেলের মত আসল।
অভিশাপ সে নিজের পোশাকের মতো পরেছিল; তা জলের মতো তার শরীরে আর তেলের মতো তার হাড়গোড়ে প্রবেশ করেছিল।
19 ১৯ তার অভিশাপগুলো পরার পোশাকের মতো ও নিত্য কোমরবন্ধনের মতো হোক।
তার অভিশাপ তার পরনের পোশাকের মতো হোক, কোমরবন্ধের মতো তার দেহে চিরকাল জড়ানো হোক।
20 ২০ সদাপ্রভুু থেকে এইফল পায় আমার বিপক্ষেরা, আমার প্রাণের বিরুদ্ধে যারা খারাপ কথা বলে তারা।
সেই অভিশাপ সদাপ্রভুর প্রতিফল হোক, আমার অভিযোগকারীদের প্রতি হোক যারা আমার সম্বন্ধে মন্দ কথা বলে।
21 ২১ সদাপ্রভুু আমার প্রভু, নিজ নামের অনুরোধে আমার সঙ্গে ব্যবহার কর; কারণ তোমার বিশ্বস্ত বিধি মঙ্গলময়, আমাকে বাঁচাও।
কিন্তু তুমি, হে সার্বভৌম সদাপ্রভু, তোমার নামের গুণে আমাকে সাহায্য করো, তোমার প্রেমের মহিমায় আমাকে উদ্ধার করো।
22 ২২ কারণ আমি দুঃখী এবং গরিব এবং আমার হৃদয় আহত হয়েছে।
কারণ আমি দরিদ্র ও অভাবী, এবং আমার হৃদয় ঘায়েল হয়েছে।
23 ২৩ আমি হেলে পড়ছি সন্ধ্যার ছায়ার মতো; আমাকে ঝাকানো হচ্ছে পঙ্গপালের মতো।
সান্ধ্য ছায়ার মতো আমি বিলীন হয়ে যাই; পঙ্গপালের মতো আমাকে দূর করা হয়।
24 ২৪ আমার হাঁটু দুর্বল হয়েছ উপবাসের থেকে, আমি চামড়া এবং হাড়ে পরিণত হয়েছি।
উপবাসে আমার হাঁটু দুর্বল হয়েছে, আমার দেহ শীর্ণ ও শুষ্ক হয়েছে।
25 ২৫ আমি অভিযোগকারীদের কাছে অবজ্ঞার পাত্র হয়েছি; যখন আমাকে দেখে তারা তাদের মাথা নাড়ে।
আমার অভিযোগকারীদের কাছে আমি অবজ্ঞার পাত্র হয়েছি; যখন তারা আমাকে দেখে তখন তারা ঘৃণায় মাথা নাড়ায়।
26 ২৬ আমাকে সাহায্য করো সদাপ্রভুু আমার ঈশ্বর; আমাকে বাঁচাও তোমার বিশ্বস্ততার বিধির দ্বারা।
হে সদাপ্রভু, আমার ঈশ্বর, আমাকে সাহায্য করো; তোমার অবিচল প্রেমের গুণে আমাকে উদ্ধার করো।
27 ২৭ যেন তারা জানতে পারে যে, এটা তোমার কাজ যে তুমি সদাপ্রভুু, এই সব করেছ।
যেন তারা জানতে পারে যে, এ তোমার হাতের কাজ, তুমিই, হে সদাপ্রভু, এসব করেছ।
28 ২৮ যদিও তারা আমাকে শাপ দেয়, দয়া করে তুমি আশীর্বাদ কর; যখন তারা আক্রমণ করে যেন তারা লজ্জিত হয়। কিন্তু তোমার এ দাস আনন্দ করবে।
তারা অভিশাপ দিক, কিন্তু তুমি আশীর্বাদ দিয়ো; যারা আমাকে আক্রমণ করে, তারা যেন লজ্জায় পড়ে, কিন্তু তোমার দাস আনন্দ করুক।
29 ২৯ আমার বিপক্ষরা লজ্জিত পোশাকে পরিহিত হবে এবং ডাকাতি করা পোশাকের মতো লজ্জায় ঢেকে যাবে।
আমার অভিযোগকারীরা অপমানে আবৃত হোক, এবং আলখাল্লার মতো লজ্জায় আচ্ছাদিত হোক।
30 ৩০ আমি আনন্দের সঙ্গে উষ্ণ ধন্যবাদ দেবো সদাপ্রভুুকে; আমি লোকেদের মধ্যে তাঁর প্রশংসা করব।
আমার মুখ দিয়ে আমি সদাপ্রভুর উচ্চপ্রশংসা করব; আরাধনাকারীদের মহাসভায় আমি তোমার প্রশংসা করব।
31 ৩১ কারণ তিনি গরিবদের ডানদিকে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাদের হাত থেকে তাকে বাচান যারা তাকে হুমকি দেয়।
কারণ যারা দরিদ্রদের শাস্তি দিতে উদ্যত তাদের কবল থেকে রক্ষা করার উদ্দেশে তিনি দরিদ্রদের ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন।

< গীতসংহিতা 109 >